আল্লাহর পথে শহীদ - জুলুমের পরিণাম
আল্লাহর পথে শহীদশহীদ একটি ইসলামী পরিভাষা।
ক্ষমতা দখলের জন্য কিংবা বস্তুগত
হীনস্বার্থ উদ্ধারের জন্য নয়,
বরং নিঃস্বার্থভাবে কেবলমাত্র
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও তার
নির্দেশ পালনার্থে দ্বীন প্রতিষ্ঠার
জন্য কাফেরদের সাথে যুদ্ধে মৃত্যুবরণ
করে যে সব মুসলিম, তারাই কেবল
শহীদের মর্যাদা লাভ করতে পারবে।
তারা হয়ে থাকে বিনা হিসাবে জান্নাতী।
এরূপ শহীদানের সংখ্যা ইসলামের
ইতিহাসে কম নয়। ইসলামের জন্য
যে সমস্ত যুবক শহীদ হয়েছে তাদের
জীবনী আজও ইতিহাসের পাতায়
অলংকৃত হয়ে আছে। কিন্ত
আমরা যে যুবকের জীবনী চর্চা করছি,
তার শাহাদাতের বিষয়টি একটু ভিন্ন
ধরণের। এই যুবকের
একটি জীবনে অসংখ্য জীবনের সমাগম
ঘটেছিল। ফলে একটি জীবনের আত্মদান
লক্ষ জীবন উৎসর্গ করার
প্রেরণাদায়ক শক্তি হিসেবে কাজ
করছে। যুবক নিজেকে দ্বিধাহীন
চিত্তে শাহাদাতের জন্য পেশ করেছে।
আত্মহত্যার তাগিদে নয়, আল্লাহর
তাকভীনী নির্দেশে। তাই আল্লাহ পাক
তাকে স্বীয় সান্নিধ্যে স্থান দিয়েছেন।
আল্লাহ তা’আলা তার শাহাদাতের
মাধ্যমে একটি জাতিকে পৌত্তলিকতার
বন্ধন মুক্ত করে একত্ববাদের শীতল
ছায়ায় স্থান দান করেছেন।
এখানে আল্লাহ যা ইচ্ছা করেছিলেন তাই
হয়েছে। তবে তা হয়েছে বিশ্বের একজন
যুবকের মাধ্যমে। যুবক
নিজেকে শাহাদাতের মর্যাদায় সমাসীন
করেছে তার একটি জাতি তার
শাহাদাতের বরকতে একত্ববাদের
প্রতি সমর্থন দিয়ে সর্ণোজ্জ্বল
ইতিহাস সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছে।
আজকের যুবকগণ কি ইতিহাসের মহান
এই যুবক ভাইয়ের জীবনকে স্মরণ
করে? আজকের যুবকরা কি পারে না যুব
সমাজের ইতিহাসকে কলঙ্কমুক্ত
রাখতে?
জুলুমের পরিণাম
সদাচরণ ও ন্যায়ের পরিণাম হয় শুভ ও
সুফলদায়ী। পক্ষান্তরে কুফরী ও
জুলুমের পরিণাম হয় অধঃপতন
এবং ধ্বংস। প্রকৃতির এই বিধানের
কোন ব্যতিক্রম নেই। কিন্তু ক্ষমতা,
বস্তু ও জড়বাদের মোহ মানুষকে এই
সত্য অনুধাবনে অন্ধ ও উন্মাদ
করে তোলে। আল্লাহ পাকের ওলী ও
ওলামা-মাশায়েখদের সাথে এক শ্রেণীর
অভিশপ্ত ও হতভাগ্য লোক
বেয়াদবীমূলক আচরণ
করে নিজেদেরকে ধ্বংস করে থাকে।
যখন তাদের উপর আল্লাহ পাকের
কঠোর আজাব নাযিল হয় তখন আর
তাদের কোন উপায় থাকে না।
না আসে কেউ তাদেরকে সাহায্য করতে,
না তাদের ক্ষমতা, অর্থ-সম্পদ
তাদেরকে রক্ষা করতে পারে। এই
যুবককে কেন্দ্র করেও আল্লাহ পাকের
সেই বিধান কার্যকর হয়েছে।
ফলে কেবল বাদশাই নয়, বরং তার রাজ
পরিষদ সহ সমস্ত আপনজন স্বীয়
হস্তে তৈরী অগ্নিতে জ্বলে-পুড়ে ধ্বংস
হয়েছে। আল্লাহ পাক তার প্রিয়
বান্দাদের প্রতি নির্যাতনকারীদের
থেকে এভাবেই প্রতিশোধ গ্রহণ
করে থাকেন। এজন্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ভাইয়ের
জন্য কূপ খনন করে যে, সে নিজেই সেই
কূপে পড়ে ধ্বংস হয়।
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
Next দুই যুবক যায়েদ ইবনে হারিসা (রাযি.)
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন