২০১১ সালে যৌতুকের জন্য নির্যাতনে মারা গেছে ২১৭ নারী
কোন মন্তব্য নেই
স্টাফ রিপোর্টার: গত বছর ফতোয়ার শিকার হয়েছে ৪০ জন নারী। যৌতুকের জন্য জীবন দিতে হয়েছে ২১৭ জন নারীকে। নির্যাতনে ৯২ এবং এসিড নিক্ষেপে ৫৯ জন নারী আহত হয়েছে। নিহত হয়েছে দু’জন। সারাদেশে এক বছরে পারিবারিক কলহে নিহত হয়েছে ২৬৪ জন। আহত হয়েছে ৮৯ জন নারী। একই কারণে ২০১০ সালে নিহত হয়েছে ২৫৪ জন। আহত হয়েছে ৮৬ জন নারী। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার এক প্রতিবেদনে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১১ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৫৭ জন শিশু এবং ১৬৩ জন নারী। ২০১০ সালে ২৩৪ জন শিশু এবং২৬২ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২০১১ সালে ৩৯ জন গৃহকর্মী আহত হয়েছে। নিহত হয়েছে৩৩ জন। ২০১১ সালে পাচারকালে উদ্ধার হয়েছে ৭৫ জন নারী এবং ৫৩ জন শিশু। একই সময়ে অপহরণের শিকার হয়েছে ৮৩ জন নারী এবং ৪১৫ জন পুরুষ। ২০১১ সালে সারাদেশে সামাজিক সহিংসতায় ১৪০৬ জন নিহত ও ১৮১৬৮ জন আহত হয়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছে ১১৬ জন। আহত হয়েছে ৬,৩৩৫ জন। সাংবাদিক আহত হয়েছেন ৫৫ জন। নিহত হয়েছে চারজন। সংখ্যালঘু নির্যাতিত হয়েছে ৭৪ জন। চিকিৎসকের অবহেলায়৭৮ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৩১ জন নারী ও ৩১০ জন পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রহস্যজনকমৃত্যু হয়েছে ৯০ জন নারীর এবং ৩৬জন পুরুষের। ২০১১ সালে বিভিন্ন কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ২৪৩ জন নারী ও ১২৩ জন পুরুষ। একই সময়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ১৭৬ জন। বখাটেদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ৩৯ জন নারী। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার হয়েছে ৩৬৮ জন। নিহত হয়েছে ৪৩ জন। ২০১১ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ২৬ জন। র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ৪৭ জন। র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে নিহত হয়েছে ৬ জন। পুলিশ হেফাজতে নিহত হয়েছে ১৫ জন। আত্মহত্যা করেছে ৩ জন। র‌্যাব হেফাজতে আত্মহত্যা করেছে ১ জন। বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয়েছে ৩৬জন। তাদের নির্যাতনে আহত হয়েছে ৩২ জন। বিএসএফ অপহরণ হয়েছে ১২ জনকে। একই সময়ে গণপিটুনিতে নিহতহয়েছে ১৪৫ জন।

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

ভাল লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন । লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় ।

কোন মন্তব্য নেই :