তসলিমা নাসরিন : বিদ্ধস্ত ভ্রমরের পুনুরুথ্থান

কোন মন্তব্য নেই
লিখেছেনঃ দেশে-বিদেশে

হালফিলে তসলিমা নাসরিন আবার গরম
আমার ব্লগের কচি কাচার আসরে।
তার পক্ষে বিপক্ষে অনেক মত
শুনলাম। একমাত্র "নরাধম" গঠনমুলক
সমালোচনা করেছেন আর
বাকী সবাইকে মনে হয়েছে তসলিমার
গুনকীর্তন-কে উপলক্ষ
করে কোনোমতে ধর্মকে গালাগালি দিয়ে
গুষ্ঠিসুখ অনুভব করছে। আবার
কারো কারো লেখায়
মনে হয়েছে নিজেকে পরিচিত করার
মাধ্যম হিসেবে তসলিমাকে ব্যবহার
করা ।
এই নাজুক অবস্হায় নিজের
থেকে কোনো কমেন্ট করার চেয়ে আসুন
আমরা বিখ্যাত একজন সাহিত্যিক এর
লেখা পড়ি । তার নাম "আহমদ ছফা"
যিনি তাসলিমার লেখার "সাহিত্যিক"
এবং "সামাজিক প্রেক্ষাপট" বিশ্লেষন
করেছিলেন। আর সময় নষ্ট
না করে তার "আনুপূর্বক
তাসলিমা এবং অন্যান্য স্পর্শকাতর
বিষয়" বই এর কিছু অংশ
নিচে তুলে ধরছি । আহমদ ছফার নিজের
মুখেই শুনুন:
তসলিমা নাসরীন ও সাক্ষাতকার
"তাসলিমা নাসরীন কিছুদিন
আগে সাপ্তাহিক খবরের
কাগজে একটি দীর্ঘ সাক্ষাতকার
দিয়েছেন । ওই
সাক্ষাতকারে তিনি আমার
সম্পর্কে কতিপয় মন্তব্য করেছেন ।
তাসলিমা আমাকে ইতর প্রকৃতির লোক
বলেছেন । এতে আমার বলার কিছু নেই
। এটা তাসলিমার ব্যাক্তিগত
বিচারবোধের ব্যাপার। যে কোনো মানুষ
যে কোনো মানুষকে কারণ থাকুক আর
নাই থাকুক যা ইচ্ছা মনে করতে পারে।
বিশেষত: সাপ্তাহিক 'অনন্যা'য়
দেয়া এক সাক্ষাতকারে তাসলিমার
একটি উপন্যাসকে ইতর শ্রেনীর
রচনা বলে আমি উল্লেখ করেছি ।
প্রতিক্রিয়ায়
তাসলিমাযদি আমাকে ইতর
বলে সম্বোধন করে আমার বলার
কি থাকতে পারে ? কিন্তু আমি একজন
দায়িত্বশীল লেখক হিসেবে ওই
'নিমন্ত্রন' উপন্যাসটাকে ইতর
শ্রেনীর রচনা বলে চিহ্নিত করেছি ।
এটা আমার সুচিন্তিত মতামত। "
............
"তসলিমা বলেছেন তার
বাড়ীতে যেয়ে দারোয়ানের
টুলে বসে আমি আধারাত পর্যন্ত
অপেক্ষা করেছি । হালফিল তসলিমার
কল্পনা একটা দিকেই আবর্তিত
হতে আরম্ভ করছে । যখনই
কোনো পুরুষ মানুষের প্রসংগ
আসে তসলিমা মনে করতে থাকে লোকটি
তার সংগে গোপন অভিসার
করতে ছুটে আসছে । "
"যতবারই তাসলিমাকে দেখেছি, আমার
তাকে সুন্দর সুদৃশ্য
একটি রেলওয়ে স্টেশনের ওয়েটিং রুমের
মতো মনে হয়েছে।
যেখানে একসংগে অনেক মানুষ
অপেক্ষা করতে পারে । কিন্তু
কোনো গহনতা , নির্জনতা কিছুই নেই।
"
তসলিমা নাসরীন ও বই মেলা
তসলিমা নাসরীন- এর ওপর যখন
বাংলা একাডেমীর মেলায়
হামলা করেছে সংবাদপত্রে শুনেছি ,
অন্যান্য লেখক সাহিত্যিক এর
সংগে আমিও যৌথভাবে বিবৃতি দিয়ে এই
অপকর্মের নিন্দা করেছি । পরে অবশ্য
কিছু কিছু মানুষের
কাছে শুনেছি তাসলিমা নাসরীন মানুষের
সহানুভুতির দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য
আগে থেকে যোগার করে এই স্বরচিত
হামলা কান্ডটি ঘটিয়েছে।
তসলিমা নাসরীন হালে এমন একজন
মহিলায় রূপান্তরিত হয়েছে তার
মধ্যে সম্ভব অসম্ভবের ভেদ
রেখাটি মুছে গিয়েছে। কোনটা সত্য
কোনটা বানোয়াট বলা খুবই মুশকিল ।
তাসলিমা নাসরীন ও আনন্দবাজার
পত্রিকা
তাসলিমাকে পুরস্কার
দিয়ে রাতারাতি সংবাদ মিডিয়ার
মাধ্যমে আনন্দবাজার তার
একটি অতিকায় ইমেজ সৃষ্টিতে ততপর
হয়ে উঠলো। আনন্দবাজার
পত্রিকা প্রথমত আমাদের জাতীয়
প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমীকে এ
পুরষ্কার প্রদান করে।
সংবাদপত্রে যখন এ ঘোষনাটি দেখলাম
আনন্দবাজার পত্রিকার দু:সাহস
এবং স্পর্ধা দেখে বিস্ময়ে হতবাক
হয়ে যাই। আনন্দবাজার
একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান । আর
বাংলা একাডেমী আমাদের জাতীয়
প্রতিষ্ঠান । একুশের শহীদের রক্ত
থেকেই বাংলা একাডেমীর জন্ম।
আনন্দবাজার
কি করে বাংলা একাডেমীকে পুরষ্কার
দেয়ার মতো দু:সাহস দেখাতে পারে ?
কাউকে কাউকে বলতে শুনেছি তসলিমা
মুসলমান সমাজকে খুব
ভালো করে ধোলাই করেছেন বলেই
আনন্দবাজার মন্বচের উপর
তসলিমাকে বসিয়ে মুসলমান
সমাজকে একহাত দেখে নিচ্ছে । কথাটির
মধ্যে বেশ খানিকটা সত্য রয়েছে।
আনন্দবাজার সতিনের
ছেলেকে দিয়ে সাপ ধরার খেলা খেলছে ।
যদি যখম হয় হবে পশ্চিম
বাংলা তথা ভারতীয়ে মুসলমান সমাজ।
আর যদি আনন্দবাজারের প্রচারের
কারণে নির্যাতন সইতে হয়
তবে সইতে হবে বাংলাদেশের
তসলিমাকে। আনন্দবাজারের কিছুই
আসবে যাবে না। মাঝখান
থেকে ফাকতালে তসলিমার বই বেচে এক
সংগে অনেক টাকা কুড়িয়ে নেয়ার
একটা পাকা বন্দোবস্ত করে ফেলেছে ।
-------------------
পরবর্তি অংশে সমাপ্ত
-------------------
সতর্কীকরন: আপনারা যারা এই পোস্ট
এ কমেন্ট করতে চান তাদের
দুটো কথা না বলে পারছি না:
১) কেউ কোনো গালাগালি বা slang
বলবেন না। please . যদি কেউ
অশ্লীল ভাষা ব্যবহার না করে কমেন্ট
না দিতে পারেন তাকে অনুরোধ
করছি কমেন্ট না করতে
২) উপরের আলোচনায় তসলিমার
লেখার "সাহিত্যিক এবং সামাজিক
প্রেক্ষাপট" বিশ্লেষন করা হয়েছে ,
তাসলিমার লেখার ধর্মীয়
বিষয়গুলো আনা হয় নাই। সুতরাং কেউ
যেন অযাচিতভাবে "ধর্মীয়"
কোনো বিষয় এখানে উল্লেখ না করে।
দেশে-বিদেশে-এর ব্লগ


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :