গৃহবধূকে ধর্ষণ করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েছে এক পুলিশ।

কোন মন্তব্য নেই
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
গৃহবধূকে ধর্ষণ
করতে গিয়ে এলাকাবাসীর
হাতে ধরা পড়েছে এক পুলিশ।
আদিতমারী উপজেলার
দিঘলটারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত
২৪শে মে দিঘলটারী গ্রামের
মোস্তাফিজার রহমান (২৫) ২ দিনের
ছুটিতে খাগড়াছড়ি থেকে বাড়িতে আসে।
ওই রাতে মোস্তাফিজার একই গ্রামের
এক রিকশাচালকের ঘরে ঢুকে তার
স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময়
তার চিৎকারে আশপাশের লোক
ছুটে এসে তাকে আটক করে গণধোলাই
দেয়। পরে তার মামা বিচারের
কথা বলে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ
ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম
উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গ্রামবাসী জানায়, মোস্তাফিজার
রহমান (২৫) খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ
লাইনে পুলিশের চাকরি করেন। গত
রোববার ২ দিনের ছুটিতে বাড়ি আসেন
তিনি। একই গ্রামের এক
ব্যক্তি রিকশা চালায় চট্টগ্রামে।
পুলিশ সদস্য ছুটিতে এসেই
রাতে রিকশাচালকের
অনুপস্থিতিতে তার ঘরে ঢুকে তার
স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময়
চিৎকারে তার দেবরের স্ত্রী টের পায়।
পরে পুলিশ সদস্যকে ঘরে আটক করে।
খবর পেয়ে গ্রামবাসী ছুটে এসে পুলিশ
সদস্য মোস্তাফিজার রহমানকে আটক
করে। পরে জনতা তাকে বেঁধে গণধোলাই
দেয়। খবর পেয়ে লম্পট পুলিশ সদস্যের
মামা আবদুল কাদের তাকে জনতার হাত
থেকে উদ্ধার করে। বিচারের আশ্বাস
দিয়ে ৪দিন ধরে বিচার না করে আবদুল
কাদের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার
চেষ্টা করছে বলে রিকশা চালক
অভিযোগ করেন। পুলিশ সদস্যর
বিচারের
দাবিতে দূগাপুরে উত্তেজনা বিরাজ
করছে। ৪দিন ধরে এ নিয়ে তোলপাড়
চলছে দূগাপুর ইউনিয়ন জুড়ে। এ
ব্যাপারে দূগাপুর ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান সালেকুজ্জামান প্রামাণিক
জানান,
দিঘলটারী গ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণের
চেষ্টার
কথা লোকমুখে শুনেছি তবে ইউনিয়ন
পরিষদে লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায়
কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ওদিকে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য
মেস্তাফিজারের সঙ্গে মোবাইল
ফোনে যোগাযোগ
করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান,
আমি খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইনে পুলিশ
সদস্য হিসাবে কর্মরত আছি। ২ দিনের
ছুটিতে বাড়িতে এসেছি।
২৪শে মে রাতে বাজার
থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় পূর্ব
শক্রুতার জের ধরে আমাকে জোর
করে ধরে নিয়ে ঘরে ঢুকায়
এবং বেঁধে ফেলে। পরে আমি ঘরের
ভিতর দেখতে পাই এক গৃহবধূকে।
তবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য
না তা সাজানো।

কোন মন্তব্য নেই :