How To use female condom-Video Play

কোন মন্তব্য নেই

This Video Download Now 

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

কোন মন্তব্য নেই

প্রেমের নামে নারীর দেহ ভোগ চলতেছে -ভিডিও সহ

বিষয়টি ঘৃণার নয় লজ্জারও বটে ।
বর্তমানে আমাদের দেশে প্রেমের আড়ালে যে সব অপকর্ম হচ্ছে তা পশ্চিমাদেরও হার মানিয়েছে ।
প্রেমের আড়ালে নারী দেহ ভোগ চলতছে ।ভিভিন্ন পার্কে বা হোটেলে আমাদের অতি আধুনিক তরুণ তরুণীরা প্রেমের নামে মিলিত হচ্ছে শাররিক সম্পর্কে ।শুধু এখানেই শেষ নয়? মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করতেছে ।
এসব ভিডিও কম্পিউটার এর মাধ্যমে পৌছে যায় সবার হাতে । সমাজের ছোট বড় সব বয়সের ছেলে মেয়েরা দেখতে থাকে অতি আধুনিক প্রেমিক প্রেমিকাদের দ্বারা তৈরী করা এসব ভিডিও ।তবুও দেখার কেউ নেই ।বিস্তারিত পড়ুন  
 

কোন মন্তব্য নেই :

যুবলীগ: মদের আসর,নাচ-গান-ফুর্তি করে সিনেমা স্টাইলে ধর্ষণ করলো

কোন মন্তব্য নেই
Video দেখতে ক্লীক করুণ এখানে
যুবলীগ-চারজন মিলে মদের আসর, তারপর মেয়েকে নিয়ে ফুর্তি আর তারপর একে একে চারজন ধর্ষণ করে লালসা মিটালো এই অসহায় মেয়েটার উপর। আইন মন্ত্রী আইন করে নিষিদ্ধ করে ধর্ম, কোরআনের তাফসীর, হিজাব, আল্লাহর উপর আস্থা; আর যাদেরকে আল্লাহ নিজেই শাস্তির জন্য হুদুদ (আইন) দিয়েছে তারা রাজার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে দেশে। হায়রে আওয়ামীলীগ!
 আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।  এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়? 

কোন মন্তব্য নেই :

ফরিদগঞ্জে ধর্ষণের মূল্য দেড় লাখ

কোন মন্তব্য নেই

ফরিদগঞ্জে ধর্ষিত এক কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে দেড় লাখ টাকা। ধর্ষিতাকে দেয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এক লাখ টাকা ভাগাভাগি করেছে দালাল ও পুলিশ। দিনমজুর কন্যার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে খোদ থানায় বসেই এ কাজটি করেছে এলাকার প্রভাবশালীরা। ঘটনা ঘটেছে শনিবার মধ্যরাতে। ধর্ষক উপজেলার চরপাতা গ্রামের মোস্তফার ছেলে জসিম (২৫)। তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এর সূত্র ধরে গত শুক্রবার রাত ১১টায় জসিম কিশোরীকে ফোনে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী রাস্তায় আসতে বলে। কথামতো কিশোরী রাস্তায় আসে। তখন জসিম এক বন্ধুর সহযোগিতায় তাকে জোরপূর্বক একটি মোটরসাইকেলে তোলে। এরপর তাকে নিয়ে যায় জসীমের বোন রায়পুরের চরপাতা গ্রামের সেলিনার নির্জন বসতঘরে।  সেখানে কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণ করে জসিম। এরপর সূর্যোদয়ের পূর্বে জসিম কিশোরীকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে রায়পুর থেকে ফরিদগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথে ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়ায় টহল পুলিশ গাড়িটি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কিশোরী পুলিশকে ঘটনা খুলে বলে। এতে, পুলিশ তাদের দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। দুপুরে খবর পেয়ে জসিমের পক্ষে প্রভাবশালী লোকজন জসিমকে ছাড়িয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করে। সারা দিন দরকষাকষি শেষে শনিবার রাত ১২টায় কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ হয় দেড় লাখ টাকা। তবে, কিশোরীর পিতার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়ে কিশোরীকে বের করে দেয়া হয় থানা থেকে। আর দেড় লাখ টাকা ভাগাভাগি করে নেয় দালাল ও পুলিশ। এদিকে, কিশোরীর পিতা ৫০ হাজার টাকা বুঝে পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, জসিমের লোকজন জসিমের বাড়িতে বিয়ে দেয়া আমার বড় মেয়েকে তালাকের হুমকি দিয়ে আমাকে মামলা করতে দেয়নি। ওদিকে, ঘটনা সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার এসআই সুধাংশু জানান, কিশোরীর পিতা মামলা করতে রাজি হননি তাই দু’জনকে তাদের গার্জিয়ানের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ধর্ষিতার মেডিকেল টেস্টসহ মামলার প্রক্রিয়া কেন করা হলো না। এমনি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা হয়নি তাই। তবে, কোনও টাকা পয়সা লেনদেনের কথা তিনি স্বীকার করেননি। মানব জমিন

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

মরে যাচ্ছে পদ্মা

কোন মন্তব্য নেই

পদ্মার তলদেশ স্পর্শ করা যেত না। স্রোতের টানে সাঁতার দেয়ার কথা কখনও মনে করতো না। কিন্তু আজ সেই পদ্মায় পানি নেই। পদ্মা এখন ছোট খাল। পানির অভাবে প্রমত্তা পদ্মা মরে গিয়ে ক্রমেই ছোট থেকে আরও ছোট হয়ে আসছে। জলরাশির পরিবর্তে চারদিকে শুধু ধু-ধু বালুচর। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতুর পাদদেশেও এখন বিশাল বালুচর জেগে উঠেছে। এই বালুচরেই সবুজ বিপ্লব ঘটানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কৃষক। খরস্রোতা পদ্মা নদীর এমন করুণ মৃত্যুতে হাহাকার পড়েছে নদী তীরবর্তী মানুষের মনে। গড়াই, হিসনা, কালীগঙ্গা ও মাথাভাঙ্গা নদীগুলো প্রায় পুরোপুরিই শুকিয়ে এখন মৃত অবস্থা।
পদ্মা নদীর পানির প্রবাহ ধরে রাখতে ভারত সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেও কোন লাভ হয়নি বাংলাদেশের। চুক্তির ১৮ বছর শুরু হলেও কখনই হিস্যা অনুযায়ী পানি পায়নি বাংলাদেশ। অথচ যৌথ নদী কমিশনের ওয়েবসাইটে (িি.িলৎপন.পড়স) চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে ১০ই এপ্রিল পর্যন্ত ১০ চক্রে ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৯ কিউসেক পানি ভারত সরকার বেশি দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। অথচ বাস্তব চিত্র উল্টো। পানি নেই পদ্মায়। পানির অভাবেই দিন দিন আরও শুকিয়ে যাচ্ছে পদ্মা নদী। শুষ্ক মওসুমে গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগির লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে ভারত সরকারের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি পানি চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী ১লা জানুয়ারি থেকে ৩০শে মে পর্যন্ত সময়কে শুষ্ক মওসুম হিসেবে অভিহিত করে প্রতিটি মাসকে তিন চক্রে ভাগ করা হয়েছে। কোন চক্রে বাংলাদেশ কি পরিমাণ পানি পাবে তাও চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। ঠিকমতো পানি বণ্টন হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) সদস্যরা বাংলাদেশ-ভারত সফর করেন। যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) সূত্র জানায়, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ সব সময়ই ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। শুধু ব্যতিক্রম এ বছর। প্রতি বছর ১লা জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টন কার্যক্রম শুরু হয়ে থাকে। উভয় দেশের প্রতিনিধি দল ফারাক্কা পয়েন্টে এবং বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বণ্টন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে পাঁচ মাস অবস্থান করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টের ৮ হাজার ফিট আপে এই পানির পরিমাপ ও পর্যবেক্ষণ ১লা জানুয়ারি থেকে শুরু করেছেন। ভারতের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সে দেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস কে চতুর্বেদী ও সহকারী প্রকৌশলী জি ভেনু গোপাল এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রইচ উদ্দিন ও শাখা অফিসার মো. মোফাজ্জল হোসেন।
চুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ জানুয়ারির প্রথম ১০ দিনের প্রথম চক্রে পেয়েছে ৯১ হাজার ৫শ’ ৮৯ কিউসেক পানি। পানি বন্টন চুক্তির সংলগ্নি ২-এর ইন্ডিকেটিভ অনুযায়ী, বাংলাদেশের পাওয়ার কথা ৬৭ হাজার ৫১৬ কিউসেক পানি। এ হিসাবে ভারত বাংলাদেশকে প্রথম চক্রেই ২৪ হজার ৭৩ কিউসেক পানি বেশি দিয়েছে। চুক্তির ধারা অনুযায়ী, ফারাক্কা পয়েন্টে ভারতকে ৪০ বছরের গড় পানিপ্রবাহ অর্থ্যাৎ ১ লাখ ৭ হাজার ৫১৬ কিউসেক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করার কথা। এবার পানির প্রবাহ বেশিই দেখিয়েছে ভারত। ১১ই জানুয়ারি থেকে ২০শে জানুয়ারি দ্বিতীয়চক্রে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৫৭ হাজার ৬শ’ ৭৩ কিউসেক পানি। কিন্তু যৌথ নদী কমিশনের ওয়েব সাইটে দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, এ সময় পাওয়া গছে ৭৭ হাজার ৭শ‘ ২১ কিউসেক পানি। চুক্তির থেকেও ২০ হাজার ৪৮ কিউসেক পানি বেশি পাওয়া গেছে। ২১শে জানুয়ারি থেকে ৩১শে জানুয়ারি তৃতীয়চক্রে ৫০ হাজার ১শ’ ৫৪ কিউসেক পানি দেয়ার কথা থাকলেও খাতা কলমে বেশি দিয়েছে ৩৫ হাজার ৬শ’ ১৫ কিউসেক। ফেব্রুয়ারি মাসের ১ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত ৪র্থ চক্রে ৪৬ হাজার ৩শ‘ ২৩ কিউসেকের স্থলে ভারত দিয়েছে ৯০ হাজার ৮শ’ ৬৮ কিউসেক পানি। ৫ম চক্রে ১১-২০ ফেব্রুয়ারি ৩৭ হাজার ৬শ’ ১৯ কিউসেক, ২১-২৮ ফেব্রুয়ারি’র ৬ষ্ঠ চক্রে ৩৮ হাজার ৮শ’ ১০, মার্চ মাসের ১-১০ তারিখের ৭ম চক্রে ৪৩ হাজার ২শ’ ৫৯, ১১ই মার্চ থেকে ২০ মার্চ ৮ম চক্রে ৫২ হাজার ২শ’ ৯২ কিউসেক, ২১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ ৯ম চক্রে ৩৯ হাজার ৯শ’ ৫৩ কিউসেক এবং ১লা এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫শ’ ২৬ কিউসেক পানি বেশি দেয়া হয়েছে বলে যৌথ নদী কমিশনের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। ৫ মাসের মধ্যে ৩ মাসেই ভারত সরকার ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৭৯ কিউসেক পানি বেশি দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। অথচ বাস্তব চিত্র উল্টো।
বাস্তবে পানি না পেয়ে পদ্মা আজ মরা খালে পরিণত হয়েছে। ফলে চলতি শুষ্ক মওসুমে পদ্মার বুকে দেখা দিয়েছে ধু-ধু বালুচর। এর প্রত্যক্ষ ফল পানির অভাবে দেশের সর্ববৃহৎ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প মারাত্মক হুমকির মুখে। আর পরোক্ষ ফল আরও মারাত্মক। উত্তর-দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় মরুকরণ প্রক্রিয়ায় তীব্রতর হচ্ছে। লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। অন্যদিকে শুষ্ক মওসুমে পানির অভাবে বন্ধ হয়ে যায় দেশের বৃহত্তম গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় ৪ লাখ ৮৮ হাজার একর জমিতে সেচ সরবরাহ করার কথা থাকলেও পানির অভাবে ১ লাখ ১৬ হাজার একর জমিতে সেচ সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা সহ উত্তর-দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে। পানির অভাবে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১৫টি গার্ডারের মধ্যে অর্ধেকই এখন দাঁড়িয়ে আছে ধু-ধু বালুচরে। পর্যবেক্ষকরা এখন হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে পদ্মা নদীতে হেঁটে বেড়াচ্ছে। পিকনিক করছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ ব্রিজের পাদদেশে। পর্যবেক্ষণে আসা ঢাকা সরকারি বিজ্ঞান কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী আবদুল্যাহ-আল-রুমন পদ্মা নদী দেখিয়ে আফসোস করে বলেন, এককালের প্রমত্তা পদ্মা আজ মরে গেছে। ফারাক্কার অশুভ প্রভাবেই এমন অবস্থার সৃষ্টি। ১৯১২ সালে যখন এই পদ্মার ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল, তখন পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করাই ছিল দুরূহ কাজ। নানা রকম কৌশল নিয়ে পদ্মার বুকে তৈরি হয়েছিল দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতু হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। আর কালের আবহে আজ পানিশূন্য অবস্থায় বালুচরের ওপর কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এ ব্রিজ।  মানব জমিন এর কাছে থেকে নেওয়া।


আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

দুই বছরের শিশু মুক্তিযোদ্ধা

কোন মন্তব্য নেই
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকার উত্তরার মাওছাইদ গ্রামের সবুর হোসেন খানের বয়স ছিল ২ বছর ৭ মাস ১০ দিন। অথচ তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পেয়েছেন সনদ। মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে হয়েছেন নথিভুক্ত। আর এ জালিয়াতির সুযোগ 
নিয়ে মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে ১৯০ জনের সঙ্গে তিনিও ২০০৯ সালের ৯ই ডিসেম্বর সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দিয়েছেন। বর্তমানে তার কর্মস্থল জামালপুরের মাদারগঞ্জ। বরিশালের উজিরপুর থানার চকমান গ্রামের মো. নূরুল হকের বয়স ছিল ২ বছর ৯ মাস ১১ দিন। তিনিও মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে ১৩ই ডিসেম্বর ২০০৯ সালে সাবরেজিস্ট্রার  হিসেবে যোগ দেন। তার বর্তমান কর্মস্থল বরগুনার পাথরঘাটা। মুক্তিযোদ্ধা সনদে পিলিটিক্যাল মটিভেটর হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করার কথা বলা হয়েছে। মুজিবনগর কর্মচারীর সনদ নিয়ে এমন ভয়াবহ জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তদন্তে। শুধু তা-ই নয়, আরও আছে। তদন্ত কমিটির কাছে কিভাবে জালিয়াতি হয় তার বর্ণনা দিয়েছেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোশারফ  হোসেন চৌধুরী। তিনিও ১৯০ জনের একজন। সে সময় তার বয়স ছিল ৮ বছর ৫ মাস ১২ দিন। তদন্ত কমিটিকে তিনি বলেছেন, আমি মুজিবনগর কর্মচারী নই। যুদ্ধকালে ভারতেও যাইনি। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের একটি চক্রের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে কাগজ সংগ্রহ করেছি। আর কাগজ সংগ্রহ করতে আমার ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। অন্যরা কেউ ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ করেছে। নিয়োগ পেতে আমার মোট খরচ হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। তিনি তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন, মুজিবনগর কর্মচারী  নিয়ে বিরাট একটি চক্র সারা দেশে টাকার বিনিময়ে কাজ করছে। সবার কাগজই ভুয়া। মোশারফ হোসেন চৌধুরী ফেনীর ফুলগাজীতে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি কাজে যোগ দেন ২০০৯ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর। নবম সংসদের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৬তম বৈঠকে এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি করা হয় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন-২) মো. মজনুল আহসানকে। সদস্য করা হয় একই বিভাগের যুগ্ম সচিব (মতামত) সহিদুল করিম ও উপ-সচিব (মতামত-৪) আবু আহমেদ জমাদারকে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্ত কমিটি স্থায়ী কমিটির ২৯তম বৈঠকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন। তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুজিবনগর কর্মচারী  হিসেবে ১৯০ জনকে সাব রেজিস্ট্রার পদে আত্তীকরণের বিষয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে যে ১৯০ জন মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ তাদের বয়স ছিল ২ থেকে ১৬ বছর। এর মধ্যে রয়েছেন বরিশালের আগৈলঝরার বারপাইকা গ্রামের কাজী নজরুল ইসলাম। সে সময় তার বয়স ছিল ৩ বছর ১১ মাস ২৪ দিন। তিনি নিয়োগ পেয়েছেন ২০০৯ সালের ১৩ই ডিসেম্বর। তার কর্মস্থল শরীয়তপুরের জাজিরায়। তদন্ত কমিটির কাছে তিনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ইনফরমার হিসেবে কাজ করেছেন। কত তারিখে, কার অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন? তদন্ত কমিটির এ প্রশ্নে তিনি বলেন, তারিখ মনে নেই। তালিকার ৪৩ নম্বরে রয়েছেন বরিশাল গৌরনদীর সাহাজিরা গ্রামের মো. আবদুল মতিন। তিনি ২০০৯ সালের ৯ই ডিসেম্বর যোগ দেন সাব রেজিস্ট্রার হিসাবে। তার কর্মস্থল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে। তিনিও ইনফরমার হিসেবে কাজ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকার ৫১ নম্বরে রয়েছেন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার চকজেস  গ্রামের স্বপন কুমার দে। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ তার বয়স ছিল ৪ বছর ১১ মাস ৮দিন। তিনিও চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন ২০০৯ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর। তালিকার ৬৬ নম্বরে রয়েছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বড় অভিরামপুর গ্রামের মো. ওবায়েদ উল্লাহ। সে সময় তার বয়স ছিল ৫ বছর ২ মাস ২৫ দিন। তিনি ২০০৯ সালের ৭ই ডিসেম্বর ফেনীর পরশুরামে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। তিনিও মুক্তিযুদ্ধের সময় ইনফরমার হিসেবে কাজ করেন। তালিকার ৭৬ নম্বরে রয়েছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কাছিহাটি গ্রামের মো. আবুল বাশার। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ তার বয়স ছিল ৪ বছর ২ মাস ২৬ দিন। তিনি ২০০৯ সালে ৯ই ডিসেম্বর হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। তিনিও ছিলেন ইনফরমার। মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের সমেতপুর গ্রামের বোরহান উদ্দিন সরকারও মুক্তিযুদ্ধে ইনফরমার হিসেবে কাজ করেন। তিনিও মুজিবনগর কর্মচারী ছিলেন। ’৭১-এর ২৬শে মার্চ তার বয়স ছিল ৫ বছর ২ মাস ২৬ দিন। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন ২০০৯ সালের ৬ই ডিসেম্বর। টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসাইল গ্রামের আজহার আলী খানের বয়স ছিল ৭ বছর ১৫ দিন। তিনিও ছিলেন ইনফরমার। মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে আত্তীকরণের মাধ্যমে তিনি রাজশাহীর দুর্গাপুরে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন ২০০৯ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার দীঘলকান্দি গ্রামের মো. শফি হাসান একই সুযোগ নিয়ে নওগাঁর বদলগাছীতে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন ২০০৯ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর। সে সময় তার বয়স ছিল ৫ বছর ২ মাস ২৬ দিন। তিনিও ইনফরমার ছিলেন। ৪ বছর ৩ মাস ২৬ দিন বয়সে মুজিবনগর কর্মচারী ছিলেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার দীঘলকান্দি গ্রামের লিয়াকত হোসেন। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি ইনফরমার হিসেবে কাজ করেন। তিনি ২০০৯ সালের ১৩ই ডিসেম্বর নওগাঁর দামইরহাটে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। বগুড়া সদরের বৃন্দা পাড়ার সহিদুল ইসলামও একই ভাবে মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে নথিভুক্ত হন। আর এ সুবিধা নিয়ে তিনি ১৬ই সেপ্টেম্বর নওগাঁর আত্রাইয়ে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। সে সময় তার বয়স ছিল ৬ বছর ৫ মাস ২৬ দিন। জামালপুরের সরিষাবাড়ীর হল পূর্ব পাড়া গ্রামের একেএম রফিকুল ইসলামও মুক্তিযুদ্ধের সময় ইনফরমার ছিলেন। তিনি মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে সিরাজগঞ্জের গান্দাইলে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন ২০০৯ সালের ৬ই ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ তার বয়স ছিল ৬ বছর ৫ মাস ৩ দিন। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর নিঝুর খামার গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমের বয়স ছিল ৬ বছর ৪ মাস ৩ দিন। তিনিও ছিলেন ইনফরমার। মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন ২০০৯ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর। জয়পুরহাট আক্কেলপুরের মালিগ্রাম গ্রামের মুক্তিওয়ারা খাতুনের বয়স ছিল ৫ বছর ৬ মাস ২৬ দিন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যাম্পের সেবিকা ছিলেন বলে দাবি করেছেন। আর মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে ২০০৯ সালের ৬ই ডিসেম্বর বগুড়ার নন্দীগ্রামে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। ৭ বছর ২৫ দিন বয়সে ইনফরমারের কাজ করেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর বুজরুক বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. মনিরুজ্জামান। তিনি মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে নথিভুক্ত হয়ে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন ২০০৯ সালের ৬ই ডিসেম্বর। বগুড়ার শিবগঞ্জের মাঝপাড়া গ্রামের মো. শাহ আলমের বয়স ছিল ৮ বছর ৩ মাস ১৬ দিন। তিনিও মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন ইনফরমার। আর মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে নথিভুক্ত হয়ে ২০০৯ সালের ৬ই ডিসেম্বর সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। তার কর্মস্থল জয়পুরহাটের কালাইয়ে। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর ধনিরামপুর গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের বয়স ছিল ৭ বছর ২ মাস ২৩ দিন। তিনিও ছিলেন ইনফরমার। মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে আত্তীকরণের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। তার কর্মস্থল জয়পুরহাটের আক্কেলপুর। তালিকার ১১৩ নম্বরে রয়েছে রংপুর পীরগঞ্জের ঘোষপুর গ্রামের মো. খায়রুজ্জামান ম-ল। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চে তার বয়স ছিল ৪ বছর ১১ মাস ১৭ দিন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ইনফরমার হিসেবে কাজ করেছেন। মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। ১৯০ জন ভাগ্যবানের তিনি একজন। ২০০৯ সালের ১০ই ডিসেম্বর সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে। ১১২ নম্বরে রয়েছেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর সন্তোষপুর গ্রামের মো. আফসার আলীর নাম। সে সময় তার বয়স ছিল ৪ বছর ৫ মাস ১৫ দিন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ইনফরমার হিসেবে কাজ করেছেন। আর পরে নথিভুক্ত হয়েছেন মুজিবনগর কর্মচারী হিসাবে। এ সংক্রান্ত কাগজ জমা দিয়ে তিনি ২০০৯ সালের ১৫ই ডিসেম্বর দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। তালিকার ১১৬ নম্বরে রয়েছে কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আবুল বাশার মো. ইউসুফের নাম। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ তার বয়স ছিল ৪ বছর ১১ মাস ১ দিন। তিনিও ইনফরমার ছিলেন। মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে ২০০৯ সালের ১৪ই ডিসেম্বর পঞ্চগড়ের আটোয়ারিতে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ধোবাকল গ্রামের মোহাম্মদ আবু হেনা মোস্তফা কামালের বয়স ছিল ৫ বছর ৮ মাস ৯ দিন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনিও ইনফরমার হিসেবে কাজ করেন। আর যুদ্ধের পর ১৯৮৬ সালে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে কাগজ জমা দিয়ে মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে নথিভুক্ত হন। আর এ সুবাধে পঞ্চগড়ের দ্বেবীগঞ্জের সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। রংপুর খেসামত পুনকির গ্রামের সুধীর কুমার সরকারের বয়স ছিল ৭ বছর ৫ মাস ১২ দিন। তিনিও ইনফরমার হিসেবে কাজ করেন। মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে তিনি ২০০৯ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর বলদীটারী গ্রামের মো. আবদুল মতিনের বয়স ছিল ৬ বছর ১০ মাস ১২ দিন। তিনিও ছিলেন ইনফরমার। মুজিবনগর কর্মচারী  হিসেবে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন ২০০৯ সালের ৬ই ডিসেম্বর। তার কর্মস্থল ঠাকুগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে। রংপুর গঙ্গাচড়ার নিলকচ-ী গ্রামের মো. আবদুর রশীদ মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে রংপুরের পীরগঞ্জে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দিয়েছেন। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ তার বয়স ছিল ৭ বছর ৮ মাস ২৬ দিন। কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরীর আনছারহাট গ্রামের সোহরাব হোসেন সরকারের বয়স ছিল ৫ বছর ৫ মাস ১ দিন। যুদ্ধের ময়দানে তিনি ছিলেন ইনফরমার। তিনি মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে সাব রেজিস্ট্রার পদে যোগ দেন ২০০৯ সালের ৬ই ডিসেম্বর। তার কর্মস্থল গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে। ৫ বছর ৬ মাস ৬ দিন বয়সের শিশু কুড়িগ্রাম রাজারহাটের রাম জীবন কু-ু মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন ইনফরমার। আর মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে সাব রেজিস্ট্রার পদে যোগ দেন ২০০৯ সালের ৬ই ডিসেম্বর। ৫ বছর ৪ মাস ১দিন বয়সের মিজানুর রহমানের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকায়। তিনিও ছিলেন ইনফরমার। তিনি সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন ২০০৯ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর। তার কর্মস্থল কুড়িগ্রামের রাজারহাট। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ শফিকুল ইসলাম সরকারের বয়স ছিল ২ বছর ১০ মাস ১ দিন। তার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের নারায়ণপুর গ্রামে। এ শিশুও ইনফরমার হিসেবে কাজ করেছে যুদ্ধের ময়দানে। মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে সাব রেজিস্ট্রার পদে যোগ দিয়েছেন ২০০৯ সালের ৬ই ডিসেম্বর। তার কর্মস্থল নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে। তালিকার ১৩৫ নম্বরে রয়েছেন রংপুর পীরগঞ্জের খোহাটি গ্রামের খোন্দকার গোলাম কবিরের নাম। সে সময় তার বয়স ছিল ৫ বছর ১ মাস ১৬ দিন। তিনিও যুদ্ধের ময়দানে ছিলেন ইনফরমার। মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে তিনি কুড়িগ্রামের রৌমারিতে সাব রেজিস্ট্রার পদে যোগ দেন ২০০৯ সালের ৬ই ডিসেম্বর। ৪ বছর ৮ মাস ২ দিন বয়সে ওসমান গণি ম-ল যুদ্ধের ময়দানে ইনফরমার হিসেবে কাজ করেন। ছিলেন মুজিবনগর কর্মচারী। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর মইদাম গ্রামে। সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দিয়েছেন ৭ই ডিসেম্বর। তার কর্মস্থল কুড়িগ্রামের চিলমারী। তালিকার ১৪৩ নম্বরে রয়েছে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার জীবনদাস কাঠি গ্রামের ফিরোজ আলমের নাম। সে সময় তার বয়স ছিল ৫ বছর ৭ মাস ২৬ দিন। মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে তিনি বাগেরহাটের কচুয়ায় সাব রেজিস্ট্রার হিসাব যোগ দিয়েছেন একই বছর ৭ই ডিসেম্বর। তালিকার ১৫৮ নম্বরে রয়েছে বরিশাল উজিরপুর কারফা গ্রামের নীহার রঞ্জন বিশ্বাসের নাম। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ তার বয়স ছিল ৩ বছর ৬ মাস ২১ দিন । তিনিও ইনফরমার হিসেবে যুদ্ধের ময়দানে কাজ করেন। ছিলেন মুজিবনগর কর্মচারী। ২০০৯ সালের ৬ই ডিসেম্বর মাগুড়ার শ্রীপুরে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। আর মাদারীপুর কালকিনির সাহেব পাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের বয়স ছিল ৪ বছর ৪ মাস ৭ দিন। তিনিও কুচবিহারে গিয়ে ইনফরমারের কাজ করেন। মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে তিনি শালিখার আড়পাড়ায় সাব রেজিস্ট্রার পদে যোগ দেন ২০০৯ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর। ৫ বছর ১২ দিন বয়সের ঢাকার সূত্রাপুর ৩৫ অভিসার ভবনের মিনতি দাস কুচবিহারে সেবিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আর মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে তিনি সাব রেজিস্ট্‌্রার পদে যোগ দেন ২০০৯ সালের ৯ই ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ মাদারীপুর সদরের তরমুগরিয়া মাস্টার কলোনির লুৎফর রহমান মোল্লার বয়স ছিল ৫ বছর ২ মাস ২৬ দিন। তিনিও চব্বিশ পরগনায় ইনফরমার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুজিবনগরের কর্মচারী হিসেবে তিনি খুলনার তেরখাদায় সাব রেজিস্ট্রার পদে যোগ দেন। বরিশাল উজিরপুরের বাহেরঘাট গ্রামের নুরুজ্জামান হাওলাদার মুক্তিযুদ্ধের সময় ইনফরমার হিসেবে কাজ করেন। সে সময় তার বয়স ছিল ৪ বছর ৮ মাস ১৫ দিন। তিনি ঝালকাঠির রাজাপুরে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন ২০০৯ সালের ৭ই ডিসেম্বর। বরিশাল উজিরপুরের করফা গ্রামের বাদল কুমার বিশ্বাসও ইনফরমার ছিলেন। ’৭১-এর ২৬শে মার্চ তার বয়স ছিল ৪ বছর ৬ মাস ১দিন। মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে নথিভুক্ত হয়ে তিনি ভোলার রাধাবল্লভে সাব রেজিস্ট্রার পদে যোগ দেন ৯ই ডিসেম্বর। তালিকার ১৯০ নম্বরে রয়েছে ভোলা চরফ্যাশন থানার চর তোফাজ্জল গ্রামের মোহাম্মদ ফারুকের নাম। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ তার বয়স ছিল ২ বছর ১০ মাস ৪ দিন। তিনি যুদ্ধের সময় কাজ করেছেন পলিটিক্যাল মটিভেটর হিসেবে।  তিনি বরিশালের চাখারে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন একই বছর ৭ই ডিসেম্বর। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- সাক্ষাৎকার গ্রহণকালে ১৮৯ জন সাব রেজিস্ট্রারের মধ্যে ১৩৬ জন ইনফরমার ছিলেন বলে দাবি করেছেন। ১৫ জন ছিলেন ক্যাম্প সহকারী। নার্স ও সহকারী নার্স ছিলেন ১৫ জন। পলিটিক্যাল মটিভেটর ছিলেন ১০ জন। এফ এফ কালেক্টর ছিলেন বলে দাবি করেছেন ৭ জন। স্পাই ছিলেন ২ জন। স্টোরকিপার ছিলেন ১ জন। কোন পদের নাম বলতে পারেননি এমন রয়েছেন ৩ জন। এ ছাড়া সাক্ষাৎকার গ্রহণের আগেই মারা গেছেন ১ জন। 
মানব জমিন এর কাছ থেকে নেওয়া। 


আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

যে ৬ টি কারণে আনারস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

কোন মন্তব্য নেই
 
স্বাস্থ্য ডেস্ক : বাজারে এখন চোখ বুলালেই চোখে পড়ে ছোট ছোট আনারস। ছোট্ট এবং হলদে প্রায় আনারসগুলো যে কারো নজর কাড়তে বাধ্য। শুধু নজর কাড়া নয় এই আনারসগুলো স্বাদেও বেশ অতুলনীয়। এক টুকরো আনারস মুখে দিলে অমৃতের স্বাদ পাওয়া যায়। যে কোনো ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের তুলনায় এই ছোট্ট ছোট্ট একেকটা আনারস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর তা বলাই বাহুল্য। তারপরও অনেকে জেনে শুনে আনারস খেতে চান না। কিন্তু এই সময়ে আনারস খাওয়া শরীরে জন্য অত্যন্ত জরুরী। জানতে চান আনারসের স্বাস্থ্য উপকারিতা? চলুন তবে দেখে নেয়া যাক আনারস খাওয়া কেন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরী।
দেহের পুষ্টির অভাব দূর করে আনারস
আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এই সকল উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অল্প পরিমানে আনারস খেলে দেহে এইসকল পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকবে না।
ওজন কমায় আনারস
শুনতে বেশ অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমানোয় বেশ সাহায্য করে। কারন আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং অনেক কম ফ্যাট। সকালের যে সময়ে ফলমূল খাওয়া হয় সে সময় আনারস এবং সালাদে আনারস ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খান।
হাড়ের সুস্থতায় আনারস
আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমান আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় আনারস
আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় আনারস
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করে আনারস
আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। বদহজম বা হজম জনিত যে কোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন আনারস খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

চিরতরে বন্ধের পালা উইনডোজ এক্সপির জানালা

কোন মন্তব্য নেই
ডেস্ক: windows xpবিশ্বজুড়ে ১১ বছর দাপিয়ে বেড়ানোর পর আজ থেকে নির্বাসনে যাচ্ছে উইনডোজ এক্সপি। পার্সোনাল কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সঙ্গে আর দেখা যাবে না তাকে। এবার তার জানালা চিরতরে বন্ধের পালা।
১১ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে মাইক্রোসফটের জনপ্রিয়তম অপরেটিং সিস্টেম উইনডোজ XP-এর উপর পর্দা নেমে যাচ্ছে। সফটওয়্যার জায়েন্ট মাইক্রোসফট আজ থেকে তাদের সবচেয়ে বেশি দিন ধরে চলা অপরেটিং সিস্টেমকে সমস্ত রকম টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয়া বন্ধ করে দিচ্ছে।
মাইক্রোসফটের হেড কোয়ার্টার রেডমন্ড থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
উইনডোজ এক্সপি গ্রাহকরা আর কোনো সিকিউরিটি আপডেটস, হটফিক্সেস, বিনামুল্যে বা মূল্যের বিনিময়ে সাপোর্ট অপশন বা ওনলাইন টেকনিক্যাল কন্টেন্ট আপডেটস পাবেন না।
২০০১ সালের অক্টোবর মাস থেকে পথ চলা শুরু করেছিল উইনডোজ এক্সপি। মাইক্রোসফটের সাম্প্রতিকতম অপরেটিং সিস্টেম উইনডোজ এইট আসার আগে এক্সপি-এর তিনটি ভার্সান সারা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। গ্রাহকরা এক্সপি-এর নবতম রূপ উইনডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক থ্রি এতদিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারতেন।
৮ এপিল থেকে এক্সপি-এর জন্য মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনসিয়ালস-এর সমস্ত রকম অটোম্যাটিক আপডেট দেয়াও বন্ধ করছে বিল গেটসের কোম্পানি।
এই সাপোর্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও যারা এক্সপি ব্যবহার করবেন তারা সহজেই সাইবার ক্রাইমের শিকার হতে পারেন।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় গ্রিন টি

কোন মন্তব্য নেই
 index
 
বিজ্ঞান ডেস্ক : গবেষকেরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন গ্রিন টির নির্যাসে এমন উপাদান রয়েছে যা মস্তিস্কের কার্যাবলীকে প্রভাবিত করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে৷ ইউনিভার্সিটি হসপিটারল অফ বেসেলের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার বেগলিঙ্গার ও সাইক্রিয়াটিক ইউনিভার্সিটি ক্লিনিকের অধ্যাপক স্টিফান বর্গওয়াডর্ট নতুন এই গবেষণায় দেখেছেন, গ্রিন টিয়ের নির্যাস মস্কিষ্কের কার্যকরী সংযোগকে বাড়িয়ে দিতে পারে৷ সংযাগকারী এই প্রভাব প্রকৃত কর্মক্ষমতাকে উন্নত করতে সাহায করে৷
এই মেমরি টাস্কে পরীক্ষা করার জন্য বেশকিছু স্বাস্থবান পুরুষকে কোমল পানীয় খেতে দেওয়া হয় যাতে বিভিন্ন পরিমাণে গ্রিন টিয়ের নির্যাস মেশানো ছিল৷ এর পরই এমআরআইয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা যায় পুরুষদেরদের মস্তিষ্কে এটি কতটা প্রভাব বিস্তার করেছে৷
এতে দেখা যায় মস্কিষ্কের পার্শ্বগঠনকারী প্রাচীর ও সম্মুখ বহিরাবরনের মধ্যে সংযোগ বেড়ে গিয়েছে৷ অধ্যাপক বর্গওয়াডর্ট জানিয়েছেন, তাদের এই গবেষণা থেকে জানা গেছে গ্রিন টি মস্কিষ্কে স্বল্পমেয়াদী তথ্যবহুল নমনীয়তা বাড়াতে পারে৷
সম্প্রতি এই গবেষণাটি সাইকোফার্মাকোলজি-র একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে৷

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

মাছ ও মুরগির মাংসে ক্যানসারের উপাদান

কোন মন্তব্য নেই

 চাষ করা মাছ ও ফার্মের মুরগির মাংসে মাত্রাতিরিক্ত ক্যানসারের উপাদান পাওয়া গেছে। বিষাক্ত ট্যানারি বর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে  মাছ ও মুরগির খাবার। এর নাম দেশী মিট ‘বোন বা ‘পোলট্রি ফিড’। আর এই ফিডের ভেতরেই ক্যানসার, কিডনি, লিভারের জটিল রোগের অন্যতম কারণ ক্রোমিয়ামের অস্তিত্ব পেয়েছেন গবেষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক গবেষণায় ভয়ঙ্কর এ তথ্য উঠে এসেছে। রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ওই গবেষণাটি পরিচালিত হয়। গবেষণাটির শিরোনাম ছিল ‘ট্রান্সফার অব ক্রোমিয়াম ফ্রম ট্রেনারি টু হিউম্যান বডি’। গবেষণায় দেখা যায়, চাষ করা মাছ ও ফার্মের মুরগির মাংসে উচ্চ পরিমাণে ক্রোমিয়াম রয়েছে। যা ক্যানসারের অন্যতম সহায়ক উপাদান। এসব মাছ ও মাংস খাওয়ার ফলে ব্লাড, ব্রেন, স্কিন, পাকস্থলি, লিভারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার হচ্ছে বলে জানান অধ্যাপক আবুল হোসেন। ক্যানসারের অন্যতম কারণ হলো খাবারে উচ্চ পরিমাণে ক্রোমিয়াম। ট্যানারি বর্জ্য থেকে তৈরী ক্রোমিয়ামযুক্ত বিষাক্ত খাবার মুরগির চামড়া, মাংস, কলিজা, রক্ত, মস্তিষ্ক ও হাড়ে জমা হতে থাকে। মাছ ও মুরগির বয়স বাড়লে ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি বাড়ে দ্রুতহারে। মাত্রাতিরিক্ত ক্রোমিয়াম মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ, বিশেষ করে লিভার ও কিডনিতে জমা হতে থাকে। এক পর্যায়ে লিভার ও কিডনির কার্যক্রম ব্যাহত করে জটিল রোগের সৃষ্টি করে। মানবদেহের কোষই এক পর্যায়ে বিকল করে দেয়। গবেষণার  উপাদান ফার্ম থেকে ও নিজে উৎপাদন করে প্রমাণ করা হয়। গবেষণা থেকে জানা যায়, মাছ ও মুরগির খাবারের জন্য যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয় তাতেই রয়েছে ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি। পোলট্রি ফিড তৈরির জন্য গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়াসহ অন্যান্য প্রাণীর চামড়ার অতিরিক্ত অংশ ব্যবহার করা হয়। চামড়া সতেজ ও দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য ব্যবহার করা হয় ক্রোমিয়াম। চামড়া বাজারজাত করার জন্য লেজ, মাথা, হাত-পা, শিং কেটে ফেলা হয়। আর বিভিন্ন অঞ্চলের ট্যানারি ব্যবসায়ীরা এসব অংশ ওষুধ দিয়ে মিশিয়ে গুঁড়ো করে ফেলেন এবং তার সঙ্গে অল্প পরিমাণে শুঁটকি মিশিয়ে তৈরি করেন মাছ ও মুরগির খাবার। এর নাম দেয়া হয় ‘দেশী মিট বোন’।  বর্জ্য অংশ ও গরু-ছাগল, মহিষ ও অন্যান্য প্রাণীর অতিরিক্ত অংশ থেকে যে খাবার তৈরি করা হয় তাতে প্রতিকেজি খাবারে রয়েছে ১৪ হাজার মিলিগ্রাম ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি। আর মার্কেটে যে দেশী মিট বোন পাওয়া যায় তাতে রয়েছে ৮২০০ মিলিগ্রাম ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমেরিকার এনভারমেন্টাল প্রটেকশন অব এজেন্সির (ইপিএ) আইন অনুযায়ী একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ সারাদিনে সর্বোচ্চ ৩৫ মাইক্রোগ্রাম ক্রোমিয়াম সহ্য করতে পারে। ১০০০ মাইক্রোগ্রামে হয় এক মিলিগ্রাম। আর মানুষ দৈনিক প্রতিকেজি মাছ-মাংস থেকে কমপক্ষে ৫০০ মাইক্রোগ্রাম ক্রোমিয়াম খাচ্ছে। পৃথিবীতে ১২টি পদার্থকে অত্যন্ত বিষাক্ত পদার্থ হিসেবে ধরা হয়। এরমধ্যে ক্রোমিয়াম একটি। মাছ-মাংস ছাড়াও, চাল, সাক-সবজি ও ফলমূলেও ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মাছ ও মুরগির বয়স যত বাড়তে থাকে ক্রোমিয়ামের পরিমাণও বাড়তে থাকে বলে প্রমাণিত হয়েছে গবেষণায়। বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য বাজার থেকে ২০-২৫টি মুরগির বাচ্চা পালন শুরু করেন অধ্যাপক আবুল হোসেন। তাদের খাবারের জন্য বাজার থেকে কেনেন দেশী খাবার। কিন্তু ওই খাবার খেয়ে এক মাসের আগেই ছোট কয়েকটি মুরগি মারা যায়। এক মাস পর কয়েকটি মুরগি জবাই করে ৭টি অংশ পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায় রক্তে দশমিক ৭ মিলিগ্রাম, ব্রেনে দশমিক ৮ মিলিগ্রাম, মাংসে দশমিক ৩ মিলিগ্রাম, হাড়ে এক মিলিগ্রাম, কলিজা ও চামড়ায় দশমিক ৬ মিলিগ্রাম এবং মলে ৭০.৪ মিলিগ্রাম ক্রোমিয়াম পাওয়া যায়। দুই মাস পর আরও কয়েকটি মুরগি জবাই করে পরীক্ষা করে দেখা যায় ৬টি অংশেই ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে মস্তিষ্কে। এখানে হয়েছে ৪.৬ মিলিগ্রাম। রক্তে হয়েছে দশমিক ৮ মিলিগ্রাম, মাংসে দশমিক ৫ মিলিগ্রাম, হাড়ে প্রায় ২ মিলিগ্রাম। কলিজায় আগের দশমিক ৬ মিলিগ্রামই রয়েছে। আর মলে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪ মিলিগ্রাম। প্রক্রিয়া না করেই কখনও কখনও চামড়ার বর্জ্য ও উচ্ছিষ্ট অংশ সরাসরি মাছের খাবারের জন্য ব্যবহার করা হয়। যা আরও ভয়ঙ্কর। রাজধানীর হাজারীবাগ ও রায়েরবাজারেই রয়েছে কয়েক শতাধিক পোলট্রি ফিড তৈরির কারখানা। গবেষক অধ্যাপক আবুল হোসেন মানবজমিনকে বলেন, ক্রোমিয়াম কখনই শেষ হয়ে যায় না। এ পদার্থ মানুষের শরীরের রক্ত, ব্রেন, পাকস্থলী, হাড় কিডনি, চামড়াসহ বিভিন্ন অংশে জমা হয়ে কোষ বিকল করে দেয়। তিনি বলেন, খাবারে ক্রোমিয়ামের মাত্রারিক্ত উপস্থিতির কারণেই দেশব্যাপী ক্যানসারের রোগী দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ড. আবুল হোসেন  বলেন, এই গবেষণা করার সময় ট্যানারির বর্জ্য থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন পোলট্রি ফিডের নমুনা বাজার থেকে কেনা হয়েছে। এ ছাড়া সরাসরি কারখানা থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যেসব কারখানায় ট্যানারির বর্জ্য থেকে পোলট্রি ফিড উৎপাদন হচ্ছে তার মধ্যে ক্রোমিয়াম থাকবেই। তবে ট্যানারি বর্জ্য ছাড়াও অন্য উপাদান ব্যবহার করে দেশে পোলট্রি ফিড তৈরি হয়। সেখানে ক্রোমিয়ামের উপাদান থাকার সম্ভাবনা কম। তিনি জানান, ঢাকার ট্যানারি শিল্প এলাকা হাজারীবাগের আশপাশেই রয়েছে শতাধিক পোলট্রি ফিডের কারখানা। এগুলোতে তৈরি প্রায় সব খাবারেই রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি। তিনি বলেন, যে তাপমাত্রায় মাছ-মুরগি রান্না হয় তাতে ক্রোমিয়ামের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয় না। এই রাসায়নিক উপাদান মানবকোষের ডিএনএ’র গঠন ভেঙে জেনেটিক্যাল রোগেরও সৃষ্টি করে। 
ট্যানারি থেকে উৎপাদিত খাবার ব্যবহারের কারণ: প্রধানত দু’টি কারণে ট্যানারি থেকে উৎপাদিত ‘দেশী মিট বোন’ কিনে মাছ ও মুরগিকে খাওয়ানো হয়। এগুলো দামে কম। প্রতিকেজি মাত্র ১৭-১৮ টাকা। অন্যদিকে অন্যান্য পদার্থে তৈরী (চাল, গম, ভুট্টা, ও শুঁটকি) প্রতিকেজির দাম ৪০-৪২ টাকা আর বিদেশী খাবার প্রতিকেজির দাম ৫০-৫২ টাকা। এছাড়া ট্যানারিতে তৈরী খাবার খেয়ে মাছ ও মুরগি দ্রুত বাড়ে। 
অন্যান্য বস্তুতেও স্থানান্তরের আশঙ্কা: শুধু মাছ-মাংসই নয়, অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণেও ক্রোমিয়ারের বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে। যেমন, চাল, সবজি, গমসহ অন্যান্য। কেননা মুরগির পায়খানা বা বিষ্ঠা সাধারণত শাকসবজি ও ধান উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়া উচ্ছিষ্ট চামড়ার একটা অংশ কাপড় কাঁচার সাবান তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। এর ফলে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি থেকে যায়। খবরঃ মানব জমিন
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

কোটি টাকা ভাগাভাগির অভিযোগ গণ যৌনজাগরণ মঞ্চের বিরোদ্ধে

কোন মন্তব্য নেই
যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার রায়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা কোটি কোটি টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করা হয়েছে মঞ্চের নামে। শুধু তাই নয়, চাঁদাবাজির পর চাপে পড়ে কমপক্ষে ২০টি প্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরতও দেয়া হয়েছে। মঞ্চের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও অস্বচ্ছতার প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনের এক পর্যায়ে নোট অব ডিসেন্ট দেয় ছাত্র ফেডারেশন। অভিযোগ রয়েছে মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন ইতিমধ্যে। নিজেও দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন। আর আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা তার কাছে হিসাব চাইছেন। শুধু ডা. ইমরান এইচ সরকারই নয় আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা জড়িত রয়েছেন চাঁদাবাজিতে। তারা এখন হিসাব দিচ্ছেন না। এর মধ্যে কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বও রয়েছেন। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর শুক্রবার পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার পর বিষয়টি জোরালোভাবে সামনে এসেছে। গণজাগরণ মঞ্চ পর্দার অন্তরালে বিভিন্ন স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন থেকেও টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগ নেতারা। এর আগে একই ধরনের অভিযোগ করেন গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম রূপকার শহীদুল হক। টাকার ভাগাভাগি নিয়ে হচ্ছে মিটিংয়ের পর মিটিং। ছাত্রনেতারা মনে করছেন ডা. ইমরান এইচ সরকারের পকেটে বেশি টাকা চলে গেছে। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার ও শনিবার কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। মঞ্চের নামে আদায় করা টাকা কোথায় এবং কত টাকা আয় হয়েছে তার হিসাব চাইছেন ছাত্রনেতারা। এছাড়া, এত ঝামেলা কেন হচ্ছে তা-ও জানতে চাইছেন তারা। বিষয়টি স্বীকার করেছেন মঞ্চের অন্যতম নেতা ও ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তা আবার ফেরত দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন আরেকজন ছাত্রনেতা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, এয়ারলাইন্স, হাসপাতাল ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ  থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। শীর্ষ নেতাদের বিলাসী জীবন, পাঁচ তারকা হোটেলে মাসের পর মাস অবস্থান, নতুন নতুন জামা-কাপড়, উচ্চ দামের মোবাইল ফোন প্রভৃতির ব্যবহার দেখে অন্যরা শুরুতেই ক্ষিপ্ত ছিল। কিন্তু ভয়ে কিছু বলেনি। মঞ্চের নেতাকর্মীদের নামে চাঁদাবাজির বিষয়টি স্বীকার করেছেন মঞ্চ চলাকালীন সাইবার হামলা প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্যতম নেতা শেখ আসলাম। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শুরুতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে টাকা দিলেও পরে দিতে অস্বীকার করলে তাদের প্রতিষ্ঠান ‘রাজাকার’ নিয়ন্ত্রিত ও সেই তালিকা শাহবাগে টাঙিয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়। শাহবাগে অবশ্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের তালিকা টাঙানো হয়েছিল যার বেশির ভাগই জামায়াত নিয়ন্ত্রিত। সূত্র জানায়, একটি বেসরকারি ব্যাংক ১ কোটি টাকা দেয় আন্দোলন চালাতে। ওই ব্যাংকের পক্ষে স্লোগানও দেয়া হতো মঞ্চ থেকে। এক প্রকার জিম্মি করে একটি এয়ারলাইন্স থেকে ৪০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রলীগের সাবেক ক্যাডারদের দ্বারা দখলকৃত একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ও মোটা অঙ্কের টাকা দেয়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির নামে লেখা ব্যানার ‘পক্ষ নিলে রক্ষা নাই, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই’ শীর্ষক লেখা এখনও ঝুলছে রাজধানীর অলিতে-গলিতে। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন জামায়াত নেতার নিয়ন্ত্রিত একটি ব্যাংক থেকে প্রথম দিকে এককালীন নেয়া হয় ১০ লাখ টাকা। পরে প্রতি মাসেই নির্ধারিত অঙ্কের টাকা নেন ইমরান এইচ সরকার। এছাড়া, অসংখ্য প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি করছে মঞ্চের নেতাকর্মীরা। শুরুতে ছাত্রলীগ আন্দোলন ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকলেও পরে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে সরে পড়ে। এরপর ইমরান ও বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতারা চাঁদাবাজির পথ প্রসারিত করে। এছাড়া শাহবাগ এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট হারে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। শাহবাগের গণ্ডি পেরিয়ে আজিজ সুপার মার্কেট এলাকাতেও চাঁদাবাজির চোখ প্রসারিত করেছেন ইমরান ও অন্যরা। এসব এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে ছাত্রলীগ। এনিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগ ও মঞ্চের নেতারা। আগামী ১লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে চারুকলার সামনে মঞ্চ বানিয়ে চাঁদাবাজির নতুন রূপরেখা আঁটেন ইমরান। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় ছাত্রলীগ। এ নিয়ে মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। 
কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে চাঁদাবাজির টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন মঞ্চের অন্যতম রূপকার ও ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত মল্লিক। ২০১৩ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি গড়ে উঠেছিল গণজাগরণ মঞ্চ। প্রথমদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ মঞ্চের দাবির সঙ্গে ঐকমত্য প্রকাশ করে। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিতর্কিত হতে থাকে গণজাগরণ মঞ্চ। বিশেষ করে মঞ্চের  মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে। চাঁদাবাজির ভাগের টাকা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের পকেটে গেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, বাম ঘরানার কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধেও রয়েছে একই অভিযোগ। গণজাগরণ মঞ্চের নেতাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজির বোমা ফাটান মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শহীদুল হক ওরফে ‘মামা’। মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘মামা বাহিনী’র প্রধান কমান্ডার ছিলেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক গত সেপ্টেম্বরে ডা. ইমরান এইচ সরকারসহ অন্যদের বিরুদ্ধে কোটিপতি হওয়ার সরাসরি অভিযোগ করেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ পর্দার অন্তরালে বিভিন্ন স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন থেকে টাকা নিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। এই কারণেই তারা আজ জনগণের মঞ্চ থেকে বিচ্ছিন্ন। ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত মল্লিক মানবজমিনকে বলেন, যে চেতনা নিয়ে মঞ্চ তৈরি হয়েছিল কিছুদিন পরই তা থেকে সরে আসে। শীর্ষ নেতাদের অস্বচ্ছতা ও জবাবদিহিই এ জন্য দায়ী। সাধারণ মানুষও মঞ্চ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। অস্বচ্ছতার প্রতিবাদ জানিয়ে এক পর্যায়ে আমরা নোট অব ডিসেন্ট দেই। তিনি বলেন, ১৫ থেকে ২০টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। সৈকত মল্লিক বলেন, কে বা কারা কোথা থেকে টাকা আনলো তার হিসাব ছিল না। ছিল না জবাবদিহি। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু অসংগতি দূর হয়নি। বর্তমানে যে ঝামেলা চলছে তার মূলে রয়েছে অস্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব। গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত চারুকলার ছাত্র শেখ আসমান বলেন, বিভিন্ন অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চের নামে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে। টাকার ভাগাভাগি নিয়ে নাকি আপনারা দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি আন্দোলন করেছি রাজাকারদের বিচারের জন্য। টাকা-পয়সার বিষয়ে আমি জানি না। মঞ্চের অন্যতম রূপকার বাপ্পাদিত্য বসু মানবজমিনকে বলেন, মঞ্চের নেতাকর্মীদের ভেতরে ভেতরে নানা ঝামেলা হচ্ছে। তা মিটমাট করতে কয়েকবার বৈঠক হয়েছে।  কোটি কোটি টাকা ভাগাভাগি বিষয়ে তিনি বলেন, টাকা-পয়সার বিষয়ে আমরা জানি না। সব নিয়ন্ত্রণ করছে ডা. ইমরান এইচ সরকার। আপনারা তার হাতে সব টাকা-পয়সার ভার কেন দিতে গেলেন- জানতে চাইলে বাপ্পাদিত্য বসু বলেন, সব বিষয় নিয়েই বৈঠক হচ্ছে। আমরা টাকা-পয়সার সঙ্গে জড়িত নই। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৩ই জুলাই একটি মামলায় কাদের  মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২রা আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তদন্ত শুরু হয় ওই বছরের ২১শে জুলাই। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন  শেষে গত বছরের ৫ই ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন ট্রাইব্যুনাল-২। কাদের মোল্লার রায়কে কেন্দ্র করে গত বছরের ৫ই ফেব্রুয়ারি ‘ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভেটিস্ট নেটওয়ার্ক’ নামে আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের কারণে এক প্রকার বাধ্য হয়ে সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিটি) আইন সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছিল। ২০১৩ সালের ১৭ই  ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) সংশোধন বিল, ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। আগের আইনে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের সুযোগ ছিল না। গতবছরের ১১ই ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।


সূত্র 

কোন মন্তব্য নেই :

‘মৌলবাদীরা নারী-স্বাধীনতাকে জ্যান্ত কবর দিতে চায়’-সেলিনা হোসেন

কোন মন্তব্য নেই
 বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন নারী-পুরুষের সামাজিক অবস্থান জেন্ডার নিয়ে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারীদের অবস্থান, বৈষম্য, নির্যাতন ইত্যাদি নিয়ে নানা সময় বিভিন্ন জায়গায় বলিষ্ঠভাবে কথা বলে আসছেন তিনি। সেইসাথে দেশে ও বিদেশি পত্রপত্রিকায় লিখেছেন নারীবিষয়ক গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধ-নিবন্ধ-কলাম। ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয় নারীবাদী লেখক সেলিনা হোসেনে সাথে। কথা বলেন পরিবর্তনের জ্যেষ্ঠ সহকারী বার্তা সম্পাদক অঞ্জন আচার্য
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন
পরিবর্তন : বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নারীরা অনেক দূর এগিয়েছে। ক্ষমতায়নের দিক থেকে নারীদের এ অগ্রযাত্রাকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
সেলিনা হোসেন : বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তো আছেই, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে ক্ষমতায় নারীরা অগ্রগামী ভূমিকার রাখছে। বাংলাদেশের সরকার প্রধান নারী, বিরোধী দলের নেতা নারী, একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রধান নারী, স্পিকার নারী এবং সম্প্রতি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন নারী। এর বাইরেও আমি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে নারীদের অবস্থান দেখতে পাই। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি পেশাতেও নারীরা অনেক এগিয়ে এসেছেন। তার চেয়েও বড় কথা, গার্মেন্টস শ্রমিকের মধ্যে নারীদের যে অবস্থান, দেশের অর্থনীতিতে তারা যে প্রবৃদ্ধি ঘটাচ্ছে এটাও বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, নারীদের এ অর্জনের পাশাপাশি নারীর প্রতি নির্যাতন-সহিংসতা, সমতার জায়গা তৈরির ক্ষেত্রে নারীদের অবরোধ করে রাখার পুরুষদের যে আচরণ প্রবল হয়ে আছে তা বলতেই হবে।
পরিবর্তন : তার পরেও তো আগের তুলনায় অনেকখানি বদলেছে বলা যায়...
সেলিনা হোসেন : আমরা পাঁচজন, দশজন, একশ জন, পাঁচশ জন নিয়ে তো বিচার করতে পারি না যে নারীর অবস্থান অনেক বড়ভাবে বদলে গেছে। ষোল কোটি মানুষের যদি অর্ধেকও নারী হয়, নারীর অবস্থান এখনো সেভাবে আসেনি। এখন পারিবারিক নির্যাতন একটা বড় পর্যায়ে আছে। যৌতুকের নামে এখনো বাল্যবিয়ে হচ্ছে। আর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, বিশেষভাবে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যে তারা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে- তা বলা যাবে না।
পারিবারিক নির্যাতন একটা বড় পর্যায়ে আছে। যৌতুকের নামে এখনো বাল্যবিয়ে হচ্ছে। আর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, বিশেষভাবে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যে তারা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে- তা বলা যাবে না।
পরিবর্তন : শিক্ষার ক্ষেত্রে...
সেলিনা হোসেন : নারীদের শিক্ষার যে হার তাও সন্তোষজনক নয়। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছেলেরা ৫০ শতাংশ, মেয়েরা ৫০ শতাংশ নয়।
পরিবর্তন : কেন এমনটা হচ্ছে বলে মনে হয়?
সেলিনা হোসেন : সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার তাহলো, স্বাধীনতার ৪৩ পরেও বেশ কয়েকটি মৌলবাদী-রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল আছে যারা নারীদের পিছিয়ে দিতে চায়। তারা নারী-নীতির কেবল বিরোধিতাই করে ক্ষান্ত হয় না, বরং নারী-বিরোধী ফতোয়া জারি করে নারীদের পেছনে ঠেলে দিতে সবসময় সচেষ্ট থাকে। তারা এখনও নারীদের আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছে। সেসময় নারীদের জ্যান্ত কবর দেওয়া হতো। এখন শারীরিকভাবে না হোক, মানসিকভাবে নারীদের স্বাধীনতাকে কবর দিতে চায় মৌলবাদী চক্র।
পরিবর্তন : তা কি সম্ভব, কী বলেন?
সেলিনা হোসেন : না, তা আর সম্ভব নয়। আমাদের নারীরা যে পর্যায়ে উঠে এসেছে সেখান থেকে তাদেরকে আর পিছিয়ে ফেলা সম্ভব হবে না। নানা বাধা-বিপত্তি পেড়িয়েই নারীরা এগিয়ে যাবে। নারীরাই তাদের নিজের অবস্থান নিজেরা গড়ে তুলবে।
পরিবর্তন : এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে কিছু বলুন...
সেলিনা হোসেন : আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের এবারের স্লোগান ‘অগ্রগতির মূল কথা নারী-পুরুষ সমতা’। এ প্রতিপাদ্যটিতে নারীদের সমতার কথা বলা হয়েছে। আমি মনে করি, নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অগ্রগতি চালিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগ আরো প্রয়োজন। তাছাড়া বড় ধরনের প্রয়োজন আইনের দিক থেকে নারীদের সুরক্ষা করার বিষয়টি।
শ্রদ্ধার সঙ্গে, ভালোবাসার সঙ্গে, নারীদের মূল্যায়ন করার পরিসর বাড়াতে হবে। পুরুষেরা যদি দমন-পীড়নের মানসিকতা থেকে না বেরিয়ে আসে তাহলে নারী-পুরুষের সমতা সম্ভব নয়
পরিবর্তন : নারীর অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে আরো কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন?
সেলিনা হোসেন : মানুষের অগ্রযাত্রায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে শিক্ষা। শিক্ষা ক্ষেত্রকেই আমি বেশি জোর দেবো। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে কন্যাশিশুদের স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া প্রকৃত অগ্রগতি কখনোই সম্ভব নয়।
পরিবর্তন : নারী-পুরুষের সমতা কীভাবে আসতে পারে?
সেলিনা হোসেন : সমতার জায়গা? সেক্ষেত্রে পুরুষদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শ্রদ্ধার সঙ্গে, ভালোবাসার সঙ্গে, নারীদের মূল্যায়ন করার পরিসর বাড়াতে হবে। পুরুষেরা যদি দমন-পীড়নের মানসিকতা থেকে না বেরিয়ে আসে তাহলে নারী-পুরুষের সমতা সম্ভব নয়। আমি মনে করি, নারীদের নিজের উন্নতি জন্য তো বটেই, দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য দূর করার কোনো বিকল্প নেই।
পরিবর্তন : এতক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য পরিবর্তনের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।
সেলিনা হোসেন : পরিবর্তনকে ধন্যবাদ, সেই সাথে তোমাকেও ধন্যবাদ।
আমাদের কথা হলঃ নারী উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় বের হবে, যথা তথায় নিজের কামভাব বিক্রয় করবে, সেটাই কি নারীর স্বাধীনতা? ইসলাম নারীকে যে সম্মান দিয়েছে অন্য কেউ এর ১০% ও দিতে পারে নাই। বাকিরা নারীর স্বাধীনতার নারীকে পণ্য বানিয়েছে। নারীর দেহ বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন করতেছে। সত্য কথা এটাই যে, নারীর অধিকারের কথা বলে পুরুষের দ্বায়িত্ব কর্তব্য নারীর কাঁধে চাপিয়ে দিয়েছে ইহুদী খৃষ্টান লাল কুত্তা ও এর দালালেরা। তাদের কথা মতো আমাদের বোনেরা এতোটাই নির্লজ্জ হয়েছে যে, একটি কুকুরের যে পরিমাণ লজ্জা শরম আছে, বর্তমান নারীদের তাঁর অর্ধেকেও নেই। তোদের মতো পতিতাদের কথা শুনে কোনো মেয়ে যদি নিজেকে স্বাধীনতার দোহায় দিয়ে অর্ধনগ্ন অথবা সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় চলা ফেরা করে তাতে আমাদের কোনো সমস্যা নাই। কারণ যার লজ্জা শরম নাই, তাঁর আছেই কি আর যাবেই কি।পশু পাখীর যদি লজ্জা থাকতো তা হলে তারা কি উলঙ্গ থাকতো?
পতিতা নারীবাদীদের মোল্লাদের নিয়ে একটু চুলকানি বেশি। কারণ মোল্লারা আছে বলেই বাংলাদেশে টা পশুভিক্তিক সমাজের পরিণতি এখনো হয়নি।
আহ! ফ্রিতে নারী দেহ ভোগ করার কি সুন্দর নারী স্বাধীনতা। 





আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

পেটে চর্বি, কী করবেন?

কোন মন্তব্য নেই
পেটে চর্বি, কী করি!
ছেলে-বুড়ো-মেয়ে সবাই পেটের চর্বি নিয়ে ভোগেন। এবার জেনে নিন পেটের চর্বি দূর করার কয়েকটি ঘরোয়া টিপস।
এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু চিপে নিন। তারপর একটু লবণ মিশিয়ে শরবত তৈরি করে প্রতিদিন সকালে খান। চর্বি দৌড়ে পালাবে।
সকালে দুই-তিন কোয়া কাঁচা রসুন খেতে পারেন। লেবুর শরবত পান করার পর পর রসুন খেয়ে নিলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। এ অভ্যাসটি আপনার শরীরের ওজন এবং পেটের চর্বি কমানোর প্রক্রিয়াটি দ্বিগুণ করবে। শরীরের রক্ত সঞ্চালনও হবে সাবলীল গতিতে।
সকালের নাশতায় শক্ত খাবারের পরিমাণ কমিয়ে ফলের জায়গা করে দিন। নিয়মিত সকালে এক বাটি ফল আপনার পেটের চর্বি কমাতে দারুণ সাহায্য করবে।
পেটের চর্বি থেকে মুক্তি চাইলে পানির সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে। কারণ পানি আপনার শরীরের পরিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।
দৈনন্দিন খাবার তালিকা থেকে সাদা চালের ভাত বাদ দিন। এর পরিবর্তে আটার তৈরি খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
নানা রকম মসলা না দিয়ে খাবারে দারুচিনি, আদা, কাঁচা মরিচ বেশি ব্যবহার করে রান্না করুন। এগুলো শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে রাখবে।
চিনি জাতীয় খাবার শরীরে চর্বি জমতে সাহায্য করে। তাই চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে। পেটের চর্বি থেকে রেহাই পেতে হলে চিনির সঙ্গে শত্রুতা ছাড়া উপায় নেই।
টিপসগুলো এখন থেকেই মেনে চলুন আর পেটের চর্বি দূর করে হয়ে উঠুন দারুণ স্লিম।
এসবিএ/এএ সৌজন্যঃ পরিবর্তন ডট কম। 

 বিষয় সমূহঃ >আল কোরআন/আরবী থেকে-বাংলা-ইংরেজী সহ<+>ইসলাম< +>আদর্শ নারী Adarsha Nari <+>নারী পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধান<+>নারীস্বাস্থ্য সমস্যা ও পরামর্শ<+>মাসিক মনোজগত<+>যৌন শিক্ষা/যৌন মিলন/জন্মনিয়ন্ত্রন<+>ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন।<+>কামসূত্র (সংক্ষিপ্ত)<+>দাম্পত্য জীবন/বিবাহ<+>কারবালার করুণ ইতিহাস<+>ডাঃজাকির নায়েকের লেকচার।<+>কম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট<+>সর্বাধিক পঠিত<+>সোনা মনিদের মজার মজার গল্পের ভাণ্ডার(আন লিমিটেড)<+>হাসির দুনিয়া -কৌতুক এবং জোকস(আন লিমিটেড)<+>এই পোস্ট গুলি কি আপনি পড়েছেন?<+>আমাদের রাজনিতি/মিডিয়া <



আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

অতিরিক্ত ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি

কোন মন্তব্য নেই
অতিরিক্ত ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি
ফল শরীরের জন্য উপকারী হলেও অতিমাত্রায় ফল খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। বরং খুব বেশি মাত্রায় ফল খেলে শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। কিছুদিন আগে জার্মানির অ্যাস্থমা অ্যাসোসিয়েশন এ তথ্যটি জানিয়েছে।
তাদের মতে, একজন সুস্থ মানুষ ২৫ গ্রামের বেশি ফ্রুকটোজ শরীরে নিতে পারে না। এ ফ্রুকটোজের মাত্রা যখন ২৫ গ্রাম ছাড়িয়ে যায় তখন শরীরে গ্যাস, কলেরাসহ নানা উপদ্রব দেখা দেয়।
তাছাড়া পেটে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। অনেক সময় শক্তি বাড়ানোর জন্য শিশুদের বেশি করে ফল খাওয়ানো হয়। কিন্তু খাওয়ানোর সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যেন ফল খাওয়ানোর মাত্রাটা অত্যধিক না হয়ে যায়।
চিকিৎসকরা বলছেন, পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিরা প্রতিদিন ৫০০ গ্রাম ফল খেতে পারেন। অপরদিকে শিশুদের ক্ষেত্রে সে পরিমাণটা হলো ২৫০ গ্রাম।
কানাডার বারলিংটনের ড. বেন কিন জানান, যারা ফল খাবারে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন তাদের ক্ষেত্রে ফল বরং বেশ উপকারী। বেশির ভাগ মারাত্মক চ্যালেঞ্জগুলো ছিল দাঁতের ক্ষয়, ওস্টেওপরোসিস, মাসেলের টিস্যু নষ্ট হয়ে যাওয়া, ওজন রক্ষায় অক্ষমতা, স্থায়ী ক্লান্তি, ত্বক সমস্যা, চুল কৃশে হয়ে যাওয়া, নখের দুর্বল হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত রুষ্টতা ও বিষণ্নতা ইত্যাদি।
কিন বলেন, “বেশি ফল খাওয়ার পরও যাদের গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ নাই এমন একজনেরও দেখা পাইনি দু বছরেরও অধিক গবেষণায়।
কিন জানান, অতিরিক্ত ফল খাওয়ায় যে সমস্যাগুলো দেখা দেয়, তার মধ্যে হরমোন জনিত সমস্যা অন্যতম। হরমোনের সমস্যার কারণে রক্তের চিনির নিয়ন্ত্রণে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়।
শাতৈ/যাকা সূত্রঃ পরিবর্তন ডট কম 

 বিষয় সমূহঃ >আল কোরআন/আরবী থেকে-বাংলা-ইংরেজী সহ<+>ইসলাম< +>আদর্শ নারী Adarsha Nari <+>নারী পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধান<+>নারীস্বাস্থ্য সমস্যা ও পরামর্শ<+>মাসিক মনোজগত<+>যৌন শিক্ষা/যৌন মিলন/জন্মনিয়ন্ত্রন<+>ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন।<+>কামসূত্র (সংক্ষিপ্ত)<+>দাম্পত্য জীবন/বিবাহ<+>কারবালার করুণ ইতিহাস<+>ডাঃজাকির নায়েকের লেকচার।<+>কম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট<+>সর্বাধিক পঠিত<+>সোনা মনিদের মজার মজার গল্পের ভাণ্ডার(আন লিমিটেড)<+>হাসির দুনিয়া -কৌতুক এবং জোকস(আন লিমিটেড)<+>এই পোস্ট গুলি কি আপনি পড়েছেন?<+>আমাদের রাজনিতি/মিডিয়া <



আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

ক্যানসার কোষ ধ্বংস করবে ভাইরাস

কোন মন্তব্য নেই
ক্যানসার কোষ ধ্বংস করবে ভাইরাস
এবার ক্যানসারে আক্রান্ত টিউমার সেল বা ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করবে ভাইরাস। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটি কতটা কার্যকর তা নিয়েই কাজ করছেন জার্মান বিজ্ঞানীরা।
ভাইরাসের মাধ্যমে ক্যানসারের কোষ ধংসের এ প্রক্রিয়াকে ‘অনকোলাইসিস' বলেছেন বিজ্ঞানীরা। এ প্রক্রিয়ায় ভাইরাসগুলো ক্যানসার কোষের ভেতর প্রবেশ করে নিজেদের পাল্টা বংশবৃদ্ধি করতে থাকে এবং ওসব কোষকে ধ্বংস করে দেয়৷
জার্মানির ট্যুবিঙ্গেন ইউনিভার্সিটি মেডিকেল ক্লিনিকের উলরিশ লাওয়ের নেতৃত্বে গবেষণাটি পরিচালিত হচ্ছে।
তবে এধরনের গবেষণা নতুন নয়। আগেও হয়েছে। উলরিশ লাওয়ের জানিয়েছেন, অন্তত ১০০ বছর ধরে এই প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা।
ভাইরাসের এ ধরনের প্রক্রিয়ায় পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর দেহে ভাইরাসের প্রবল সংক্রমণ হয়, তাদের ক্যানসার কোষগুলোর বিস্তার বন্ধ হয়ে যায় এবং টিউমার ছোট হতে থাকে৷ এমনকি কয়েকজন রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ক্যানসার কোষ পুরোই নির্মূল হয়ে গেছে।
এই প্রক্রিয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ট্যুবিঙ্গেন ক্লিনিক এবং পল এরলিচ ইনস্টিটিউট একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে৷ তারা একটি ‘অনকোলাইটিস্ট মিজেলস ভ্যাকসিন' আবিষ্কারের চেষ্টা করছে৷ জার্মান শিক্ষা এবং গবেষণা মন্ত্রণালয় এই প্রকল্পের অর্থায়ন করছে৷
লাওয়ের জানান, তারাই প্রথমবারের মতো ভাইরাসকে রূপান্তরের চেষ্টা করেছেন যেন এটি টিউমার কোষগুলোকে আক্রমণ করতে সক্ষম হয়। অনকোলাইটিক ভাইরাসগুলো সেইভাবে রূপান্তর করা হবে যাতে তার ক্যানসারের কোষগুলোকে আক্রমণ করে এবং তাদের মেরে ফেলে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জীনগত প্রকৌশলের মাধ্যমে ভাইরাসকে রূপান্তর করা সম্ভব বলে জানান লাওয়ের৷
বিজ্ঞানীরা বেশিরভাগ ভাইরাসের জীনগত গঠন পর্যবেক্ষণ করে রূপান্তরের চেষ্টা করছেন৷ ভাইরাসটি রূপান্তরের পর রোগীর দেহে প্রবেশ করিয়ে এরপর রক্ত পরীক্ষা করা হয়৷ তখন দেখা হয়, ভাইরাসটি আসলেই রোগীর দেহে সংক্রমিত হয়েছে কিনা, আর সেটা কতদিন রোগীর দেহে অবস্থান করছে৷
লাওয়ের জানান, রূপান্তরের আসল কাজটা হলো ভাইরাসগুলো কত দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে এবং ক্যানসার কোষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে৷ তবে যেসব ক্যানসার রোগী ছোটবেলায় মিসেল ভ্যাকসিন বা বসন্তের টিকা নিয়ে থাকেন, তাদের এক ধরনের সমস্যা দেখা দেয় বলে জানালেন বিজ্ঞানী৷
তিনি বলেন, যদি ভ্যাকসিন দেয়া থাকে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সম্ভাবনা থাকে, ভাইরাস দেহে প্রবেশ করা মাত্র ক্যানসার কোষকে আক্রমণের আগেই তাকে আটকে দেয় ভ্যাকসিন৷
যেসব রোগীকে অনকোলাইটিক চিকিৎসা দেয়া হবে, খুবই স্বাভাবিক যে তাঁরা রেডিয়েশন থেরাপি এবং কেমোথেরাপির মধ্য দিয়ে যাবেন৷ তাই বিজ্ঞানীরা এটাও পর্যবেক্ষণ করছেন ভাইরাস দেহে প্রবেশ করালে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে কিনা৷
লাওয়ের বললেন, যেহেতু তারা প্রকল্পের একেবারে প্রথম ধাপে রয়েছেন, তাই এখনোই এ সম্পর্কে বলাটা কঠিন৷
তবে ক্যানসার চিকিৎসার পরবর্তীতে ভাইরাসটি রোগীর দেহে থেকে যায় কিনা, বা যেসব চিকিৎসক এই প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট বা পরিবারের সদস্যদের সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে কিনা, সেসবও পর্যবেক্ষণ করছেন তাঁরা৷
ট্যুবিঙ্গেন ক্লিনিকের অ্যাবডোমিনাল ক্যানসার রোগীদের দেহে ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷
সেখানে রোগীদের তলপেটে সরাসরি ভাইরাস ভ্যাকসিন প্রবেশ করানো হয়, যাতে ভাইরাসটি খুব দ্রুত ক্যানসার কোষের সংস্পর্শে আসে৷ তবে লাওয়ের বেশ আশাবাদী৷ তাঁর ধারণা, ভবিষ্যতে ‘অনকোলাইসিস' ক্যানসারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে৷ সুত্রঃ পরিবর্তন ডট কম 

 বিষয় সমূহঃ >আল কোরআন/আরবী থেকে-বাংলা-ইংরেজী সহ<+>ইসলাম< +>আদর্শ নারী Adarsha Nari <+>নারী পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধান<+>নারীস্বাস্থ্য সমস্যা ও পরামর্শ<+>মাসিক মনোজগত<+>যৌন শিক্ষা/যৌন মিলন/জন্মনিয়ন্ত্রন<+>ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন।<+>কামসূত্র (সংক্ষিপ্ত)<+>দাম্পত্য জীবন/বিবাহ<+>কারবালার করুণ ইতিহাস<+>ডাঃজাকির নায়েকের লেকচার।<+>কম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট<+>সর্বাধিক পঠিত<+>সোনা মনিদের মজার মজার গল্পের ভাণ্ডার(আন লিমিটেড)<+>হাসির দুনিয়া -কৌতুক এবং জোকস(আন লিমিটেড)<+>এই পোস্ট গুলি কি আপনি পড়েছেন?<+>আমাদের রাজনিতি/মিডিয়া <



আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

মুখে দুর্গন্ধ এড়াতে...

কোন মন্তব্য নেই
মুখে দুর্গন্ধ এড়াতে...
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ করা হয়, তারপরও মুখে দুর্গন্ধ থেকে যেতেই পারে। নিজের মুখের গন্ধ নিজে টের না পেলেও আশেপাশের মানুষ কিন্তু ঠিকই টের পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু-বান্ধব কিংবা অফিসের সহকর্মী, চক্ষুলজ্জায় কিছু না বললেও অগোচরে হয়তো আপনার মুণ্ডু উদ্ধার করে ছাড়ে।
এই মুখের দুর্গন্ধের কারণে আপনার ব্যক্তিত্বই ম্লান হয়ে যাবে। চাইলেই কিন্তু আপনি খুব সহজে আপনার মুখের এই দুর্গন্ধ দূর করতে পারেন।
নিয়মিত মুখ, দাঁত, মাড়ি ও জিভের যত্ন না নেওয়াই হচ্ছে মুখে দুর্গন্ধের প্রধান কারণ। জিভের ওপর বাসা বাঁধা ব্যাকটেরিয়াগুলোই দুর্গন্ধযুক্ত নিঃশ্বাসের সূচনা করে। এছাড়া নিয়মিত ওষুধ সেবনের কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
ব্যাকটেরিয়াযুক্ত জিভ দেখলেই বোঝা যায়। জিভ রুক্ষ ও অসমান হলেই বুঝতে হবে জিভে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন ভালোমতো জিভ পরিষ্কার করতে হবে। জিভে তিন রকমের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হয়। তাই দাঁতের পাশাপাশি জিভও ভালোমতো পরিষ্কার করতে হবে।
দাঁতের ফাঁকে প্রতিমুহূর্তে খাবার কণা জমে। সেগুলি জমে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে নাস্তার পর দাঁত ব্রাশ করুন। সবচেয়ে ভালো হয় কিছু খাওয়ার পরই যদি কুলি করে মুখ ধুয়ে নিন।

বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস করান। যেন ভাত খাওয়ার মতোই দাঁত ব্রাশের অভ্যাস হয়ে যায়।
সাময়িকভাবে মুখের গন্ধ দূর করতে চুইংগাম চিবাতে পারেন। চুইংগাম মুখে লালা উৎপাদন করে দুর্গন্ধ দূর করে।
তাজা ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাজা ফল দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখে। এছাড়া দিনে দশ গ্লাস পানি মুখের গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে।
এরপরও মুখের গন্ধ না গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন। সাধারণত মুখের দুর্গন্ধের ক্ষেত্রে কেউ কাউকে বলে দেয় না। তাই নিজে সচেতন হোন।
এসবিএ/রর সূত্রঃ পরিবর্তন ডট কম 

 বিষয় সমূহঃ >আল কোরআন/আরবী থেকে-বাংলা-ইংরেজী সহ<+>ইসলাম< +>আদর্শ নারী Adarsha Nari <+>নারী পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধান<+>নারীস্বাস্থ্য সমস্যা ও পরামর্শ<+>মাসিক মনোজগত<+>যৌন শিক্ষা/যৌন মিলন/জন্মনিয়ন্ত্রন<+>ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন।<+>কামসূত্র (সংক্ষিপ্ত)<+>দাম্পত্য জীবন/বিবাহ<+>কারবালার করুণ ইতিহাস<+>ডাঃজাকির নায়েকের লেকচার।<+>কম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট<+>সর্বাধিক পঠিত<+>সোনা মনিদের মজার মজার গল্পের ভাণ্ডার(আন লিমিটেড)<+>হাসির দুনিয়া -কৌতুক এবং জোকস(আন লিমিটেড)<+>এই পোস্ট গুলি কি আপনি পড়েছেন?<+>আমাদের রাজনিতি/মিডিয়া <



আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়

কোন মন্তব্য নেই
কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়
 কম-বেশি সবারই কোনো না কোনো সময় কোমরে ব্যাথার সমস্যায় ভূগতে হয়। এটি নিরাময়ের জন্য ব্যায়াম যেমন জরুরি, তেমনি বেশকিছু সতর্কতা অবলম্বনও প্রয়োজন। কোমর ব্যাথা সারানোর ১০টি উপায়-
  • মাটি থেকে যদি কিছু তুলতে হয় তবে নীচু হয়ে তোলার চাইতে হাঁটু গেড়ে বসুন তারপর তুলুন, তাতে কোমড়ের উপর চাপ কম পড়বে ফলে ব্যাথা অনুভব হবে না৷
  • ঘাড়ে ভারী কিছু তুলবেন না, এতে কোমড়ে ব্যথা বেশি অনুভূত হয়৷ যদি পিঠে ভারী কিছু বইতে হয়, তবে সামনের দিকে ঝুঁকে হাঁটুন৷
  • ৩০ মিনিটের বেশি একনাগারে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকবেন না৷ দীর্ঘ সময় যদি হাঁটতে হয়, তবে হিল জুতা এড়িয়ে চলুন৷ অনেকক্ষণ যদি একনাগারে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ,তবে কিছুক্ষণ পর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিন৷ মাঝে সামান্য বসে বিশ্রাম নিয়ে নিন৷
  • গাড়ি চালানোর সময় স্টিয়ারিং হুইল থেকে দূরে না বসে সোজা হয়ে বসুন৷
  • সামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করবেন না৷ বসে কাজ করার সময় কোমরে নরম কিছু দিয়ে সাপোর্ট দিয়ে রাখুন৷ এমন ভাবে বসুন যাতে হাঁটু ও উরূ মাটির সমান্তরালে থাকে৷ নরম গদি বা স্প্রিংযুক্ত চেয়ার পরিহার করুন৷
  • শোয়ার সময় লক্ষ্য রাখবেন যাতে উপুর হয়ে না শুতে হয়৷ ফোম ও স্প্রিংয়ের গদি যুক্ত বিছানায় শোবেননা৷ খেয়াল রাখবেন না বিছানা শক্ত ও চওড়া হয় এবং তোষক পাতলা ও সমান থাকে৷
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, স্বাস্থকর ডায়েটচার্ট মেনে খাবার খান৷
  • নিয়মিত শরীরচর্চা করুন৷ নিয়ম করে রোজ দুবেলা হাঁটুন৷
  • ঘরের বিভিন্ন কাজ করার সময় মেরুদন্ত সাধারন অবস্থায় এবং কোমর সোজা রাখুন৷
  • যারা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন, তারা বিছানা থেকে ওঠার সময় সতর্ক হোন। চিৎ হয়ে শুয়ে প্রথমে হাঁটু ভাঁজ করুন। এবার ধীরে ধীরে এক পাশে কাত হোন। পা দু’টি বিছানা থেকে ঝুলিয়ে দিন, কাত হওয়া দিকে কনুই ও অপর হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে ওঠে। সূত্রঃ পরিবর্তন ডট কম 

বিষয় সমূহঃ >আল কোরআন/আরবী থেকে-বাংলা-ইংরেজী সহ<+>ইসলাম< +>আদর্শ নারী Adarsha Nari <+>নারী পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধান<+>নারীস্বাস্থ্য সমস্যা ও পরামর্শ<+>মাসিক মনোজগত<+>যৌন শিক্ষা/যৌন মিলন/জন্মনিয়ন্ত্রন<+>ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন।<+>কামসূত্র (সংক্ষিপ্ত)<+>দাম্পত্য জীবন/বিবাহ<+>কারবালার করুণ ইতিহাস<+>ডাঃজাকির নায়েকের লেকচার।<+>কম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট<+>সর্বাধিক পঠিত<+>সোনা মনিদের মজার মজার গল্পের ভাণ্ডার(আন লিমিটেড)<+>হাসির দুনিয়া -কৌতুক এবং জোকস(আন লিমিটেড)<+>এই পোস্ট গুলি কি আপনি পড়েছেন?<+>আমাদের রাজনিতি/মিডিয়া <



আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

ডাক্তারের বিকল্প পানি!

কোন মন্তব্য নেই
ডাক্তারের বিকল্প পানি!
ছোটোবেলা থেকে জেনে এসেছেন পানির অপর নাম জীবন। এই ‘জীবনে’র মানে অনেকের কাছে প্রচণ্ড তৃষ্ণায় এক চুমুক পানি। কিন্তু পানির আছে আরও অনেক গুন। অবাক হওয়ার মতো কয়েকটি কাজ করে পানি।
জেনে নিন পানির কয়েকটি বিস্ময়কর গুণঃ
যারা স্থূলতার সমস্যায় ভোগছেন তাদের জন্য উত্তম ঔষধ পানি। পানি যে কোনো খাবার হজম করতে সহায়তা করে। পানি বেশি খেলে ক্ষুধা কমে যায় বলে ভারি খাবার খাওয়াও হবে কম। যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। আর ঠাণ্ডা পানি শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয় বলে আবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসতে শরীরের প্রচুর ক্যালরি ক্ষয় হয়। ওজন কমাতে যা দারুণ ভূমিকা রাখে।
পানি না পেলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। পানি কমে গেলে শরীরে রক্তের পরিমাণও কমে যায়। তাই শরীরে রক্তের পরিমাণ ঠিক রাখতে বেশি বেশি পানি খান।
মস্তিস্কে পানির অভাব হলে তার স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে ভীষণ চাপ পড়ে। মানসিক দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। তাই যে কোনো পরিস্থিতিতেই পানি বেশি করে পান করুন। মানসিক চাপ কমে আসবে।
পানি ঠিকমতো না পেলে শরীরের মাংসপেশি কাজ করে না। তাই ব্যায়ামবীর বা মাংসপেশী সুগঠিত করতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
পানি ত্বকের পানিশূন্যতা কমায়। ফলে ত্বকের খসখসে ভাব, বয়সের বলি রেখা কমে আসে। পানির কারণে ত্বকের রং উজ্জ্বল হয়। ফলে আপনাকে দেখা যাবে সজীব, প্রাণবন্ত।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে পানি কার্যকর ভূমিকা রাখে। প্রচুর পানি খেলে খাবারের বর্জ্য শরীরের পানির সঙ্গে মিশে মলের সাথে বেরিয়ে যায়। ফলে শরীর থাকে ঝরঝরে।
পানি কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে। পরিমাণ মতো পানি কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। পানি কম খেলে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বেশি বেশি পানি পান করুন।

বিষয় সমূহঃ >আল কোরআন/আরবী থেকে-বাংলা-ইংরেজী সহ<+>ইসলাম< +>আদর্শ নারী Adarsha Nari <+>নারী পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধান<+>নারীস্বাস্থ্য সমস্যা ও পরামর্শ<+>মাসিক মনোজগত<+>যৌন শিক্ষা/যৌন মিলন/জন্মনিয়ন্ত্রন<+>ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন।<+>কামসূত্র (সংক্ষিপ্ত)<+>দাম্পত্য জীবন/বিবাহ<+>কারবালার করুণ ইতিহাস<+>ডাঃজাকির নায়েকের লেকচার।<+>কম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট<+>সর্বাধিক পঠিত<+>সোনা মনিদের মজার মজার গল্পের ভাণ্ডার(আন লিমিটেড)<+>হাসির দুনিয়া -কৌতুক এবং জোকস(আন লিমিটেড)<+>এই পোস্ট গুলি কি আপনি পড়েছেন?<+>আমাদের রাজনিতি/মিডিয়া <



আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :