এতেকাফ তাৎপর্য, উদ্দেশ্য ও বিধান 1

কোন মন্তব্য নেই
প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার
করতে ভুলবেন না
সংকলন : মুহাম্মদ আকতারুজ্জাম
সম্পাদনা : মুহাম্মদ শামছুল হক
সিদ্দিক
এতেকাফের সংজ্ঞা
বিশেষ নিয়তে বিশেষ অবস্থায়
আল্লাহ তা-আলার আনুগত্যের
উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান
করাকে এতেকাফ বলে।
এতেকাফের ফজিলত
এতেকাফ একটি মহান ইবাদত, মদিনায়
অবস্থানকালীন সময়ে রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
প্রতি বছরই এতেকাফ পালন
করেছেন। দাওয়াত, তরবিয়ত,
শিক্ষা এবং জিহাদে ব্যস্ত
থাকা সত্ত্বেও
রমজানে তিনি এতেকাফ ছাড়েননি।
এতেকাফ ঈমানি তরবিয়তের
একটি পাঠশালা, এবং রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
হিদায়েতি আলোর একটি প্রতীক।
এতেকাফরত অবস্থায়
বান্দা নিজেকে আল্লাহর ইবাদতের
জন্য দুনিয়ার অন্যান্য সকল বিষয়
থেকে আলাদা করে নেয়।
ঐকান্তিকভাবে মশগুল
হয়ে পড়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের
নিরন্তর সাধনায়। এতেকাফ ঈমান
বৃদ্ধির একটি মূখ্য সুযোগ। সকলের
উচিত এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের
ইমানি চেতনাকে প্রাণিত
করে তোলা ও উন্নততর
পর্যায়ে পৌছেঁ দেয়ার চেষ্টা করা।
আল-কুরআনুল
কারিমে বিভিন্নভাবে এতেকাফ
সম্পর্কে বর্ণনা এসেছে, ইবরাহিম আ.
ও ইসমাইল আ. এর কথা উল্লেখ
করে এরশাদ হয়েছে :
ﻭَﻋَﻬِﺪْﻧَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ
ﻭَﺇِﺳْﻤَﺎﻋِﻴﻞَ ﺃَﻥْ ﻃَﻬِّﺮَﺍ ﺑَﻴْﺘِﻲَ
ﻟِﻠﻄَّﺎﺋِﻔِﻴﻦَ ﻭَﺍﻟْﻌَﺎﻛِﻔِﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺮُّﻛَّﻊِ
ﺍﻟﺴُّﺠُﻮﺩِ ) ﴿১২৫﴾ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ
“এবং আমি ইবরাহিম ও
ইসমাইলকে আদেশ করলাম,
তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী,
এতেকাফকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের
জন্য পবিত্র
করো।” ( সূরা বাকারা : ১২৫)
এতেকাফ অবস্থায় স্ত্রীদের
সাথে কি আচরণ
হবে তা বলতে গিয়ে আল্লাহ তা-
আলা বলেন :
ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺒَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﻭَﺃَﻧْﺘُﻢْ ﻋَﺎﻛِﻔُﻮﻥَ
ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﺴَﺎﺟِﺪِ. ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ
১৮৭
“আর তোমরা মসজিদে এতেকাফ
কালে স্ত্রীদের
সাথে মেলামেশা করো না।” ( সূরা বাকারা :
১৮৭)
ইবরাহিম আ. তাঁর
পিতা এবং জাতিকে লক্ষ্য
করে মূর্তির
ভর্ৎসনা করতে যেয়ে যা বলেছিলেন,
আল্লাহ তা-আলা তা উল্লেখ
করে বলেন:
ﺇِﺫْ ﻗَﺎﻝَ ﻟِﺄَﺑِﻴﻪِ ﻭَﻗَﻮْﻣِﻪِ ﻣَﺎ ﻫَﺬِﻩِ
ﺍﻟﺘَّﻤَﺎﺛِﻴﻞُ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﺃَﻧْﺘُﻢْ ﻟَﻬَﺎ
ﻋَﺎﻛِﻔُﻮﻥَ ﴿ ৫২﴾ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻷﻧﺒﻴﺎﺀ
“যখন তিনি তাঁর পিতা ও তাঁর
সম্প্রদায়কে বললেন: “এই
মূর্তিগুলো কি, যাদের
পূজারি (এতেকাফকারী) হয়ে)
তোমরা বসে আছ” ?
(সূরা আম্বিয়া : ৫২)
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের অসংখ্য
হাদিস এতেকাফ সম্পর্কে বর্ণিত
হয়েছে, তার মধ্য হতে ফজিলত
সম্পর্কিত কিছু হাদিস নিচে উল্লেখ
করা হল।
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ
ﻗﺎﻟﺖ: ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻌﺘﻜﻒ ﺍﻟﻌﺸﺮ
ﺍﻷﻭﺍﺧﺮ ﺣﺘﻲ ﺗﻮﻓﺎﻩ ﺍﻟﻠﻪ، ﺛﻢ
ﺃﺯﻭﺍﺟﻪ ﻣﻦ ﺑﻌﺪﻩ. ﺭﻭﺍﻩ
ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻭ ﻣﺴﻠﻢ
আয়েশা রাদি-আল্লাহু
আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষের
দশকে এতেকাফ করেছেন, ইন্তেকাল
পর্যন্ত। এরপর তাঁর স্ত্রীগণ
এতেকাফ করেছেন। [ বুখারি ও
মুসলিম]
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ
ﻗﺎﻟﺖ: ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻌﺘﻜﻒ ﻓﻲ
ﻛﻞ ﺭﻣﻀﺎﻥ ) . ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﺭﻗﻢ
ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ২০৪১)
অর্থাৎ: আয়েশা রাদি-আল্লাহু
আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক
রমজানে এতেকাফ করতেন।
(বুখারি ২০৪১)
অন্য এক হাদিসে এসেছে—
ﺇﻧﻲ ﺍﻋﺘﻜﻔﺖ ﺍﻟﻌﺸﺮ ﺍﻷﻭﻝ
ﺃﻟﺘﻤﺲ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ، ﺛﻢ
ﺍﻋﺘﻜﻔﺖ ﺍﻟﻌﺸﺮ ﺍﻷﻭﺳﻂ، ﺛﻢ
ﺃُﺗﻴﺖ ﻓﻘﻴﻞ ﻟﻲ ﺇﻧﻬﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﺸﺮ
ﺍﻷﻭﺍﺧﺮ ﻓﻤﻦ ﺃﺣﺐ ﻣﻨﻜﻢ ﺃﻥ
ﻳﻌﺘﻜﻒ ﻓﻠﻴﻌﺘﻜﻒ، ﻓﺎﻋﺘﻜﻒ
ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻣﻌﻪ، ﻗﺎﻝ: ﻭﺇﻧﻲ ﺃُﺭﻳﺘﻬﺎ
ﻟﻴﻠﺔ ﻭﺗﺮ ﻭﺃﻧﻲ ﺃﺳﺠﺪ ﺻﺒﻴﺤﺘﻬﺎ
ﻓﻲ ﻃﻴﻦ ﻭﻣﺎﺀ، ﻓﺄﺻﺒﺢ ﻣﻦ
ﻟﻴﻠﺔ ﺇﺣﺪﻯ ﻭﻋﺸﺮﻳﻦ ﻭﻗﺪ ﻗﺎﻡ
ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺼﺒﺢ، ﻓﻤﻄﺮﺕ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ
ﻓﻮﻛﻒ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ، ﻓﺄﺑﺼﺮﺕ
ﺍﻟﻄﻴﻦ ﻭﺍﻟﻤﺎﺀ، ﻓﺨﺮﺝ ﺣﻴﻦ
ﻓﺮﻍ ﻣﻦ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﺼﺒﺢ ﻭﺟﺒﻴﻨﻪ
ﻭﺭﻭﺛﺔ ﺃﻧﻔﻪ ﻓﻴﻬﻤﺎ ﺍﻟﻄﻴﻦ
ﻭﺍﻟﻤﺎﺀ، ﻭﺇﺫﺍ ﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺇﺣﺪﻯ
ﻭﻋﺸﺮﻳﻦ

আমি (প্রথমে) এ রাতের
সন্ধানে প্রথম দশে এতেকাফ পালন
করি। অত:পর এতেকাফ পালন
করি মাঝের দশে। পরবর্তীতে ওহির
মাধ্যমে আমাকে জানানো হয় যে, এ
রাত শেষ দশে রয়েছে।
সুতরাং তোমাদের মাঝে যে (এ দশে)
এতেকাফ পালনে আগ্রহী, সে যেন
তা পালন করে। লোকেরা তার
সাথে এতেকাফ পালন করল। রাসূল
বলেন—আমাকে তা এক বেজোড়
রাতে দেখানো হয়েছে এবং দেখানো হয়েছে যে,
আমি সে ভোরে কাদা ও
মাটিতে সেজদা দিচ্ছি। অত:পর রাসূল
একুশের রাতের ভোর যাপন করলেন,
ফজর পর্যন্ত তিনি কিয়ামুল্লাইল
করেছিলেন। তিনি ফজর আদায়ের
জন্য দণ্ডায়মান হয়েছিলেন। তখন
আকাশ ছেপে বৃষ্টি নেমে এল,
এবং মসজিদে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পানি পড়ল।
আমি কাদা ও পানি দেখতে পেলাম।
ফজর সালাত শেষে যখন তিনি বের
হলেন, তখন তার কপাল ও নাকের
পাশে ছিল পানি ও কাদা। সেটি ছিল
একুশের রাত।
আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন :
ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ
ﺳﻠﻢ ﻳﻌﺘﻜﻒ ﻓﻲ ﻛﻞ ﺭﻣﻀﺎﻥ
ﻋﺸﺮﺓ ﺃﻳﺎﻡ، ﻓﻠﻤﺎ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻌﺎﻡ
ﺍﻟﺬﻱ ﻗﺒﺾ ﻓﻴﻪ ﺍﻋﺘﻜﻒ
ﻋﺸﺮﻳﻦ ﻳﻮﻣﺎً
রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
প্রতি রমজানে দশ দিন এতেকাফ
করতেন, তবে যে বছর
তিনি পরলোকগত হন, সে বছর
তিনি বিশ দিন এতেকাফে কাটান।
আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত
হাদিসে উভয়টির উল্লেখ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন —
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ
ﻗﺎﻝ: ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻌﺘﻜﻒ ﻓﻲ ﻛﻞ ﺭﻣﻀﺎﻥ
ﻋﺸﺮﺓ ﺃﻳﺎﻡ ﻓﻠﻤﺎ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻌﺎﻡ
ﺍﻟﺬﻱ ﻗﺒﺾ ﻓﻴﻪ ﺍﻋﺘﻜﻒ
ﻋﺸﺮﻳﻦ ﻳﻮﻣﺎ. ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ
আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রমজানের
শেষ দশদিন এতেকাফ করতেন।
তবে যে বছর পরলোকগত হন
তিনি বিশ দিন এতেকাফ করেছেন।
( বুখারি)
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﺃﻥ
ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﺍﻋﺘﻜﻒ ﻣﻌﻪ ﺑﻌﺾ ﻧﺴﺎﺋﻪ
ﻭﻫﻲ ﻣﺴﺘﺤﺎﺿﺔ ﺗﺮﻱ ﺍﻟﺪﻡ
ﻓﺮﺑﻤﺎ ﻭﺿﻌﺖ ﺍﻟﻄﺴﺖ ﺗﺤﺘﻬﺎ
ﻣﻦ ﺍﻟﺪﻡ( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ
আয়শা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে তাঁর
জনৈকা স্ত্রীও এতেকাফ করলেন।
তখন তিনি ছিলেন এস্তেহাজা
অবস্থায়, রক্ত দেখছেন। রক্তের
কারণে হয়তো তাঁর
নীচে গামলা রাখা হচ্ছে। ( বুখারি)
রাসূল বলেন—
ﺇﻧﻲ ﺍﻋﺘﻜﻔﺖ ﺍﻟﻌﺸﺮ ﺍﻷُﻭَﻝ
ﺃﻟﺘﻤﺲ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ، ﺛﻢ
ﺍﻋﺘﻜﻔﺖ ﺍﻟﻌﺸﺮ ﺍﻷﻭﺳﻂ، ﺛﻢ
ﺃُﺗﻴﺖ ﻓﻘﻴﻞ ﻟﻲ: ﺇﻧﻬﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﺸﺮ
ﺍﻷﻭﺍﺧﺮ؛ ﻓﻤﻦ ﺃﺣﺐ ﻣﻨﻜﻢ ﺃﻥ
ﻳﻌﺘﻜﻒ ﻓﻠﻴﻌﺘﻜﻒ؛ ﻓﺎﻋﺘﻜﻒ
ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻣﻌﻪ
আমি কদরের রাত্রির সন্ধানে প্রথম
দশ দিন এতেকাফ করলাম। এরপর
এতেকাফ করলাম মধ্যবর্তী দশদিন।
অত:পর ওহি প্রেরণ
করে আমাকে জানানো হল যে তা শেষ
দশদিনে। সুতরাং তোমাদের
যে এতেকাফ পছন্দ করবে, সে যেন
এতেকাফ করে। ফলে, মানুষ তার
সাথে এতেকাফ যাপন করল।
এতেকাফের উপকারিতা
১- এতেকাফকারী এক নামাজের পর
আর এক নামাজের জন্য
অপেক্ষা করে থাকে, আর এ
অপেক্ষার অনেক ফজিলত রয়েছে।
আবু হুরাইরা রাদি-আল্লাহু আনহু
থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন:
ﺇﻥ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺗﺼﻠﻲ ﻋﻠﻰ
ﺃﺣﺪﻛﻢ ﻣﺎ ﺩﺍﻡ ﻓﻲ ﻣﺼﻼﻩ ﻣﺎ
ﻟﻢ ﻳﺤﺪﺙ: ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺍﻏﻔﺮ ﻟﻪ،
ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺍﺭﺣﻤﻪ ﻻ ﻳﺰﺍﻝ ﺃﺣﺪﻛﻢ
ﻓﻲ ﻣﺼﻼﻩ ﻣﺎ ﺩﺍﻣﺖ ﺍﻟﺼﻼﺓ
ﺗﺤﺒﺴﻪ، ﻻ ﻳﻤﻨﻌﻪ ﺃﻥ ﻳﻨﻘﻠﺐ ﺇﻟﻲ
ﺃﻫﻠﻪ ﺇﻻ ﺍﻟﺼﻼﺓ. ﺭﻭﺍﻩ
ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ
অর্থাৎ: নিশ্চয়
ফেরেশতারা তোমাদের একজনের জন্য
দোয়া করতে থাকেন যতক্ষণ
সে কথা না বলে, নামাজের
স্থানে অবস্থান করে।
তারা বলতে থাকে আল্লাহ তাকে
ক্ষমা করে দিন, আল্লাহ তার
প্রতি দয়া করুন, যতক্ষণ তোমাদের
কেউ নামাজের স্থানে থাকবে, ও
নামাজ তাকে আটকিয়ে রাখবে, তার
পরিবারের নিকট যেতে নামাজ
ছাড়া আর কিছু বিরত রাখবে না,
ফেরেশতারা তার জন্য
এভাবে দোয়া করতে থাকবে।
২- এতেকাফকারী কদরের রাতের
তালাশে থাকে, যে রাত
অনির্দিষ্টভাবে রমজানের যে কোন
রাত হতে পারে। এই রহস্যের
কারণে আল্লাহ তা-
আলা সেটিকে বান্দাদের থেকে গোপন
রেখেছেন, যেন তারা মাস
জুড়ে তাকে তালাশ করতে থাকে।
৩- এতেকাফের ফলে আল্লাহ
তা’আলার সাথে সম্পর্ক দৃঢ়
হয়,এবং আল্লাহ তা’আলার জন্য
মস্তক অবনত করার প্রকৃত চিত্র
ফুটে উঠে। কেননা আল্লাহ
তা’আলা বলেন:
ﻭَﻣَﺎ ﺧَﻠَﻘْﺖُ ﺍﻟْﺠِﻦَّ ﻭَﺍﻟْﺈِﻧْﺲَ ﺇِﻟَّﺎ
ﻟِﻴَﻌْﺒُﺪُﻭﻥِ ) ﴿৫৬﴾ﺍﻟﺬﺍﺭﻳﺎﺕ
অর্থাৎ: আমি মানুষ এবং জিন
জাতিকে একমাত্র আমারই ইবাদতের
জন্য সৃষ্টি করেছি। [সুরা আজ-
জারিয়াত: ৫৬]বাকীটুকু পড়ুন

কোন মন্তব্য নেই :