একটু ইসলাম বিরোধিতা এনে দিতে পারে বিশ্বজোড়া খ্ যাতি...
ধর্ম পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন এবং বড়পার্টি। ধর্মের ভক্ত বিশ্বজোড়া।
ধর্মের স্কলার যেভাবে স্মরনীয়
বরনীয় হন তেমনি ধর্মের
বিরোধিতাকারী পেয়ে যান
রাতারাতি বিশ্বজোড়া খ্যাতি।
উনারা প্রোগ্রাম থ্রো করেন আর
আমরা রিএক্ট করি ,
প্রতিক্রিয়া দেখায় আর তাতেই
তারা পেয়ে যান তারকা খ্যাতি ।
প্রতিবাদ করে আমরা পাই সাময়িক
আত্বতুষ্টি
আমার মনে হয়
বাংলাদেশে যারা ইসলামের পক্ষে নন
বা ইসলামী রাজনীতির পক্ষে নন
তারা একটি কৌশল অবলম্বন করেন
আর তা হল :
১. বিতর্কিত হওয়া।
২. ধর্ম তথা ইসলামের
বিরোধিতা করা।
আলোচিত হতে হবে তাই বিতর্কিত
হও ,সমালোচিত হও । সামান্য ইসলাম
বিরোধিতা করে ওরা কম
সময়ে আলোচিত সমালোচিত বিতর্কিত
হয়ে জনগনের নজর কাড়েন । বিশেষত
তারা ইয়াং জেনারেশনের
নজরে আসতে চায়। তাদের কাছে নিজ
দর্শন গেলানোর ভাল উপায় আর
কি আছে বলেন ?
ধর্মান্ধ
ধার্মিকতা ধর্মনিরপেক্ষতা তিনটির
তিন অর্থ।
ধর্মবিরোধিতাকারী তথা ইসলাম
বিরোধিতাকারীরা সামান্য ইসলাম
বিরোধিতা করে বিদেশীদের
নজরে আসতে চায় , বইয়ের
কাটতি বাড়াতে চায়।
পত্রিকাগুলোতে নিজের কলামের
ডিমান্ড বাড়াতে চায় , টকশোর মেহমান
হওয়ার
উপযোগী করে নিজেকে আলোচিত
সমালোচিত বিতর্কিত করতে চায়।
মাইকেল এইচ হার্টের "দি হান্ড্রেটস"
পড়ে দেখুন একটি জিনিষ
বেশী করে খুজে পাবেন আলোচিত
সমালোচিত বিতর্কিত হওয়া।এর
সাথে অবশ্যই সফল মানুষ হওয়ার জন্য
দরকার সাহস, সুষম পরিকল্পনা ,
আনুকুল্য ও অনুকুল পরিবেশ ।
একটু চিন্তা করে দেখুন বাংলাদেশে
কবি নজরুলের সাথে ছিল
প্রমিলা বিতর্ক
কবি শামসুর রহমানের সাথে ছিল
ফজরের আযানকে খারাপ কিছুর
সাথে তুলনা করার বিতর্ক
সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এর
সাথে আছে শাওন বিতর্ক
ড. আহমদ শরীফ ও হুমায়ুন আজাদ এর
কথা কথা তো আপনার জানেন।
এই উপমহাদেশ থেকে যারা ইসলাম
বিরোধিতা করে বিশ্বজোড়া খ্যাতি লাভ
করেছেন তার মধ্যে ২ জন অন্যতম।
১. ময়মনসিংহ মেডিকেল এর এক
অখ্যাত সাধারন সেক্সী ছাত্রী ডা:
তাসলিমা নাসরিন ।যিনি বিতর্কিত
না হলে ডাক্তার হিসেবে কতটুকু আয়
করতে পারতেন সহজে অনুমান যোগ্য।
অথচ তার বই নিতে জেল
লাইব্রেরিয়ানকে সাধারন
হাজতীদেরকে জেলখানায়
আমি একটা স্টার সিগারেটের প্যাকেট
ঘুষ দিতে দেখেছি।
২. আর একজন সালমান রুশদী তার
কীর্তিকলাপ বিশ্ববাসীর
কাছে পরিস্কার ।
এভাবে আমরা বড় করি ইসলাম
বিরোধীদের.....পরিচিত করি তাদের ,
আলোচিত করি ।
আমরা আছি বলে তারা সমালোচিত হয় ,
বিতর্কিত হয়।
খ্যাতি পেয়ে তারা তৃপ্তির ঢেকুর
তোলে।
রাজউকের অধ্যক্ষ কি সেই পথেই
হাটলেন? একজন সাবেক
সেনা কর্মকর্তা বাংলাদেশের মানুষের
আবেগ অনুভুতি বোঝেন
না সেটা মানতে পারছিনা।
লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ,চিটাগাং,
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন