ছাত্রলীগের পিটুনীতে নিহতআবিদ: প্রশাসন জানে না কারা হত্যাকারি!

কোন মন্তব্য নেই
ছাত্রলীগের পিটুনীতে নিহত আবিদ:প্রশাসন জানে না কারা হত্যাকারি!
চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্র আবিদ ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হনগত মঙ্গলবার। শুক্রবার রাতে হাসপাতালে আইআই সিইউ-তে তার মৃত্যু হয়। খবরটি জানলাম বিডিনিউজ২৪.কমসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সূত্র ধরে। যেভাবেই হোক সারাদেশবাসী জানে ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতেই মারধরের শিকার হয়ে মারাত্মক আহতহয় আবিদ। দেশবাসী জানতে পেরেছে মিডিয়ার মাধ্যমে। মিডিয়া কোন ঘটনার সত্য মিথ্যা রায় দেয়ার এখতিয়ার রাখে না। কিন্তু এমনটিওঘটেনা যে মিডিয়ায় যা এসেছে বা আলোচিত হচ্ছে তা সত্য নয়। পুলিশ প্রশাসন বলতে পারে আমরা এখনো জড়িতদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণসহ জানতে পারি নি। কিন্তু কলেজ প্রশাসন দাবি করছে কারা জড়িত তা তারা জানেন না। কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক সলেমি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, "কি কারণে কারা আবদিকে মারধর করছে তা আমরা জানি না। এটা পুলিশ খতিয়ে দেখছেন" কথাটি কি মিথ্যাচার নয়। একজন ছাত্র মারা গেল এটা তারা জানতে পারলো, সারাদেশবাসী জানে কেন মারা গেল? আর কাছের মানুষ যারা ওই ক্যাম্পাসের নাড়ী নক্ষত্রের সন্ধান জানেন তারা জানেন না কারা আবিদকে মারধর করেছে। সবচেয়ে বড় কথা মিডিয়ায় তো এসেছে কখন কোথায় কিভাবে তাকে মারা হয়েছে। একটা পাগল যদি ওই ক্যাম্পাসে এখন যাই সেও জানতে পারবে কোন ছাত্রলীগ কর্মীরা আবিদের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আসলেবাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থার সবচেয়ে ন্যাক্কারজনকতাদের আইনী আচরণ হচ্ছে সুন্দর করে আসল ঘটনা লুকিয়ে সাবলীল ভাষায় মিথ্যা বলা। এ প্রসঙ্গে আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করি। কয়েকদিন আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রভাষক মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গভীর রাতের‌্যাবের হাতে আটক হন। আটক হওয়ার প্রায় ২০ ঘন্টা পর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জিজ্ঞেস করি -‘স্যার, আমাদের কোনস্যার, কি কারণে আটক হয়েছেন।’ প্রক্টর আমাকে জবাব দেন, ‘আমি কিছুই জানি না’। এরপর ওই আটককৃত শিক্ষককে আদালতে হাজির করলে তারজামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। পরদিন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে জিজ্ঞেস করলাম, কেউ যদি আটক হয় তাহলে চাকরিবিধি অনুসারে তারা সাময়িক বরখাস্তের পদক্ষেপ নিতে হয়। রেজিস্ট্রার আমাকে বললেন, এখানো বিষয়টি আমরা কাগজে-কলমে জানি না। এসব সত্য ঘটনা প্রশাসন আর কত দিন ! আর কত মৃত্যু হলে তারা জানবেন???????????

কোন মন্তব্য নেই :