শত্রুদের ষড়যন্ত্র
মুসলিম যুবকদের এই অবদানেরমূলে ছিল তাদের ঈমানী চেতনা,
শরীয়তের পুরোপুরি অনুশীলন ও
দ্বীনী ইলম শিক্ষার অদম্য স্পৃহা।
ইসলামের দ্রুত উন্নতির কারণও ছিল
এটাই। পরবর্তী সময়ে বিশেষ
দুটি ষড়যন্ত্রের শিকার হয় যুব সমাজ।
ক)ইসলাম ও ইসলামের চিরশত্রু ইহুদী-
খ্রিষ্টানরা মুসলিম যুব সমাজের
ইসলামী মূল্যবোধ ও
চেতনাকে দমিয়ে রাখার জন্য কূট
কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করে।
প্রশাসনিক কূট পলিসির
মাধ্যমে শিক্ষাগত ধারায় পরিবর্তন
সাধন করে মুসলমান যুবকদের
বিভ্রান্তির শিকারে পরিণত করা হয়।
খ)যৌবনকালে একদিকে যেমন
উন্নতি ও অগ্রগতির উপযুক্ত সময়,
তেমনি অবনতি ও ধ্বংসেরও প্রথম
সিড়ি। এ সময় ঈমান-আকীদায়
দৃঢ়তা না আসলে, আখলাক ও
চরিত্রগত পরিশুদ্ধি অর্জিত
না হলে জীবনের উৎকর্ষ সাধন খুবই
কঠিন হয়ে পড়ে। তাই মুসলিম যুবকের
ঈমানী চেতনার মূলে কুঠারাঘাত হেনে,
তাদেরকে চারিত্রিক অধঃপতনের অতল
গহ্বরে তলিয়ে দিতে পাকাপাকি ব্যবস্থা
করে ইহুদী-খ্রিষ্টান শত্রুদল।
অপরদিকে অভিভাবক মণ্ডলীর
মূর্খতা, তাদের বাস্তুবাদী মোহ,
অদুরদর্শীতা ও অবহেলার কারণে যুব
সমাজ ক্রমান্বয়ে যৌবনের উত্তাল
তরঙ্গে ভেসে যেতে শুরু করে। এভাবেই
শুরু হয় মুসলিম যুব
সমাজে চরিত্রহীনতা, নাস্তিকতা ও
ধর্মদ্রোহীতার কালো অধ্যায়।
যে কারণে আজ মুসলমানদের শিক্ষা-
দীক্ষা, কৃষ্টি-সভ্যতা, ঐতিহ্য ও
জাতীয় ঐক্য সবকিছুই
ধ্বংস্তুপে পরিণত হতে চলেছে।
এটা কেবল শত্রুদের দ্বারাই হচ্ছে না,
মুসলমানদের নিজেদের অযোগ্যতা ও
অসচেতনতার কারণেও ঘটেছে।
Next মুসলমানদের কর্তব্য
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন