যুবকের আধ্যাত্মিক সাফল্য - শিক্ষার প্রতি অনুরাগ

কোন মন্তব্য নেই
যুবকের আধ্যাত্মিক সাফল্য
ইবনে যায়েদ বললেন, “যুবকটি মুসলমান
হয়ে আমাদের সাথেই থেকে যায়। তার
আমল পরিশ্রম ও
আধ্যাত্মি সাধনা আমাকে অবাক
করে তুলে।” একটি যুবক, তারপর নও-
মুসলিম, রাতভর সে আল্লাহ পাকের
ইবাদত করে, আল্লাহর
দরবারে ক্ষমা চায়, মুনাজাতে রত
থাকে। অল্প সময়ে তার এই
সাফল্যে সত্যিই অবাক হওয়ার কথাই!
একদিন এশার নামাযান্তে ঘুমানোর
সময় যুবকটি বুযুর্গকে সম্বোধন
করে প্রশ্ন করে, “মহান আল্লাহ পাক
কি রাত্রে ঘুমান?” বুযুর্গ বললেন,
“না না তিনি ঘুমান না। তিনি চিরন্তন,
তার সত্ত্বায় তন্দ্রা-নিদ্রার অবকাশ
নেই।” তিনি তাকে আয়াতুল
কুরসী তেলাওয়াত করে শোনান
এবং আয়াতের অর্থ সম্পর্কে অবহিত
করেন। যুবক তার মুখে আয়াতুল
কুরসীর বর্ণনা শ্রবণ করে ভর্ৎসনার
সুরে বলে, “আপনারা কেমন উদাসীন!
মালিক সামনে জাগ্রত দণ্ডায়মান, আর
আপনারা ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন?”
মিরাজের রাত্রে রাসূলে পাক
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক
শ্রেণীর লোকদেরকে কঠোর
শাস্তিতে আক্রান্ত দেখে জিবরীল
আলাইহিস
সালামকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন,
এরা কারা, প্রস্তরঘাতে কেন তাদের
বারবার চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হচ্ছে?
জিবরীল বললেন, “তারা এমন সব
ক্বারী, হাফেজ, আলেম-ওলামা,
যারা দিনের বেলায় উদাসীন
হয়ে ঘুরাফেরা করে আর রাতের বেলায়
বেহুশ হয়ে ঘুমায়, আমলের ধার ধারে না।
অন্য হাদীসে আছে,
“অনেকে কুরআনে পাকের তেলাওয়াত
করে এবং কথাবার্তঅয় মিষ্টভাষী,
কিন্তু তাদের জীবনে দ্বীনের কোন
চিহ্নও নেই।” আল্লাহ পাক
আমাদেরকে হেফাযত করুন। যারা আজ
পবিত্র কুরআনের তেলাওয়াত,
শিক্ষা ও তালিমকে উপার্জনের উপায়
বানিয়ে নিয়ে অহংকারে গর্বিত,
যারা ইসলামী শিক্ষার নিদর্শনÑ
দাঁড়ী কর্তন করে, বে-সুন্নতী চুল
মাথায় রেখে বেপর্দা হয়ে নির্লজ্জভাবে
মহিলাদের সাথে আনাগোনা ও অনুষ্ঠান
করে থাকে, তাদের না আছে সুন্নতের
আমল, না আছে শরীয়তের আমল।
পরিণাম সম্পর্কে তাদের সতর্ক
হওয়া উচিত। এই যুবকের জীবনাদর্শ
থেকে তাদের শিক্ষা গ্রহণ
করা বাঞ্ছনীয়।
শিক্ষার প্রতি অনুরাগ
ইবনে যায়েদ বলেন, যুবকের মুখের
কথা শুনে অবাক না হয়ে পারলাম না।
তার সামনে নিজেকে অত্যন্ত লজ্জিত
মনে হল। এদিকে আমাদের সামানে দীর্ঘ
সফর, তাই আমরা সফরের
তৈরী করতে থাকি। এমতাবস্থায়
যুবকটি আমাদেরকে বলল,
“আপনারা আমাকে সাথে নিয়ে চলুন।
আমি দ্বীনি শিক্ষা লাভ করতে চাই।
আপনাদের সহচর্য ব্যতীত এর কোন
বিহিত ব্যবস্থা আমার সম্মুখে নেই।
তাই দয়া করে আপনাদের
সাথে আমাকে থাকার
অনুমতি দিলে আমার প্রতি ইহসান হবে।
আমার দ্বীনি শিক্ষা লাভের সুযোগ
হবে।” নও-মুসলিম যুবকের আগ্রহ
অনুভব করে বুযুর্গ
তাকে সাথে রাখতে সম্মত হন।
ফলে যুবকের
মনে উৎফুল্লতা জেগে উঠে এবং সে
দ্বীনি শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়ে যায়।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post যুবকদের প্রতি উদাসীনতা - যুবকদের করণীয়

কোন মন্তব্য নেই :