যুবকের আধ্যাত্মিক শক্তি - আল্লাহর দরবারে মুনাজাত
যুবকের আধ্যাত্মিক শক্তিশারীরিক শক্তিই মানুষের মূল
শক্তি নয়। প্রকৃত
শক্তি হচ্ছে রূহানী বা অধ্যাত্মিক
শক্তি। মূলতঃ কামিয়াব সেই,
যে শারীরিক শক্তির
সাথে সাথে আধ্যাত্মিক শক্তির
অধিকারী হতেও সক্ষম হয়েছে।
শারীরিক শক্তি অর্জনের জন্য
বিভিন্ন ধরণের খাদ্য-দ্রব্য গ্রহণ
করলে মানুষ সবল ও শক্তিশালী হয়;
অন্যথায় নয়। তেমনি রূহানী ও
আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জনের জন্য
রয়েছে ইবাদত, রিয়াজত ও বিভিন্ন
ধরণের হুকুম-আহকাম।
মোটকথা শরীয়তের সঠিক সুন্দর
অনুশীলনই হচ্ছে আধ্যাত্মিক
শক্তিতে বলীয়ান হওয়ার একমাত্র
উপায়। এ যুবক শুধু নামের ইসলাম
গ্রহণ করে নাই, বরং সে ছিল ইসলামের
যথার্থ মূল্যায়নকারী মুসলিম যুবক।
সে একনিষ্ঠভাবে শরীয়ত অনুশীলনের
বদৌলতে বিরাট আধ্যাত্মিক
শক্তি অর্জন করে এবং আল্লাহর
মারিফাত ও নৈকট্য লাভের
অধিকারী হয়। এক্ষেত্রে তার সুনাম-
সুখ্যাতি তার প্রতি আকর্ষণ ও
শ্রদ্ধা,ভক্তি করে। সে যেমন মানুষের
রোগ-ব্যধি ও বস্তুগত
সমস্যা সমাধানে অবদান রেখে তাদের
নানবিধ উপকার করে, তেমনি জনগণের
ঈমান ও আখেরাতের মুক্তির জন্যও
ভূমিকা রাখে। তার এসব কিছুর
মূলে ছিল তার রূহানী শক্তি ও
আধ্যাত্মিকতা। তার আধ্যাত্মিক
সুখ্যাতির আকর্ষণেই মন্ত্রী তার
দরবারে হাজির হয়। যুবক তার
আধ্যাত্মিক শক্তির সাহায্যে কেবল
মন্ত্রীর জড় চোখেই আলো ফুটায় নাই,
বরং তার অন্তর চোখেও
দৃষ্টিদানে সক্ষম হয়। তাই যুবকের
হাতে মন্ত্রী ইসলাম গ্রহণ করে চির
ধন্য হয়। কিন্তু লক্ষ্যণীয় যে, যুবক
সেজন্য কোন অহংকার করে নাই।
বরং আল্লাহ পাকের প্রতি চরম ও
পরম আনুগত্যের দৃষ্টান্ত কায়েক
করে। সে মন্ত্রীকে বলে এসব কিছু
আমার ক্ষমতা নয়, বরং পরম
করুণাময় আল্লাহ পাকের ক্ষমতা ও
রহমতের ফলাফল। এই যুবকের
আধ্যাত্মিক শক্তি যেমন জনগণের
ঈমান ও আমলের ক্ষেত্রে সহায়ক
হয়েছে, তেমনি সহায়ক হয়েছে তার
নিজের জন্যও।
সর্বপোরি সে অনুসরণীয় আদর্শ
হয়েছে আল্লাহর পাণে আগুয়ান বিশ্ব
যুবসমাজের জন্য।
আল্লাহর দরবারে মুনাজাত
আল্লাহ পাকের দারবারে মুনাজাত
করে স্বীয় প্রয়োজন মিটানো মানুষের
সর্বশ্রেষ্ঠ সম্বল। কিন্তু এক শ্রেণীর
মানুষ ও বিষয়ে এতো উদাসীন যে,
তারা তো নিজেরা কোন দিন আল্লাহর
দরবারে নতশীর হয় না, প্রার্থনাও
করে না। অপর দিকে বলে বেড়ায় যে,
‘কই আল্লাহতো মুনাজাত কবুল
করে না? কতবার দুআ-মুনাজাত
করানো হলো, অথচ ফল হয় না।’
আসলে এ হল বুঝের ভুল। আল্লাহ পাক
মুমিনের মুনাজাত অবশ্যই কবুল করেন।
তবে মুনাজাতে যে বিষয়টি কামনা করা
হয়, সে বিষয়টি যদি মুনাজাতকারীর
জন্য অমঙ্গলজনক হয়, তাহলে এর
পরিবর্তে তার জন্য মঙ্গলজনক কোন
কিছু নির্ধারণ করা হয়। অনেক সময়
আখেরাতে জন্য জমা রাখা হয়, আবার
কখনো সময়ের ব্যবধানে ফল প্রকাশ
করা হয়। অনেক সময় দেখা যায়, বিপদ
মুক্তির জন্য দোয়া করেও কোন ফল
পাওয়া যায় না, একথা ঠিক। এর
অন্যতম কারণ হলো, যার বিপদমুক্তির
জন্য মুনাজাত করা হয়,
সে নিজে বিপদের কারণসমূহ পরিহার
করে না। যার জন্য মুনাজাত করা হয়,
সে যদি সুদ, ঘুষ, ব্যভিচার, মদ্যপান,
গীবত,খিয়ানত, মিথ্যা, ঝগড়া-ফ্যাসাদ,
হত্যা, পাপাচারিতা ও অপরাধে লিপ্ত
থাকে, আল্লাহর হুকুম-আহকামের
পরোয়া না করে ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে,
তাহলে তার ক্ষেত্রে আল্লাহর
দরবারে মুনাজাত কবুল হবে কি করে?
মূল বিবেচ্য বিষয় এটাই। তা না হলে এই
যুবকের বেলায় আল্লাহ পাক মুনাজাত
কবুল করলেন কি করে? তাকে পাহাড়ের
চূঁড়া থেকে নিক্ষেপ
করতে গিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেরাই
ভূমিকম্পে আক্রান্ত হয়ে ধ্বংস
হয়ে গেল।
তাকে যারা সমুদ্রে ডুবিয়ে দেয়ার
পায়তারা করেছিল, তারা নিজেরাই
পানিতে ডুবে জাহান্নামী হলো।
এতে কি প্রমাণ হয় না যে, আল্লাহ পাক
মজলুমের মুনাজাত কবুল করেন।
তবে এর জন্য প্রয়োজন এই যুবকের
মত মানষিকতার এবং আল্লাহর
প্রতি দৃঢ় ঈমান ও একীনের।
পক্ষান্তরে যাদের মধ্যে এসব গুণ নেই,
তাদের নিজেদের দোয়া যেমন কবুল হয়
না, তেমনি তাদের জন্যে কৃত অন্যের
দোয়াও কবুল হয় না। যুবকের এই
ঘটনা যেমন বিশ্ব যুব সম্প্রদায়ের
জন্য আদর্শ তেমনি শিক্ষণীয়
পাপাচারি জালিমদের জন্যও।
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
Next হকের দাওয়াত - যুবকের দৃঢ়তা
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন