গর্ভাবস্থায় পুষ্টিরপ্রয়োজনীয়তা অধ্যাপক সামিনা চৌধুরী part 1

কোন মন্তব্য নেই
অনেক রোগী জানতে চান গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে কী ধরনের খাবার খেতে হয়। এ লেখাটি তাদের উদ্দেশ্যেই লেখা হচ্ছে। গর্ভকালীন একটি শিশু মায়ের শরীরের পুষ্টির নির্যাস নিয়ে বেড়ে ওঠে। শিশুটি গর্ভফুলের মাধ্যমে মায়েররক্ত থেকে নিজের পুষ্টির চাহিদা মেটায়। গর্ভবতী মহিলার নিজের স্বাস্থ্য রক্ষা, গর্ভস্থ শিশুর পুষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা অনেক গুণ বেড়ে যায়। যদি এচাহিদা সঠিকভাবে মেটানো না যায় তাহলে গর্ভস্থ শিশুটি অপুষ্ট এবং মায়ের স্বাস্থ্যও ভেঙে যায়। অপুষ্ট ও কম ওজনের শিশু অনেক সময় গুরুতর অসুস্থতায় ভোগে এবং অনেক সময় মারাও যায়।
মায়ের অপুষ্টির পরিণতি
গর্ভকালীন, ডেলিভারির প্রসবোত্তর জটিলতা বেড়ে যায় এবং অনেক সময় মৃত্যুরশিকারও হতে হয় মাকে।
*. নানা ধরনের প্রদাহে মা ভুগে থাকেন।
*. রক্তস্বল্পতায় ভোগেন।
*. দুর্বল হয়ে যান এবং কাজকরার শক্তি জোগান দিতে পারেন না।
শিশুটির অপুষ্টির পরিণতি
*. গর্ভাবস্থায়, ডেলিভারির সময়ে অথবা নবজাতক অবস্থায় মারা যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়,স্বল্প ওজন, অপুষ্ট এবংঅপরিপক্ব অবস্থায় জন্মনেয়। জন্মগত ত্রুটি, হাবাগোবা হতে পারে, নানা প্রকার ইনফেকশন বা প্রদাহ, মস্তিষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেহেতু পুষ্টির চাহিদাবেড়ে যায় সেহেতু গর্ভবতী অবস্থায় মায়েরও গর্ভস্থ শিশুর প্রয়োজন মেটানোর জন্য সব ধরনের খাদ্য বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।
গর্ভবতী মায়ের খাবারের তালিকায় প্রতিদিনই তিন ধরনের খাবার খেতে হবে
শক্তিদায়ক খাবারঃ ভাত, রুটি, পরোটা, আলু, চিনি, গুড় এবং সয়াবিন তেল,বাদাম, কলিজা, ঘি, মাখন, ডিমের কুসুম ইত্যাদি।

আরো
পড়তে থাকুন part 2

কোন মন্তব্য নেই :