গর্হিত প্রথার অবসান - যয়নবের তালাক

কোন মন্তব্য নেই
গর্হিত প্রথার অবসান
যায়েদ ইবনে মুহাম্মদ তখন পূর্ণ যুবক।
তাই বিশ্ব রাসূল তার বিবাহ সংক্রান্ত
ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করেন। যায়েদ
তো এখন সাধারণ যুবক নয়,
তিনি আল্লাহ ও রাসূলের
প্রতি আনুগত্যের নজীরবিহীন
দৃষ্টান্ত কায়েম করেছেন। যখন
তায়েফবাসীরা শ্রেষ্ঠ নবীর মুবারক
দেহ প্রস্তরঘাতে রক্তাক্ত
করে দিয়েছিল, যুবক যায়েদ তখন নবীর
পাশে দাঁড়িয়ে জীবন-মরণের
ঝুঁকি নিয়ে নিজের দেহ
দিয়ে প্রতিরোধের প্রাচীর
তৈরী করেছেন। তিনি ইবনে মুহাম্মদ
হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। কিন্তু
তখনকার আরবরা ছিল মূর্খ জাতি।
বংশীয় গৌরব এবং ভৌগোলিক
জাতীয়তায় বিশ্বাসী। তারা একজন
কৃতদাসের কাছে স্বীয় কন্যা বিবাহ
দিতে প্রস্তুত নয়। রাসূলে পাক
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরব
জাতীয়তার এই ঘৃণ্য বংশীয় আভিজাত্য
দূরীভূত করণে ব্রতী হন এবং স্বীয়
ফুফাতো বোন জয়নবকে যায়েদের
কাছে বিবাহ দিয়ে এই কুপ্রথার অবসান
ঘটান।
যয়নবের তালাক
কিন্তু আল্লাহর হেকমত কে বুঝে? তার
কর্মকাণ্ডের পিছনে থাকে গভীর
রহস্য। তাই যয়নব ও যায়েদের
মাঝে বনিবনা হয় না।
একে অপরকে কিছুতেই বরণ
করে নিতে পারে না। আল্লাহ পাক স্বীয়
ইচ্ছা কার্যকর করতে চান। যায়েদের
মনে যয়নবকে তালাক দেয়ার
ইচ্ছা তীব্র হয়ে ওঠে। তিনি রাসূলের
নিকট স্বীয় ইচ্ছার বিষয়
সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন। কিন্তু
রাসূলে পাক স্বামী-
স্ত্রী উভয়কে পরস্পরের
প্রতি সহানুভূতিশীল
এবং সংযমী হতে নসীহত করেন। আর
সেই মুহূর্তে হযরত জিবরীলের আগমন
হয়।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next রাসূলের প্রতি ওহী - জেহাদে অংশগ্রহণ

কোন মন্তব্য নেই :