তাওহীদ ও শিরক সম্পর্কে গুরুত্তপূর্ণ মাসয়ালা

কোন মন্তব্য নেই
আমাদের উপর যখন কোনো বিপদ আপদ
নেমে আসে তখন অনেককেই এমন
কথা বলতে শোনা যায় :
১) আমার রাশি খারাপ
২) সময় বা যুগটাই খারাপ
৩) কলিকাল, আরো কতো কিছু যে হবে
৪) শনির দশা লাগছে
৫) আমার কুফা লাগছে
(৬) এক শালিক / পেচার ডাক /
ভাঙ্গা ঝাড়ু দেখে বাসা থেকে বের
হইছিলাম এই জন্য এই অবস্থা
(৭) বাতাস, ঝড় তুফান, কড়া রোদ্র,
প্রচন্ড শীত
বা একটানা ব্রিষ্টিকে গালি দেয়া
উপরের সবগুলো কথাই তাওহীদ বিরোধী,
শিরক।
বিশ্লেষণ :
(১) + (৪) = তুলা রাশি, কন্যা রাশি,
শনির দশা এসবগুলো কথাই হলো, গ্রহ-
নক্ষত্র ও চন্দ্র-সূর্যের অবস্থানের
উপর ভিত্তি করে মানুষের ভাগ্য
গণনা করার পদ্ধতি। এই
পদ্ধতিতে বিশসাস করা হয়, এই
জিনিসগুলো মানুষের ভাগ্য নিয়ন্ত্রন
করে, যা খোলাখুলি শিরক। ভাগ্য
নিয়ন্ত্রক একমাত্র মহান আল্লাহ।
কেউ যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য
কিছুকে ভাগ্য নিয়ন্ত্রক
মনে করে তাহলে সে আল্লাহর
সাথে শরীক করলো।
এছাড়া এগুলো মানুষের ভবিষ্যত বলার
অন্তর্ভুক্ত যা কুফুরী কাজ।
রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই
রকম গণকের (রাশিফল, জোতিষী,
ভবিষ্যত বক্তা হুজুর বা পীর) এর
কথা বিশসাস
করলো সে যেনো মুহাম্মাদের
প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে (কোরআন)
তাকেই অসীকার করলো। (আবু দাউদ,
তিরমিযী, নাসায়ী ও অন্যান্যরা)।
অন্য বর্ণনায় তিনি বলেন, ৪০ দিন
পর্যন্ত অই ব্যক্তির নামায কবুল
হবেনা। (মুসলিম)
(২) = অনুরূপভাবে কেউ
যদি মনে করে তার বিপদ আপদ সময়ের
কারণে আসছে তাহলে সেউ শিরক করলো,
কারণ আমাদের উপর ভালো মন্দ
যা কিছু আপতিত হয়, সবই আল্লাহর
পক্ষ থেকে নির্ধারিত।
রাসুল (সা.) বলেন, মহীয়ান গরীয়ান
আল্লাহ বলেন, আদম সন্তান
আমাকে কষ্ট দেয়, সে বলে 'হায় সময়ের
ফের - দুর্ভাগ্য' ! (আমার মন্দ সময়)।
তোমাদের কেউ যেন 'হায় সময়ের ফের'
না বলে। কেননা, আমিইতো সময়, আর
রাত ও দিনের পরিবর্তনতো আমিই
করে থাকি। আমি যখন ইচ্ছা করি, তখন
তাদের দুটিকে সংকুচিত করে দেই।
মুসলিম, ৫৬৬৯।
(৩) হিন্দুয়ানি বিশসাস
(৫) + (৬) এগুলো হলো কুলক্ষন
ধরে নেয়া। এইরকম কোনো জিনিস
থেকে সুলক্ষণ বা কুলক্ষণ নেয়া শিরকের
অন্তর্ভুক্ত।
রাসুল সা. বলেন, পাখি উড়িয়ে লক্ষণ
নেয়া (সুলক্ষন বা কুলক্ষন) শিরক।
এগুলো আমাদের কাজ নয়। (আবু দাউদ,
তিরমিযী)
(৭) এরকম প্রাক্রিতিক
জিনিসগুলোকে গালি দেয়া সময়
বা যুগকে গালি দেয়ার মতোই।
এগুলো যেভাবে ইচ্ছা সেইভাবে নিয়ন্ত্রন
ও পরিচালনা করেন সয়ং আল্লাহ। তাই
এগুলোকে গালি দিলে বা সমালোচনা করলে,
যিনি এগুলো পরিচালনা করেন সেই মহান
আল্লাহকেই
গালি দেয়া বা সমালোচনা করা হয়
যা কুফুরী (নাউযুবিল্লাহ)।
বিস্তারিত জানার জন্য অবশ্য পাঠ্য :
কিতাবুত তাওহীদের ব্যখ্যা - শায়খ
সালিহ বিন আব্দুল আজীজ
আহলে শায়খ।


Next post এতেকাফ তাৎপর্য, উদ্দেশ্য ও বিধান

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

কোন মন্তব্য নেই :