দুই যুবক যায়েদ ইবনে হারিসা (রাযি.)
স্নেহের কোলেযায়েদ ইবনে হারিসা ইয়েমেনের
সম্ভ্রান্ত পরিবার বনী কুজায়ায়
জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হারিসা ও
মা জননী সু’দা তাকে অত্যন্ত স্নেহ-
মমতায় লালন-পালন করেন। দুঃখ-কষ্ট
কি জিনিস সে কোনদিন দেখে নাই,
অনুভবও করে নাই। মানুষ
মানুষকে ভালোবাসে, আদর-যত্ন করে,
যায়েদ কেবল তাই জানতো। মানুষ জুলুম
নির্যাতন করতে পারে, মানুষের রক্ত
চুষতে পারে তা কোনদিনই ভাবে নাই।
আন্তরিকতা ও হৃদ্যতার
সঙ্গে সে পরিচিত ছিল বটে, কিন্তু
ঘৃণা কি জিনিস যায়েদ তা কোন দিন
অনুভবও করে নাই।
অপহরণ
কিন্তু হঠাৎ অবস্থার ভয়াবহ
পরিবর্তন দেখা দিল।
মানবতা বিবর্জিত স্বার্থপরতার এ
ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন
হল যায়েদ ইবনে হারিসা। বনী কাইন
গোত্রের দস্যু ও
ডাকাতরা বনী কুজায়ার উপর
হামলা চালিয়ে তাদের সহা-সম্পদ
লুটতরাজ করে নিয়ে গেল। মারামারি ও
হত্যাকাণ্ড ঘটালো একদিন। এ সময়
অন্যান্য সহায়-সম্পদের
সাথে যায়েদকেও অপহরণ
করে নিয়ে গেল। তখন তার বয়স ছিল
মাত্র আট বছর। মাতা-পিতা, নানা-
নানী, দাদা-দাদী ও আত্মীয়-স্বজনের
মায়া-মমতার বন্ধন ছিন্ন হয়ে যাওয়ায়
যায়েদ প্রচণ্ড কান্নাকাটি করে, তার
কলিজা ফেটে যায়। কিন্তু মানুষ এমন
পাষাণ হতে পারে, কাকুতি-মিনতি ও
ক্রন্দনের বিপরীতে মায়া-দয়াহীন
আচরণ করতে পারে, তা এবারই যায়েদ
প্রথমবারের মত লক্ষ্য করলো।
যায়েদের চিৎকার
শুনে মানুষরূপী জানোয়ারগুলো তাকে বেদম
প্রহার করে। তার কোমল মুখমণ্ডল ও
কচি দেহ রক্তাক্ত হয়ে যায়।
পাপাচারের কারণে তাদের অন্তর নষ্ট
হয়ে যায়।, অন্তরের কালিমায় যাদের
চেহারা পশুর মত হয়ে পড়ে, যাদের অর্থ
লোভের কারণে চোখের দৃষ্টি অঙ্গারের
রূপ ধারণ করে, তাদের আচরণ-ব্যবহার
যে কত বেদনাদায়ক ও নির্মম
হতে পারে প্রথমবারের মত যায়েদ
তা উপলব্ধি করল।
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
Next উকাযের বাজারে যায়েদ - খাদীজার ঘরে যায়েদ
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন