মুসলিম যুবকদের ভূমিকা

কোন মন্তব্য নেই
মুসলিম যুবকরা কেবল আখেরাতের উচ্চ
মর্যাদা লাভে ধন্য তাই নয়;
বরং ইসলামের শিক্ষা-দীক্ষা ও কৃষ্টি-
সভ্যতার প্রচার-প্রসার, দেশের
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ ও
সম্প্রসারণ এবং প্রশাসনিক নিয়ম-
শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ইত্যাদির ক্ষেত্রেও
মুসলিম যুবকদের ইতিহাস অত্যন্ত
প্রশংসনীয় ও সমৃদ্ধ।
যুদ্ধে যুবশক্তির ভূমিকা
ইসলামের প্রতিটি যুদ্ধে মুসলিম
যুবকেরা যে অসাধারণ
ভূমিকা রেখেছে তা অদ্যাবধি মুসলিম
ইতিহাসে অলংকৃত হয়ে আছে। ইসলামের
প্রথম যুগে আল্লাহ ও তার রাসূলের
প্রতি দৃঢ় ঈমান স্থাপন ও
বিশ্বনবীকে সাহায্যÑসহোযোগীতার
ক্ষেত্রে যেমন বয়োজ্যেষ্ঠদের অবদান
রয়েছে, তেমনি রয়েছে যুবকদের
ঐতিহাসিক অবদান। হযরত আলী (রাঃ)
, হযরত বেলাল (রাঃ) ও যায়েদ
ইবনে হারিসা (রাঃ)-এর মত মুসলিম
যুবকরে কথা বিশ্বনবী প্রায়ই উল্লেখ
করতেন, স্মরণ করতেন
এবং প্রশংসা করতেন। আল্লাহ-রাসূল
ও ইসলামের চরম শত্র“ আবু জাহেলের
পতনও বদরের যুদ্ধে হযরত মুয়াউয়াজ
ও হযরত মুআজের মত মুসলিম যুবকের
হাতেই রয়েছে।
পবিত্র কুরআন ও হাদীস সংরক্ষণ
ইসলামের মূল উৎস দুটি। এক. আল্লাহর
কিতাবÑ পবিত্র কুরআন,
অপরটি হচ্ছে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস। এই
দুটি বিষয়ে হেফাযতÑসংরক্ষণ
এবং সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও মুসলিম
যুবকদের ভূমিকাই ছিল প্রধান। হযরত
যায়েদ ইবনে সাবিত, হযরত আলী ও
হযরত মুআবিয়ার মত যুবকদেরই হযরত
রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র কুরআন
সংকলনের দায়িত্বে নিয়োজিত
করেছিলেন। পবিত্র কুরআনের
তফসীরের ক্ষেত্রে হযরত
ইবনে আব্বাসকে সর্বশ্রেষ্ঠ
তথা রঈসুল মুফাসসিরীন
বলা হয়ে থাকে। তিনিও ছিলেন অল্প
বয়সের যুবক। অপরদিকে হাদীস
সংকলনের বিরাট দায়িত্ব পালন
করেছেন, হযরত আব্দুল্লাহ
ইবনে আমর। তার সংকলিত হাদীসের
কিতাব “আচ্ছাদিকাহ” রাসূলে পাকের
নির্দেশে রাসূলে পাকের যুগেই
সর্বপ্রথম সংকলিত হয়। তিনিও
ছিলেন একজন যুবক। মোটকথা পবিত্র
কুরআন ও হাদীস সংরক্ষণে মুসলিম
যুবকদের অবদানের বিষয়টি সর্বজন
স্বীকৃত।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
Next শত্রুদের ষড়যন্ত্র

কোন মন্তব্য নেই :