কয়লা ধুইলে ময়লা যায়না" এই কথা আমরা সবাই জানি, কামাল মজুমদার জানেন কিনা আমার জানা নেই।
আমাদের এমপির মানসম্মানে কালি লেগেছে, যেভাবেই হোক ইমেজ ভালো করতেই হবে। আর ইমেজ ভালো করার জন্য কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীকে রাস্তায় নামালেনমানববন্ধনে যোগ দেয়ার জন্য এবংস্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদেরনোটিশ দিয়ে জানিয়েছে,"মানববন্ধনে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক!!"মানববন্ধনের ব্যানারে লেখা ছিল,"কামাল আহমেদ মজুমদারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদে র বিচার চাই!!" ছাত্রছাত্রীদের রাস্তায় দাঁড় করানোর ওপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা আছে। সে নিষেধাজ্ঞাও মানা হয়নি।
এবার একটু পিছনে তাকাই --
রাজধানীর মণিপুর স্কুলে সরকার নির্ধারিত ভর্তি ফি পাঁচ হাজার ১০০ টাকা হলেও অভিভাবকদের কাছ থেকে উন্নয়ন ফি’র নামে অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে কিন্তু এই অতিরিক্ত টাকারজন্য কোন কোনো রসিদ দেয়া হচ্ছিল না।
খবর চলে যায় সাংবাদিকদের কানে, সাংবাদিকদের উপস্থিতির খবর পেয়ে এমপি কামাল আহমেদ মজুমদারস্কুলে ছুটে আসেন। একপর্যায়ে কামাল মজুমদার তার দলবল নিয়ে আরটিভির সাংবাদিক অপর্ণা সিংহসহ চারজনকে লাঞ্ছিত করেন কিন্তু কামাল মজুমদার হামলার কথা অস্বীকার করেন। হামলার কথা অস্বীকার করলেও পত্র কামাল মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। উনি হামলার কথাঅস্বীকার করে আবার ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।
উনার বিরুদ্ধে নাকি ষড়যন্ত্র করা হয়েছে তাই আজ ডিজিটাল মানববন্ধন করে নিজের অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করলেন। শত শত শিক্ষার্থীকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজনীতি করলেন। বাহ, কি সুন্দর!! এ যে দেখি চোরের মা'র বড় গলা, ভণ্ডামির একটা সীমা থাকা উচিত।
রাজনীতির এই একটা বড় সুবিধা, অপরাধ করেই ক্ষমা চাওয়া যায় এবং আবার অপরাধ করা যায়। তবে,"কয়লা ধুইলে ময়লা যায়না" এই কথা আমরা সবাই জানি, কামাল মজুমদার জানেন কিনা আমার জানা নেই।
_______________ _______________ _______________ _______________ ______
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন