পবিত্র কুরআন পরিবর্তন করতে চেয়েছিল গাদ্দাফি!
কোন মন্তব্য নেই
মুয়াম্মার গদ্দাফিকে যদি কেউ লোহ মানব বলে তাতে আমি কেন কারোরই আপত্তির কিছু থাকার কথা নয়। মাত্র সাতাশ বছর বয়সে রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে পরবর্তী বিয়াল্লিশ বছর ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন খেয়াল খুশিমত। বলা যায় রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ে খেলায় মত্ত ছিলেন ঠিক যেভাবে ছোটবেলায় বাচ্চারা বেলুন নিয়ে খেলা করে। আমেরিকা থেকে শুরু করে ইসরাইল আর আল কায়েদা থেকে শুরু করে কেউই পাত্তা পায় নি গাদ্দাফির কাছে। তারপরও গাদ্দাফিকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। তাকে বন্দী করে বিচারের মুখোমুখি করা যেতে পারত। তা না করে তার সাথে অন্যায়আচরন করা হয়েছে। বিয়াল্লিশ বছরের শাসনামলে অধিকার চর্চা যটতুকু করেছেন তার চেয়েও বেশি অনধিকার চর্চা করেছেন গাদ্দাফি। একেক সময়ে তার একেক রকম খায়েশ হিটলারের কথাই মনে করিয়ে দেয়। শুধুমাত্র নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে বিরোধী মত দমন করেছেন। বিশেষ করে সঠিক ইসলামের অনুসারীদের অকথ্য জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে। গাদ্দাফির ইচ্ছাঘুড়িও ছিল খামখেয়ালীপনায় ভরা।

কোন মন্তব্য নেই :