সেক্স সংক্রান্ত নানা তথ্য , পর্ব ৪
কোন মন্তব্য নেই
http://www.amarbanglapost.com/m/bangla-sex-guide/


তৃতীয় পর্বের পর এটি যৌন আনন্দের একটি বিকল্প উপায় মাত্র। অনেক ক্ষেত্রে দম্পতিরাও যৌন মিলনের প্রাক্কালে স্বমেহন ঘটিয়ে থাকেন। এতে করে যৌনমিলন আরও বৈচিত্র্যময় হয়, স্বমেহন ব্যক্তিগত যৌনতার পরিচায়ক। অনেক সময়ই এটি আনন্দ নিয়ে আসে তবে হাতেরচাপ এবং নখের দংশন ক্ষতিরকারণ হতে পারে। এটি যৌনমিলনের চেয়েও অনেক সময় অধিক তৃপ্তিদায়ক কোনো কোনো পুরুষ এবং নারীর কাছে। পুরুষত্বহীনতা ও চিকিৎসা একটি ইউরোপিয়ান গবেষণায় দেখা যায় যে, শতকরা ২০ জন পুরুষ পরীক্ষা বাদে এবং বাকি ০ শতাংশ পরীক্ষার পর মুখে সেব্য ওষুধের চিকিৎসা নিয়ে থাকেন পুরুষত্বহীনতার জন্য। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া অবশ্য পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা করা দুরূহ চিকিৎসকগণ প্রথমে কারণ চিহ্নিত করে তারপর সবচেয়ে সহজ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ দিয়ে থাকেন। বর্তমানে পাশ্চাত্যে ভায়াগ্রা বহুপুরুষের মনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। আবার অনেকে আছেন যারা ওষুধ সেবনের পক্ষপাতী নন তাদের জন্য লিঙ্গে দেয়ার যোগ্য ইঞ্জেকশন দেয়া হয়। এলপ্রোস্টাডিল ইঞ্জেকশন এটি কোনো কোনো পুরুষের জন্য খুবই উপযোগী। এলপ্রোস্টালিল প্রাকৃতিক উপাদান এবং প্রোস্টাগল্যাডিন ‘ই আই’ থেকে তৈরি যা রক্তের নালিগুলোকে খুলে রাখতে পারে। এটি ডায়াবেটিস, সার্জারি এবং ইনজুরির ক্ষেত্রে কার্যকর। তবে এটির কিছু সাধারণ প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন নিচুমাত্রার হার্টের রোগের জন্য এবং রক্তচাপের সময় এই ইঞ্জেকশন গ্রহণযোগ্য নয়।অনেক সময় এটি নারীদের গর্ভাবস্থায় টক্সিক সৃষ্টি করতে পারে এবং যৌনমিলনকালে নারী তার যোনিতে জ্বালা অনুভব করতে পারে। এটি ঊরুতে দেয়ার ইঞ্জেকশন এবং মিনিট দশেকের মধ্যেই এটি তার কার্যকারিতা শুরু করে এবং এটি অন্ততপক্ষে উত্তেজনাকে ৪ ঘণ্টা টিকিয়ে রাখে। তবে আমাদের দেশের চিকিৎসার প্রেক্ষিতে এটি খুব ব্যয়সাপেক্ষ এবং দুর্লভ।পাশ্চাত্যে এলপ্রোস্টাডিল এখন ক্রিমআকারে পাওয়া যাচ্ছে যা ৭৫ভাগ কার্যকর এবং প্রায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন।এটি লিঙ্গের মাথায় যৌনমিলন শুরুর ১৫ মিনিট পূর্বে লাগাতে হয়। আরও দুটো ইঞ্জেকশন পুরুষত্বহীনতায় কার্যকর এদের একটি হলো প্যাপভেরিন এবং অন্যটি পেনটোলমিন এদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই অল্প। কিছু ব্যথা বাআলসার সৃষ্টিতে তা খুবই সহজে ভূমিকা পালন করতে পারে সাধারণত এই ওষুধগুলো মস্তিষ্কে যৌনতার ব্যাপারে সাড়া সৃষ্টি করে এবং তারপর লিঙ্গের উত্তেজনা বাড়াতেথাকে। এখন শতকরা ৯০ জন পুরুষত্বহীন পুরুষের চিকিৎসার জন্য ভায়াগ্রা বা সিলডেনাফিল প্রেসক্রাইব করা হচ্ছে।এবং এদের মধ্যে ৭০ জন পুরুষ সুস্থ হয়ে উঠছেন। অনেকে এটিকে খুবই সন্তোষজনক মনে করছে এবং সন্তোষজনকভাবে গ্রহণ করছে আবার অন্ততপক্ষে ৩০ শতাংশ দম্পতি এটিকে অতৃপ্তিকর চিকিৎসা মনে করে এটি গ্রহণ করছেন না। ভায়াগ্রা মূলত হার্টের রোগের ওষুধ কিন্তু লিঙ্গকে সুদৃঢ় করতে এটির ভূমিকা রয়েছে ব্যাপক। এটি এনজাইম ফসফেডোইটিরেস-৫ কে কমিয়েরাখতে পারে। এই ওষুধে এমনপদার্থ রয়েছে যা পুরুষাঙ্গের উত্তেজনা বাড়াতে পারে। এটি রক্তপ্রবাহের মাত্রাকে সঞ্জীবিত করে। ভায়াগ্রা ২০-৪০ মিনিটের মধ্যে কার্যকর হওয়া শুরু করে এবং এটি দিনে একবারের বেশি ব্যবহারযোগ্য বা সেবনযোগ্য নয়। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বেশ রয়েছে। এটি যাদের চোখে সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া পুরুষত্বহীনতা রোধে এরিথ্রোমাইসিন ভূমিকা রাখে। তবে এগুলো ওষুধের কার্যকারিতা এবং পদার্থের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেয়া উচিত-কেননা পাশ্চাত্যে এওষুধগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মানুষ মারা গেছে, কাজেই সেবনের পূর্বে ডাক্তারেরপরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। স্পাইনাল কর্ডের ইনজুরিরকারণ হতে পারে ভায়াগ্রা পুরুষত্বহীনতার জন্য অন্যান্য ওষুধ অয়েন্টমেন্ট, ক্রিম, সেপ্র ইত্যাদি পাওয়া যায় তবে এগুলো খুব বেশি পরিমাণে সফলতা পায়নি। পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রোস্টাগল্যাডিন-ই-২ ক্রিমে শতকরা ৩০ ভাগ ক্ষেত্রে লিঙ্গ উত্থিত হতে পারে। আবার এক ধরনের সেপ্র আছে যা মিনোক্সিডিল থেকে তৈরি এটিও শতকরা ২৫ ভাগ ক্ষেত্রে উপকারী। এছাড়া মেলানোট্যান-২ গবেষণার ক্ষেত্রে আশার আলো দেখাচ্ছে। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে যে উচ্চ মাত্রার নাইট্রোগ্লিসারিন ৭৫ ভাগপুরুষের ক্ষেত্রে উত্থানসম্পর্কিত সমস্যায় কার্যকর ভূমিকা রাখে। তবে মূল কথা যাই হোক না কেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। আরো পড়ুন part 5

কোন মন্তব্য নেই :