নিরাপদ যৌনতা ডাঃ জাকারিয়া সিদ্দিকী

কোন মন্তব্য নেই

ছবি-নিরাপদ যৌন মিলন
আপনার জানা থাকা উচিত কিভাবে যৌনরোগ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। পাশ্চাত্য দেশে এসব জাতীয় যৌন হাইজিন নির্দেশনা গুলোকে বলা হয় নিরাপদ যৌনতা। প্রতিটি মানুষেরই এসব ব্যাপারে কম বেশি ধারণা থাকা উচিত।

যৌনতার ব্যাপারে আমাদের সমাজ অনেক পরিমাণে রক্ষণশীল। এইডস-এর যুগে এটা আমাদের জন্য আশার দিশারী। বিবাহ বহির্ভূত যৌনতা আর প্রাক-বিবাহ যৌনতার সুযোগ অনেক পরিমাণে সীমিত হলেও এতে অভ্যস্ত লোকের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। যৌনতার ব্যাপারগুলো আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে একটা কথা বলে রাখা উচিত-এ জাতীয় যৌনতা পরবর্তীতে ব্যক্তির মনে প্রচন্ড অপরাধবোধের জন্ম দিতে পারে।
আপনার জানা থাকা উচিত কিভাবে যৌনরোগ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। পাশ্চাত্য দেশে এসব জাতীয় যৌন হাইজিন নির্দেশনাগুলোকে বলা হয় নিরাপদ যৌনতা।  
প্রতিটি মানুষেরই এসব ব্যাপারে কম বেশি ধারণা থাকা উচিত।

  • কেবলমাত্র একজনের সাথে যৌন সম্পর্ক রাখুন। পাশাপাশি আপনার যৌনসঙ্গী বা সঙ্গিনী যেনো যৌন সংক্রমণ মুক্ত হন। একসাথে একাধিক সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে যৌন সম্পর্ক রাখা দু’পাড়ের জন্যই বিপজ্জনক আর জাতিপ্রদ। গবেষণাতে দেখা গেছে যৌনতায় যারা একাধিক জনের সাথে সম্পর্ক রাখে তাদের বেলায় একজনের সাথে সম্পৃক্তদের তুলনায় যৌন রোগের মাত্রা অনেক বেশি।
  • যদি সেক্স পার্টনার পরিবর্তনের দরকার হয় তাহলে দেড় মাস সময়কাল বিরতি দেয়া উচিত। যদি পূর্ববর্তী যৌনসঙ্গী হতে কোনো সংক্রমণ আপনার দেহে প্রবেশ করে যায় তা ইত্যবসরে প্রকাশ হয়ে যাবে। ফলত আপনি তা প্রতিরোধে যথার্থ ব্যবস্থা নিতে পারবেন। অন্যথায় আপনার দেহের লুকানো সংক্রমণ আপনার নতুন সেক্স পার্টনারের দেহে সংক্রমিত হতে পারে।

আপনি আপনার নতুন যৌনসঙ্গী বা সঙ্গিনীর ব্যাপারে সাবধান থাকুন।
আপনি ইচ্ছা করলে আপনার যৌনসঙ্গীর কোনো যৌন রোগ আছে কি না দেখে নিতে পারেন। সে সম্পর্কে তাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করার কোনো দরকার নেই। তার যৌনাঙ্গে কোনো প্রকার নিঃসরণ থাকাটা যৌন সংক্রমের ইঙ্গিতবহ। এগুলো বুঝে নেয়া কোনো কঠিন কাজ নয়। যৌনসঙ্গমের প্রস্তুতি লগ্নে পোশাক পরিচ্ছদ খোলাকালে বা শৃঙ্গারের অংশ হিসেবে এটা করা যায়।
সন্দেহ হলে কনডম ব্যবহার করতে পারেন বা আপনার সঙ্গীকে কনডম ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করবেন। কনডম জন্ম প্রতিরোধের পাশাপাশি যৌনসংক্রমণ বিস্তার রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। মহিলাদের বেলায় কোম জেলীর ব্যবহার সংক্রমণ বিস্তাররোধে কমবেশি ভূমিকা রাখে। যথার্থ পদ্ধতিতে কনডম ব্যবহার করুন, যাতে করে সঙ্গমে কনডম ছিড়ে যাবার মত অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে।
যৌনসঙ্গম করার আগে আর পরে যৌনাঙ্গ এলাকা ভালভাবে ধুয়ে নিন।

  • গবেষণাতে দেখা গেছে, কেবলমাত্র ধোয়ার মাধ্যমে গনোরিয়া সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া অনেক পরিমাণে দূর হয়ে যায়।
  • যৌনসঙ্গম শেষে মূত্র ত্যাগ করুন। সঙ্গম করার আগেও মূত্র ত্যাগ করুন। এতে করে মত্রূনালী পথে ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশ অনেক পরিমাণে কমে যায়।

জ্ঞাতব্য
‘এসটিডি’ রোগের তাড়াতাড়ি সনাক্তকরণ আর চিকিৎসা অতি জরুরি। কোনো প্রকার লজ্জা-ভয় বা আড়ষ্টতার কারণে তা লুকাতে নেই। এতে কিন্তু্তু আপনারই ক্ষতি হবে। যদি আপনার দেহে কোনো যৌনরোগ ধরা পড়ে ইতিপূর্বে যাদের সাথে সঙ্গম করেছেন তাদেরকে অবহিত করুন। কারণ অনেক লোকের ক্ষেত্রে রোগ সংক্রমণ হবার পরে উপসর্গ প্রকাশ পেতে সময় লাগে। এ সময়টাকে বলা হয় রোগের ‘ইনকিউবেশন পিরিয়ড’।
 বিষয়ঃ নারী পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধান , যৌন শিক্ষা/যৌন মিলন/জন্মনিয়ন্ত্রন    , মাসিক মনোজগত 
মনোজগত : এপ্রিল, ২০০৪
 ফেসবুকে  ব্লগারের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করুণ 

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :