হে আমার মেয়ে! পর্ব ১ /পাতা ২
হে আমার মেয়ে! পুরুষ যখন কোন যুবতী মহিলার দিকে দৃষ্টিদেয় তখন সেমহিলাটিকে বস্ত্রহীন অবস্থায় কল্পনা করে। আল্লাহর শপথ!এ ছাড়া সে অন্য কিছু চিন্তা করে না। তোমাকে যদি কেউ বলে, সে তোমার উত্তমচরিত্রে মুগ্ধ, তোমার আচার-ব্যবহরে আকৃষ্ট এবং সে কেবল তোমার সাথে সাধারণ একজনবন্ধুর মতই আচরণ করে এবং সে হিসাবেই তোমার সাথে কথা বলতে চায় তাহলে তুমি তা বিশ্বাস করো না। আল্লাহর শপথ! সেমিথ্যুক।
হে আমার মেয়ে! যুবকেরা তোমাদের আড়ালেযে সমস্ত কথা বলে তা যদিতোমরা শুনতে, তাহলে এক ভীষণ ভীতিকর বিষয় জানতে পারতে। কোন যুবক তোমার সাথে যে কথাই বলুক, যতই হাসুক, যত নরম কণ্ঠেই বলুক ও যত কোমল শব্দই ব্যবহার করুক, সেটি তার আসল চেহারা নয়; বরং সেটি তার অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের ভূমিকা ও ফাঁদ ব্যতীত অন্য কিছু নয়। সুকৌশলেসে যতই তোমার সামনে তা গোপন রাখুক।আল্লাহর শপথ! এ ছাড়া তার উদ্দেশ্য অন্য কিছু নয়।
হে আমার মেয়ে! সে যদিতোমাকে তার ষড়যন্ত্রেরজালে আটকাতে পারে তাহলেকি হবে? কি হবে তোমার অবস্থা? তোমার কি তা জানা আছে? একটু চিন্তা কর।
কোন নারী যদি এমন কোন দুষ্ট পুরুষের কবলে পড়ে যায়, তখন সে হয়ত সেই পুরুষের সাথে মিলে কয়েক মিনিট কল্পিত স্বাদ উপভোগ করবে। তারপর কি হবে? তুমি কি তা জান? পরক্ষণই সে তাকে ভুলে যাবে। সে তাকে দ্বিতীয়বার পাওয়ার আশাপোষণ করবে। হয়ত কয়েকবারের জন্য তাকে পেলে পেতেও পারে; তবে স্বামী হিসাবে তার সাথেচির দিন বসবাস করারজন্যে এবং স্বীয় যৌবন পার করার জন্যে নয়। সে অচিরেই তাকে ভুলে যাবে।এটিই সত্য। কিন্তু সেই মহিলাটি চির দিন সেই স্বল্প সময় উপভোগের জ্বালা ভোগ করতে থাকবে, যা কখনও শেষ হবে না। এও হতে পারে যে, সে তার পেটে এমন কলঙ্ক রেখে যাবে, যা থেকে কখনই সে পরিত্রাণ পাবে না। চির দিন তার কপালে হতাশার ছাপ থাকবে, চেহারায় দুশ্চিন্তার ছায়া পড়বে। সে তাকে ছেড়ে দিয়ে আরেকটি শিকার খুঁজতে থাকবে এবং নতুন নতুন সতীদের সতীত্ব ও সম্ভ্রম হরণ করার অনুসন্ধানে বের হবে।
হে আমার মেয়ে! এভাবে একটি যুবক অগণিত নারীকেনষ্ট করলেও আমাদের জালেম সমাজ তাকে একদিন ক্ষমা করে দিবে। সমাজ বলবেঃ একটি যুবক পথ হারা ছিল। সে সুপথে ফিরে এসেছে। এই অজুহাতেসে হয়ত সমাজের কাছে গৃহীত হবে এবং সকলেই তাকে গ্রহণ করে নিবে। আর তুমি অপমানিত, লাঞ্জিত হয়ে চিরদিন পড়ে থাকবে। আজীবন তোমার জীবনে কালিমা লেগে থাকবে, কোন দিন তা বিচ্ছিন্ন হবে না। আমাদের জালেম সমাজ কখনইতোমাকে ক্ষমা করবে না।
হে আমার মেয়ে! তোমার সম্মান তোমার হাতেই রেখে দিলাম এবং তোমার ইজ্জত-আভ্রু ও মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব তোমার উপরই ছেড়ে দিলাম। সুতরাং তোমার বোনদেরকে উপদেশ দাও, বিপদগমীদেরকে সংশোধন করএবং সুপথে ফিরিয়ে আন।
হে আমার মেয়ে! তুমি তাদেরকে বলঃ হে আমার বোন! পথ চলার সময় কোন পুরুষ যদি তোমার দিকে তাকিয়ে দেখে তবে তুমি তার থেকে বিমুখ হয়ে যাও এবং তোমার চেহারা অন্য দিকে ঘুরিয়ে ফেল।এর পরও যদি তার কাছ থেকেসন্দেহজনক কোন আচরণ অনুভব কর কিংবা সে তোমার গায়ে হাত দিতে চায় অথবা কথার মাধ্যমেতোমাকে বিরক্ত করতে উদ্যত হয় তাহলে তোমার পা থেকে জুতা খুলে তার মাথায় আঘাত কর। তুমি যদি এ কাজটি করতে পার তাহলে দেখবে পথের সকলেইতোমার পক্ষ নিবে, তোমাকেই সাহায্য করবে। সে আর কখনও তোমার মত অন্য কোন নারীর উপর অসৎ দৃষ্টি দিবে না। সে যদি সত্যিই তোমাকে পছন্দ করে থাকে, তাহলে তোমার এই আচরণে তার হুঁশ ফিরবে, তাওবা করবে এবং তোমার সাথে হালাল সম্পর্ক গড়ার জন্যে বৈধ পন্থা অবলম্বনের দিকে অগ্রসর হবে।
হে আমার মেয়ে! শুন! নারীগণ যত উচ্চ মর্যাদাই অর্জন করুক, শিক্ষা ও জ্ঞানে যতই অগ্রগতিলাভ করুক এবং ধন-সম্পদ ও সুখ্যাতি যতই আয়ত্ত করুক, এতে তাদের প্রকৃত প্রত্যাশাপূর্ণ হবে না,তাদের মান-মর্যাদা, প্রসিদ্ধতা, সুখ্যাতি, ধন-সম্পদ তাদের মনকে শান্ত করবে না। বিবাহ ও স্বামীর সান্নিধ্যই কেবল দিতে পারে তাদেরকেঅনাবিল শান্তি, এর মাধ্যমেই পূরণ হতে পারেতাদের প্রত্যাশা
নারীগণ তখনই প্রকৃত শান্তি খুঁজে পায়, যখন সে একজন সৎ ও আদর্শ স্ত্রী হতে পারে, সম্মানিত একজন মা হতে পারে এবং একটি বাড়িও পরিবারের পরিচালক হতে পারে। এ ক্ষেত্রে একজন সাধারণ নারী থেকে শুরু করে রাণী, রাজকন্যা, অভিনেত্রী, বিশ্ব সুন্দরীর মাঝে কোন পার্থক্য নেই। সকলের ক্ষেত্রেই একই কথা। এ ক্ষেত্রে আমি নাম উল্লেখ না করে দু’জন নারীর উদাহরণ দিতে চাই।আমি তাদেরকে চিনি ও জানি। তারা উচ্চ শিক্ষিতা, ধনবতী ও সুসাহিত্যিক। স্বামী হারা হয়ে তাঁরা প্রায়পাগল অবস্থায় বেঁচে আছেন। কয়েক দিন আগেও তাদের জীবন ছিল স্বাভাবিক, মুখে ছিল হাঁসি আর আনন্দে ছিল ভরপুর তাদের জীবন। তাদের সবই আছে। হারিয়েছে শুধু স্বামী।
বিবাহ হচ্ছে প্রতিটি নারীর সর্বোচ্চ কামনা। এটিই তাদের মনের বাসনা।এটি দিয়েই তাদের মহান প্রভু তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। সে যদি পার্লামেন্টের সদস্যও হয়ে যায় কিংবা কোন রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টও হয়ে যায়তথাপিও তাদের মনের প্রকৃত বাসনা পূর্ণ হবেনা, যতক্ষণ না একজন বউ হয়ে স্বামীর ঘরে প্রবেশ করতে পারবে।
শেয়ার করে আপনিও হন ইসলামের প্রচারক ।
আমরা সবাই একাজটি করলে জানার পাশাপাশি সওয়াব হবে ।
যে ব্যাক্তি ইসলামের একটি কথা শিখবে তাকে আল্লাহ দশটি নেকী দেবেন ।
যে শিখাবে তাকেও দশটি নেকী দেওয়া হবে ।
তাই আসুন আমরা নিজেও জানি, অন্যদেরকেও জানাই ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন