হকের দাওয়াত - যুবকের দৃঢ়তা

কোন মন্তব্য নেই
হকের দাওয়াত
যুবকটিকে বাদশাহ নসীহত
করে বলেছিল, তুমি আমার খুবই প্রিয়
এবং স্নেহের পাত্র। আমার
অনুকম্পা ও সাহায্য সহযোগিতায়
তুমি লালিত-পালিত। সুতরাং,
একত্ববাদের আকীদা বর্জন
করে আমার প্রতি আনুগত্য কর
এবং আমার ইহসানের জন্য কৃতজ্ঞ
হও। যুবক উত্তরে বলেছিল যে,
বাদশাহ! আপনার ইহসানের
কথা আমি স্বীকার করি, কিন্তু এসব
কিছুর পরও আমি আপনার আহ্বানের
সাড়া দিতে অক্ষম। কেন সে অক্ষম?
এজন্য যে, বাদশাহর আহ্বান ছিল
আল্লাহর বিরুদ্ধে বাতিল গ্রহণের
দিকে, এরূপ আহ্বানের কেউ
সাড়া দিতে পারে না। সে যত অধিক
ইহসানই করুক না কেন, আল্লাহ পাকের
তুলনায় অধিক ইহসান মানুষের উপর
আর কারও নেই। মানুষকে আল্লাহ পাক
সৃষ্টি করেছেন এবং অতি সুন্দর
করে সৃষ্টি করেছেন। আবার তার কাছেই
মানুষকে ফিরে যেতে হবে, এর কোন
বিকল্প নেই। তাই বাদশাহর গলদ
আহ্বানে যুবক সাড়া দিতে পারে নাই।
তবে তার ইহসানের বদলা হিসেবে যুবক
তাকে বাতিল পরিহার করে হকের
প্রতি আহ্বান করে, যাতে হক গ্রহণ
করে পার্থিব জগতেও নিরাপদ
হতে পারে এবং আখেরাতের
অনন্তকালের জীবনেও শান্তি ভোগ
করতে পারে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার
সম্মুখে যুবকের এই সাহসী পদক্ষেপ
একদিকে তার ইহসানের বদলা দেয়ার
মন-মানসিকতা ও হিম্মতের পরিচয়
বহন করে, অপরদিকে সত্যের আহ্বান
প্রচারে তার আত্মিক ব্যাকুলতার
উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পেশ করে। সত্যি,
কতইনা সফলকাম এরূপ যুবকের জীবন।
যুবকের দৃঢ়তা
হকের উপর দৃঢ় প্রত্যয়ের
অধিকারী হয়ে হকের উপর বিদ্যমান
থাকা কেবল শরীয়তের চাহিদাই নয়,
বরং মানবতার চাহিদাও বটে। কিন্তু এই
পথে রয়েছে বহু ধরণের জটিলতা, ঘাত-
প্রতিঘাত। এ ঘাত-প্রতিঘাতের
মুকাবিলা করেও যারা সত্যের উপর
প্রতিষ্ঠা লাভ করে, তাদেরও অনেক
মায়া-মমতা ও পদমর্যাদার
লোভে বাতিলের স্রোতে ভেসে যায়।
বর্তমান পরিবেশেও এর নজির বিরল
নয়। কিন্তু মহান এই যুবক এক ভিন্ন
ধরণের যুবক। তাকে মন্ত্রীত্বের
পদমর্যাদা দানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে,
অন্যথায় হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে,
পাহাড়ের চূঁড়া থেকে নিক্ষেপের পদক্ষেপ
নেয়া হয়েছে, সমুদ্রে ডুবিয়ে দেয়ার
ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং সব
শেষে তাকে শহীদ করা হয়েছে কিন্তু এই
যুবক ভীত-সন্ত্রস্ত হয় নাই।
পদমর্যাদার লোভ তাকে কাতর
করতে পারে নাই। এক্ষেত্রে প্রভুর
প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস
তাকে সহায়তা করেছে। জুলুম-
নির্যাতনে সে ধৈর্য ধারণ করেছে।
এভাবে সে একদিকে খাঁটি বান্দার
পরিচয় পেশ করেছে, অপরদিকে বিশ্ব
মানব ও যুব সমাজের জন্য আদর্শ
স্থাপন করেছে। এসব মুহূর্তে তার
প্রতি আল্লাহর করুণা, দয়া-মায়া ও
রহমত অনন্তকালের জন্য বিশ্ব
যুবকদের চলার পথের পাথেয়
হিসাবে কাজ করবে।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next NEXT POST

কোন মন্তব্য নেই :