আট. যুবক রশীদ ইবনে সুলাইমান

কোন মন্তব্য নেই
রাতের কান্না
জেহাকে ইবনে মুযাহিম বলেন,
“আমি জুমার রাত্রে কুফার
জামে মসজিদে গিয়ে এক
যুবককে মসজিদের বারান্দায় সিজদায়
ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখি। আমার
মনে হলো, যুবকটি সাধারণ যুবক নয়,
বড় ধরণের আল্লাহর ওলী হবে। তাই
আমি তার দিকে অগ্রসর হই।
তাকে মুনাজাতে বলতে শুনিÑ হে মহান
আল্লাহ পাক! আমার ভরসা আপনার
উপর, আর কারো উপর নয়।
প্রকৃতপক্ষে প্রশান্ত সেই, যে কেবল
আপনাকে স্বীয় জীবনের আসল লক্ষ্য
বানিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
সর্বোত্তম সে, যে সমস্ত
রাত্রি আপনার ভয়-ভীতির
মধ্যে অতিক্রম করতে সক্ষম
হয়েছে এবং নিজের দুঃখ-কষ্ট ও বালা-
মুসিবতের কথা আপনার কাছে পেশ
করতে সক্ষম হয়েছে। যার
মধ্যে আপনার মুহাব্বত ও প্রেমের
আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে তার মত
সফলকাম আর কেউ নেই। তার জীবন
সফলকাম যে তার প্রেমাস্পদকে রাতের
আঁধারে ডাকে এবং তার উত্তর পায়।
যুবকের এরূপ মুনাজাত
এবং ক্রন্দনে আমার মাঝে এমন
প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলো যে, আমিও
তার সাথে সাথে কাঁদতে শুরু করি। তার
মুনাজাতের বাণীসমূহ থেকে এক প্রকার
নূর ও মারিফাতের স্বাদ অনুভূত
হচ্ছিল। এরপর যুবক এই
কবিতাটি আবৃত্তি করতে থাকেÑ
হে আমার বান্দা!
আমি আছি এবং তোমাকে হেফাযত
করছি।
তুমি আমার তত্ত্বাবধানে আছো
তুমি যা বলছ, আমি তা শুনছি।
আমার ফেরেশতাগণ তোমার মধুর বাক্য
শুনতে আগ্রহী।
আমি তোমার সমস্ত গোনাহ
ক্ষমা করে দিয়েছি।”


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post যুবকের পরিচয় - জ্বিনের সমাবেশ

কোন মন্তব্য নেই :