যুবকের মৃত্যু - যুবকদের জন্য পাথেয়

কোন মন্তব্য নেই
যুবকের মৃত্যু
ইবনে যায়েদ বলেন, “ঘুম থেকে জাগ্রত
হয়ে আমি দেখি, যুবকের মৃত্যু ঘটেছে।
তার মৃত্যুতে আমি অত্যন্ত কাতর
হয়ে পড়ি। আল্লাহর ইচ্ছাকে চূড়ান্ত
মনে করে যুবকের কাফন-দাফনের কাজ
সমাধা করতঃ তার জন্য আল্লাহ
পাকের মহান দরবারে মুনাজাত করি।
মনে মনে চিন্তা করি,
কতইনা ভাগ্যবান এই যুবক,
সে আল্লাহর কতই না প্রিয়! ঈমান
আমলের জন্য মহান রাব্বুল আলামীন
যাকে ইচ্ছা করেন এভাবেই তার
হেদায়েত ও নাযাতের
ব্যবস্থা করে থাকেন।
স্বপ্ন সংবাদ
নবুওয়াতের ধারাবাহিকতা শেষ হয়েছে,
কিন্তু স্বপ্নযোগে সুসংবাদ দানের
ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে। এরই
নমুনা স্বরূপ ইবনে যায়েদ নও-মুসলিম
যুবক সম্পর্কে অবহিত হতে সক্ষম
হন। কাফন-দাফন সমাধা করে তিন
স্বপ্নে ঐ যুবককে সেই উদ্যানের
মনোরম প্রসাদে অপূর্ব সেই রূপসীর
সাথে সিংহাসনে বসে পবিত্র কুরআনের
এই আয়াতটি তেলাওয়াতরত
দেখতে পান ঃ
ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﻮﻓﻮﻥ ﺑﻌﻬﺪ ﺍﻟﻠﻪ
ﻭﻻﻳﻨﻘﻀﻮﻥ ﺍﻟﻤﻴﺜﺎﻕ
অর্থঃ বুদ্ধিমান তারা, যারা আল্লাহর
সঙ্গে কৃত ওয়াদা পূর্ণ
করে এবং প্রতিশ্র“তি ভঙ্গ করে না।
জান্নাতীদের প্রতি সালাম
যারা স্থাপিত সম্পর্ক বজায় রাখে,
স্বীয় প্রভূকে ভয় করে, কঠোর
হিসাবের আশংকা করে, স্বীয় প্রভূর
সন্তুষ্টি কামনায় ধৈর্য্য ধারণ করে,
নামায কায়েক করে, আল্লাহর
দেয়া সম্পদ থেকে কিছু অংশ
গোপনে এবং প্রকাশ্যে দান করে,
মন্দের বিপরীতে শুভ আচরণ করে,
তাদের জন্য রয়েছে পরকালের
শান্তিদায়ক বাসস্থান, বসবাসের জন্য
জান্নাত। তাতে তারা মাতা-পিতা,
দাদা-দাদী, স্বামী-স্ত্রী, পরিবার-
পরিজন সহ প্রবেশ করবে।
তাদেরকে প্রত্যেক
দরজা দিয়ে ফেরেশতাগণ
অভ্যর্থনা জানিয়ে বলবেÑ
“আপনাদের প্রতি আমাদের ধর্ম
পালনের প্রতিদান স্বরূপ
শান্তি বর্ষিত হোক। আপনাদের
বাসস্থান কতইনা সুন্দর! আপনাদের
প্রতি সালাম।”
যুবকদের জন্য পাথেয়
হে যুব সমাজ! মহান দয়াময় ক্ষমাশীল
রাব্বুল আলামীনের করুণা ও তার
কুদরতের খেলা অবলোকন কর।
একটি যুবকের পুরো জীবন
মূর্তিপূজা করে কেটেছে। তার হেদায়েত
ও নাযাতের জন্য দয়াময় প্রভু
তুফানের মাধ্যমে যুগের বিশিষ্ট বুযুর্গ
ইবনে যায়েদকে কিভাবে সেখানে পৌঁছালেন
, আর কিরূপে যুবকের প্রতি স্বীয়
রহমত নাযিল করে ঈমান-আমলের
দ্বারা সৌভাগ্যশীল করে স্বীয়
দরবারে ডেকে নিলেন। আল্লাহ পাক
যাকে ইচ্ছা করেন এভাবেই হেদায়েত
দিয়ে তার অন্তরের চক্ষু খলে দেন।
তিনি যাকে স্বীয় মারিফাত দিতে চান,
সেখানে বাধা দেয়ার কেউ থাকে না। আর
যাকে দিতে চান না, তাকে দেয়ার কেউ
নেই। সুতরাং নও-মুসলিম যুবকের জীবন
থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর, ধোঁকার
আবরণ ছিড়ে ফেলে দাও। দয়াময় প্রভুর
কুদরতী চরণে নতশীর হও। তওবা কর,
ক্ষমাপ্রার্থী হও। এতে ধন্য
হবে তোমার জীবন ইহকালেও
এবং পরকালেও। তোমাদের জীবন
হবে মুসলিম যুবকদের জন্য পাথেয়।
আল্লাহ পাক তোমাদেরকে তাওফীক দান
করুন। আমীন।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
Next post সাত. যুবকটি খৃষ্টান ছিল

কোন মন্তব্য নেই :