মেয়েদের প্রয়োজনীয় মাসায়ালা মাসায়েল

কোন মন্তব্য নেই
১|মেয়েদের চুল প্রসঙ্গে
প্রশ্নঃ বর্তমানে মেয়েরা মাথায় চুল বিভিন্ন ভাবে বাঁধে ।অনেকে স্বাভাবিক ভাবে ঝুঁলিয়ে রাখে ,অনেকে খোপা বানিয়ে পিছনের দিকে ঝুলিয়ে রাখে ,কেউ কেউ সমস্ত চুল জটলা পাটিতে মাথার জমিয়ে রাখে । এখন জানার বিষয় হল মেয়েদের চুল বাঁধার শরিয়তে বিশেষ কোন নিয়ম আছে কি ?
উত্তরঃ মেয়েদের চুল বাঁধার ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই , স্বাবাভিক ভাবে যার সুবিধা হয় বাধতে পারবে ।তবে লক্ষ্যণীয় হল মাথার সমস্ত চুল জটলা পাকিয়ে উপরি ভাগে উঁচু করে রাখা নিষিদ্ধ ।কারন হাদিসে এভাবে চুল রাখার ব্যাপারে কঠোর ধমকি বাণী উচ্চারিত হয়েছে ।কারন এর দ্বারা র্পদা ব্যাহত হয় ।সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে চুল বাঁধার ব্যাপারে বিধর্মীদের সাথে যেন মিল না হয় । বিধর্মীদের সাথে যেন সাদৃশ্য হয়,এমন সূরত ও অবলম্বন করা হাদীসে নিষেধ করা হয়েছে ।চুলের বাহারী ফ্যাশন করে বেপর্দা ভাবে চলা বা পরপুরুষের সামনে প্রদর্শন করে বেড়ানোও শরিয়তে নিষিদ্ধ ।(প্রমাণঃ মিশকাত শরীফ । ২।মেয়েদের চুল কাটা প্রসঙ্গে
।প্রশ্নঃ বিউটি পার্লারে গিয়ে মেয়েরা তাদের চুল কাটাতে বা সাজাতে পারবে কি ?
উত্তরঃ বিউটি পার্লারে সাধারণত পর্দা লংঘন হয় ।তাই পর্দা রক্ষার্থে সেখানে না যাওয়া উচিত ।এছাড়াও সেখানকার মেয়ে সাধারনত পর্দা না করে ওপেনভাবে ছলাফেরা ওকাজ করে থাকে । তাই দ্বীনদার মেয়েদের জন্য ও ঐসব বেপর্দা মেয়েদের থেকে পর্দা করা কর্তব্য ।তাই সেখানে চুল সাজানোর জন্য না যাওয়া উচিত ।স্বাভাবিক ভাবে মেয়েদের চুল কাটা নাজায়েয । বিশেষ করে পুরুষদের মতো করে কাটা কিংবা বিজাতীয় ফ্যাশন অনুসরনে চুল কাটা নাজায়েয । তবে চুল যদি কোমর ছাড়িয়ে চলে যায় আর তা হিফাজত করায় সমস্যা হয়, তাহলে অতিরিক্ত লম্বা চুলের অগ্রভাগ থেকে সামান্য কিছু কাটতে পারেন ।(প্রমান ফাতাওয়া আলগীরী ৫,৩৫৮)
৩।কপালে টিপ দেয়া প্রসঙ্গে ।
প্রশ্নঃ আমরা কপালে টিপ দেয়া নাজায়েয জানি ।কিন্তু আমার স্বামী বলেন আমাকে টিপ দিতে ।এতে নাকি আমাকে ভাল দেখায় ।এখন স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য কপালে টিপ দেয়া যাবে কি না ।
উত্তরঃ কপালে টিপ দেয়া হিন্দুদের ধর্মীয় সাংস্কৃতিক রীতিতে পরিণত হওয়ায় তা হিন্দুদের সাথে সম্পৃক্ত হিসাবেই গন্য হয় । আর হিন্দুদের সংস্কৃতি বা তাদের গর্হিত সম্পৃক্ত কোন বিষয় কোন মুসলমানের জন্য গ্রহন করা জায়েয হতে পারে না ।কারো কাছে তা ভাল লাগলে মনে করতে হবে এ ব্যাপারে তার রুচিবোধ নষ্ট হয়ে গেছে ।তাই স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য ও কপালে টিপ দেয়া যাবেনা । স্বামীকে বুঝিয়ে এ অন্যায় থেকে বেঁচে থাকতে হবে ।

কোন মন্তব্য নেই :

ভূমি কম্প

কোন মন্তব্য নেই
আজ সন্ধায় ৬:৪২ মিনিটে ৬.৮ মাত্রা ভূমিকম্প আঘাত হানে বাংলাদেশ সহ ভারত ও নেপালে । মানুষ আতংকিত হয় ছুটাছুটি করতে গিয়ে আহত হয় কমপক্ষে ৫৫ জন ।বেশ কিছু দালানের ফাটল ধরেছে এবং অনেক কাচা ঘর বাড়ী ভেঙ্গে গেছে ।পুকুরে ওনদীতে পানি ঢেউ সৃষ্টি হয়ে দেড় ফুট উপরে ওঠে । যদি ৭.৫মাত্রা হতো তাহলে বাংলাদেশের বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যেত ।হাজার হাজার দালান কোঠা ভেঙ্গে পড়ত ।নিহত হত প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ।

কোন মন্তব্য নেই :

মুসলমানের হাঁসি ৭ লজ্জাশীলা মহিলার কান্ড ।

কোন মন্তব্য নেই
এক ব্যাক্তি চিঠিতে আমাকে লিখেছেন ,মুসলমানদের উপর অযথাই অপবাদ দিয়ে বলা হয় , তারা গরু জবাই করে নির্দয় ভাবে পশু হত্যা করছে । কিন্তু যারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে এ জীব হত্যার অপবাদ দেয় তারাই আবার মানুষ হত্যা করে ।
অর্থাত্‍ তুচ্ছ গরু জবাইকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে মানুষের উপর অহরহ জুলুম অত্যাচার করে এমন কি মানুষ হত্যা করতেও তারা দ্বিধা বোধ করে না ।
জীবের প্রতি তাদের দয়ার ধরন হলো এক লজ্জাশীলা মহিলার মত । অর্থাত্‍ এক লোক অপর লোককে খুঁজতে গিয়ে দেখে লোকটি বাড়িতে নেয় । বাড়ীওয়ালা কোথাই গেছে তা জিঙ্গেস করার মত কাউকে খুঁজেও পাওয়া গেলনা ।অগত্যা বাড়িওয়ালার স্ত্রীকে জিঙ্গেস করলো ,আপনার স্বামী কোথাই গেছে ত্‍ কিন্তু ঐ মহিলা এতই লজ্জাশীলা ছিল যে কিছুতেই সে পর পুরুষের সামনে মুখ খুলতো না ।এদিকে প্রশ্ন কর্তাকে একটা জবাব দেওয়াও জরুরী । তাই অনেক ভেবে চিন্তে সে তার সামনেই কাপড় খুলে উলঙ্গ হয়ে পেশাব করলো এবং প্রবাহিত সে পেশাবের উপর লাফ দিয়ে ডিঙ্গিয়ে গেল ।এর অর্থ হলো আমার স্বামী নদীর ওপারে গেছেন ।
তাদের দয়ার ধরন হলো এমন ।অর্থাত্‍ গরু হত্যা করা যাবেনা ,কিন্তু সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হত্যা চলবে ।(আশরাফুল এর জবাব)

রচনা । আশরাফ আলী থানবী (রঃ) মুসলমানের হাঁসি থেকে নেওয়া ।আমাদের দেশের সরকার গুলো ঐ রকমে ।তারা মুখেই শুধু জন গনের কল্যানের কথা বলে ।তারা ভিভিন্ন দেশের সাথে চুক্তি করে ,আর বলে দেশের স্বার্থে তারা কাজ করে ।অথচ যে চুক্তি গুলি করা হয় তা দেশের মানুষ জানতেই পারেনা ।
Post by -sayed rubel

কোন মন্তব্য নেই :

মুসলমানের হাঁসি ৬ নাসির গাজী ১

কোন মন্তব্য নেই
নাসির গাজীর বাড়ীর পাশে এক খৃস্টান পাদ্রীর বাসা ।খৃস্টান পাদ্রীটি প্রায় সময় নাসির গাজীর সঙ্গে ধঁম নিয়ে তর্ক বির্তক করত ।একবার খৃস্টান পাদ্রীটি রাস্তায় দাড়িঁয়ে যুক্তি দিয়ে বক্তৃতা শুরু করে দিল । সে যুক্তি দিয়ে বলতে লাগল পৃথিবীতে খৃষ্টান র্ধমই ভাল । কারন পৃথিবীতে পাচঁশ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে খৃষ্টান জনসংখ্যাই বেশী । খৃস্টান পাদ্রীর এই বক্তিতা শুনে নাসির গাজী আর বসে খাকতে পারলেনা । নাসির গাজী খৃষ্টান পাদ্রীর কাছে গিয়ে বললেন ,আমি এখুনি আপনাকে বুঝিয়ে দেব জনসংখ্যায় বেশী হওয়াই ভালো দলীল নয় । ভাল । খৃষ্টান পাদ্রী বলল ,কি করে বুঝাবেন ।নাসির গাজী বললেন আচ্ছা বলুন তো ,রেল গাড়ীতে ফাষ্ট ক্লাসে লোক বেশী থাকে ,না র্থাড ক্লাসে লোক বেশী থাকে ?
খৃষ্টান পাদ্রী বলল ,ফাস্ট ক্লাসে লোক কম এবং র্থাড ক্লাসে লোক বেশী থাকে ।নাসির গাজী বললেন -ঠিক তেমনি ভাবে আমরা মুসলমান জনসংখ্যায় কম ,আমরা হলাম ফাষ্ট ক্লাস ।আর আপনার জনসংখ্যায় বেশী ,আপনারা হলেন থার্ড ক্লাস । নাসির গাজীর এই জবাব শুনে খৃষ্টান পাদ্রী নির্বাক হয়ে গেল এবং আর কোন জবাব দিতে পারল না ।

কোন মন্তব্য নেই :

মুসলমানের হাঁসি ৫/সাপের তওবা
কোন মন্তব্য নেই
একটি সাপের ঘটনা বর্ননা করছি । আমার কাছে যারা তালিম গ্রহন করতে আসে প্রথমেই আমি তিরস্কার করি না ।মানুষ যখন আমাকে সুঁই ফোটাই তখন আমি উহ ! করে উঠি মাত্র ।সে শব্দটি শোনা যায় ।আর যে লোকটি আমাকে সুই ফুটালো তার শব্দটি শোনা যায় না ।ফলে লোকে ভাবে আমি জালেম আর লোকটি মজলুম । এভাবে লোকে মজলুকে জালেম আর জালেমকে মজলুম মনে করে । তিরস্কার না করার কারণে আমার অবস্তা হয় তা নীচের ঘটনাটি দ্ধারা বুঝা যারে ।এক সাপ তার জীবনে কতবার মানুষকে দংশন করেছে আর আল্লাহ কত সৃষ্টিকে কষ্ট দিয়েছে সে চিন্তা করে বিচলিত হয়ে পড়লো ।এখন তওবা করে ভাল হয়ে যাবে এ চিন্তা করে সে এক পীরে সাহেবের কাছে গিয়ে মরীদ হলো এবং তওবা করলো যে আর কখন ও কাউকে দংশন করবে না ।একথা সমস্ত বন জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়লো যে সাপটা পীরের কাছে মুরীদ হয়েছে এবং আর কাউকে দংশন করবে না বলে তওবা করেছে ।সব জন্তু নিরাপদ হলো ।ব্যাঙ্গ সে সাপের পীঠে বসে থাকে ,ইঁদুর এসে লেজ কামড়িয়ে টানাটানি করে ।আর সাপ সবর করে । ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি এসে তার মাংসের কণা ছিড়ে নিয়ে উড়ে যায় ।পিঁপড়ার দল মনের আনন্দে তার দেহ ফুটা করে রক্ত শুষে নেয় ,সে ছবর করে । একদিন পীর সাহেব সে রাস্তা দিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন ।দেখলেন সাপটির দেহ ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়েছে ।পীর সাহেব জিঙ্গেস করলেন ,এ কি অবস্হা তোর ? সাপ বললো হুজুর এসব আপনার মুরীদ হওয়ার বরকত ।জঙ্গলের জন্তুরা আমার তওবা করার কথা শুনে নিশ্চিন্ত মনে আমাকে জুলুম করে চলেছে । কিন্তু আমি য তওবা ভঙ্গ করতে পারিনা পারি না ,তাই ছবর করে চলেছি । পীর সাহেব বললেন আরে নাদান আমি তোকেছোবল মারা থেকে তওবা করিয়েছিলাম ফোস করা থেকে নয় ,প্রয়োজনে বোধে ফোঁস করে উঠিস । নিজের হেফাজতের জন্যে মাঝে মাঝে ফোঁস করে উঠার প্রয়োজন আছে । আমি ও সেরূপ মানুষের বিশৃঙখলা আচারন থেকে বাঁচার জন্যে ফোঁস করে উঠি । যদি এরূপ না করি তবে চারদিক থেকে লোকে আমাকে এভাবে ঘিরে ধরবে যে সকল গুরুত্বর্পূন পড়ে থাকবে ।
সমাপ্ত
আল্লাহ হাফেজ ।
রচনা আশরাফ আলী থানবী রঃ ।
মুসলমানের হাঁসি থেকে নেওয়া ।

কোন মন্তব্য নেই :