যুবকের পরিচয় - জ্বিনের সমাবেশ

কোন মন্তব্য নেই
যুবকের পরিচয়
যুবকটি মুনাজাত থেকে ফারেগ হওয়ার
পর ইবনে মুযাহিম তাকে সালাম দেন।
যুবক সালামের উত্তর দেয়।
ইবনে মুজাহিম তাকে বলেন, “আল্লাহ
পাক তোমার প্রতি স্বীয় রহমত
অব্যাহত রাখুন এবং তার নূরে তোমার
জীবন নূরান্বিত করুনÑ তুমি কে?
তোমার পরিচয় কি?” যুবকটি বলল,
‘আমি রশীদ ইবনে সুলাইমান।’
ইবনে মুযাহিম তার নাম এবং তার
বুযুর্গী ও আল্লাহভীরুাতার কথা এর
আগে বহুবার শুনেছিলেন। তার
সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ব্যাকুল ছিলেন।
কিন্তু ইতিপূর্বে কোনদিন সাক্ষাতের
সুযোগ হয়নি। যুবকের মুখে তার নাম
শোনার সাথে সাথে ইবনে মুযাহিমের মন
খুশীতে বাগ বাগ হয়ে যায় এবং তার
সহচর্যে থাকার জন্য তিনি আবেদন
জানান।
যুবক অদৃশ্য
ইবনে মুযাহিমের আবেদনের
উত্তরে যুবক বলেÑ “আপনাকে আমার
সাথে রাখা খুবই কঠিন।
কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহ পাকের
কাছে মুনাজাত করে স্বাদ
এবং তৃপ্তি লাভে ধন্য
সে কি করে সৃষ্টির সাথে সম্পর্ক
রাখতে পারে? যদি পূর্বের ওলীগণ
আমাদের অবস্থা অবলোকন করেন
তাহলে তারা বলবেন যে, আখেরাতের
উপর আমার কোন ঈমান নেই’Ñ এই
বলে যুবকটি গায়েব হয়ে যায়।
ইবনে মুযাহিম অনেক খুঁজাখুঁজি করেও
যুবকের আর সন্ধান না পেয়ে অত্যন্ত
মর্মাহত হন।
যুবকের সাক্ষাৎ
ইবনে মুযাহিম নিজেও বড় ধরণের
ওলী ছিলেন। কিন্তু আল্লাহর ওলী এই
যুবকের সাক্ষাৎ পেয়েও তার সান্নিধ্য
থেকে বঞ্চিত হয়ে যাওয়ার দুঃখে কাতর
হয়ে পুণরায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভের
জন্য আল্লাহ পাকের দরবারে কাকুতি-
মিনতির সাথে মুনাজাত করতে থাকেন।
এরপর একবার হজ্জ্বের
উদ্দেশ্যে তিনি মক্কা শরীফ গমন
করেন এবং বায়তুল্লাহ শরীফে বিরাট
এক মজলিসে ঐ যুবককে বয়ান
করতে দেখতে পান। যুবকটি বয়ানের
মূহুর্তে সূরায়ে ‘আনআম’
থেকে তেলাওয়াত
করে করে উপস্থি শ্রোতাবৃন্দকে
শোনাচ্ছিল। ইবনে মুযাহিমকে দেখে যুবক
মুচকি হাসে। অতঃপর সালাম
মুসাহাফা এবং মুআনাকা করতঃ ইবনে
মুযাহিমকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘পুনরায়
আমার সাথে মুলাকাতের জন্য আল্লাহর
দরবারে মুনাজাত করেছিলেন?”
ইবনে মুযাহিম বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি এরূপ
মুনাজাত করেছিলাম।’ যুবকটি বলল,
আলহামদুলিল্লাহ।
জ্বিনের সমাবেশ
ইবনে মুযাহিম সুযোগ বুঝে এদিক
সেদিকের কথা না বলে বিনয়ের
সাথে যুবকের কাছে আবেদন করে বলেন,
“ঐ রাত্রে আপনি আল্লাহ পাকের
নিকট থেকে যা পেয়েছেন
এবং যা দেখেছেন ও শুনেছেন,
সে বিষয়ে আমাকে অবহিত করুন।” এই
আবেদনের সাথে সাথে যুবকটি হঠাৎ
চিৎকার করে সংজ্ঞাহীন হয়ে যায়
এবং উপস্থিত সমস্ত শ্রোতাবৃন্দ
মুহূর্তের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর যুবকটির জ্ঞান
ফিরে আসলে সে ইবনে মুযাহিমকে বলে,
“হে আমার ভাই! যারা আল্লাহর
সন্ধানী, আল্লাহর ভেদ প্রকাশে তাদের
অন্তর কত অধিক ভীত-সন্ত্রস্ত
হয়, তা কি আপনি জানেন না?”
ইবনে মুযাহিম জিজ্ঞেস করলেন, “এই
লোকগুলো কারা ছিল? কিভাবে অদৃশ্য
হয়ে গেল?” যুবক বললঃ এরা মুসলমান
জ্বিন। আমার সাথে সম্পর্ক রাখে।
আমি তাদেরকে সম্মান করে থাকি।
এরা প্রতি বছর হজ্জ্ব
করে এবং আমাকে কুরআন শরীফ
তেলাওয়াত করে শোনায়।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।
এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।
প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post জান্নাতে সাক্ষাৎ হবে - শিক্ষণীয় বিষয়

কোন মন্তব্য নেই :