নারীর জান্নাত যে পথে →পাতা ৫←
যেহেতু স্ত্রীর রোজার কারণে স্বামী নিজ প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকে,যা কখনো গুনার কারণ হতে পারে।এখানে রোজা দ্বারা স্বাভাবিকভাবেই নফল রোজা উদ্দেশ্য।কারণ ফরজ রোজা আল্লাহর অধিকার,আল্লাহর অধিকার স্বামীর অধিকারের চেয়েবড়।৭.স্বামীর ডাকে সাড়া না দেওয়া:রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,“কোন পুরুষ যখন তার স্ত্রীকে নিজের বিছানায় ডাকে,আর স্ত্রী তার ডাকে সাড়া না দেয়,এভাবেই স্বামী রাত যাপন করে,সে স্ত্রীর উপর ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত অভিসম্পাত করে।৮.স্বামী-স্ত্রীর একান্ত গোপনীয়তা প্রকাশ না করা :আসমাবিনতে ইয়াজিদ থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,“কিছু পুরুষ আছে যারা নিজ স্ত্রীর সাথে কৃত আচরণের কথা বলে বেড়ায়,তদ্রুপ কিছু নারীও আছে যারা আপন স্বামীর গোপন ব্যাপারগুলো প্রচার করে বেড়ায়?! এ কথা শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল, কেউ কোন শব্দ করল না।আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! নারী-পুরুষেরা এমন করেথাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,এমন করো না।এটা তো শয়তানের মতো যে রাস্তার মাঝে নারী শয়তানের সাক্ষাৎ পেল,আর অমনি তাকে জড়িয়ে ধরল, এদিকে লোকজন তাদের দিকে তাকিয়ে আছে!৯.স্বামীর ঘর ছাড়া অন্য কোথাওবিবস্ত্র না হওয়া। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,যে নারী স্বামীর ঘর ব্যতীত অন্য কোথাও বিবস্ত্র হল, আল্লাহ তারগোপনীয়তা নষ্ট করে দেবেন।”
১০. স্বামীর অনুমতি ব্যতীত কাউকে তার ঘরে ঢুকতে না দেয়া। বুখারিতে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “নারী তার স্বামীর উপস্থিতিতে অনুমিত ছাড়া রোজা রাখবে না এবং তার অনুমতি ছাড়া তার ঘরে কাউকে প্রবেশ করতে দেবে না।”১১. স্বামীর অনুমতি ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া। আল্লাহ তা’আলা বলেন, “তোমরা ঘরে অবস্থান কর” ইবনে কাসির রহ. এরব্যাখ্যায় বলেন, “তোমরা ঘরকে আঁকড়িয়ে ধর, কোন প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়ো না।” নারীর জন্য স্বামীর আনুগত্য যেমন ওয়াজিব, তেমন ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য তার অনুমতি ওয়াজিব। স্বামীর খেদমতের উদাহরণ: মুসলিম বোন ! স্বামীর খেদমতের ব্যাপারে একজন সাহাবির স্ত্রীর একটি ঘটনার উল্লেখ যথেষ্ট হবে বলে আমার ধারণা। তারা কীভাবে স্বামীর খেদমত করেছেন, স্বামীর কাজে সহযোগিতার স্বাক্ষর রেখেছেনÑইত্যাদি বিষয় বুঝার জন্য দীর্ঘ উপস্থাপনার পরিবর্তে একটি উদাহরণই যথেষ্ট হবে, আমারদৃঢ় বিশ্বাস। আসমা বিনতে আবু বকর থেকে সহিহ মুসলিমে বর্ণিত,তিনি বলেন, জুবায়ের আমাকে যখন বিয়ে করে, দুনিয়াতে তখন তার ব্যবহারের ঘোড়া ব্যতীত ধন- সম্পদ বলতে আর কিছু ছিল না। তিনি বলেন, আমি তার ঘোড়ার ঘাস সংগ্রহ করতাম, ঘোড়া মাঠে চরাতাম, পানি পান করানোর জন্য খেজুর আঁটি পিষতাম, পানি পান করাতাম, পানির বালতিতে দান া ভিজাতাম। তার সব কাজ আমি নিজেই আঞ্জাম দিতাম। আমি ভাল করে রুটি বানাতে জানতাম না, আনসারদের কিছু মেয়েরা আমাকে এজন্য সাহায্য করত। তারা আমার প্রকৃত বান্ধবী ছিল। সে বলল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দান করাজুবায়েরের জমি থেকে মাথায় করেশস্য আনতাম, যা প্রায় এক মাইল দূরত্বে ছিল।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি নারীরা পুরুষ ের অধিকার সম্পর্কে জানত, দুপুর কিংবা রাতের খাবারের সময় হলে, তাদের খানা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নিতনা।”
বিয়ের পর মেয়েকে উদ্দেশ্য করেউম্মে আকেলার উপদেশ: আদরের মেয়ে, যেখানে তুমি বড় হয়েছ, যারা তোমার আপন জন ছিল, তাদের ছেড়ে একজন অপরিচিত লোকের কাছেযাচ্ছ, যার স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে তুমি কিছু জান না। তুমি যদি তার দাস ী হতে পার, সে তোমার দাস হবে। আর দশটি বিষয়ের প্রতি খুব নজর রাখবে।
১-২. অল্পতে তুষ্টি থাকবে। তারতার অনুসরণ করবে ও তার সাথে বিনয়ী থাকবে।
৩-৪. তার চোখ ও নাকের আবেদন পূর্ণ করবে। তার অপছন্দ হালতেথাকবে না, তার অপ্রিয় গন্ধ শরীরে রাখবে না।
৫-৬. তার ঘুম ও খাবারের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখবে। মনে রাখবে,ক্ষুধার তাড়নায় গোস্বার উদ্রেক হয়, ঘুমের স্বল্পতার কারণে বিষণœতার সৃষ্টি হয়।
৭-৮. তার সম্পদ হেফাজত করবে, তার সন্তান ও বৃদ্ধ আত্মীয়দেরসেবা করবে। মনে রাখবে, সব কিছুর মূল হচ্ছে সম্পদের সঠিকব্যবহার, সন্তানদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা।
পুরুষদের উদ্দেশে দুটি কথা : উপরের বক্তব্যের মাধ্যমে আমরাআল্লাহ তাআলার কিতাব এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের আলোকে মুসলমান বোনদের জন্য সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করার চেষ্টাকরেছি মাত্র। তবে এর অর্থ এ নয়যে, কোন স্ত্রী এ সবগুণের বিপরীত করলে, তাকে শান্তি দেওয়া স্বামীর জন্য হালাল হয়েযায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “কোন মোমিন ব্যক্তি কোন মোমিন নারীকে বিবাহ বন্ধন থেকে বিচ্ছিন্ন করবে না, তার একটি অভ্যাস মন্দহলে, অপর আচরণে তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবে।”তুমি যদি স্ত্রীর বিরুদ্ধাচরণ অথবাতার কোন মন্দ স্বভাব প্রত্যক্ষ কর,তবে তোমার সর্বপ্রথম দায়িত্ব তাকে উপদেশ দেয়া, নসিহত করা, আল্লাহ এবং তার শাস্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া। তার পরেও যদি সে অনুগত না হয়, বদ অভ্যাস ত্যাগ না করে,তবে প্রাথমিক পর্যায়ে তার থেকে বিছানা আলাদা করে নাও। খবরদার!ঘর থেকে বের করবে না।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,“ঘর ব্যতীত অন্য কোথাও স্ত্রীকে পরিত্যাগ কর না।”এতে যদি সে শুধরে যায়,ভাল।অন্যথায় তাকে আবার নসিহত কর,তার থেকে বিছানা আলাদা কর।আল্লাহ তাআলা বলেন,“যে নারীদের নাফরমানির আশঙ্কা কর,তাদের উপদেশ দাও,তাদের শয্যা ত্যাগ কর,প্রহার কর,যদি তোমাদের আনুগত্য করে,তবে অন্যকোন পথ অনুসন্ধান কর না।“তাদের প্রহার কর”এর ব্যাখ্যায় ইবনে কাসির রহ. বলেন,যদি তাদের উপদেশ দেওয়া ওতাদের থেকে বিছানা আলাদা করারপরও তারা নিজ অবস্থান থেকে সরে না আসে,তখন তোমাদের অধিকার রয়েছে তাদের হালকা প্রহার করা,যেন শরীরের কোন স্থানে দাগ না পড়ে।জাবের রাদিআল্লাহ আনহু থেকে সহিহ মুসলিম ে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ ে বলেছেন,6
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন