যুবকদের প্রতি উদাসীনতা - যুবকদের করণীয়

কোন মন্তব্য নেই
যুবকদের প্রতি উদাসীনতা
আজ যুবকদের দ্বীনি শিক্ষার
প্রতি উদাসীনতা প্রত্যক্ষ
করে আশ্চর্য না হয়ে পারা যায় না।
বস্তুতান্ত্রিক শিক্ষার
প্রতি আকর্ষণ আর ধর্মীয় শিক্ষার
প্রতি অবজ্ঞা ও অনীহার কারণে যুব
সমাজ আজ অধঃপতনের চরম
পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে, আর
প্রগতিবাদী বুদ্ধিজীবীরা কেবল
সভ্যতার নানা ধ্বনি উচ্চকিত করছে।
কিন্তু এতে তাদের মুক্তির কোন পথ
সুগম হচ্ছে না। যুবকদের
যারা অভিভাবক, তারা কেউ নীরব
দর্শকের ভূমিকায় আছে আর কেউ
পরিবেশের দোহাই দিয়ে দায়িত্ব শেষ
করছে। এক শ্রেণীর মাতা-পিতা স্বীয়
সন্তানদেরকে বস্তু শিক্ষায় শিক্ষিত
করে সন্তানের কাছে স্বীয় অধিকারের
দাবী জানাচ্ছে, আর এক শ্রেণীর
মুরুব্বী ইয়াহুদী-খৃষ্টান ও বিধর্মীদের
প্রতিষ্ঠানে সন্তানের শিক্ষার সুযোগ-
সুবিধা লাভের
গৌরবে আত্মহারা হয়ে পড়েছে। অথচ
আদরের সন্তান আল্লাহর
দেয়া নেয়ামত, তার আখেরাতের জীবন
যে ধ্বংসের পথে, বরং ধ্বংস
হয়ে যাচ্ছেÑ এতে অভিভাবকদের কোন
পরিতাপ নেই, মাথা ব্যাথা নেই।
আত্মভোলা মাতা-পিতা ও
অদূরদর্শী অভিভাবকদের এহেন
উদাসীনতার কারণে আজ মুসলিম যুব
সমাজ খোদাভীরুতার
পরিবর্তে খোদাদ্রোহীতার
হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে। নাস্তিকতার
প্রসারে তারা আজ ষড়যন্ত্রের
শিকার। দেখা যাচ্ছে, তাদের
কাছে সকলেই প্রিয় ধর্ম-কর্ম
নির্বিশেষে সকলেই তাদের বন্ধু; শত্র“
হচ্ছে কেবল আল্লাহ, আল্লাহর-রাসূল
আর আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত ও রাসূল
প্রদর্শিত দ্বীন ও ইসলাম। মাতা-
পিতাগণ এর মাশুল আদায়
করা থেকে রেহাই পাবেন না।
যুবকদের করণীয়
অভিভাবকদেরকে এ ভুল সংশোধন
করতে হবে। তাদের বুঝতে হবে যে,
সন্তান-সান্ততি আল্লাহ প্রদত্ত
নেয়ামত। পিতা-মাতার উপর তাদের
বস্তুগত অধিকার অবশ্যই
রয়েছে এবং তা আদায়ও করতে হবে।
কিন্তু এর চেয়েও অধিক
হচ্ছে দ্বীনি অধিকার,
যা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আদায়ের
দাবী রাখে। সেই সাথে যুবকদেরও
সচেতন হতে হবে। তাদের বুঝতে হবে যে,
এই যৌবনকাল তাদের কে দিয়েছেন?
কতকাল বিদ্যমান থাকবে এই যৌবন?
অবশেষে তাদেরকে কোথায়
পাড়ি জমাতে হবে?
তাদেরকে বুঝতে হবে যে, তারা একদিন
ছিল না, কোথা হতে তাদের আগমন
হয়েছে? তারা ছিল শিশু, আজ
তারা যুবক, কাল হবে বৃদ্ধ, দেহের
শক্তি হ্রাস পাবে। তাদের জীবন
হচ্ছে একটি পথ। তারা সেই পথের
পথিক। পথিককে সামনের পথে গমন
অব্যাহত রাখতে হবে। মৃত্যু, কবর,
হাশর ও পুলছিরাতের কঠিন
ঘাঁটি রয়েছে। সেসব ঘাঁটির পারাপারের
ব্যবস্থা এখান থেকেই করে নিতে হবে।
সেখানে কোন ব্যবস্থা নেই,
সাহায্যকারী নেই। তাদেরকে সেই
ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং বিশ্ব
যুব সমাজের সামনে আদর্শ স্থাপনের
দায়িত্বও পালন করতে হবে। এজন্য
অতীতের স্মরণীয় মুসলিম যুবকদের
আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হবে। এই
নও-মুসলিম যুবকের
জীবনকে করতে হবে পাথেয়।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post যুবকদের প্রতি উদাসীনতা - মৃত্যুর স্বপ্ন

কোন মন্তব্য নেই :