এতেকাফ তাৎপর্য, উদ্দেশ্য ও বিধান 3

কোন মন্তব্য নেই
* এতেকাফের জন্য
মুসলমান হওয়া শর্ত।
কেননা কাফেরের
ইবাদত গ্রহণযোগ্য হয়
না।
*
এতেকাফকারীকে বোধশক্তিসম্পন্ন
হতে হবে, কেননা
নির্বোধ ব্যক্তির
কাজের কোনো উদ্দেশ্য
থাকে না, আর উদ্দেশ্য
ব্যতীত কাজ শুদ্ধ
হতে পারে না।
* ভালো-মন্দ
পার্থক্য করার জ্ঞান
থাকতে হবে,
কেননা কম বয়সী,
যে ভাল-মন্দের
পার্থক্য
করতে পারে না, তার
নিয়তও শুদ্ধ হয় না।
* এতেকাফের নিয়ত
করতে হবে,
কেননা মসজিদে অবস্থান
হয়তো এতেকাফের
নিয়তে হবে অথবা অন্য
কোনো নিয়তে। আর
এ দুটোর
মধ্যে পার্থক্য করার
জন্য নিয়তের
প্রয়োজন।
উপরুন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামতো বলেছেন :
ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻷﻋﻤﺎﻝ ﺑﺎﻟﻨﻴﺎﺕ ، ﻭﺇﻧﻤﺎ
ﻟﻜﻞ ﺇﻣﺮﻱ ﻣﺎ ﻧﻮﻱ
) ﺑﺨﺎﺭﻱ :১ )
অর্থাৎ: প্রত্যেক কাজের
নির্ভরতা নিয়তের উপর,
যে যা নিয়ত করবে সে কেবল তাই
পাবে। ( বুখারি : ১)
* এতেকাফ অবস্থায় মহিলাদের
হায়েজ-নিফাস থেকে পবিত্র
থাকা জরুরি, কেননা এ অবস্থায়
মসজিদে অবস্থান করা হারাম, অবশ্য
এস্তেহাজা অবস্থায় এতেকাফ
করা বৈধ। আয়েশা রা. আনহা বলেন :
ﺍﻋﺘﻜﻔﺖ ﻣﻊ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻣﻦ
ﺃﺯﻭﺍﺟﻪ ﻣﺴﺘﺤﺎﺿﺔ ﻓﻜﺎﻧﺖ ﺗﺮﻱ
ﺍﻟﺤﻤﺮﺓ ﻭﺍﻟﺼﻔﺮﺓ ﻓﺮﺑﻤﺎ ﻭﺿﻌﻨﺎ
ﺍﻟﻄﺴﺖ ﺗﺤﺘﻬﺎ ﻭﻫﻲ ﺗﺼﻠﻲ.
) ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ : ২০৩৭)
অর্থাৎ: রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে তাঁর
স্ত্রী-গণের মধ্য হতে কেউ একজন
এতেকাফ করেছিলেন
এস্তেহাজা অবস্থায়। তিনি লাল ও
হলুদ রঙ্গের স্রাব দেখতে পাচ্ছিলেন,
আমরা কখনো তার নীচে পাত্র
রেখে দিয়েছি নামাজের সময়।
(বুখারি ২০৩৭)
এস্তেহাজাগ্রস্তদের সাথে অন্যান্য
বেধীগ্রস্তদেরকে মেলানো যায় ,
যেমন যার বহুমূত্র রোগ বিশিষ্ট
ব্যক্তি আছে, তবে শর্ত হল মসজিদ
যেন অপবিত্র না হয়।
* গোসল ফরজ হয় এমন ধরনের
অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হতে হবে।
অপবিত্র লোক মসজিদে অবস্থান
করা হারাম। যদিও কোন কোন আলেম
ওজু করার শর্তে মসজিদে অবস্থান
বৈধ বলেছেন। আর যদি অপবিত্রতা,
যৌন স্পর্শ অথবা স্বামী -স্ত্রীর
মিলনের ফলে হয়, তবে সকলের
মতে এতেকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে। আর
যদি স্বপ্নদোষের কারণে হয়,
তা হলে কারোর মতে এতেকাফ ভঙ্গ
হবে না। আর যদি হস্তমৈথুনের
কারণে হয় তা হলে সঠিক মত
অনুসারে এতেকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে।
* এতেকাফ মসজিদে হতে হবে :
এ ব্যাপারে সকল আলেম একমত
যে এতেকাফ মসজিদে হতে হবে, তবে
জামে মসজিদ হলে উত্তম
কেননা এমতাবস্থায় জুমার নামাজের
জন্য এতেকাফকারীকে মসজিদ
থেকে বের হতে হবে না।
মসজিদ থেকে বের হওয়ার বিধান
*
এতেকাফকারী যদি বিনা প্রয়োজনে মসজিদ
থেকে বের হয় তাহলে তার এতেকাফ
ভঙ্গ হয়ে যাবে।
* আর এতেকাফের স্থান
থেকে যদি মানবীয় প্রয়োজন
মিটানোর জন্য বের হয়
তাহলে এতেকাফ ভঙ্গ হবে না।
* মসজিদে থেকে পবিত্রতা অর্জন
সম্ভব না হলে মসজিদ থেকে বের
হওয়ার অনুমতি আছে।
* বাহক না থাকার
কারণে এতেকাফকারীকে
যদি পানাহারের প্রয়োজনে
বাইরে যেতে হয় অথবা মসজিদে খাবার
গ্রহণ করতে লজ্জা বোধ হয় , তবে
এরূপ প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার
অনুমতি আছে।
*
যে মসজিদে এতেকাফে বসেছে সেখানে জুমার
নামাজের ব্যবস্থা না থাকলে জুমার
নামাজ আদায়ের প্রয়োজনে মসজিদ
থেকে বের হওয়া ওয়াজিব,
এবং আগে ভাগেই রওয়ানা হওয়া তার
জন্য মুস্তাহাব ।
* ওজরের
কারণে এতেকাফকারী মসজিদ
থেকে বের হতে পারে। ছাফিয়্যা রা.
থেকে বর্ণিত হাদিস এর প্রমাণ :
ﺃﻧﻬﺎ ﺟﺎﺀﺕ ﺇﻟﻲ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺗﺰﻭﺭﻩ
ﻓﻲ ﺍﻋﺘﻜﺎﻓﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻓﻲ
ﺍﻟﻌﺸﺮ ﺍﻷﻭﺍﺧﺮ ﻣﻦ ﺭﻣﻀﺎﻥ
ﻓﺘﺤﺪﺛﺖ ﻋﻨﺪﻩ ﺳﺎﻋﺔ ﺛﻢ ﻗﺎﻣﺖ
ﺗﻨﻘﻠﺐ ﻓﻘﺎﻡ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﻌﻬﺎ ﻳﻘﻠﺒﻬﺎ.
)ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ :২০৩৫)
অর্থাৎ : ছাফিয়্যা রা.
আনহা রমজানের শেষ
দশকে এতেকাফস্থলে রসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
সাথে সাক্ষাৎ করতে এলেন।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের
সাথে কতক্ষণ কথা বললেন, অতঃপর
যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাকে বিদায়
দিতে উঠে দাঁড়ালেন। (বুখারি :
২০৩৫)
* কোন নেকির কাজ করার জন্য
এতেকাফকারীর মসজিদ থেকে বের
হওয়া বৈধ নয়। যেমন
রোগী দেখতে যাওয়া, জানাজায়
উপস্থিত হওয়া ইত্যাদি। এ
মর্মে আয়শা রা. আনহা বলেন:
ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻤﻌﺘﻜﻒ ﺃﻥ ﻻ
ﻳﻌﻮﺩ ﻣﺮﻳﻀﺎ ﻭﻻ ﻳﺸﻬﺪ ﺟﻨﺎﺯﺓ
ﻭﻻ ﻳﻤﺲ ﺇﻣﺮﺃﺓ ﻭﻻ ﻳﺒﺎﺷﺮﻫﺎ
ﻭﻻ ﻳﺨﺮﺝ ﻟﺤﺎﺟﺔ ﺇﻻ ﻟﻤﺎ ﻻ ﺑﺪ
ﻣﻨﻪ ) ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ : ২৪৭৩)
এতেকাফকারীর জন্য সুন্নত হল,
সে রোগী দেখতে যাবে না, জানাযায়
উপস্থিত হবে না, স্ত্রীকে স্পর্শ
করবে না ও তার সাথে কামাচার
থেকে বিরত থাকবে
এবং অতি প্রয়োজন ব্যতীত মসজিদ
থেকে বের হবে না। (আবু দাউদ,
হাদিস নং ২৪৭৩)

* এতেকাফ-বিরুদ্ধ কোন কাজের
জন্য এতেকাফকারীর মসজিদ
থেকে বের হওয়া বৈধ নয়, যেমন
ক্রয়-বিক্রয়, স্বামী-স্ত্রীর মিলন
ইত্যাদি।
এতেকাফকারীর জন্য যা কিছু
বিধিবদ্ধ
* ইবাদত আদায়, যেমন নামাজ,
কুরআন তিলাওয়াত, জিকির ও
দোয়া ইত্যাদি। কেননা এতেকাফের
উদ্দেশ্য হল আল্লাহ তা’আলার
সমীপে অন্তরের একাগ্রতা নিবেদন
করা এবং তাঁর প্রতি আকৃষ্ট
হওয়া যা উপরোক্ত ইবাদত আদায়
ছাড়া সম্ভব নয়।
অনুরূপভাবে যেসব ইবাদতের প্রভাব
অন্যদের পর্যন্ত পৌঁছায় যেমন
সালামের উত্তর দেওয়া, সৎ কাজের
আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে বারণ,
প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, পথ দেখানো,
ইলম শিক্ষা দেওয়া কুরআন
পড়ানো ইত্যাদিও করতে পারবে।
কিন্তু শর্ত হল এগুলো যেন এত
বেশি না হয় যে এতেকাফের মূল
উদ্দেশই ছুটে যায়।
* এতেকাফকারীর জন্য মুস্তাহাব হল
তার এতেকাফের স্থানে কোন কিছু
দ্বারা পর্দা করে নেয়া। কেননা রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তুর্কি গম্বুজের ভিতরে এতেকাফ
করেছেন যার দরজায় ছিল চাটাই।
ﺍﻋﺘﻜﻒ ﻓﻲ ﻗﺒﺔ ﺗﺮﻛﻴﺔ ﻋﻠﻲ
ﺳﺪﺗﻬﺎ ﺣﺼﻴﺮ ) ﻣﺴﻠﻢ :
১১৬৭)
* এতেকাফকারী তার প্রয়োজনীয়
জিনিস-পত্র সঙ্গে নেবেযাতে নিজের
প্রয়োজনে তাকে বার বার মসজিদের
বাইরে যেতে না হয়; আবু সাইদ
খুদরি রাদি আল্লাহু আনহুর
হাদিসে এসেছে , তিনি বলেন:
ﺍﻋﺘﻜﻔﻨﺎ ﻣﻊ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﻌﺸﺮ
ﺍﻷﻭﺳﻂ ﻓﻠﻤﺎ ﻛﺎﻥ ﺻﺒﻴﺤﺔ
ﻋﺸﺮﻳﻦ ﻧﻘﻠﻨﺎ ﻣﺘﺎﻋﻨﺎ، ﻓﺄﺗﺎﻧﺎ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻘﺎﻝ: ﻣﻦ ﺍﻋﺘﻜﻒ
ﻓﻠﻴﺮﺟﻊ ﺇﻟﻲ ﻣﻌﺘﻜﻔﻪ
) ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ :২০৪০)
অর্থাৎ: আমরা রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
সাথে রমজানের মাঝের
দশকে এতেকাফ করলাম, যখন বিশ
তারিখ সকাল হল আমরা আমাদের
বিছানা-পত্র সরিয়ে নিলাম, তখন
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসে বললেন:
যে এতেকাফ করেছে সে তার
এতেকাফের স্থানে ফিরে যাবে ।
( বুখারি : ২০৪০)
এতেকাফকারীর জন্য যা অনুমোদিত
* এতেকাফকারীর জন্য
মসজিদে পানাহার ও ঘুমানোর
অনুমতি আছে। এ ব্যাপারে সকল
ইমামদের ঐক্যমত রয়েছে। তবে এ
ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত;
কেননা আল্লাহর
প্রতি একাগ্রচিত্ত
এবং একনিষ্ঠভাবে মনোনিবেশের
জন্য কম খাওয়া কম ঘুমানো সহায়ক
বলে বিবেচিত।
* গোসল করা, চুল আঁচড়ানো, তেল ও
সুগন্ধি ব্যবহার, ভাল পোশাক পরা, এ
সবের অনুমতি আছে। আয়েশা রা.
আনহার হাদিসে এসেছে :
ﺃﻧﻬﺎ ﻛﺎﻧﺖ ﺗﺮﺟﻞ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﻫﻲ ﺣﺎﺋﺾ
ﻭﻫﻮ ﻣﻌﺘﻜﻒ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ
ﻭﻫﻲ ﻓﻲ ﺣﺠﺮﺗﻬﺎ ﻳﻨﺎﻭﻟﻬﺎ
ﺭﺃﺳﻪ ( ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ : ২০৪৬)
অর্থাৎ: তিনি মাসিক অবস্থায়
নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাথার কেশ
বিন্যাস করে দিতেন, যখন রসুল
মসজিদে এতেকাফরত অবস্থায়
থাকতেন, আয়েশা রা. তার
কক্ষে থাকা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
মাথার নাগাল পেতেন। [বুখারি :
২০৪৬]
* এতেকাফকারীর পরিবার তার
সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে,
কথা বলতে পারবে,
কেননা নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীগণ
এতেকাফকালীন তার সাথে সাক্ষাৎ
করতেন। কিন্তু সাক্ষাৎ দীর্ঘ
না হওয়া বাঞ্ছনীয়।
এতেকাফকারী যা থেকে বিরত থাকবে
* ওজর ছাড়া এতেকাফকারী এমন
কোন কাজ
করবে না যা এতেকাফকে ভঙ্গ
করে দেয়, আল্লাহ তা-আলা বলেন,
(ﻭﻻ ﺗﺒﻄﻠﻮﺍ ﺃﻋﻤﺎﻟﻜﻢ)
অর্থাৎ : তোমরা তোমাদের
কাজসমুহকে নষ্ট করো না।
* ঐ সকল কাজ যা এতেকাফের
উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে, যেমন
বেশি কথা বলা, বেশি মেলামেশা করা,
অধিক ঘুমানো, ইবাদতের
সময়কে কাজে না লাগানো ইত্যাদি।
*
এতেকাফকারী মসজিদে অবস্থানকালে ক্রয়-
বিক্রয় করবে না,
কেননা নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে ক্রয়-
বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।
( মুসনাদে আহমদ : ৬৯৯১)
ﻧﻬﻲ ﻋﻦ ﺍﻟﺒﻴﻊ ﻭﺍﻻﺷﺘﺮﺍﺀ ﻓﻲ
ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ )ﺍﻟﻤﺴﻨﺪ ﻷﺣﻤﺪ :
৬৯৯১)
এমনিভাবে যা ক্রয় বিক্রয়ের কাজ
বলে বিবেচিত যেমন বিভিন্ন ধরনের
চুক্তিপত্র, ভাড়া, মুদারাবা,
মুশারাকা, বন্দক রাখা ইত্যাদি।
কিন্তু যদি মসজিদের বাহিরে এমন
ক্রয়-বিক্রয় হয়
যা ছাড়া এতেকাফকারীর সংসার
চলে না তবে তা বৈধ বলে বিবেচিত
হবে।
মসজিদে বায়ু ত্যাগ করা থেকে বিরত
থাকতে হবে। আনাস রা. আনহুর
হাদিসে এসেছে, যখন বেদুইন
লোকটি মসজিদে প্রস্রাব করেছিল
তখন রাসূল বলেছিলেন:
ﺇﻥ ﺍﻟﻤﺴﺎﺟﺪ ﻻ ﺗﺼﻠﺢ ﻟﺸﻴﺊ
ﻣﻦ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺒﻮﻝ ﻭﻻ ﺍﻟﻘﺬﺭ ﺇﻧﻤﺎ
ﻫﻲ ﻟﺬﻛﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ
ﻭﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ
) ﻣﺴﻠﻢ : ২৮৫)

অর্থাৎ: মসজিদ প্রস্রাব, ময়লা-
আবর্জনার উপযোগী নয়,
বরং মসজিদ অবশ্যই আল্লাহর
জিকির এবং নামাজ ও কুরআন
তিলাওয়াতের জন্য। (মুসলিম :
২৮৫)
* এতেকাফ অবস্থায় যৌন স্পর্শ
নিষেধ, এ ব্যাপারে সকল ওলামাদের
ঐকমত্য রয়েছে। তবে অধিকাংশ
ওলামাদের মতে বীর্যস্খলনের দ্বারাই
কেবল এতেকাফ ভঙ্গ হয়।
by quraneralo.com
Next post আপনি কিভাবে শয়তান থেকে বাঁচবেন?

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

কোন মন্তব্য নেই :