নবী (সাঃ)এর কাছে শাফাআত চাওয়ার ব্যাপারে বিন বাযের একটি ফতোয়া।

কোন মন্তব্য নেই
নবী (সাঃ)এর কাছে শাফাআত চাওয়ার
ব্যাপারে বিন বাযের একটি ফতোয়া।
সকল ব্লগার ও ভিজিটর
ভাইদেরকে পড়ার অনুরোধ করছি।
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ
উলামা কাউন্সিলের ততকালিন প্রধান
ও মুফতী শাইখ আব্দুল আযীয বিন
বাযের নিকট প্রশ্ন করা হয়েছিল যে,
অনেক মানুষ বলে থাকেঃ হে মুহাম্মাদ!
আপনার শাফাআত চাই।
এটি কি শির্ক?
উত্তরে শাইখ বিন বায বলেনঃ
নবী (সাঃ) এবং অন্যান্য মৃত ব্যক্তির
কাছে শাফাআত চাওয়া বৈধ নয়।
জ্ঞানীদের নিকট ইহা শির্ক। কারণ
মারা যাওয়ার পর তিনি কোন কিছুর
মালিক নন। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
ﻗُﻞ ﻟِّﻠَّﻪِ ﺍﻟﺸَّﻔَﺎﻋَﺔُ ﺟَﻤِﻴﻌًﺎ
হে নবী আপনি বলুনঃ সকল শাফাআত
আল্লাহর অধিকারভুক্ত।
সুতরাং শাফাআত হচ্ছে আল্লাহর
মালিকানাধীন। নবী (সাঃ) বা অন্য
কেউ মারা যাওয়ার পর জীবিত কারও
জন্য শাফাআত করা, দুআ
করা বা অন্য কিছুর ক্ষমতা রাখেন
না। রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
ﺇِﺫَﺍ ﻣَﺎﺕَ ﺍﻟْﺈِﻧْﺴَﺎﻥُ ﺍﻧْﻘَﻄَﻊَ ﻋَﻨْﻪُ
ﻋَﻤَﻠُﻪُ ﺇِﻟَّﺎ ﻣِﻦْ ﺛَﻠَﺎﺛَﺔٍ ﺇِﻟَّﺎ ﻣِﻦْ ﺻَﺪَﻗَﺔٍ
ﺟَﺎﺭِﻳَﺔٍ ﺃَﻭْ ﻋِﻠْﻢٍ ﻳُﻨْﺘَﻔَﻊُ ﺑِﻪِ ﺃَﻭْ ﻭَﻟَﺪٍ
ﺻَﺎﻟِﺢٍ ﻳَﺪْﻋُﻮ ﻟَﻪُ
মানুষ যখন মৃত্যু বরণ করে তখন
তিনটি আমল ব্যতীত সমস্ত আমল
বন্ধ হয়ে যায়। আমল তিনটি হচ্ছে, ১)
ছাদাকায়ে জারিয়া ২)
উপকারী বিদ্যা ও ৩) সৎ সন্তান
যে তার জন্য দু’আ করে।”
(মুসলিম, অধ্যায়: অসীয়ত, অনুচ্ছেদ:
মৃত্যুর পর মানুষ যার ছওয়াব পায়। হা/
৩০৮৪)
নবী (সাঃ)এর মৃত্যুর পর কেউ তাঁর
উপর সালাত ও সালাম পেশ করলে তাঁর
কাছে পেশ করা হয়। তিনি বলেনঃ
ﺻﻠﻮﺍ ﻋﻠﻲَّ ﻓﺈﻥ ﺻﻼﺗﻜﻢ ﺗﺒﻠﻐﻨﻲ
ﺣﻴﺚ ﻛﻨﺘﻢ
তোমরা আমার উপর সালাত পেশ কর।
কেননা তোমরা যেখানে থেকেই আমার
উপর সালাত পেশ করবে, তা আমার
কাছে পৌঁছে থাকে।
আর যেই হাদীছে বলা হয়েছে যে, বান্দার
আমলসমূহ তাঁর নিকট পেশ করা হয়
এবং ভাল হলে তিনি আল্লাহর
প্রশংসা করেন এবং খারাপ
হলে আমাদের জন্য
ক্ষমা প্রার্থনা করেন সেই
হাদীছটি যঈফ, যা নবী (সাঃ) থেকে সহীহ
সূত্রে প্রমাণিত নয়।
আর যদিও সহীহ হয়, তাতে এটা পমাণিত
হয় না যে, আমরা তাঁর নিকট শাফাআত
চাইবো।
সার কথা হচ্ছে, নবী (সাঃ)
এবং অন্যান্য মৃত ব্যক্তির
কাছে শাফাআত চাওয়া বৈধ নয়।
শরীয়তের
মূলনীতি অনুযায়ী তা শির্কে আকবার।
কেননা তা মৃতের কাছে এমন জিনিষ
চাওয়ার অন্তর্ভূক্ত,
যাতে তিনি ক্ষমতাবান নন।
এমনিভাবে কেউ যদি তাঁর কাছে রোগীর
আরোগ্যতা চায়, শত্রুর উপর জয়লাভ
করার জন্য সাহায্য চায়
অথবা বিপদগ্রস্তকে উদ্ধার করার
ফরিয়াদ করে বা অনুরূপ কিছু
প্রার্থনা করে তাও শির্কে পরিণত
হবে। এই সবগুলোই বড় শির্কের
প্রকারভুক্ত।
এ সমস্ত জিনিষ নবী (সাঃ)এর
কাছে চাইলেও শির্ক হবে, শাইখ আব্দুল
কাদের জিলানীর কাছে চাইলেও শির্ক
হবে। সায়্যেদ বদভীর কাছে চাইলেও
শির্ক, ইমাম হুসাইনের কাছে চাইলেও
শির্ক বা অন্য কারও কাছে চাইলেও
শির্ক হবে। এতে কোন পার্থক্য নেই।
মৃত ব্যক্তির কাছে কোন কিছু
চাওয়া নাজায়েয এবং তা শির্কের
আওতাভুক্ত।
সঠিক কথা হচ্ছে, মৃত
ব্যক্তি যদি মুসলিম হয়, তবে তার
জন্য রহমত ও মাগফেরাতের দুআ
করতে হবে।
নবী (সাঃ)এর উপর কোন মুসলিম সালাম
দিলে তিনি তার জন্য দুআ করেন
এবং ক্ষমা চান (মৃত্যুর পরও কেউ
যদি তার উপর সালাম ও সালাত পেশ
করে তাতেও তিনি সালাম ও সালাত
পেশকারীর জন্য দুআ করেন)।
কিন্তু তাঁর কাছে মদদ চাওয়া,
শাফাআত চাওয়া এবং তাঁর কাছে শত্রুর
বিরুদ্ধে সাহায্য চাওয়ার
ব্যাপারে কথা হচ্ছে এর সবগুলোই
নাজায়েয। এটি আইয়ামে জাহেলীয়াতের
লোকদের কাজ এবং মুশরিকদের কাজ।
মুসলিমদের এ ব্যাপারে সতর্ক
হওয়া উচিত এবং এ জাতীয় কথা বর্জন
করা আবশ্যক।
বিন বাযের ফতোয়ার লিংক
http://www.binbaz.org.sa/
mat/21589
শাইখ আব্দুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী

Post by dineralo.
Next post[ সূরা ফাতিহার ২১টি নাম।
প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল Syed Ru߀£ব্লগের প্রকাশিত পোস্ট গুলি ফেসবুকে শেয়ার করে আমাদের চলার পথকে আরো গতিময় করে তুলুন । আমরা দিন রাত খাটিয়ে পোস্ট গুলি লেখি । ব্লগে প্রকাশ করে আপনাদেরকে উপহার দেয় । আপনারা যদি শেয়ার না করেন?তাহলে আমরা তো সামনে এগিয়ে যেতে পারবোনা । আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । সাথে থাকুন সব সময় । আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :