পর্দা সম্বন্ধে কিছু হাদিস......।

কোন মন্তব্য নেই

* রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হযরত আলীকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, হে আলী হঠাৎ যদি
কোন নারীর প্রতি লক্ষ্য পড়ে তা হলে পুনঃ দ্বিতীয় ইচ্ছা পূর্বক দৃষ্টি করিও না ।
কারন প্রথম বারের দৃষ্টি ক্ষমার যোগ্য কিন্তু দ্বিতীয় বারের দৃষ্টিতে শাস্তি পাইতে হইবে।
(তিরমিজী)

* হাদীছে কুদছীতে বর্ণিত আছে যে ল্লাহ তায়ালা বলিয়াছেন, মানুষের দৃষ্টি ও চাহনী
শয়তানের একটি বিষাক্ত তীর স্বরূপ । যদি কেহ আমার ভয়ে দৃষ্টি সম্বরন করে তবে
আমি তাহার ঈমান কে মজবুত করিয়া দেই, যাহার স্বাদ সে পাইতে থাকে।(তেবরানী)

* আদম সন্তানের উপর যত রকমের পাপের অংশ নির্ধারণ করা আছে,
তাহাতে সাধারন; তাহারা লিপ্ত হইয়া থাকে। গায়েরে মোহরেম  নারীর প্রতি  দৃষ্টি
করিলে দুই চোখের জেনা হইয়া যায়,  গায়েরে মোহরেম  নারীর কথা শুনিলে
কানের জেনা হইয়া যায়, গায়েরে মোহরেম   নারীর সাথে কথা বলিলে মুখের জেনা হইয়া যায়,  গায়েরে মোহরেম  স্পর্শ করিলে হাতের জেনা হইয়া যায়,
গায়েরে মোহরেমের উদ্দেশে পথ চলিলে পায়ের জেনা হইয়া যায় এবং জেন্র ইচ্ছে
করিলে অন্তরের জেনা হইয়া যায়।( আহম্মদ)
 * রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন , মানুষের প্রত্যেক দৃষ্টিতে শয়তানের আশা জড়িত থাকে।(বয়হাকী)

*  রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন , আপন  দৃষ্টিকে সংযত রাখ এবং লজ্জা স্থানের হেফাজত কর, না হইলে আল্লাহ তায়ালা তমার ছুরাত পরিবর্তন করিয়া দিবেন।
(তেবরানী )

* রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন  প্রতিদিন ভোর বেলা দুই জন ফেরেস্তা চিৎকার করিয়স বলিতে থাকেন, পুরুষ নারীর জন্য , নারী পুরুষের জন্য বিপদ স্থল ও ভয়াবহ। (এবনেমাজা)

* একদিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)  মসজিদে উপস্থিত হইয়া অলঙ্কারে সজ্জিত এক রমনীকে
মসজিদে দেখিয়া বলিলেন, তোমরা আপন স্ত্রী কে সজ্জিত করিয়া মসজিদে আনিওনা,
কারণ বণি ইস্রাইলদের প্রতি এই কারনেই আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হইয়া ছিল।
যে পর্যন্ত তাহারা আপন স্ত্রীকে সজ্জিত করিয়া মসজিদে আনে নাই সে পর্যন্ত তাহাদের প্রতি অভিশাপ বর্ষিত হয় নাই। (এবনে মাজা)

*  রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন ,  গায়েরে মোহরেম নারীর নিকট যাতাযাত বন্ধ কর।
এক ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করিল, হুজুর দেবরের সঙ্গে কি রূপ ব্যাবহার করা উচিৎ?"
রাসূলূল্লাহ (সাঃ)  বলিলেনঃ দেবর মৃত্যুতুল্য অর্থাৎ দেবরের সঙ্গে অবাদে মেলামেশার চেয়ে মৃত্যু অনেক শ্রেয়। (বোখারী)

* তেবরানীর এক হাদিসে বর্ণিত আছে যে সুচ দ্বারা আপন মস্তিক অহরহঃ  জখমী
করার চেয়ে একটি গায়ের মোহরেম নারীর শরীর স্পর্শ করা অধিক মারাত্মক।

* যে ব্যাক্তি আল্লাহ , রাসূল এবং কিয়ামতের উপর ঈমান আনিয়াছেন সে ব্যাক্তি
কখনও কোন অপরিচিতা নারীর সঙ্গে গোপনে একত্রিত হইতে পারে না।

*  রাসূলূল্লাহ (সাঃ)  বলিলেনঃ আমি আল্লাহ তায়াল কসম করিয়া বলিতেছি,
যখন কোন ব্যাক্তি গায়ের মোহরেম নারীর সঙ্গে একত্রিত হয় তখন শয়তান আসিয়া তাহাদের কাছে উপস্থিত হয়। (তেবরাণী)      

আমি চেয়ে ছিলাম পর্দা না মানলে তার শাস্তি কি এ সম্পর্কে  ভাল একটি পোস্ট উপহার দিবো।
কিন্তু পারেনি।
কারণ আমার কাছে যত গুলি সংগ্রহিত বই আছে তাদের ভিতরে এক টি বইতেও পেলাম না পর্দা বিষয়ে কঠোর আলোচনা করতে।
সব বই গুলি একই সুত্রে গাঁথা।
পরবর্তীতে আমি চেষ্টা করবো পর্দা সম্পর্কে আপনাদের ভাল কিছু উপহার দিতে।   


আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :