সূরা ফাতিহার ২১টি নাম।

কোন মন্তব্য নেই
সূরা ফাতেহার অনেক নাম রয়েছে। এই
নামগুলো সূরাটির ফজীলত ও মর্যাদার
প্রমাণ বাহক। কেননা কোন
জিনিষকে অধিক নাম দ্বারা নাম করণ
করলে তার বাড়তি মর্যাদার প্রমাণ
বহন করে থাকে। নিম্নে সুরা ফাতিহার
বেশ কিছু নাম উল্লেখ করা
হলঃ
1. ফাতিহাতুল ﻓﺎﺗﺤﺔ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ:
ফাতিহা অর্থ ভূমিকা বা শুরু। যেহেতু
ইহার মাধ্যমে নামায শুরু করা হয়
এবং যেহেতু কুরআন মযীদেরও
শুরুতে ইহা লিখিত হয়েছে, তাই
নবী (সাঃ) এটিকে ফাতিহাতুল কিতাব
হিসেবে নামকরণ করেছেন।
2. আস্ সাবউল মাছানী ﺍﻟﺴﺒﻊ
ﺍﻟﻤﺜﺎﻧﻲ
যেহেতু নামাযের প্রতিটি রাকআতে এই
সূরাটি বারবার পাঠ করা হয়, তাই
এটিকে সাবউল মাছানী বলা হয়।
মাছানী অর্থ দুই। তাই কেউ কেউ
বলেছেনঃ সূরাটি দুইবার নাযিল
হয়েছে বলে তাকে আস্ সাবউল
মাছানী ﺍﻟﺴﺒﻊ ﺍﻟﻤﺜﺎﻧﻲ বলা হয়।
3. উম্মুল কুরআন ﺃﻡ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ:
উম্ম অর্থ মূল। সূরা ফাতিহার
মধ্যে যেহেতু সমগ্র কুরআনের সারাংশ
বিদ্যমান তাই ইহাকে রাসূল (সাঃ)
উম্মুল কুরআন হিসেবে নামকরণ
করেছেন।
4.উম্মুল কিতাব ﺃﻡ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ:
রাসূল (সাঃ) এটিকে উম্মুল কিতাব
হিসেবে নামকরণ করেছেন। উম্মুল
কুরআন আর উম্মুল কিতাবের একই
অর্থ।
5. আল-কুরআনুল আযীম ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ
ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ:
রাসূল (সাঃ) বলেনঃ এটি হচ্ছে বারবার
পঠিতব্য সাতটি আয়াত এবং আল-
কুরআনুল আযীম। সমস্ত কুরআনের
মর্মার্থ যেহেতু
সংক্ষেপে এতে বিদ্যমান রয়েছে, তাই
এটিকে মহান কুরআন বলা হয়েছে।
6. ফাতিহাতুল কুরআন ﻓﺎﺗﺤﺔ
ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ:
ফাতিহাতুল কিতাব আর ফাতিহাতুল
কুরআন একই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
7. আল ওয়াফিয়া ﺍﻟﻮﺍﻓﻴﻪ:
সমস্ত কুরআনের অর্থ যেহেতু
ইহাতে পূর্ণরূপে বিদ্যমান তাই
ইহাকে ওয়াফিয়া বলা হয়েছে। সুফইয়ান
বিন উয়াইনা এই নামে নামকরণ
করেছেন।
8. আল-কাফিয়া (যথেষ্ট) ﺍﻟﻜﺎﻓﻴﻪ:
নামাযে যেহেতু শুধু
সূরা ফাতিহা পড়লে যথেষ্ট হয় আর
ইহা ব্যতীত অন্য সূরা দিয়ে যেহেতু
নামায পূর্ণ হয় না তাই
ইহাকে কাফিয়া বলা হয়।
9. আল-আসাস (মূল)ﺍﻷﺳﺎﺱ:
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত
একটি দীর্ঘ হাদীছে এই নামটি বর্ণিত
হয়েছে।
10. আশ্ শাফিয়া বা আশ্
শিফা ﺍﻟﺸﻔﺎﺀ ﺃﻭ ﺍﻟﺸﺎﻓﻴﺔ:
কেননা রাসূল (সাঃ)
বলেছেনঃ সূরা ফাতিহাতে রয়েছে প্রতিটি
বিষাক্ত সাঁপ-বিচ্ছুর কামড়ের
