ফরিদগঞ্জে ধর্ষণের মূল্য দেড় লাখ

কোন মন্তব্য নেই

ফরিদগঞ্জে ধর্ষিত এক কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে দেড় লাখ টাকা। ধর্ষিতাকে দেয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এক লাখ টাকা ভাগাভাগি করেছে দালাল ও পুলিশ। দিনমজুর কন্যার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে খোদ থানায় বসেই এ কাজটি করেছে এলাকার প্রভাবশালীরা। ঘটনা ঘটেছে শনিবার মধ্যরাতে। ধর্ষক উপজেলার চরপাতা গ্রামের মোস্তফার ছেলে জসিম (২৫)। তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এর সূত্র ধরে গত শুক্রবার রাত ১১টায় জসিম কিশোরীকে ফোনে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী রাস্তায় আসতে বলে। কথামতো কিশোরী রাস্তায় আসে। তখন জসিম এক বন্ধুর সহযোগিতায় তাকে জোরপূর্বক একটি মোটরসাইকেলে তোলে। এরপর তাকে নিয়ে যায় জসীমের বোন রায়পুরের চরপাতা গ্রামের সেলিনার নির্জন বসতঘরে।  সেখানে কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণ করে জসিম। এরপর সূর্যোদয়ের পূর্বে জসিম কিশোরীকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে রায়পুর থেকে ফরিদগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথে ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়ায় টহল পুলিশ গাড়িটি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কিশোরী পুলিশকে ঘটনা খুলে বলে। এতে, পুলিশ তাদের দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। দুপুরে খবর পেয়ে জসিমের পক্ষে প্রভাবশালী লোকজন জসিমকে ছাড়িয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করে। সারা দিন দরকষাকষি শেষে শনিবার রাত ১২টায় কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ হয় দেড় লাখ টাকা। তবে, কিশোরীর পিতার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়ে কিশোরীকে বের করে দেয়া হয় থানা থেকে। আর দেড় লাখ টাকা ভাগাভাগি করে নেয় দালাল ও পুলিশ। এদিকে, কিশোরীর পিতা ৫০ হাজার টাকা বুঝে পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, জসিমের লোকজন জসিমের বাড়িতে বিয়ে দেয়া আমার বড় মেয়েকে তালাকের হুমকি দিয়ে আমাকে মামলা করতে দেয়নি। ওদিকে, ঘটনা সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার এসআই সুধাংশু জানান, কিশোরীর পিতা মামলা করতে রাজি হননি তাই দু’জনকে তাদের গার্জিয়ানের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ধর্ষিতার মেডিকেল টেস্টসহ মামলার প্রক্রিয়া কেন করা হলো না। এমনি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা হয়নি তাই। তবে, কোনও টাকা পয়সা লেনদেনের কথা তিনি স্বীকার করেননি। মানব জমিন

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :