যুবকের নছীহত - জাহান্নামের ভয়

কোন মন্তব্য নেই
যুবকের নছীহত
বাহলুলের আবেদনে নবী বংশের সেই
যুবকটি নিম্নের
কবিতা আবৃত্তি করে ঃ
 হে পবিত্র আল্লাহর আপনিই দীনতা-
হীনতা প্রকাশের স্থল, আপনিই
ভরসাস্থল।
 হে আল্লাহ পাক! আপনার
দরবারে যে আশা করে সে নিরাশ হয় না,
তার আশা অবশ্যই পূরণ করা হয়।
এই
কবিতা আবৃত্তি করে যুবকটি কাঁপতে
কাঁপতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে যায়।
বাহলুল দ্রুত যুবকটির মাথা নিজের
কোলে নিয়ে মুখে লেগে থাকা আবর্জনা
পরিষ্কার করে। কিছুক্ষণ পর যুবকের
হুশ ফিরে আসলে বাহলুল তাকে বলে,
“হে যুবক! তোমার বয়স এখন অনেক
কম, এত ভয়ের কি আছে?” যুবক বলল,
‘হে বাহলুল! তুমি দূর হও!
আমি আম্মাজানকে চুলায় আগুন
জ্বালানোর সময় দেখেছি যে,
তিনি লাকড়ির ছোট ছোট
টুকরাগুলোকে সবসময় প্রথমে চুলায়
দেন, আর বড়
লাকড়িগুলোকে পরে দিয়ে থাকেন। আমার
ভয় হয়, জাহান্নামের আগুনে ছোট
লাকড়ির
স্থলে প্রথমে আমাকে রেখে দেয়া হয়
কি না!
জাহান্নামের ভয়
জাহান্নাম অত্যন্ত কঠোর শাস্তির
স্থানÑ এই জ্ঞান এবং বিশ্বাস যার
আছেÑ ছোট হোক আর বড় হোক, বৃদ্ধ
হোক আর যুবক হোক গোনাহের কাজ
সে করতে পারে না। সাপের
মুখে মণিমুক্ত থাকলেও কেউ তার মুখ
থেকে তা কেড়ে নিতে সাহস পায় না।
সাপের দংশন এবং বিষের ভয়
তাকে বিরত রাখে। অনুরূপ যার
অন্তরে জাহান্নামের ভয় ও শাস্তির
দৃঢ় বিশ্বাস বিদ্যমান রয়েছে,
তাকে গোনাহের স্বাদ কোনদিন
গোনাহের দিকে আকৃষ্ট করতে পারে না।
এই বিশ্বাসই ছিল যুবকের ভয়ের কারণ
যাদের অন্তরে বিশ্বাস ও ভয় নেই,
কেবল তারাই শুধু গোনাহের
কাজে নির্দ্ধিধায় লিপ্ত হতে পারে

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post মৃত্যুর স্মরণ মুক্তির উপায়

কোন মন্তব্য নেই :