ইবনে হারুনের কারামত - বিদায়ের করুণ চিত্র
মাসআলাইবনে হারুনের কারামত
যুবক ইবনে হারুন পিতার নসীহত শ্রবণ
করতঃ সাথে সাথে কোন উক্তি করল
না।
বরং সভা কক্ষে একটি পাখি উপবিষ্ট
দেখে পাখিটিকে সম্বোধন
করে বললঃ ‘হে পাখি!
তোমাকে যিনি সৃষ্টি করেছেন, তার
বরাত দিয়ে আমি বলছি, তুমি আমার
হাতে এসে বসে যাও।’ বলার
সাথে সাথে পাখিটি এসে হাতে বসে যায়।
অতঃপর সে আবার বলল, ‘তোমার
পূর্বের স্থানে ফিরে যাও।’ বলার
সাথে সাথে পাখিটি যথাস্থানে ফিরে গেল।
পিতাকে নসীহত
এই কারামত সংঘটিত হওয়ার পর যুবক
ইবনে হারুন পিতাকে বললঃ হে আমার
শ্রদ্ধেয় পিতা! আমি আপনার জন্য
কোন লজ্জার কারণ নই,
বরং বলতে গেলে আপনার
রাজ্যশক্তি এবং বস্তুর
প্রতি আপনার আকর্ষন আমার জন্য
লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই
আমি আপনার কাছ
থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন
হয়ে যাওয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করেছি। এই বলে সভাকক্ষ থেকে যুবক
ইবনে হারুন বের হয়ে যায়।
বিদায়ের করুণ চিত্র
বাদশার সভাকক্ষ থেকে বের
হয়ে এসে মা-জননীর নিকট থেকে সে চির
বিদায় গ্রহণ করে। পথের সম্বল
হিসেবে একটি কুরআন শরীফ বুকে ধারণ
করে নেয়। সন্তানের এই
অবস্থা দেখে মা-জননী ভরাক্রান্ত
হয়ে পড়েন। বাড়ী-ঘর, রাজপ্রাসাদ,
আত্মীয়-স্বজন সবকিছু পরিত্যাগ
করে আপনার সন্তানের নিরুদ্দেশ
যাত্রার বেদনায় ব্যাকুল
হয়ে উঠে মায়ের মন। তবে যাওয়ার
পথে মূল্যবান একটি আংটি সন্তানের
হাতে তুলে দিয়ে মা বলেন, তোমার
যে কোন
প্রয়োজনে আংটিটি বিক্রি করে খরচ
করো। অশ্র“সিক্ত মা-জননীর
দেয়া আংটিটি ফেরত
না দিয়ে শ্রদ্ধা ভরে গ্রহণ
করতঃ ইবনে হারুন রাজপ্রাসাদ
থেকে চির বিদায় গ্রহণ করে।
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
Next যুবকের অছীয়ত - বাদশাহ হারুনের পথযাত্রা - পুত্রের মৃত্যু সংবাদ
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন