এইচআইভি বা এইডস সম্পর্কে কিছু কথা-পর্ব ২
প্রথম পর্বের পর..........
*. এইচআইভি সংক্রমিত বা এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে স্বাভাবিক চলাফেরা বা মেলামেশা করলে।
*. এইচআইভি সংক্রমিতদের সঙ্গে খেলাধুলা করলে, একসাথে একই স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করলে, একই সাথে একই শ্রেণীতে এবং একই বেঞ্চে বসলে।
*. খাদ্য, পানি, বাতাস, হাঁচি-কাশি বা মলমূত্রের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণ হয় না।
*. কীট-পতঙ্গ, পোকা-মাকড় বা মশার কামড়ে এইচআইভি সংক্রমণ হয় না।
*. এইচআইভি সংক্রমিত বক্তির সঙ্গে একই পরিবারে, একসাথে বসবাস করলে বা একই অফিসে কাজ করলে, একই টেলিফোন, কম্পিউটার ব্যবহার করলে এইচআইভি সংক্রমণ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
*. একই বাথরুম, টয়লেট ব্যবহার, একই পুকুরে বাসুইমিংপুলে সাঁতার কাটলে এইচআইভি সংক্রমণহবে না।
এইচআইভি/এইডস
প্রতিরোধে করণীয়
এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের নিম্নোক্ত তথ্য নিজে জানা এবং অপরকে জানানো প্রয়োজন। সেই সাথে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য দৃষ্টিভঙ্গিও আচরণ পরিবর্তনে সচেষ্ট হতে হবে।
*. যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী পরসপরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে হবে।
*. একাধিক যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে হবে।
*. বাণিজ্যিক যৌন সম্পর্কবর্জন করতে হবে।
*. ঝুঁকিপূর্ণ যৌন আচরণ পরিবর্তন করে নিরাপদ যৌন অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
*. প্রয়োজনে প্রতিবার ঝুঁকিপূর্ণ যৌনমিলনে কনডম ব্যবহার করতে হবে।
*. সিফিলিস, গনোরিয়া বা অন্য কোনো যৌনরোগ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে যৌনরোগ হলে এইচআইভি সংক্রমণ হওয়ারঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
*. কারো রক্তের প্রয়োজন হলে পরীক্ষিত নিরাপদ রক্ত ব্যবহার করতে হবে। রক্ত পরিসঞ্চালনের পূর্বে রক্তে এইচআইভি নেই তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে।
*. নিরাপদ রক্ত পাওয়ার জন্য পেশাগত রক্ত বিক্রেতাদের ওপর নির্ভর না করে পরিচিতদের মধ্যে থেকে স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে হবে।
*. শরীরের কোনো স্থান কেটে গেলে বা ছিঁড়ে গেলে বা কোনো ক্ষত হলে ক্ষতস্থান ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শনিতে হবে।
*. একই সুচ-সিরিঞ্জ দিয়ে একসঙ্গে কয়েকজন মিলে শিরায় মাদকদ্রব্য বা নেশা গ্রহণের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
*. ডাক্তারি বা অন্য কোনো প্রয়োজনে অন্যের ব্যবহৃত সুচ-সিরিঞ্জ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
*. সংক্রমিত মায়ের গর্ভেরসন্তানের এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে-এ তথ্য জেনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সংক্রমিত মহিলার গর্ভধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
*. বন্ধু/বান্ধব/প্রতিবেশী সবাইকে এইডস সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সচেতন করতে হবে।
*. সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিনীতি এবং নৈতিকতা শিক্ষার মাধ্যমে তরুণদের নিজেদের চারিত্রিক দৃঢ়তা, মনোবলও আত্মপ্রত্যয় গড়ে তুলতে হবে।
উপসংহার
‘এইডস প্রতিরোধ আমাদের অঙ্গীকার’-এই মিছিল সামনে রেখে এইচআইভি/এইডসসম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বেরঅন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হচ্ছে। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারিও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং সুশীল সমাজ বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ কর্মসুচি পালন করে থাকে। উদযাপন করা হয় সচেতনতার উৎসব। এইডস প্রতিরোধ আন্দোলনেরপাশাপাশি ইতিমধ্যে যারা এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত হয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের সকলের সহানুভূতিশীল হতে হবে, আমাদের বাড়িয়ে দিতে হবে সাহায্যের হাত। প্রথম পর্ব দেখুন
*. এইচআইভি সংক্রমিত বা এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে স্বাভাবিক চলাফেরা বা মেলামেশা করলে।
*. এইচআইভি সংক্রমিতদের সঙ্গে খেলাধুলা করলে, একসাথে একই স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করলে, একই সাথে একই শ্রেণীতে এবং একই বেঞ্চে বসলে।
*. খাদ্য, পানি, বাতাস, হাঁচি-কাশি বা মলমূত্রের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণ হয় না।
*. কীট-পতঙ্গ, পোকা-মাকড় বা মশার কামড়ে এইচআইভি সংক্রমণ হয় না।
*. এইচআইভি সংক্রমিত বক্তির সঙ্গে একই পরিবারে, একসাথে বসবাস করলে বা একই অফিসে কাজ করলে, একই টেলিফোন, কম্পিউটার ব্যবহার করলে এইচআইভি সংক্রমণ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
*. একই বাথরুম, টয়লেট ব্যবহার, একই পুকুরে বাসুইমিংপুলে সাঁতার কাটলে এইচআইভি সংক্রমণহবে না।
এইচআইভি/এইডস
প্রতিরোধে করণীয়
এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের নিম্নোক্ত তথ্য নিজে জানা এবং অপরকে জানানো প্রয়োজন। সেই সাথে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য দৃষ্টিভঙ্গিও আচরণ পরিবর্তনে সচেষ্ট হতে হবে।
*. যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী পরসপরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে হবে।
*. একাধিক যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে হবে।
*. বাণিজ্যিক যৌন সম্পর্কবর্জন করতে হবে।
*. ঝুঁকিপূর্ণ যৌন আচরণ পরিবর্তন করে নিরাপদ যৌন অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
*. প্রয়োজনে প্রতিবার ঝুঁকিপূর্ণ যৌনমিলনে কনডম ব্যবহার করতে হবে।
*. সিফিলিস, গনোরিয়া বা অন্য কোনো যৌনরোগ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে যৌনরোগ হলে এইচআইভি সংক্রমণ হওয়ারঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
*. কারো রক্তের প্রয়োজন হলে পরীক্ষিত নিরাপদ রক্ত ব্যবহার করতে হবে। রক্ত পরিসঞ্চালনের পূর্বে রক্তে এইচআইভি নেই তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে।
*. নিরাপদ রক্ত পাওয়ার জন্য পেশাগত রক্ত বিক্রেতাদের ওপর নির্ভর না করে পরিচিতদের মধ্যে থেকে স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে হবে।
*. শরীরের কোনো স্থান কেটে গেলে বা ছিঁড়ে গেলে বা কোনো ক্ষত হলে ক্ষতস্থান ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শনিতে হবে।
*. একই সুচ-সিরিঞ্জ দিয়ে একসঙ্গে কয়েকজন মিলে শিরায় মাদকদ্রব্য বা নেশা গ্রহণের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
*. ডাক্তারি বা অন্য কোনো প্রয়োজনে অন্যের ব্যবহৃত সুচ-সিরিঞ্জ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
*. সংক্রমিত মায়ের গর্ভেরসন্তানের এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে-এ তথ্য জেনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সংক্রমিত মহিলার গর্ভধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
*. বন্ধু/বান্ধব/প্রতিবেশী সবাইকে এইডস সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সচেতন করতে হবে।
*. সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিনীতি এবং নৈতিকতা শিক্ষার মাধ্যমে তরুণদের নিজেদের চারিত্রিক দৃঢ়তা, মনোবলও আত্মপ্রত্যয় গড়ে তুলতে হবে।
উপসংহার
‘এইডস প্রতিরোধ আমাদের অঙ্গীকার’-এই মিছিল সামনে রেখে এইচআইভি/এইডসসম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বেরঅন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হচ্ছে। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারিও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং সুশীল সমাজ বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ কর্মসুচি পালন করে থাকে। উদযাপন করা হয় সচেতনতার উৎসব। এইডস প্রতিরোধ আন্দোলনেরপাশাপাশি ইতিমধ্যে যারা এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত হয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের সকলের সহানুভূতিশীল হতে হবে, আমাদের বাড়িয়ে দিতে হবে সাহায্যের হাত। প্রথম পর্ব দেখুন
♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন