যুবকের কাফনে লিপি - ওলামাদের কর্তব্য
যুবকের কাফনে লিপিইবনে দীনার এই লিপি পাঠ করে অবাক
হয়ে যান এবং যুবকের খবর নেয়ার
জন্য তার বাড়ীতে যান। বাড়ীর
চত্বরে গিয়ে অবগত হন যে, গতকাল ঐ
যুবক মৃত্যুবরণ করেছে। মালিক
ইবনে দীনার জানতে চান,
তাকে কিভাবে গোসল
দেয়া হয়েছে এবং কিভাবে কাফন-দাফন
করা হয়েছে? লোকেরা জানালো যে, এই
যুবক মৃত্যুর পূর্বে আমাদেরকে অছিয়ত
করে গিয়েছিল। তার অছিয়ত মুতাবেক
তাকে গোসল ও কাফন-দাফন করা হয়
এবং একটি লিখিত কাগজ তার
কাফনে দিয়ে দেয়া হয়। মালিক
ইবনে দীনার লিখিত কাগজটি বের
করে তাদেরকে দেখালেন। কাজগ
দেখে তারা বলে উঠল, ‘আল্লাহর কসম!
এই কাগজটিই যুবকের
কাফনে দেয়া হয়েছিল।’ এই দৃশ্য
দেখে অন্য এক যুবক বলে উঠলো,
হে মালিক ইবনে দীনার!
আমি আপনাকে দুই লক্ষ্য দেরহাম দিব,
আমাকেও আপনি একটি ওয়াদাপত্র
লিখে দিন। মালিক ইবনে দীনার বললেন,
“এসব আল্লাহ পাকের ইচ্ছা, আমার
কিছু করার নেই।” এরপর প্রায়ই মালিক
ইবনে দীনার এই যুবকের কথা স্মরণ
করতেন এবং অশ্র“সিক্ত হতেন।
দাওয়াতের গুরুত্ব
এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, যেসব
যুবক অর্থ-কড়ি ও দুনিয়ার
পিছনে মত্ত, তাদের কাছে দ্বীনের
দাওয়াত পৌঁছানো জরুরী। বিশেষ
করে যাদের প্রতি জনগণ আস্থাশীল,
যাদেরকে লোক ভক্তি-
শ্রদ্ধা করে তাদের কর্তব্য হলো,
তারা যেন মানুষকে আখেরাতের
ব্যাপারে নছীহত করেন। অসংখ্য যুবক
এমন রয়েছে যারা দ্বীনের দাওয়াত
না পাওয়ার দরুন পাপাচার ও অর্থ-
সম্পদের মধ্যে আপাদমস্তক
নিমজ্জিত হয়ে আখেরাতের জীবন
ধ্বংস করে দিচ্ছে। যদি তাদের
পিছনে মেহনত করা হয়,
তাহলে তারা হেদায়েত লাভ করতে পারে।
বর্তমান যুগের তাবলীগী দাওয়াত এর
জ্বলন্ত প্রমাণ। তাদের অক্লান্ত
মেহনতের বদৌলতে অসংখ্য যুবক
সঠিক পথের সন্ধান লাভ
করছে এবং শরীয়তের প্রতি আকৃষ্ট
হচ্ছে। আমাদের
দেশে বর্তমানে অসংখ্য ওলামা-
মাশায়েখ, মুহাদ্দিস, ফকীহ ও আল্লাহ
ওয়ালা বিদ্যমান রয়েছেন। যুবকদের
দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছানোর
ক্ষেত্রে তাদের কি কর্তব্য তা গভীর
ভাবে ভেবে দেখা দরকার।
ওলামাদের কর্তব্য
মূলতঃ এক্ষেত্রে ওলামা-মাশায়েখদের
বড় কর্তব্য হচ্ছে, দিশেহারা যুবকদের
পিছনে মেহনত করা,
তাদেরকে ঘৃণা না করে,
দূরে ঠেলে না দিয়ে তাদের
মধ্যে দ্বীনী চেতনা সৃষ্টি করা।
সেটি করতে হবে আদর-যতেœর
মাধ্যমে, স্নেহ-মায়ার মাধ্যমে, রাতের
আঁধারে তাহাজ্জুদ পড়ে তাদের জন্য
আল্লাহর দরবারে হেদায়েত ও নাজাতের
দোয়া করার মাধ্যমে। এ
বিষয়ে কিয়ামতের ময়দানে ওলামাগণই
অধিক জিজ্ঞাসিত হবেন।
সুতরাং ওলামা-মাশায়েখগণের এ
ব্যাপারে সচেতন ও
সক্রিয়া হওয়া বাঞ্ছনীয়।
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
Next Post জান্নাতের মালিক আল্লাহ - যুবকদের করণীয়
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন