দি আর্ট অব সেক্সুয়াল এক্সটাসি-যৌন আনন্দ বৃদ্ধি করার উপায়!

1 টি মন্তব্য
katrina sax video, india sex video

 

অধ্যাপক ডাঃ এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ

এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি
আনন্দ বৃদ্ধি ও আন্তরিকতা গভীরতর করার পদ্ধতি
মূল রচনাঃ মার্গো আনন্দ
যৌন পুলকের কলাকৌশল
পাশ্চাত্যের প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য পবিত্র যৌন মার্গো
* প্রশ্নঃ স্বামী স্ত্রীর বাম পাশে শুইলে আয়ু কমে যায় কথাটা কি ঠিক?
* সোমাজেক্ট কি? 
* পুরুষের বীর্য মেয়েদের যৌনিতে ঢোকার কতদিন পর একটি মহিলা গর্ভবতী হয়?
 

পূর্ব প্রকাশের  পর..
নির্দেশনী
এই গ্রনেহর অন্য অভ্যাস সমূহের সাথে যেমন আছে, তেমনি এই অভ্যাসটিকেও সম্পূর্ণ ভাবে আয়ত্তে আনার জন্য কয়েকবার রিপিট করার প্রয়োজন আছে। কিছু সময়ের জন্য চিন্তা করুন, কেমন করে এই পরিচ্ছেদে বর্ণিত সাধারণ অভ্যাসসমূহ আপনাকে প্রভাবিত করেছে। আপনি সেটাকে উপভোগ করতে পেরেছেন না এর প্রয়োগে কিছুটা পরিবর্তন আপনার ভাল লাগতো। ধরুন, আপনার অন্তরের অভিবাদনটি একটি চেয়ারে বসে করতে  পারতেন অথবা অন্য একটি বাক্‌ধারা প্রয়োগ করে সম্ভাষণ দিতে পারতেন। খেলা করুন, প্রয়োগ করুন এবং সৃষ্টি করুন। কিন্তু নিশ্চিত হোন যে, আপনি প্রশিক্ষণের পর্যায়ক্রম সঠিক মেনে চলেছেন।
সচেতন শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে আপনি শিখলেন, কি করে নিজের মধ্যে ডুব দিতে হয়। আপনার ভেতরের প্রেমিক/ প্রেমিকাকে জাগিয়ে তোলার মধ্য দিয়ে আপনি নিজেকে পৃষ্ঠপোষকতা করার প্রতিশ্‌্রুতি দিয়েছেন এবং অন্তরকে অভিবাদন প্রদানের মাধ্যমে আপনার সঙ্গী/সঙ্গিনীর ভেতরের প্রেমিক/প্রেমিকার উপস্থিতিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই মৌলিক ও প্রাথমিক অনুশীলনীতে আপনি উন্নত যৌনতার কিছু অত্যাবশ্যকীয় নিয়ম-নীতি শিখতে শুরু করেছেন। প্রথমে আপনি জানলেন যে, যৌন আনন্দের উৎস আপনার ভেতরেই রয়েছে এবং তা একজন কল্পিত যৌন সঙ্গী/সঙ্গিনীর উপর নির্ভর করে না। আপনি আরও শিখেছেন যে, পূর্ণ শ্বাস প্রশ্বাস আপনার উদ্যমশীলতাকে শরীরের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থির করে শারীরিক অনুভূতিগুলোকে বিস্তৃত করে দেয়। চূড়ান্তভাবে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, নিজেকে ভালবাসার উপযুক্ত শিথিল, বন্ধনহীন, আমোদপ্রিয় মানুষ হিসেবে দেখতে শিখিয়ে, আপনাকে যৌনতার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ করে রাখা  সেই নেতিবাচক চিন্তা থেকে মুক্ত করে দেয়। পরবর্তী পরিচ্ছেদে আপনি শিখতে পারবেন কিভাবে একটা পবিত্র স্থান, একটি মন্দির তৈরি করতে হয়, যা আপনার উন্নত যৌনতায় সঠিক শর্তগুলোর বিকাশ ঘটাতে সহযোগিতা করে। আপনি আরও আবিষকার করবেন যে, কি করে আপনার ভয়ভীতি, প্রতিবন্ধকতা, আজগবি কল্পনা এবং আপনার ভালবাসার জীবনে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতাসহ নিয়ে  খোলাখুলি আলাপ করতে পারেন, যাতে করে আপনাদের একে অন্যের উপর বিশ্বাস বাড়াতে সক্ষম হন।
তৃতীয় অধ্যায়
বিশ্বাসের আরম্ভ
উন্নত যৌনতায় আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে একটা গভীর যোগাযোগ রক্ষার প্রয়োজন আছে। আপনারা যখন একে অন্যের সাথে একটা গভীর অন্তরের টান অনুভব করেন, তখন যোগাযোগটা কথোপকথনে পর্যবসিত হয় এবং প্রেম আপনাদের আনন্দের অভিজ্ঞতার দ্বারে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়। তথাপি এই বন্ধুত্যের গভীরতায় পৌঁছার প্রচেষ্টায় সংপ্রশ্ন হলো, এটা প্রায়ই ভয়ের উদ্রেক করে। অনেকেই এই ভয়কে তুচ্ছজ্ঞান করে এর উল্লেখ করেন না কখনো। অন্যেরা এই বিষয়ে কথা বলে অনেক সময় নষ্ট করে, ভাষায় কথার আদান প্রদান করে, চিন্তা ও চেতনায় ব্যক্ত করে, কারণ তারা খোলা হওয়ার এবং আবেগ দ্বারা অরক্ষিত হওয়ার ঝুঁকি নিতে চায় না। তথাপি ভালবাসা এমন একটা প্রারম্ভিক অভিজ্ঞতা, যাতে এই রূপ ভয় সঞ্চারিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়, আমরা যতই বুদ্ধি দ্বারা সেটাকে দূর করতে  চাই না কেন।  উদাহরণস্বরূপঃ আমরা যখন, যখন-তখন ভালবাসতে  ইচ্ছে করি তখন সেই প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছে আমাদের  অনুভূতি ব্যক্ত করতে ভীত হয়ে পড়ি। মনে ভাবি, ‘যদি আমি আমার সম্পর্ণ মনের কথা বলেই ফেলি আর সে তা প্রত্যাখ্যান করে দেয়?’
আমরা বিশ্বাস করি, ভয় প্রকাশ অথবা সঙ্গী বা সঙ্গিনী সম্বন্ধে নেতিবাচক চিন্তা আমাদের মধ্যের দূরত্ব বাড়িয়ে তুলবে। প্রকৃতপক্ষে সত্য বলাটাই হচ্ছে আরোগ্য। আমরা যদি তা সঠিকভাবে লাভ করতে পারি তবে তা  দূরত্ব বাড়ানোর পরিবর্তে বরং আন্তরিকতাকেই  বাড়িয়ে তুলবে।
আপনি যতই গভীরভাবে উন্নত যৌনতার কর্ষণ করবেন, ততই সেখানে ব্যথা বেদনা, আঘাত ও অরক্ষিততার সম্ভাবনা দেখা দেবে। এক দিক দিয়ে এই অভ্যসসমূহের ফলেই হচ্ছে ভালবাসা। সেগুলো আপনার সুমমুখে সুন্দর সুন্দর অনুভূতি তুলে ধরবে, কিন্তু্তু তা করতে গিয়ে তারা অপ্রচারিত, পুরাতন, বিগত দিনের কষ্টকর যৌন অভিজ্ঞতার বিরক্তি প্রকাশ করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি  প্রথমেই তৈরি হয়ে অভ্যাস শুরু করেছেন, কিন্তু্তু একটু পরেই মনে হচ্ছে, আপনি ভীত হয়ে পড়েছেন এবং আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছেন। এই  অনুভূতিগুলো স্বাভাবিক। প্রকৃতপক্ষে এটা সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ, কারণ এই ভয়ভীতির জাগরণ দ্বারা বোঝা যাচ্ছে যে, আপনি এই সিস্টেমের মধ্যে অত্যধিক শক্তির যোগান দিচ্ছেন। আপনি সীমাবদ্ধ ব্যবহারের গন্ডি পেরিয়ে উন্নতি লাভ করছেন।
প্রাচীন গ্রীকবাসীরা এই ভয় ও প্রতিবন্ধকতাকে বলতো,‘আমাদের ডেমনস’ আর তিব্বতবাসীরা এটাকে নাম দিয়েছে, ‘মনস্টারস’। অন্তর-এর ভেতরগত জাগরণ পদ্ধতির ব্যাপারে প্রত্যেকটি আধ্যাত্মিক নিয়ম পদ্ধতির এক একটি আলাদা নাম এবং পৌরানিকী রয়েছে এবং তাদের সাথে কিভাবে  ব্যবহার করতে হবে তারও বিভিন্ন পথ বাৎলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু্তু সব নিয়ম নীতিই এক বিন্দুতে এসে এক মত হয়েছে। আপনি যদি জানেন যে, সেই ‘ডেমনম’ উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে কি করে সজাগ থাকতে  হবে, অবিচলিত থাকতে হবে; তাহলে আপনি তাদের সাথে সাহসের সহিত মোকাবেলা, তাদের গ্রহণ ও তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারবেন। যাতে করে তারা আপনার শত্রু না হয়ে সহযোগী হবে এবং অবশেষে তাদেরকে অতিক্রম করতে পারবেন।
এই অধ্যায়ে আপনি সেই সব অনুশীলনগুলো শিখতে পারবেন যা আপনাকে আস্তে আস্তে শেখাবে কিভাবে এই সব ‘ডেমনস’ গুলোকে একত্রিত করে আয়ত্তে আনতে হয় এবং তা আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কাছে প্রকাশ করতে হয়, যাতে করে তা আপনাদের দু’জনার জন্যই উপশমজনক হয়। যখন তারপর আপনারা উভয়ে নিজেদের ভয়ের কথা খোলাখুলিভাবে বলবেন আপনারা দেখতে পাবেন যে একটা বিশ্বাসের বাঁধন আপনাদের মধ্যে দানা বেঁধে উঠতে শুরু করেছে। আপনারা ভাবতে শুরু করতে পারছেন যে আপনারা আরও বেশি  স্বতঃস্ফূর্ত, খোলামেলা এবং ঢিলেঢালা  হয়ে একে অন্যকে ভালবাসতে পারছেন। এই যে ক্রমান্ব্বয়ের ডাক, যা আপনাকে নিজস্ব সাবধানতা থেকে ক্রমান্ব্বয়ে দরে নিয়ে যাচ্ছে, এটাই হলো উন্নত যৌনতার ক্ষেত্রে একটা চ্যালেজ্ঞ কারণ আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে অরক্ষিত ভাবে মেলামেশা যৌনানন্দের দ্বার উন্মোচন করে দেয়।
তবে এটা একটা রিস্ক্‌, আপনি তা কেবল তখনই নিতে পারেন, যখন মনে করেন যে অন্য ব্যক্তিটি আপনাকে গ্রহণ করেছে। নিজেকে বিশ্বাস করাবার জন্যও একটা ক্রমগতি আছে যা হয়ে যাবার পর সেটা এভাবে অগ্রসর হয়ঃ ‘আপনি যতো বেশি আমাকে বিশ্বাস করবেন আমি ততো বেশি মনে করবো যে আপনি আমাকে গ্রহণ করেছেন। আমি যতো বেশি গৃহীত হয়েছি বলে ভাববো, আমি ততো বেশি আপনার সাথে খোলামেলা এবং অরক্ষিত হয়ে উঠতে পারবো। আমরা একে অন্যের কাছে যতো বেশি অরক্ষিত খোলামেলা হতে পারবো, ততো বেশি আন্তরিকতা ভাগ করে নিতে পারবো। আর যতো বেশি আন্তরিকতা আমরা ভাগ করে নিতে শিখবো ততো বেশি ভালবাসা আমাদের মধ্যে গড়ে উঠবে বিশ্বাসকেও বন্ধুত্বের পথ হিসেবে বর্ণনা করা যায়, যা দুইজন সঙ্গীর মধ্যে প্রথম রোমান্স শেষ হয়ে যাওয়ার পর গড়ে উঠতে পারে। যখন তারা তাদের মধ্যে মতানৈক্যগুলো দেখতে শুরু করে, যখন একজন সঙ্গী ভালবাসায় মিলিত হতে চায় আর একজন চায়না। যখন ধরুন, একজন সঙ্গী চাচ্ছে তাকে অন্যভাবে সপর্শ করা হোক, আর সেখানে অন্য সঙ্গীর কাছে তা মোটেই সুখপ্রদভাবে গ্রহণযোগ্য নয়, এই ক্ষেত্রে বিশ্বাসের অর্থ হচ্ছে যে, এই অসংগতি পেরিয়ে একটা বড় প্রতিচ্ছবি আছে একটা বৃহত্তর অঙ্গীকারের অনুভূতি আছে। আপনারা অনুভব করেন যে দু’জনেই একপথে আছেন এবং আপনাদের মধ্যস্থ মিথস্তিক্রয়া আপনাদের শিক্ষা দিচ্ছে, কি করে আরও পরিপক্ক এবং বোদ্ধা হতে হয়। বিশ্বাস স্থাপন অবস্থায় আপনার ইচ্ছাকে পূর্ণভাবে পূর্ণ করছে না বলে আপনার সঙ্গিনী বা সঙ্গীকে দোষারোপ করবেন না। আপনাকে এই সত্য মেনে নিতে হবে যে কোনো না কোনো দিক দিয়ে আপনি অন্যরূপ। তথাপি স্বীকার করুন যে, উভয়ে মিলে একটা মূল্যবান আত্মীয়তা গড়ে তুলেছেন, যা আপনাদের জন্য সেবামূলক এবং পুরস্কার স্বরূপ হতে পারে।
আত্মীয়তায় বিশ্বাস খোলাখুলিভাবে, সাধারণত হৃদয়ের ঘর্ষণেই হয়ে যায় না। প্রতিবন্ধকতাকে ঝেড়ে ফেলতে হলে, প্রেমিক প্রেমিকাদের ভাবতে হবে যে তারা নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। এই অধ্যায়ে আপনি শিখবেন কি করে আপনার পবিত্র স্থানটিকে তৈরি করবেন, একটি পবিত্র স্থান যা আপনাদের উভয়ের মধ্যের বিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে। এখানে আপনি খোলাখুলিভাবে আপনার ভয় ভীতিকে দূর করে একটা সমর্থনযোগ্য পরিবেশে তাদেরকে অক্ষতিকরজনক করে ফেলতে পারেন। এই পবিত্র স্থানটি এমন হবে যে সেখানে আপনাকে এবং আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে একদম স্বচ্ছ খোলামেলা হওয়ার সুযোগ এনে দেবে, আপনার নিজেকে, নিজের চিন্তা চেতনাকে, অনুভবকে বুঝবার সুযোগ দেবে।
আর সম্ভবতঃ সবচেয়ে জরুরী, কি উপায়ে গভীরভাবে আপনারা একে অন্যের নিকট উপস্থাপিত হবেন তার স্বীকৃতি দেবে। সম্ভবতঃ আপনি যে রুমে বসবাস করেন সে স্থানটির পরিবেশ এখন যে অবস্থায় আছে, তা পবিত্র স্থান তৈরির ক্ষেত্রে উপযুক্ত স্থান বলে মনে হয় না। সম্ভবতঃ সে স্থানটি অনেকগুলো অপ্রীতিকর দৈনন্দিন জীবনের দৃশ্য ও শব্দ দ্বারা আচ্ছন্ন, যেখানে অন্য ধরনের পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ কম। কিন্তু দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবার কোনো কারণ নেই। অত্যন্ত অপছন্দনীয় কক্ষটিকেও তাৎক্ষণিকভাবে একটা ঐন্দ্রজালিক পরিবেশ সৃষ্টি করা যেতে পারে।
অনেক সময় এটা অত্যন্ত সহজে এবং অপ্রত্যাশিত ভাবে হয়ে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ আমার দুই বন্ধু, সুজেন এবং ইডি একত্রে ক্যালিফোনির্য়ার একটি সমুদ্র সৈকতে স্বল্পকালীন ছুটি কাটানোর জন্য যাচ্ছিল। স্থানটি স্যান্‌ফ্রান্সসিসকো থেকে একটু দক্ষিণে অবস্থিত। যদিও তারা বহুবছর থেকেই অন্তরঙ্গ বন্ধু-বান্ধবী। তারা প্রথম রাত্রিটিকে বিশেষভাবে ভালবাসাপূর্ণ করে তোলার জন্য কিছু সময় একে অন্যের প্রতি না তাকিয়েই মিলিত হবে। বিশেষ করে ইডি, বৃহৎ সমুদ্র সৈকতের উপর একটা কাঠের কেবিনের মধ্যে থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তাল তরঙ্গের শব্দ শুনতে শুনতে ভালবাসা করতে পছন্দ করতো। যার জানলার বাইরে থাকবে পাইন গাছ এবং সেই গাছের এবং জানলার মধ্য দিয়ে চাঁদের  আলো বিকার এসে কেবিনের মধ্যে প্রবেশ করবে। রাস্তায় নানা প্রতিবন্ধকতার জন্য একের পর এক অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে গেল। যাই হোক, তারা তাদের প্রথম সন্ধ্যাটা স্যান্‌ফ্রান্সসিস্‌কোর সন্নিকটে একজন বন্ধুর সাধারণ গোছের একটি বাড়িতে কাটিয়ে দিতে বাধ্য হলো । তাদের স্বাগতিকের বাড়িতে কোনো আলাদা বিছানা ছিল না। সুতরাং তাদের জন্য একটা খোলা কক্ষের মেঝেতে একটা ম্যাট্‌রেস বিছিয়ে দেয়া হলো। সে কক্ষটিতে হোস্ট নিজে যোগতন্ত্র এবং ধ্যান করতো। শীত ছিল প্রচন্ড, টাইলসের মেঝেটা দেখে প্রথমে কক্ষটি তাদের মোটেই ভাল লাগল না । ইডি এবং সুজেন সিদ্ধান্ত নিলো যে, সেদিনকার রাত্রিটা তারা অফ দেবে এবং যৌনতা পরিহার করবে। তাদের বিশেষ যৌনমিলনের আনন্দঘন মুহর্তটি পরবর্তী রাত্রির জন্য রিজার্ভ রাখবে।
যেভাবে সুজেন বর্ণনা দিচ্ছে, ‘আমরা দু’জনেই ক্লান্ত  এবং ভগ্নমনস্ক হয়ে পড়েছিলাম এবং একটু আগে ভাগেই আমাদের কক্ষে প্রবেশ করলাম। ইডি কিছু কাঠের টুকরো এনে ফায়ার প্লেস-এ রাখলো এবং আগুন ধরিয়ে দিলো। কক্ষটির মধ্যস্থ বৈদ্যুতিক বাতিটি ছিল অত্যধিক উজ্জ্বল। সুতরাং আমি সেটাকে বন্ধ করে দিয়ে মোমবাতি ধরালাম। মোমবাতিগুলো রুমের মধ্যেই ছিল। আধা জ্বলে যাওয়া কয়েকটা ধপধুনোর কাঠিও সেখানে ছিল। আমি তারও একটা জ্বালিয়ে দিলাম।’ ‘আমি দেয়ালের সাথে একটা স্টেরিওসিস্টেম দেখতে পেলাম, তার মধ্যে ক্যাসেট  ভরা ছিল। এটা এমন একটা সুর ছিল যা আমি পূর্বে কখনো শুনিনি। ভ্যাঞ্জেলিস-এর গাওয়া এন্ট্রাক্‌টিকা। আমি গানের দিকে ততোটা মনোযোগ দিতে পারলাম না কারণ তখনই আমি একটা সাওয়ার নেবার জন্যে বাথরুমের দিকে যাচ্ছিলাম। আমরা দু’জনেই ওয়াশ করার পর বিছানায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলাম।‘যখন আমি কক্ষের মধ্যে হেঁটে গেলাম দেখি কি পরিবেশটা যেনো সম্পর্ণ পাল্টে গিয়েছে। কক্ষটি উষ্ণ হয়ে উঠেছে এবং চুলোর ও মোমবাতির প্রজ্জলিত আগুনের আলোর প্রকম্পন শরীরের মধ্যে একটা শিহরণ জাগিয়ে তুলেছে। গানের সুরটি এতো অপরিচিত এবং স্বর্গীয় মনে হলো যে, আমি স্থান কাল এর জ্ঞানহারা হয়ে গেলাম। ধপধুনোর গন্ধটা ছিল একটা বিদেশীয় গুণসম্পন্ন। কক্ষটি ছিল নীরব নিথর, শান্তি এবং পবিত্রতায় ভরপুর। আমি একটা ঐন্দ্রজালিক শিহরণ অনুভব করলাম।’ আমরা উভয়েই আনন্দাপস্নুত হলাম। সম্ভবতঃ এই রাত্রিটা সবশেষে আমাদের নিরাশ করবেনা। উত্তেজিত ভাবে আমরা দুজনে মিলে ম্যস্তেস্‌টাকে টেনে ঘরের মাঝ বরাবর নিলাম, যাতে এটা একটা মিয়মিত বিছানার মতো  মনে না হয়। নতুন চাদর বিছিয়ে আমরা শুয়ে পড়লাম। ভালবাসার মধ্য দিয়ে আমরা একটা বিশেষ রাত্রি যাপন করলাম যার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা আমাদের ছিল না। আপনি হয়তো এরই মধ্যে কোনো বিশেষ স্থানের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন।
অথবা কোনো মন্দিরের বা কোনো হাল্কা আলোর রোমান্টিক রেস্তোরাঁর, অথবা নিভৃত নির্জন কোনো সমুদ্র সৈকতের অথবা কোনো হানিমুন হোস্টেল কক্ষের অথবা অন্য কোনো ধর্মীয় কায়দায় যাপন করেছেন। একটা ধর্মীয় মন্দির আপনাকে সাধারণ পৃথিবীর গোলমাল থেকে রক্ষা করে। এটা আপনাকে একটা সাধারণ বাস্তবতা থেকে অনেক উপরে তুলে নেয়। এটা আপনার জন্য বিশেষ গুণাবলী অর্জনের পদ্ধতি দেখিয়ে দেয়, যা আলাদা ভাবে গ্রথিত হলে হয়ঃ নীরবতা, সৌন্দর্য, শালীনতা, ইন্দ্রিয় প্রফুলস্নতা। এটা আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও সমতার উৎপাদন করে এবং একটা বিশেষ আশীষ প্রাপ্তির বেদী তৈরি করে, যার দ্বারা আপনি আপনার সর্বোৎকৃষ্ট গুণাবলীর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে উন্নত যৌনতায় মিলিত হওয়ার জন্য একটা বিশেষ পোতাশ্রয়ের প্রয়োজন, যা ভালবাসায় মিলিত হওয়ার কলাকৌশল শিক্ষা দেবার জন্য নিবেদিত। আপনার যদি এরূপ কোনো স্থান থাকে যাকে এই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায়, তা হবে চমৎকার। যদি তা আপনার না থাকে, তবে দৈনন্দিন জীবনের স্থানটিকেও সেভাবে তৈরি করে নেয়া যেতে পারে। এই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আপনার পায়ের দিকে বিছানার পাশে টিভি থাকবে না, টেলিফোন বাজবে না, কোনো কলিং বেল থাকলে তা বন্ধ করে নিন, ছেলে মেয়েরা যাতে দরোজায় ধাক্কা না দেয় অথবা জোরে শব্দ করে খেলায় মেতে না উঠে, অতি সন্নিকটে যেনো কর্কশ শব্দের খেলাধুলা না হয় তার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে এবং আপনি এই অনুভূতি থেকে বিরত থাকুন যে আপনি যেনো না অতি তাড়াহুড়োর মধ্য দিয়ে শেষ টিভি শো দেখতে দেখতে ঘুমের  হাই তোলার মতো কাজ শেষ করেন।
এই ধর্মীয় মন্দির আপনাকে শুধু পৃথিবী থেকেই রক্ষা করবেনা, বরং অসাধারণ ভাবে ভালবাসায় মিলিত হবার জন্যে সত্য সত্যই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। এটা হবে আপনার জন্য পারস্যের আনন্দ উদ্যান, যৌন উপভোগ পূর্ণতার তান্তিক মন্দির এবং সর্বশেষ আনন্দের জাপানিজ টিহাউস। এটা হলো আপনার পবিত্র স্থান, একটি স্থান যা শুধু মাত্র উৎফুল্ল ভালবাসার জন্য তৈরী। এটি একটি পরম সুখের পরিবেশ। যখন দু’জন প্রেমিক প্রেমিকা একটা বিশেষ দৈহিক এবং মনস্তাত্ত্বিক পরিমন্ডল সৃষ্টি না করে যৌনমিলনে প্রবৃত্ত হয়, তারা প্রায়ই নিজেদেরকে দৈহিকভাবে নিকটের ও মানসিকভাবে দরের মনে করে। উদাহরণস্বরূপ, এ্যান নামের আমার এক মক্কেল আমাকে বললো, সে কোনো এক সন্ধ্যায় তার সঙ্গী জন নামের  একজনের সাথে ভালবাসায় মিলিত হতে যাচ্ছিল। ‘যদিও আমি ভেবেছিলাম যে ভালবাসায় মিলিত হবো, আমি তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারলাম যে আমাদের যৌন শক্তি যেনো আমাদের পূর্ণভাবে মিলিত হতে দিচ্ছে না।’ সে ব্যাখ্যা করে বললো ‘মনে হলো এটা একটা যান্ত্রিক প্রক্রিয়া, আমাদের শরীরের উত্থানপতন ঠিকই চলছিল, কিন্তু্তু অন্যান্য অঙ্গগুলো ছিল নিস্কর্মা।
জনও এটা লক্ষ্য করে তাকে বলেছিল, ‘আমরা একটু মাত্রও এর মধ্যে প্রবেশ করতে পারিনি। চলো এখনই এটা বন্ধ করে দেই।’ আমি এ্যান এবং জনকে ইতিপূর্বেই একটা পবিত্র স্থান তৈরির ধারণাটা দিয়েছিলাম। সুতরাং তারা সেই রূপ স্থানে পুনর্বার মিলিত হবার চেষ্টা করলো। তারা গুনগুনিয়ে গান গাইতে গাইতে তাদের ঘরোয়া পরিবেশটি সাজিয়ে গুছিয়ে যতোটা সম্ভব বিদেশী কায়দায় দাঁড় করালো এবং তাদের আনুষ্ঠানিক উপহার সামগ্রী এনে একে অন্যকে দিলো। জন এ্যানকে একটি ক্রিস্টাল ডিস হস্তান্তর করতে করতে বললো, ‘আমি তোমার সর্ব সুন্দর উৎসাহকে উপভোগ করছি।’ এ্যান তার বাঁশিটি তার হাতে তুলে দিয়ে মনোমুগ্ধতার হাসি দিয়ে বললো, ‘আমি এমন আনন্দ পাচ্ছি যেমন রাতে তুমি বাঁশি বাজালে আমি আনন্দিত হই।’
এ্যান আমাকে বললো, ‘আমরা ধর্মীয় অনুষ্ঠান এতটাই পছন্দ করতাম যে আমরা অন্য সব কিছুই ভুলে গিয়েছিলাম। আমরা  এভাবে চালিয়ে যেতে লাগলাম এবং এক সময়ে আমাদের চারপাশে উপহার সামগ্রীর স্তূপ জমা হয়ে গেল -ক্রিস্টাস্‌ট্রি-র সাজসজ্জা থেকে শুরু করে পুরাতন পোস্ট কার্ড পর্যন্ত। তার অল্প সময় পর পরই আমরা ভালবাসায় মিলিত হতে শুরু করলাম। এবার আমাদরে উৎসাহ আমোদ-প্রমোদের সাথে মিলিত হলো এবং যতো বেশি সময় ধরে চালিয়ে যেতে লাগলাম ততো উপরে আমরা উঠতে লাগলাম। এখন আমি আপনাদেরকে নিজস্ব বিশেষ পবিত্র মন্দির তৈরি করার আনন্দে যোগ দেবার জন্য আহ্বান করছি।
আপনার পবিত্র স্থান সৃষ্টি করা
আপনি আপনার পবিত্র স্থান ধর্মীয় অনুষ্ঠান সৃষ্টি করতে পারেন। যেটা আপনাকে একটা উন্নততর অনুভূতির সহযোগিতা এবং এক সাথে উদ্দেশ্য প্রদান করবে। অনেকেই ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানাদিকে কদর্য জ্ঞান  করে থাকে কারণ তারা সেটাকে সেকেলে ধর্মীয় অভ্যাস-এর সাথে মিশিয়ে ফেলে। তথাপি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আছে এটাকে একটা উৎসব উদ্‌যাপন হিসেবেই ধরা হয়। তারা সাধারণ সৌজন্যমূলক করমর্দন থেকে শুরু করে বিবাহ-অনুষ্ঠানে নত হওয়া পর্যন্ত গড়িয়ে ক্রিস্টমাসের সময় শান্তাক্লজ-এর সাক্ষাৎ পর্যন্ত চলে আসে। একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে আপনার স্বকীয় প্রতীক- চাহনির মধ্য দিয়ে আপনি একটা উপলক্ষকে চিহ্নিত করেন, একটা সাধারণ গুরুত্বের মধ্য থেকে উঠে এসে বিশেষ অংশীদার হয়ে যান। একই ভাবে আপনার বিশেষ পবিত্র স্থানটি এক সাথে মিলে তৈরি করাতেও আপনার ভালবাসায় মিলিত হওয়াটায় বিশেষভাবে পবিত্র হতে সাহায্য করবে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 বিষয়ঃ  সেক্স গাইড 

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

1 টি মন্তব্য :

নামহীন বলেছেন...

আসসা আলামুআলাই কুম ভাই আমি বিদেশে থাকী আমার স্ত্রী যোনিতে অনেক গন্ধ হয় আমি বিদেশ চলে গেলে ভাল হয়ে জাই আবার দেশে গেলে ২/৩পর আবার সুরু হয়েজাই ত্রটা কি পবলেম ত্রকটু বলেন ভাই