মেডিকেল ডিকশনারি

কোন মন্তব্য নেই
আরিফ মাহমুদ সাহাবুল
Nausca (ন্যাসিঅ্যা)-বমনেচ্ছা, বমি-বমি ভাব, জোরের সঙ্গেপাকস্থলীর রস এবং খাবার বেরিয়ে আসাকে বলে বমি। বমি ও বমির ভাব একত্রে বাপৃথকভাবে হতে পারে অনেক সময় বমির পূর্বে ঘথৎঢ়ধথ বা বমি-বমি ভাব হতে পারে।
Nausca -এর কারণঃ
*. পাকস্থলীর প্রদাহ
*. পাকস্থলী এবং অন্ত্রে বাধা
*. খাদ্যনালীর প্রদাহ
*. খাদ্যনালীর ক্যান্সার
*. অ্যাকালেসিয়া খাদ্যনালীতে এক ধরনের বাধা
*. ভাইরাল হেপাটাইটিস বা লিভারের প্রদাহ, জন্ডিস
*. অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ বা অ্যাপেন্ডিসাইটিস
*. মাইগ্রেন
*. মেনিনজাইটিস
*. মস্তিষেকর প্রদাহ বা এনকেফালাইটিস
*. মাথায় আঘাত
*. ব্রেন টিউমার
*. করোনারি থ্রম্বোসিস
*. মিনিয়ার্স ডিজিজ
*. থাইরটক্সিকোসিস
*. ওষুধের কুফল
*. ডায়াবেটিস কোমা
Nausca -তে ব্যবহৃত ওষুধঃ
এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনেরওষুধ ব্যবহৃত হয়। তবে এ কাজটা করবেন চিকিৎসক। নিজে নিজে কোনো প্রকার ওষুধ নির্বাচন করে তা গ্রহণ করা একেবারেই নিষিদ্ধ একটা কাজ। কারণ এতে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। Nausca প্রতিবন্ধক ওষুধগুলো হলো-
*. প্রোমেথাজিন
*. ডমপিরিডন
*. ফেনোথায়াজিন
*. মেটক্লোপ্রামাইড
*. সিজাপ্রাইড
*. স্কোপালামিন প্রভৃতি
Jaundica (জন্ডিস)
পান্ডু রোগ, ন্যাবা, কামলা। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেশিহলে শরীরের চামড়া ও শ্লেষ্মাঝিল্লির হলুদ রঙহওয়াকে জন্ডিস বলে। জন্ডিস কোনো রোগ নয়।
জন্ডিস কোনো রোগ নয়। কয়েকটি রোগের লক্ষণমাত্র। চোখের Sclera বা শ্বেতমণ্ডলে এটি দেখা যায়। রক্তের লালকণিকার (R. B. C) স্বাভাবিক জীবনকালের বা ১২০ দিন শেষে প্লীহা এবং মেদক গ্রন্থিতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। লালকণিকার হিমোগ্লোবিন আবার লোহা এবং এক প্রকার রঞ্জক পদার্থে ভাগ হয়ে যায়। এই রকমই নানা প্রক্রিয়ায় লিভারে বিলিরুবিনে পরিবর্তিত হয়এবং পিত্তথলি এবং পিত্তনালী হয়ে ডিওডিনামেপৌঁছায় এবং খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে।
জন্ডিসের কারণ
জন্ডিসের অনেক কারণ রয়েছে। তবে প্রধানত ৩টি কারণে জন্ডিস দেখা দিয়ে থাকে।
হেপাটাইটিস বা লিভার কোষের অসুখের ফলে লিভারে বিলিরুবিন ঠিকমতো পরিণত হয় না এবং রক্তে তার পরিমাণ বেড়ে যায়।
লালকণিকা বা R. B. C -এর অস্বাভাবিক এবং অত্যধিক বিনাশ।
পিত্তের প্রবাহে বাধা সৃষ্টির ফলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়েযায়, পিত্তপাথুরি এবং পিত্তথলি বা পিত্তনালীর ক্যান্সার-এর প্রধান কারণ।
Anorexia (অ্যানোরেক্সিয়া)- ক্ষুধাহীনতা, অক্ষুধা, অরুচি। খাবার ইচ্ছা না থাকাকে বলে অ্যানোরেক্সিয়া। খাদ্য গ্রহণে ভয় পাওয়া বা ঘুমেরক্ষত প্রদাহজনিত কারণে খাওয়ার অসুবিধা হওয়া থেকে এর পার্থক্য করা উচিত।
অ্যানোরেক্সিয়ার কারণ
*. হেপাটাইটিস বা লিভারেরপ্রদাহ
*. জন্ডিস
*. কিডনি রোগ
*. ক্রনিক রেনাল ফেলিওর
*. পাকস্থলীর ক্ষত/ক্যান্সার
*. হার্টের রোগ
*. অ্যাডিসন্স ডিজিজ
*. হাইপার প্যারাথাইরয়েডিজম
*. হাইপো পিটিউটারিজম বা মস্তিষেকর পিটুইটারি গ্রন্থি রোগ
*. গর্ভাবস্থায় প্রথম দু এক মাস- লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যান্সার, মানসিক রোগ যেমন- ডিপ্রেশন, মুড ডিসঅর্ডার, ম্যানিয়া, বাইপোলার ডিসঅর্ডার, অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা।
dyspepsia (ডিসপেপসিয়া)- অজীর্ণ, বদহজম, অম্বল, পেটের কতগুলো উপসর্গকে একসঙ্গেডিসপেপসিয়া বলে।
ডিসপেপসিয়ার কারণ
*. গুরুপাক খাবার গ্রহণ
*. অনিয়মিত খাবার
*. অত্যধিক শ্বেতসার জাতীয় খাবার গ্রহন যেমন-ভাত, রুটি, চিনি, মিষ্টি ইত্যাদি
*. খাদ্যনালীর প্রদাহ
*. অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ
*. পিত্তথলির প্রদাহ
*. লিভারের প্রদাহ
*. সিরোসিস অব লিভার
*. পেপটিস আলসার
*. গর্ভাবস্থা ক্রনিক রেনাল ফেলিওর
*. ওষুধের কুফল
*. মানসিক দুশ্চিন্তা
*. মদ্যপান
রোগ নির্ণয়
*. ন্ডোস্কোপ
*. বেরিয়াম এক্স-রে
*. আলট্রাসনোগ্রাম
*. অগ্ন্যাশয়ের পরীক্ষা
চিকিৎসা
*. অ্যান্টাসিড
*. এনজাইম
*. মেটক্লোপ্রমাইড
*. সিজাপ্রাইড
*. ট্রাংকুইলাইজার
*. মনোচিকিৎসা
*. ধূমপান বন্ধ
*. রোগীকে আশ্বস্ত করা
মনোজগত

কোন মন্তব্য নেই :