শিফা বা আরোগ্য।
11. সূরাতুল হামদ্ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺤﻤﺪ:
যেহেতু এই সূরার প্রথমেই আলহামদ
শব্দটি এসেছে, তাই একে সূরাতুল হামদ
বলা হয়।
12. আস্ সালাহ ﺍﻟﺼﻼﺓ:
হাদীছে কুদসীতে এসেছে, আল্লাহ
তাআলা বলেনঃ আমি নামাযকে বান্দা
এবং আমার মাঝে দুইভাগে ভিক্ত
করেছি। এখানে নামায দ্বারা উদ্দেশ্য
হচ্ছে সূরা ফাতিহা।
13. আর্ রুকইয়াহ ﺍﻟﺮﻗﻴﺔ(ঝাড়-
ফুঁকের সূরা):
যেহেতু এই সূরা দিয়ে ঝাঢ়ফুঁক করা হয়
তাই রাসূল (সাঃ) একে এই
নামে নামকরণ করেছেন।
14. সূরাতুস শুকর ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺸﻜﺮ:
কেননা এতে আল্লাহর
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।
15. দুআর সূরা ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ:
কেননা এতে রয়েছে আল্লাহর
কাছে দুআ। ﺍﻫﺪﻧﺎ ﺍﻟﺼﺮﺍﻁ
ﺍﻟﻤﺴﺘﻘﻴﻢ শেষ পর্যন্ত।
16. সূরাতুস সুওয়ালﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺴﺆﺍﻝ.
যেহেতু এই সূরায় বান্দার
প্রার্থনা বিদ্যমান, তাই এই
সূরাকে প্রার্থনার সূরা বলা হয়।
17. প্রার্থনার শিক্ষার কৌশল
শিক্ষার সূরা ﺳﻮﺭﺓ ﺗﻌﻠﻴﻢ
ﺍﻟﻤﺴﺄﻟﺔ:
ইমাম
সুয়ুতী বলেনঃ এতে প্রার্থনা করার
আদব বর্ণিত হয়েছে।
18. সূরাতুল মুনাজাত ﺳﻮﺭﺓ
ﺍﻟﻤﻨﺎﺟﺎﺓ:
কেননা বান্দা এতে আল্লাহর
সাথে মুনাজাত করে থাকে।
(গাপনভাবে কথা বলে)
19. সূরাতু তাফভীয ﺳﻮﺭﺓ
ﺍﻟﺘﻔﻮﻳﺾ:
কেননা বান্দা এটি পাঠ করার
মাধ্যমে নিজেকে আল্লাহর
দরবারে সোপর্দ করে দেন।
20. সূরাতুন নূর ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻨﻮﺭ
21. সূরাতুল কানজ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻜﻨﺰ:
রাসূল (সাঃ) এটিকে আরশের গুপ্ত
ধনসমূহ থেকে একটি গুপ্ত ধন
হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তথ্য সূত্রঃ আল-ইতকানু ফি-উলুমিল
কুরআন ( ﺍﻹﺗﻘﺎﻥ ﻓﻲ ﻋﻠﻮﻡ
ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ)

এরপর পড়ুন 55) সূরা আর রহমান (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত সংখ্যা 78[বাংলা অর্থ সহ]
প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল Syed Ru߀£ব্লগের প্রকাশিত পোস্ট গুলি ফেসবুকে শেয়ার করে আমাদের চলার পথকে আরো গতিময় করে তুলুন । আমরা দিন রাত খাটিয়ে পোস্ট গুলি লেখি । ব্লগে প্রকাশ করে আপনাদেরকে উপহার দেয় । আপনারা যদি শেয়ার না করেন?তাহলে আমরা তো সামনে এগিয়ে যেতে পারবোনা । আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । সাথে থাকুন সব সময় । আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :