সেক্স সংক্রান্ত নানা তথ্য , পর্ব ১
কোন মন্তব্য নেই


হৃদয়াবেগের ক্ষেত্রে ভালোবাসা জানানোর রীতি সঙ্গীদ্বয়ের সাংস্কৃতিক পটভূমিকায় ব্যক্তিগত ইন্দ্রিয়ানুভূতি, মানসিকপ্রবণতা এবং সেই বিশেষ মুহূর্তের মনোভাব অবস্থার ওপর নির্ভর করে। বলাবাহুল্য, তার প্রকাশভঙ্গি অসংখ্যরকম হতে পারে সে প্রকাশভঙ্গি একজনের কাছে এক সময়ে উদ্দীপনাময় সেই প্রকাশভঙ্গিই অন্য সময়ে, অন্য একজনের কাছে কুৎসিত বলে মনে হতে পারে। কখনো কখনো দীর্ঘ কাম ক্রীড়ার তুলনায় সামান্য একটা কথা,একটা ভঙ্গি, একটা ইঙ্গিতপূর্ণ রসালো মন্তব্য বা সুগন্ধ অনেক বেশি কার্যকরী হয় আচরণের বাধা-ধরা রীতি পদ্ধতি বা নিয়ম-কানুন আগে থাকতে বলা সম্ভবও নয়,বাঞ্ছনীয়ও নয়, মানব সম্পর্কের এই অন্তরঙ্গ ব্যাপারে ব্যক্তিগত স্বতঃস্ফূর্তি বা নৈপুণ্য এবং সেই সঙ্গে পারস্পরিক অনুভূতি ও অভিযোজনের ওপরই প্রধানত নির্ভর করা উচিত সূক্ষ্ম আবেগপ্রবণ ভঙ্গি, প্রবল যৌনলিপ্সা জাগাবার পক্ষেযথেষ্ট, তবে যৌনমিলনের আগে অনেক সময়ে প্রত্যক্ষ শারীরিক উদ্দীপনা সৃষ্টিকরাটা বাঞ্ছনীয়। প্রত্যক্ষ শারীরিক উদ্দীপনা বলতে বোঝায় স্পর্শ, চুম্বন, দংশন, লেহন, আলিঙ্গন, মর্দন, ঘর্ষণ। পুরুষের কামস্থানমোটামুটি একটা জায়গায় অবস্থিত কিন্তু নারীর কামস্থান সারা শরীর জুড়ে বিসতৃত ও ছড়ানো-ছিটানো। অনুকূল মানসিক অবস্থায় দেহের যে কোনো অংশের স্পর্শন ঘটলেই যৌন উদ্দীপনা জাগরিত হয়, ম্যান্টিগাজা যৌন প্রেমকে, উচ্চতর স্পর্শেন্দ্রিয়ের চাঞ্চল্য বলে অভিহিত করেছেন ঠোঁট, ঘাড়, কাঁধ, গলা, কান, কানের লতি, কানের নিম্নাংশ, স্তন, স্তন বোঁটা, এরিওলা, স্তন ভাঁজ, স্তনের চূড়া এগুলো বিশেষভাবে স্পর্শকাতর এবং এসব অঞ্চলে হাত বোলালে বা চুমো দিলে, হাল্কা কামড় দিলে, লেহন করলে অনেক সময় প্রবল যৌন উদ্দীপনা জাগে। বিবাহের গোড়ার দিকে জননেন্দ্রিয়ের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শের চেয়ে সাধারণভাবে দৈহিক সংস্পর্শের দ্বারাই নারীরা বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠে স্বাভাবিক লজ্জাশীলতা ও সংকোচ ক্রমে ক্রমে কেটে যাওয়ার পরই জনন প্রদেশের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে যৌনউদ্দীপনার উদ্রেক করে। আরো পড়ুন যৌনসঙ্গমের সঙ্গে হৃদয়াবেগজনিত ও শারীরিক ব্যাপারগুলো অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে সম্পর্কিত। প্রাক সঙ্গম ভূমিকায় এই উভয় দিকের কথাই বিবেচিত হওয়া উচিত।  পুরুষের যৌন আচরণ পুরুষের যৌন আচরণ আর যৌন ইচ্ছার সুনির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। একেকজন পুরুষ একেক আসন, ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি পছন্দ করে আর অন্যরা হয়তো তা করে না। একজন পুরুষ নিজের যৌনতা নিয়ে যা ভাবে তাই তার কাছে সঠিক হওয়া উচিত।অন্য পুরুষরা যে রকমের আচরণ করেন তাকেও সেই একই রকম যৌন আচরণ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাউকে যৌন আচরণে বাধ্য করা অন্যায়। ধর্ষণ আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে পুরুষের যৌনতা নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা থাকে। তারা চিন্তা করে সব সময় কেন উত্থান বা লিঙ্গ খাড়া হওয়ার ব্যাপারটা একইভাবেহয় না এবং কামরস কেন এত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসে কামরস যৌনসঙ্গমের সাথে সেক্স করার সময় কেন বের হয় না। অথচ হস্তমৈথুনের সময় ঠিকই তা বের হয় ইত্যাদি। কতক পুরুষের পুরুষাঙ্গ ভালোভাবে উত্থিত হলেও চরমসুখ বা যৌনসঙ্গীর সাথে চরমপুলক বা যৌন শিহরণ পেতে অসুবিধা হয়। কিন্তু যখন তিনি মাস্টারবেশন বা স্বমেহন করেন তখন কোনো সমস্যা থাকে না এর একটা মানসিক কারণ হতে পারে। তিনি যৌন আচরণকে অপরাধের দৃষ্টিতে দেখতে পারেন বা নারী বা যৌনসঙ্গী গর্ভবতী হয়ে যাবে এ রকমটিভাবতে পারেন কিংবা যৌনবাহিত রোগ এড়িয়ে চলতে পারেন তিনি। আপনি যদি এ ব্যাপারে সহায়তা চান তবে মনোচিকিৎসক বা সেক্স থেরাপিস্টের সাথে সাক্ষাৎ করুন মনোচিকিৎসার দ্বারা এ সমস্যা ভালো করা সম্ভব। যৌন জীবনের কোনো এক পর্যায়ে মনে হবে যে উত্থিত লিঙ্গকে যৌন তৃপ্তি পাওয়া পর্যন্ত ধরে রাখা যাচ্ছে না এর অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন-অসুস্থতা, ক্লান্তি,অবসন্নতা, মনোশারীরিক চাপ, সঙ্গিনী কর্তৃক মনোকষ্ট পাওয়া, অ্যালকোহল/মদ, ড্রাগ, ওষুধ সেবন ইত্যাদি। যৌন অতৃপ্তি বা অসন্তোষ এসব সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। মানসিক সমস্যাজনিত কারণটি সমাধানের জন্য মনোবিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তা ছাড়া পুরুষটিকে জানতে হবে ও শিখতে হবে যে, কীভাবে বীর্যস্খলনের সময়কে দীর্ঘ করা যায় এবং যৌন অনুভূতি বা শিহরণকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পুরুষাঙ্গকে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে একেবারে উদ্দীপিত করে আবার যৌনপুলক নিয়ন্ত্রণ করে বন্ধ করুন যাতে কিনা বীর্যস্খলিত হতে না পারে। এভাবে কয়েক দিনে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। নিজে চেষ্টা করুন ইচ্ছা শক্তি খাটিয়ে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য।পুরুষদের মাস্টারবেশনে পুরুষাঙ্গের ব্যবহার হয়েথাকে সবচেয়ে বেশি এতেও পুরুষভেদে নানা রকমারিতাদেখা যায় অধিকাংশ পুরুষের বেলাতে এ স্বমেহনে পুরুষাঙ্গের মূল দেহকে ঘষা, ওপরে ধীরেধীরে হাত বোলানো ইত্যাদি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। পুরুষাঙ্গের অন্ডথলির ত্বক বা লিঙ্গ মণিকে সরাসরি উদ্দীপিত করে স্বমেহন এ ধরনের অপেক্ষাকৃত কম দেখা যায়। একদল পুরুষাঙ্গকে সমগ্র হাত দিয়ে মুঠো করে ধরে ক্রমিক চাপ দিয়ে অতঃপর ছেড়ে দিয়ে সামনে-পেছনে আনা-নেয়া করে। পুরুষাঙ্গের উদ্দীপনা ক্রিয়ায় সবার দৃষ্টি এক জায়গায় থাকে না। কারও কারও পুরুষাঙ্গের ভেতরেরদিকে লিঙ্গ মণি সংলগ্ন ফ্রেনুলাম অংশের দিকে ঝোঁক থাকে বেশি। খাত্‌না করানো হয়নি এদের অনেকে পুরুষাঙ্গ অগ্রস্থ লিঙ্গত্বক সামনে-পেছনে আনা-নেয়া করে সুখের সন্ধান চালান উদ্দীপনা ধরনেও বৈচিত্র্য দেখা যায়। সূচনাতে হাল্কাভাবেস্পর্শ বা হাত বোলানো হয়,যা অনেকটা আদর সোহাগের মতো এটি মনে হাল্কা শিহরণজাগায়, শিহরণ যতই তীব্র হতে থাকে, উত্তেজনার মাত্রাও বেড়ে আসে নিজে থেকেই যখন চরমপুলক আসন্ন মনে হয় তখন স্পর্শন বা ঘর্ষণ উদ্দীপনা সর্বাধিকত্বরান্বিত হয়। যখন বীর্যস্খলন শুরু হয়ে যায় তখন উদ্দীপিতকরণে বিভিন্নতা দেখা যায় কেউ কেউ উদ্দীপনা কমিয়ে দেন। কেউ কেউ হাত দিয়ে পুরুষাঙ্গকে শক্তভাবে চেপে ধরে থাকেন বাকিরা উদ্দীপনা তুলে নিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। আরো পড়ুন পর্ব ২ এ

কোন মন্তব্য নেই :