শিক্ষণীয় বিষয়

কোন মন্তব্য নেই
একজন যুবক। দেশের বাদশার
ভালোবাসা ও সুদৃষ্টি লাভে যে ধন্য,
যৌবনের কামনা-বাসনা, মন্ত্রীত্বের
পদ-মর্যাদার মোহ প্রত্যাখ্যান
করে আল্লাহ পাকের প্রতি তাঁর ঈমান
স্থপন, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করা,
অবশেষে শাহাদাত বরণ অতঃপর তার
শাহাদাতের বদৌলতে দেশ ও জাতির
অসংখ্য মানুষের ঈমান ও ইসলাম
গ্রহণের পথ সুগম হওয়ার পিছনে কোন
শক্তি কাজ করছে? এখন এ নিয়েই
সামান্য আলোচনা করা হবে।
সৎলোকের সংশ্রব
পবিত্র কুরআন ও হাদীসে সৎলোকের
সংশ্রব ও সান্নিধ্য লাভের
প্রতি গুরুত্ব আরোপ এবং অসৎ
লোকের সাথে চলাফেরা ও উঠা-
বসা থেকে দূরে থাকার
ব্যপারে হুঁশিয়ারী ব্যক্ত করা হয়েছে।
কেননা সংশ্রব অত্যন্ত ক্রিয়াশীল।
সংশ্রব যেরূপ হয়, মানুষ সাধারণত
সেরূপ ভাবেই গড়ে ওঠে। প্রসিদ্ধ
মনীষী আফলাতুন তার একান্ত
ভক্তকে নসীহত করেছিলেন, “অসৎ
লোকের সহচর্যে বসো না। কেননা,
তোমার অজ্ঞাতে তার অসৎ চরিত্র
তোমার চরিত্রে অনুপ্রবেশ করবে।” এ
যুবকটি ছিল একান্ত বেদ্বীন ও
ধর্মহীন পরিবেশে লালিত-পালিত।
তদুপরি বাদশাহ নিজ
তত্ত্বাবধানে তাকে যাদুবিদ্যা শিক্ষা
করার জন্য নিয়োজিত করে। কিন্ত এ
যাদু শিক্ষার অবসরে যুগশ্রেষ্ঠ
ওলী আল্লাহর সোহবত ও সংশ্রব
লাভের সুযোগ তার হয়। আল্লাহ
তায়ালা বুযুর্গের এ সংশ্রবই যুবকের
মাধ্যমে পুরো জাতির ঈমান ও ইসলাম
গ্রহণের উপায় হয়ে দাড়ায়। এজন্য
আল্লাহওয়ালাদের সোহবত ও সান্নিধ্য
অত্যন্ত জরুরী। এক্ষেত্রে মাতা-
পিতা ও অভিভাবকদের অবহেলায়
অসংখ্য যুবকের জীবন ধ্বংস হচ্ছে।
যুবকদের স্বীয় জীবনকে পাপাচার ও
ধর্মহীনতায় লিপ্ত করে ধ্বংস
করা উচিত নয়। বরং বর্ণিত এ মহান
যুবকের জীবনকে পাথেয় করে ওলী-
বুযুর্গদের সোহবত ও সান্নিধ্য লাভ
করা বাঞ্ছনীয়। এই যুবকের আদর্শ
গ্রহণ করতঃ যৌবনের তাড়না-
বাসনা পরিহার করে স্রষ্টার পরিচয়
লাভ করা এবং বস্তু জগতের
কামিয়াবীর সাথে সাথে আখেরাতের
অনন্ত জীবনের শান্তি-সফলতার পথ
অবলম্বন করাই যুবকদের সাফল্য ও
মুক্তির একমাত্র পথ।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next যুবকের আধ্যাত্মিক শক্তি - আল্লাহর দরবারে মুনাজাত

কোন মন্তব্য নেই :