নারীর যোনির কর্মতৎপরতা-যোনির ছবি সহ

কোন মন্তব্য নেই

যোনির ছবি
ছবিঃ নারীর যোনির। ছবিঃ আমার বাংলা পোস্ট থেকে সংগ্রহ

নারীর জননেন্দ্রিয়ের বহিঃস্থ অংশগুলোর নাম হলো ভগাঙ্কুর বা ক্লাইটোরিস এবং ল্যাবিয়া অর্থাৎ ভগের ওষ্ঠ যা একত্র করলে নাম হয় ভালভা বা স্ত্রী যোনিদ্বারনারীর যোনির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ হলো দুটি ওষ্ঠ বা ল্যাবিয়া। বহিঃস্থ এবং বৃহত্তর ল্যাবিয়া মেজেরো ওষ্ঠটির মধ্যে আছে স্থূলচর্মের আবরণ যা অন্যান্য অংশকে সুরক্ষিত করে রাখে। ওষ্ঠ দুটি ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে এসে পেরিনিয়ামের যোনিমুখ এবং পায়ুর মধ্যবর্তী ত্বক মূলে গিয়ে মিশে যায়। উপরে বাইরের দিকে বহিঃস্থ ওষ্ঠটি মিশে যায় চর্বিযুক্ত কলার প্যাডের সঙ্গে যেখানে যৌনকেশ এবং ত্বক থাকে। এই প্যাডটি নরম মাংসল অংশ আবৃত করে রাখে পিউবিক হাড়ের সঙ্গে, যাকে চলিত কথায় বলা হয় মাউন্টঅব ভিনাস। এ ওষ্ঠ দুটি মূত্রনালির মুখকেও সুরক্ষিত করে। ক্ষুদ্রোষ্ঠের মধ্যবর্তী এলাকাকে বলা হয় ভেস্টিবিউল। যৌনক্রিয়ার আগে সাধারণত এ অংশটি ঢাকা থাকে সতীচ্ছদ দ্বারা। এর আকার, আকৃতি এবং দৃঢ়তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের হয়। ভেস্টিবিউল চারপাশে নখের মতো ত্বক থাকে অনেক নারীর, যেগুলো হলো সতীচ্ছদের ছিন্ন অংশ। পেছনের দিকে ক্ষুদ্রোষ্ঠটি যুক্ত হয়ে একটা পাতলা আবরণের সৃষ্টি করে যা ছিন্ন হয় প্রথম সন্তানের জন্মের সময়। নারীর ভগাঙ্কুর লিঙ্গের সমধর্মী প্রায়, এমনকি এর ভগোষ্ঠের আচ্ছাদন পর্যন্ত আছে। এটা মুখ্যত নারী যৌনাঙ্গের সবচেয়ে স্পর্শকাতর ও যৌন উত্তেজক অঙ্গ। উত্তেজিত হলে এর স্পঞ্জের মতো জালিকা বা কলাগুলোরক্তে পরিপূর্ণ হয়ে খাড়া হয়েওঠে। উত্থিত ভগাঙ্কুরে পুরুষাঙ্গ কিংবা হাতের আঙুল বা ক্রমাগত স্পর্শজনিত ঘর্ষণের ফলে নারী সহজে ও দ্রুততর যৌন উত্তেজনার চরমে উঠে যায় এবং অনেক সময় নারীর রাগমোচনও হয়ে যায়। যোনির অন্যান্য অংশও যৌন উত্তেজনায় দারুণ ভাবে সাড়া দেয়। ভগোষ্ঠের মধ্যে উত্থিত হতে পারে এমন জালিকা থাকে, যা দেহমিলনের সময় বড় হয়ে যায় এবং বার্থোলিন গ্রন্থি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর নাম হলো বার্থোলিনগ্রন্থি। নারী যৌন উত্তেজিত হলেএ বার্থোলিন গ্রন্থি থেকে কামরসনির্গত হয়, যার ফলে যোনিপথ পিচ্ছিল হয়ে গিয়ে লিঙ্গকে যোনি অভ্যন্তরে অবাধে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। এ গ্রন্থিগুলো ছোলার আকারের মতো এবং সহজেই এখানে যৌনরোগ সংক্রমিত হতে পারে।
পিটুইটারি প্রথমে তৈরি করে এক ধরনের হরমোন, যাকে বলা হয় ফলিকলস্টিমুলেটিং হরমোন বা এফএসএইচ যা রক্তস্রোতের মধ্য দিয়ে ডিম্বাশয়ে প্রবেশ করে।। এ হরমোনএফএসএইচ সাহায্য করে ফলিকল এবং ডিম্বাণুকে বিকশিত করার ব্যাপারে, সেই সঙ্গে ইস্ট্রোজেনহরমোনের প্রভাবে জরায়ুর আস্তরণকে মোটা হতে সাহায্য করে যাতে তা সমৃদ্ধ ডিম্বাণুকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত থাকে।
ইস্ট্রোজেন দেহের প্রোটিনকে গড়ে তুলতে এবং তরল বস্তুর প্রবাহকে ধরে রাখার ব্যাপারেও সাহায্য করে। ফলিকল অর্থাৎ ক্ষুদ্র থলিটি সম্পূর্ণ পরিণত হয়ে ওঠার পর ফেটে যায়, তখন অপরএকটি পিটুইটারি হরমোন লুটেনাইজিং হরমোন বা এলএইচ তার কাজ করা শুরু করে এবং খালি ক্ষুদ্র থলির মধ্যে কারপাস লিওটিয়ামের বিকাশ ঘটায়। এই পদার্থটির কাজ হলো গর্ভ সঞ্চার করা, পক্ষান্তরে এ পদার্থ তার নিজস্ব হরমোন, প্রজেস্টেরন তৈরিএবং নিঃসরণ করে, যদি ডিম্বাণু পনেরো দিনের মধ্যে উর্বর না হয়ে ওঠে তবে করপাস লিউটিয়াম অংশটি সংকুচিত হয়ে যায় এবং প্রজেস্টেরোন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এবং জরায়ুর আস্তরণ ঝরে পড়ে মাসিক রক্তস্রাবরূপে। তখন আবার ফলিকল স্টিমুলিটিং হরমোন উৎপাদন আরম্ভ হয় এবং চক্রের পুনরাবৃত্তি হতে শুরু করে। অবশ্য যদি ডিম্বাণুটিতে প্রাণ সঞ্চারিত হয়ে যায় তবে ঐ করপাসলিউটিয়াম অংশটি কাজ করতে শুরু করে, যতক্ষণ না পর্যন্ত গর্ভফুল তৈরি হয় এবং রক্তস্রাব বন্ধ হয়।
কৃতজ্ঞতাঃ অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ
আপনি আরো পড়তে পারেন........
০১. সহবাসের পর মেয়েদের যৌনাঙ্গ থেকে পুরূষের বীর্য পরে যায় কেন?
০২. বীর্য কি পাক নাকি নাপাক?
০৩. ভাবী সাথে সেক্স করা কি ঠিক?
০৪. গর্ভবতী নারীর সাথে সহবাস করার ১০ টি আসন (ছবি সহ)
০৫. প্রথম সেক্সে সমস্যা ও সমাধান
০৬. নারীর যৌনাঙ্গ

০৭. সেক্সের আনন্দ বৃদ্ধি করার উপায়
০৮. যেভাবে স্বামীর মন জয় করবেন?
০৯. নিরাপদ যৌনতা
১০. নারীর চরম পুলক

কোন মন্তব্য নেই :