রাসূলের প্রতি ওহী - জেহাদে অংশগ্রহণ

কোন মন্তব্য নেই
রাসূলের প্রতি ওহী
হযরত জিবরীল রাসূলকে জানালেন যে,
আপনি যায়েদকে তালাক প্রদানের
অনুমতি দিন এবং যয়নবকে নিজের
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করুন। সমাজের
লোকদের মধ্যে এ সত্য প্রতিষ্ঠা করুন
যে-
ক)যায়েদ আপনার প্রকৃত পুত্র নয়।
সে আপনার অনুগত একজন
বিশ্বাসী উম্মত। তার
পিতা হচ্ছে হারিসা। সুতরাং তাকে যায়েদ
ইবনে মুহাম্মদের স্থলে যায়েদ
ইবনে হারিসাই ডাকতে হবে। পালিত
হিসেবে সে আপনার অত্যন্ত আপন
বটে, তার ত্যাগ-
তিতীক্ষা অনস্বীকার্য, কিন্তু তবুও
সে আপনার পুত্র নয়। পিতা-পুত্রের
বিধান এতে প্রযোজ্য নয়।
খ)আরবে পালক পুত্র বধুকে ঔরসজাত
পুত্র বধুর মতই মনে করা হতো। এই
কুপ্রথার
অবসানকল্পে আপনি যয়নবকে বিবাহ
করুন। এটাই আল্লাহ পাকের চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত। সে সিদ্ধান্তই আল্লাহর
রাসূল কার্যকর করেন।
এতে কারো কোন সমালোচনায়
তিনি বিব্রত হন নাই।
জেহাদে অংশগ্রহণ
যুবক যায়েদ ছিলেন বীর পুরুষ, অত্যন্ত
সাহসী। রাসূলে পাকের সাথে একাধিক
যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। বেশ
কিছু যুদ্ধে রাসূলে পাক তাকে সিপাহ
সালার দায়িত্বে নিযুক্ত করেন। হযরত
ইবনুল আকওয়া বলেন, রাসূল কর্তৃক
নিয়োজিত সিপাহসালার যায়েদ
ইবনে হারিসার
নেতৃত্বে আমি নয়টি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ
করেছি। হযরত আয়েশা বলেন,
যায়েদকে যুদ্ধে পাঠালে রাসূল তাকেই
সিপাহসালার দায়িত্ব দিতেন। যুবক
যায়েদ যেমন ছিলেন সাহসী বীর পুরুষ,
যুদ্ধ বিষয়ে পারদর্শী, কৌশলী,
তেমনি ছিলেন আল্লাহর রাসূলের
অত্যন্ত বিশ্বস্ত। তাই রাসূল তাকেই
সাধারণত আমীর হিসেবে নিয়োগ
করতেন। মুসলিম উম্মাহর প্রতি তার
অবদান অপরিসীম। আল্লাহ পাক
তাকে উপযুক্ত প্রতিদানে ভূষিত
করুন।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
Next মুতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ - যায়েদের শাহাদাত বরণ

কোন মন্তব্য নেই :