সেক্স সংক্রান্ত নানা তথ্য , পর্ব ২
কোন মন্তব্য নেই

প্রথম পর্বের পর... যৌনসুখ ও যৌনবোধ ঘনিষ্ঠ যৌন সম্পর্ক সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি। মার্কিন যৌন সমস্যা বিশেষজ্ঞ শ্যালি জুথম্যানের মতে, ‘দাম্পত্য কলহ নিরসনে বিবাহিত যুগলের শারীরিক মিলন বড় ধরনের ভূমিকা রাখে’। স্বামী বা স্ত্রীরপরস্পরের যৌন চাহিদা মেটাতে অস্বীকার জানাতে থাকলে, বেডরুমের বাইরে, ক্ষোভ, অসন্তোষ, কলহের মাধ্যমে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে, একটি সুষ্ঠু যৌন জীবন যৌনসুখ লাভের পাশাপাশি দম্পতি যুগলের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। যেসব নারী সপ্তাহে অন্তত একবার যৌনমিলনে অভ্যস্ত তার হরমোন ইস্ট্রোজেন নিঃসরণের মাত্রা অনেক বেশি আর এর ফলে তার অস্থি সুদৃঢ় হয়, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে, এমনকি মানসিক অবসাদওদূর করে, লেখক বাকোস বলেছেন প্রেমিক যুগল পরস্পরের সান্নিধ্যে যত বেশি আসে তত বেশি উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। মিলনের সম্ভাবনা ততই বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে যৌনমিলনের ফলে মিলনের সম্ভাবনা সৃষ্টির উপাদানএর উৎপাদন বৃদ্ধি পায় তাইযত বেশি মিলন ঘটবে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ তত বেশি বাড়বে। দাম্পত্য জীবনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় আর্থিক অনটন ও সময়াভাবের পাশাপাশি সন্তান, ক্লান্তি, আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন সামাজিকতা এসব মিলিয়ে দাম্পত্য জীবন যান্ত্রিকহয়ে পড়ে। এসব সত্ত্বেও দম্পতি যুগলের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ ধরে রাখতে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। মার্কিন লেখক বাকোসের মতে যৌন জীবনে সবচেয়ে সক্রিয় জুটিরা সব সময় যে মিলনে অভ্যস্ত তা কিন্তু নয়। একটুখানি আদর,মিষ্টি সোহাগ মেশানো কথা,চিমটি কাটা-এসবও যৌন জীবনের অংশ। তাই মোট কতবার যৌনমিলন হলো সে সংখ্যা না গুনে বরং পরস্পর একান্ত সান্নিধ্যে কতটা সময় কাটালেন যৌন জীবনে সেটাই মুখ্য বিষয়। কোনো কোনো রাত কেটে যেতে পারে শুধু পাশাপাশি শুয়ে একটুখানি আদর সোহাগ বিনিময়ের মধ্য দিয়ে যৌনবোধ দেহের দিক দিয়ে প্রধানত স্নায়ুর সাথে সম্বন্ধযুক্ত। মানুষের দেহে স্নায়ুপ্রধান যে সমস্ত অঙ্গ আছে সেখানে যৌন অনুভূতি অতিশয় প্রবল। এই সমস্ত স্থান যৌনবোধের সাথে এমন ঘনিষ্ঠভাবে সম্বন্ধযুক্ত যে, এদের যৌনস্থল বা কামাঞ্চল বলা হয়। এই সমস্ত স্থানের স্নায়ুসমূহ যৌনবোধের সাথে অতিশয় ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত মানুষের মনে কোনো কারণে যৌনবাসনার স্ফুরণ হলে প্রাথমিক যৌন প্রদেশসমূহে উক্ত অনুভূতির লক্ষণ প্রকাশ পায় আবার ওইসব স্থানেই স্পর্শ বা ঘর্ষণের দ্বারাও যৌন অনুভূতির সৃষ্টি হয়, গুরুত্ব হিসেবে যৌন প্রদেশগুলো হলো-স্ত্রীলোকের, ভগাঙ্কুর, ক্ষুদ্রোষ্ঠ, বৃহদোষ্ঠ, ভেস্টিবিউল, স্তন, বিশেষত স্তনের বোঁটা, যোনির উপরের দিকেরদেয়াল, ঊরুদেশ, নিতম্ব, গুহ্যদ্বার, ঠোঁট, গাল, পুরুষের, শিশ্নমুন্ড, বাকি লিঙ্গ, অন্ডকোষ, বস্তিপ্রদেশ, স্তনের বোঁটা, ঊরুদেশ, নিতম্ব, গুহ্যদ্বার, ঠোঁট, গাল, এছাড়া স্থান-কাল ও পাত্রভেদে মানুষের শরীরের প্রায় সর্বত্রই যৌনবোধ সৃষ্টি করা যায়, বিশেষত, দেহের যে যে স্থানে চর্ম ও শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি সম্মিলিত হয়েছে। সেই সমস্ত স্থানেই যৌনবোধ অল্পবিস্তর বিদ্যমান। তবে উপরে যে সমস্ত স্থানের নাম করা গেল সেই সমস্তের সাথে যৌনবোধের বিশেষ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ বিদ্যমান রয়েছে ওই সমস্ত স্থান নিজের অথবা অপরের হস্ত দ্বারা বিশেষত বিপরীত লিঙ্গের হস্ত, জিহ্বা, ঠোঁট বা অনুরূপ অঙ্গ দ্বারা ঘর্ষিত বা স্পর্শিত হলেও সুখানুভূতি ও যৌন বৃত্তি জাগ্রত হয়, আবার অপরের ওইসব অঙ্গের সেবা করলেও নিজের কাম জাগ্রত হয়। সে জন্য মিলনের সময় নারী-পুরুষের পরস্পরের ওই সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নানাপ্রকার সংযোগ চিরকালমানুষের মধ্যে প্রচলিত আছে। ঘ্রাণেন্দ্রিয় ও যৌনতা প্রাণীদের মধ্যে এমন অনেক প্রাণী আছে যাদের মধ্যে ঘ্রাণেন্দ্রিয়ই সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ওইন্দ্রিয়। তাদের এ ঘ্রাণেন্দ্রিয় অন্যান্য সমস্ত ইন্দ্রিয়ের ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে-জীবদেহে জ্ঞানেন্দ্রিয়গুলোর পূর্বেই ঘ্রাণেন্দ্রিয় বিকশিত হয়েছিল। ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের স্থান মানুষের মধ্যেও অবহেলা করার মতো নয়, মস্তিষ্কের সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্বন্ধ রয়েছে ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের, মানুষের মনোবৃত্তি তথা শরীর ও মনের ওপর রয়েছে ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের প্রভাব। দুর্গন্ধ হতে আমাদের মানসিক বিষণ্নতা এবং সুগন্ধ হতে মানসিক প্রফুল্লতা-সজীবতা এ উভয়হতে শরীর ও মনের ওপর ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের প্রভাব উপলব্ধি করা যায়। মন ও শরীরের ওপর ঘ্রাণশক্তির এই প্রভাববশত মানুষের যৌনবোধের ওপর এর প্রভাব অতি সহজ হয়েছে। যৌনতাবোধকে ঘ্রাণশক্তি দ্বারা প্রভাবান্বিত করাযায় অনেকাংশে ঘ্রাণ সেক্সকে জাগাতে সাহায্য করে। মনিন ও হিপোক্রোটিসের অভিমত হলো, মানুষের ঘ্রাণশক্তি,তার শরীরের গন্ধ বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে এবং মানুষের যৌনবোধ ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের সাহায্যে বিপরীত সেক্সেরযৌনতার সন্ধান পেয়ে থাকে। এ সমস্ত মতবাদ অতিশয়োক্তি বা সংকীর্ণ হতে পারে, তবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে এটা পুরোপুরি অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই। নাসিকার সাথে যৌনতাবোধের সম্পর্করয়েছে নাসিকার সাথে মস্তিষ্কের তথা স্নায়ুমণ্ডলীর সম্পর্ক রয়েছে। তবে অন্যান্য প্রাণীদের মতো মানুষ ঘ্রাণেন্দ্রিয় দ্বারা খুব বেশি প্রভাবান্বিত নয়। তবে লক্ষ করার মতো বিষয় হলো, এমন অনেক গন্ধদ্রব্য আছে যার দ্বারা মানুষের যৌনবোধেরহ্রাস বৃদ্ধি ঘটে থাকে অনেক সময় প্রিয়জনের শরীর ও পোশাকের গন্ধ আমাদের প্রিয় তেমনি অপ্রিয়জনের শরীর ও পোশাকের গন্ধ অপ্রিয়। প্রিয়জনের গন্ধেমনে সেক্সের আগ্রহ জন্মে। নারীর দেহের গন্ধে পুরুষ আকৃষ্ট হয়, পুরুষের দেহের গন্ধে নারীও আকৃষ্ট হতে পারে। যৌনবোধের প্রত্যক্ষ তৃপ্তি ঘটে নারী-পুরুষেরদৈহিক মিলনের মাধ্যমে। নারী পুরুষের দৈহিক মিলনে প্রধানত দুই প্রকারের দৈহিক প্রতিক্রিয়া সংঘটিত হয় এর একটি শ্বাস-প্রশ্বাসঘটিত অপরটি রক্তসঞ্চালনঘটিত। নারী-পুরুষের উত্তেজনার চরম মুহূর্তে শ্বাস-প্রশ্বাস অনেকখানি গভীর বা দীর্ঘ হয়ে আসে ফলে দেহে রক্তের চাপ বৃদ্ধি পায় হার্টের গতি বৃদ্ধি পায়। শিরাসমূহ ফুলে ওঠে, নারীর অঙ্গেও অনুরূপ পরিবর্তন সংগঠিত হয়. নারীজরায়ুর মুখ কিছুটা উন্মুক্ত হয়ে তা বস্তি প্রদেশের খানিক দূরে নেমে আসে। নারীর যোনি প্রাচীরের বিভিন্ন রসগ্রন্থি হতে ক্রমাগত রস ক্ষরণ হতে থাকে, ভগাঙ্কুর বা ক্লাইটোরিস উত্থিত হয়। ভগাঙ্কুর উত্তেজিত হয়। আরো পড়ুন পর্ব ৩

কোন মন্তব্য নেই :