কোন মন্তব্য নেই
হাশরের বিচার
মানুষ মানুষের প্রতি জুলুম করে থাকে,
প্রতিশোধও গ্রহণ করে থাকে।
এতে সে তৃপ্তিবোধও করে। জুলুমের
প্রতিকারের দাবী মানুষের নিকট
ন্যায়সঙ্গত, যুক্তিযুক্ত। কিন্তু
যারা নিরীহ, যারা জুলুমের কোন
প্রতিকার পায় না, যারা প্রতিশোধ
গ্রহণে অক্ষম, তাদের প্রতিকারের
দাবী কি ন্যায়সঙ্গত নয়? অবশ্যই
ন্যায়সঙ্গত। এর জন্য স্থাপিত
হবে হাশরের ময়দানে আল্লাহপাকের
বিচার আদালত। সেখানে জুলুম-
অত্যাচারী উভয়ই সমীচীন প্রতিকার
লাভে পরিতৃপ্ত হবে।
পক্ষান্তরে স্রষ্টার
সাথে যারা বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে তারাও
সেদিন সমুচিত পরিণাম ভুগতে বাধ্য
হবে। কারণ তারাও প্রকৃত
অর্থে জালিমই বটে। এই
উপলব্ধি জালিমকে জুলুম
থেকে এবং বিদ্রোহীদেরকে বিদ্রোহ
থেকে বিরত ও নিবৃত্ত রাখতে সক্ষম
হয়। এই উপলব্ধি ও অনুভূতি যেমন
অনেক মানুষের মুক্তি ও হেদায়েতের
কারণ হয়েছে, তেমনি এই অল্প বয়সের
যুবকের সফল জীবনেও এ
অনুভূতি অবদান রেখেছে।
বাহলুলকে উপদেশ দিতে গিয়ে এই
যুবকটি বলেছিলÑ “মানুষের
দৃষ্টিকে এড়ানো যায় এবং সে চেষ্টাও
করা হয়, কিন্তু কাল হাশরের
ময়দানে কি উপায় হবে,
সেখানে তো সমস্ত গোপন বস্তু প্রকাশ
হয়ে যাবে।” বস্তুতঃ প্রশ্ন এটাই যে,
আজকের যুবকদের কি এই
অনুভূতি আছে? আছে কি হাশরের
ময়দানে বিচারের ভয়?
ভুলের অবসান
অনেকেই বলে থাকে যে মানুষ মাত্রই
ভুলের শিকার হয়, গোনাহের কাজে লিপ্ত
হয়। তাই ভয়ের কোন কারণ নেই।
আল্লাহ পাক অতি মহান। তিনি গফুর।
তিনি রহমান ও রাহিম, তিনি ক্ষমাশীল।
তাইতো তিনি সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও
শাস্তির বিধান কার্যকর করেন না;
ধৈর্য ধরেন। সুতরাং নিরাশার কোন
কিছু নেই। তিনি অবশ্যই
ক্ষমা করে দিবেন। প্রশ্ন হলো,
তিনি যেমন এসব গুণে গুণান্বিত,
তেমনি তিনি ‘কাহহার’,
‘জব্বার’ (পরাক্রমশালী,
প্রতাপান্বিত) ইত্যাদি গুণেও
গুণান্বিত। তিনি তার এই গুণের
কার্যকারিতার কথা বারংবার
ঘোষণা করেছেন এবং বাস্তবেও
কার্যকর করে দেখান। তার ধৈর্যধারণ
যদি ক্ষমার নিদর্শন বহন
করে তাহলে অপরাধীকে অবকাশ
দিয়ে পরিশেষে তাকে শক্ত
হাতে পাকড়াও করার নিদর্শন কেন
বহন করবে না? বস্তুতঃ এরূপ ঢালাও
ক্ষমার যুক্তিহীন
বিবেচনা শয়তানী ধোকা ব্যতীত অন্য
কিছু নয়। এ যে মারাত্মক ভুল, যুবক
তার নছীহতেই তা উল্লেখ করেছে।
পবিত্র কুরআন ও হাদীসেও এর
পরিপূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

কোন মন্তব্য নেই :