![]() |
ছবি-নিরাপদ যৌন মিলন |
যৌনতার ব্যাপারে আমাদের সমাজ অনেক পরিমাণে রক্ষণশীল। এইডস-এর যুগে এটা আমাদের জন্য আশার দিশারী। বিবাহ বহির্ভূত যৌনতা আর প্রাক-বিবাহ যৌনতার সুযোগ অনেক পরিমাণে সীমিত হলেও এতে অভ্যস্ত লোকের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। যৌনতার ব্যাপারগুলো আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে একটা কথা বলে রাখা উচিত-এ জাতীয় যৌনতা পরবর্তীতে ব্যক্তির মনে প্রচন্ড অপরাধবোধের জন্ম দিতে পারে।
প্রতিটি মানুষেরই এসব ব্যাপারে কম বেশি ধারণা থাকা উচিত।
- কেবলমাত্র একজনের সাথে যৌন সম্পর্ক রাখুন। পাশাপাশি আপনার যৌনসঙ্গী বা সঙ্গিনী যেনো যৌন সংক্রমণ মুক্ত হন। একসাথে একাধিক সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে যৌন সম্পর্ক রাখা দু’পাড়ের জন্যই বিপজ্জনক আর জাতিপ্রদ। গবেষণাতে দেখা গেছে যৌনতায় যারা একাধিক জনের সাথে সম্পর্ক রাখে তাদের বেলায় একজনের সাথে সম্পৃক্তদের তুলনায় যৌন রোগের মাত্রা অনেক বেশি।
- যদি সেক্স পার্টনার পরিবর্তনের দরকার হয় তাহলে দেড় মাস সময়কাল বিরতি দেয়া উচিত। যদি পূর্ববর্তী যৌনসঙ্গী হতে কোনো সংক্রমণ আপনার দেহে প্রবেশ করে যায় তা ইত্যবসরে প্রকাশ হয়ে যাবে। ফলত আপনি তা প্রতিরোধে যথার্থ ব্যবস্থা নিতে পারবেন। অন্যথায় আপনার দেহের লুকানো সংক্রমণ আপনার নতুন সেক্স পার্টনারের দেহে সংক্রমিত হতে পারে।
- গবেষণাতে দেখা গেছে, কেবলমাত্র ধোয়ার মাধ্যমে গনোরিয়া সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া অনেক পরিমাণে দূর হয়ে যায়।
- যৌনসঙ্গম শেষে মূত্র ত্যাগ করুন। সঙ্গম করার আগেও মূত্র ত্যাগ করুন। এতে করে মত্রূনালী পথে ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশ অনেক পরিমাণে কমে যায়।
জ্ঞাতব্য
‘এসটিডি’ রোগের তাড়াতাড়ি সনাক্তকরণ আর চিকিৎসা অতি জরুরি। কোনো প্রকার
লজ্জা-ভয় বা আড়ষ্টতার কারণে তা লুকাতে নেই। এতে কিন্তু্তু আপনারই ক্ষতি
হবে। যদি আপনার দেহে কোনো যৌনরোগ ধরা পড়ে ইতিপূর্বে যাদের সাথে সঙ্গম
করেছেন তাদেরকে অবহিত করুন। কারণ অনেক লোকের ক্ষেত্রে রোগ সংক্রমণ হবার পরে
উপসর্গ প্রকাশ পেতে সময় লাগে। এ সময়টাকে বলা হয় রোগের ‘ইনকিউবেশন পিরিয়ড’।
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন