সেক্স সংক্রান্ত নানা তথ্য , পর্ব ৩
কোন মন্তব্য নেই

দ্বিতীয় পর্বের পর... স্বামী-স্ত্রী ও উদ্দীপনা স্বামীর পক্ষে অনেক সময়েই স্ত্রীর আবেগ জনিত ও শারীরিক লক্ষণ দেখে তারউদ্দীপনার মাত্রা বোঝা সম্ভব। যে ক্ষেত্রে পারস্পরিক সরলতা বর্তমান এবং নিষেধাজ্ঞাজনিত সংস্কার অনুপস্থিত সে ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের পক্ষেই পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া বুঝতে পারা সহজ হয়। স্ত্রীর আসঙ্গ লিপ্সা প্রকাশের বহু রকম স্বভাবসিদ্ধ উপায় আছে স্বামী স্বাভাবিকভাবেই তার শারীরিক ও হৃদয়াবেগজনিত প্রতিক্রিয়ার অর্থ অনুধাবন করতে শেখে। শারীরিক দিকে ভালভা প্রদেশে, বার্থোলিন গ্রন্থি নিঃসৃত ক্ষরণের দ্বারা স্ত্রীর গ্রহণেচ্ছা প্রমাণিত হয়।এই ক্ষরণের দ্বারা জননেন্দ্রিয়ের বহিরাংশ সম্পূর্ণরূপে ভিজে যাওয়ার পর লিঙ্গ প্রবিষ্ট হওয়া উচিত। এই ক্ষরণের ফলে ভালভা প্রদেশ ও যোনি-মুখ ভিজে পিচ্ছিল হয়ে গেলে লিঙ্গ খুব সহজে প্রবেশ করতে পারে এবং যৌন উত্তেজনাও বাড়তে থাকে বিবাহের গোড়ার কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ শারীরিক অস্বাচ্ছন্দ্য, হৃদয়াবেগজনিত উদ্বেগ ও দমনের দরুন এই গ্রন্থিগুলোর ক্রিয়া সংকুচিত হতে পারে এর ক্ষরণ বিলম্বিত হতে পারে তা যদি হয়। কৃত্রিম তৈলাক্ত পদার্থ বা লুব্রিকেন্ট, জীবাণু শূন্য স্নেহময় পদার্থ বর্জিত জেল ব্যবহার করা যেতে পারে তাতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ সুগম ও আরামদায়ক হয় এবং উভয়ের সন্তোষজনক চরমতৃপ্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। নারীর ত্বক মর্দনে পুরুষ ত্বক আমাদের যৌনতাবোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইন্দ্রিয়। মিলন নারী-পুরুষকে যতখানি আনন্দ দান করতে পারে, তা কেবল ত্বকের অনুভূতিশীলতার জন্য। সমস্ত ইন্দ্রিয়ের মধ্যে ত্বকই সর্বাপেক্ষা প্রত্যক্ষ সম্বন্ধযুক্ত। প্রধানত ত্বকের ওপরই নারী-পুরুষের সমস্ত ইন্দ্রিয়ানুভূতি প্রতিষ্ঠিত। নারী-পুরুষের যৌনক্রিয়ারপ্রত্যক্ষ অংশ হলো-চুম্বন, দংশন, চোষণ, লেহন, আলিঙ্গন ইত্যাদি। বিজ্ঞানী হ্যাভলক এলিস ও অন্য যৌনবিজ্ঞানীদের অভিমত হলো এই যে, যৌন প্রবণতা বৃদ্ধির জন্য এ সমস্ত কার্য করা অবশ্যই উচিত। এসব কার্যের দ্বারা যৌনতায় উৎকর্ষতা আসে, আসে সৌন্দর্যতা-সুখময়তা। চোষণ, লেহন ও দংশন হলো চুম্বনের বর্ধিত মাত্রা। যে সব স্থানে চুম্বন করলে নারীর যৌন প্রবৃত্তি জাগ্রত হয়, যৌন প্রবৃত্তিবৃদ্ধির জন্য নারীর সেসব বিশেষ স্থানে এগুলো নারীকে আরও উত্তেজিত করে তোলে। নারী হয়ে পড়ে বেসামাল। আর তখনই সে পুরুষের বাহুতে নিজেকে উৎসর্গ করে দেয় মন-প্রাণ উজাড় করে। আর এভাবেই শুরুহয় সেক্স আর্ট, সেক্স কলা। চুম্বন ত্বকান্দ্রিয়ের স্পর্শানুভূতির আর একটি উজ্জ্বল পন্থা। অধরোষ্ট অতিশয় চেতনাশীল অঙ্গ ত্বক ও শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির সীমারেখা হওয়ায় এটা স্পর্শগুণে গুণান্বিত ও অত্যন্ত অনুভূতিশীল। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড রকমের চেতনাশীল জিহ্বার সহযোগিতা থাকায় এটি নারী-পুরুষের যৌন চেতনা বৃদ্ধির অঙ্গ। ঠোঁট ও জিহ্বা প্রচণ্ড রকমের চেতনাশীল তাই এগুলো যৌনবোধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করে থাকে আলিঙ্গন নারী-পুরুষের ত্বকান্দ্রিয়ের স্পর্শানুভূতির অপর নিদর্শন। যৌনতায় আলিঙ্গনঅতীব প্রয়োজনীয় অংশ হিসেবে কাজ করে থাকে। আলিঙ্গন সেক্স বাড়ায় যৌনতাকে করে আরও আকর্ষণীয়। আলিঙ্গন বা জড়িয়ে ধরা নারী-পুরুষের দেহের কোষে কোষে ছড়িয়ে দেয় স্পর্শানুভূতির অনাবিল সুখ। তাই যৌনক্রিয়ায় আলিঙ্গনের কথা মনে রাখা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে যে নারী-পুরুষের আলিঙ্গনও যৌনতার একটা অংশ। সুড়সুড়ি বা মর্দন ত্বকান্দ্রিয়ের অনুভূতির তৃপ্তিবোধক ব্যাপার। নারীর যৌন প্রদেশসমূহ কোমল বলে ওইসব স্থানে সুড়সুড়িবোধ খুবই বেশি। কাজেই হঠাৎ করে ওই সমস্ত স্থান স্পর্শ করা ঠিক নয়-স্পর্শ হওয়া প্রয়োজন ধীরে ধীরে, ধৈর্যের সাথে যৌনতায় এই সুড়সুড়ি নারীর সমস্ত যৌন চেতনাকে উন্মুখ করে দেয়। এই সুড়সুড়ির বর্ধিত মাত্রাইহলো মর্দন। মর্দন নারীর যৌনবোধকে উস্কে দেয়, নারীকে যৌনতায় আগ্রহী করে তোলে, নারীকে চূড়ান্তমিলনের জন্য প্রস্তুত করে, নারীর যেসব বিশেষ জায়গায় সুড়সুড়ি দিলে যৌনচেতনা জাগ্রত হয়, যৌনচেতনা জাগ্রত হওয়ার সাথে সাথে ওইসব স্থানে পুরুষের প্রচাপনেরও প্রয়োজন হয়। নারী যৌন প্রবৃত্তির সময় তার পুরুষের স্পর্শ ও সুড়সুড়ি ও মর্দন কামনা করে, সে চায় তার পুরুষের হাতের কোমল ছোঁয়া, তৃপ্তিময় স্পর্শ। অকাল বীর্যস্খলন ও স্বমেহন বেশির ভাগ পুরুষদের বেলায়ই অকাল বীর্যপাত একটি প্রধান সমস্যা। অকাল বীর্যপাতের ফলে যৌন জীবনে প্রভাব পড়ে মারাত্মক। এ সমস্যায় ভুগে থাকেন হাজার হাজার পুরুষ। এটি একটি সাধারণ যৌন সমস্যা, এটি পুরুষের ইচ্ছার আগেই স্খলিত হয়ে যাওয়াকে বোঝায়। অনেক পুরুষই অকালে বীর্যপাতকে তাদের প্রধান যৌন সমস্যা হিসেবে ভাবেন কোনো কোনো সময় শারীরিক অন্যান্য সমস্যা থাকলেও অকালে বীর্যপাত হতে পারে। অনেক সময় মানসিক সমস্যার জন্যও এটি হয়ে থাকে পুরুষের উত্তেজনা নারীদের চেয়ে দ্রুত ও আগেশুরু হয় এবং আগে শেষ হয়। যেসব পুরুষ কিছুটা উত্তেজিত হয়েই বীর্যকে ধরে রাখতে পারে না বা সেইক্ষমতা হারায় তারা নিরানন্দ যৌনতা উপভোগ করে। এক্ষেত্রে অকাল বীর্যপাত রোধ না করলে যৌনমিলন উপভোগ্য হয়ে ওঠে না। অকাল বীর্যপাতের ফলে পুরুষের মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়, পুরুষ নিজেকে অক্ষম ভাবতে শুরু করে। যৌনতা তার কাছে আনন্দহীন হয়ে ওঠে, হয়ে ওঠে অর্থহীন,ফলে দাম্পত্য জীবনে অবনিবনার সৃষ্টি হয়। এ রকম অবস্থায় উচিত হবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া হস্তমৈথুনের প্র্যাকটিস পুরুষ-নারী উভয়েই করে থাকে। হস্তমৈথুন পুরুষ বা নারীর নিজের ইচ্ছা এবংনিজের শারীরিক কর্মের মাধ্যমে সম্ভব। সামপ্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, শতকরা ৯৫ জন পুরুষ এবং শতকরা ৮৯ জননারী হস্তমৈথুন বা স্বমেহনে অভ্যস্ত। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় নারী এবং পুরুষ প্রথম যৌনমিলনের স্বাদ গ্রহণ করে স্বমেহনের মাধ্যমে নিয়মিত যৌনসঙ্গীর অভাবে বহু পুরুষ এবং বহু নারী স্বমেহনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এটি খুবই সাধারণ যৌনতার আচরণ অনেক পুরুষ ওনারী ছোটবেলাতেই স্বমেহনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। হয়তো তাদের মনের অজান্তেই তারা এই আনন্দটি উপভোগ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে অবশ্য এটি অগোচরে, সবার অলক্ষ্যে একাকী করতে হয় বলে ধর্মেরদিক থেকে এটিকে নিষিদ্ধ ওপাপ কাজ এবং শারীরিক দিক থেকে এটিকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মনে করা হয়। আরো পড়ুন পর্ব ৪

কোন মন্তব্য নেই :