ইসলামে নারীর মর্যাদা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ইসলামে নারীর মর্যাদা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ইসলাম নারী কে ভোগের বস্তু বানাই নাই,চুতিয়া শীল নারীবাদীরা বানিয়েছে।
বর্তমানে আমাদের দেশের কিছু চুতিয়া শীল নারী বাদীরা তারা দিনে রাতে রাস্তা ঘাটে
টি ভি র ক্যামেরার সামনে নারীর অধিকার নিয়ে চিল্লিয়ে গলা ফাটায়।
তারা দাবি করে নারী কে সমান অধিকার দিতে হবে।
তারা আরো বলে ইসলাম নাকি নারী কে ভোগের বস্তু বানিয়েছে?
জানতে চাইলে তারা যুক্তি দেয় ইসলামে পুরুষের চারটি বিয়ে করার অনুমতি আছে
কিন্তু নারীর নেই কেনো?
সম্পদে পুরুষের অধিকার আছে তিন ভাগের দুই ভাগ আর নারীর আছে এক ভাগ।
এখানে নারীর এক ভাগ কম কেনো?
ইসলামে পুরুষেরা স্বাধীন ভাবে খোলা মেলা চলা ফেরা করতে পারে,
তারা নিজেদের ইচ্ছে মতো যথায় তথায় যেতে পারে,
ঘরের বাহিরে নিজের স্বাধীন মতো কাজ করতে পারে,
নারীরা পারে না কেনো?
শুধু নারী কে কেনো ঘরের ভিতরে সিমা বদ্ধ রাখা হয়?
ইসলাম কেনো নারী পুরুষদের অবাধ মেলামেশা করার সুযোগ দেইয় না?
আমি আপনাদের কাছে থেকে জানতে চাই তাদের এই কথা গুলির দ্বারা কি প্রমান হয় না
নারী কে ভোগের বস্তু কারা বানিয়েছে?
এবার আসুন আমরা তাদের প্রশ্ন গুলির দাত ভাঙ্গা জবাব প্রধান করি।
প্রশ্ন একের উত্তরঃ এক দিক থেকে নারী হল ক্ষেত,আর পুরুষ হল বীজ।
এভাবে যদি দেখেন খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।
ধরুন আপনার চার টি ক্ষেত আছে, এই চারটি ক্ষেতে আপনি তরমুজের চাষ করেছেন।
তা হলে এই চার টি ক্ষেতের ফসলের মালিক আপনি নিজেই।
কিন্তু একটির ক্ষেতের মালিক যদি চার জন হয়, আর ফসল হিসাবে যদি একটি তরমুজ
ধরে?
তা হলে এই ফল আপনারা কিভাবে নিবেন?
একটি ফল চার জন মালিক নিতে গেলে নিশ্চয় ভাগ করা লাগবে?
ঠিক তেমনি ভাবে একটি পুরুষের যদি চারটি স্ত্রী থাকে,এই চার টি স্ত্রী গর্ভে থেকে যত
গুলো সন্তান জন্ম নিবে সব সন্তানেই ঐ একটি বাবার পরিচয় থাকবে।
কিন্তু একটি নারীর যদি চার টি স্বামী থাকে,এই চার টি স্বামীর সাথে যদি নিয়মিত সহবাস
করে যায়, বছর পার হলে যে সন্তান টি জন্ম নিবে তার পিতা কে হবে?
নাকি সে চার জন পিতার পরিচয় নিয়ে বড় হবে?
আচ্ছা আমি মেনে নিলাম সে চার টি পিতার পরিচয়ে বড় হবে।
একটি পুরুষে যদি চারটি নারী কে বিয়ে করে তা হলে তার সংসার একটিই হবে।
কিন্তু একটি নারী যদি চার টি বিয়ে করে তা হলে তার সংসার হবে চার টি।
অথচ একটি নারী কে একটি সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়।
অনেক নারী কে দেখি কাজের মেয়ে ও রাখতে।
এই যদি অবস্থা হয় তা হলে একটি নারী কি ভাবে চারটি সংসার পরিচালনা করবে?
আরো ভয়াবহ বিষয় হল একটি নারী যদি চার টি বিয়ে করে তা হলে তাকে চার টি
স্বামীর যৌন চাহিদা পূরণ করতে হবে।
একটি নারী কে যদি চার টি স্বামীর যৌন চাহিদা পূরণ করতে হয় তা হলে এই নারীর
ও পতিতা মাঝে পার্থক্য কোথায়?
আমার তো মনে হয় না একটি পতিতা প্রতি দিন চার জন খদ্দর গ্রহন করে।
আপনি এখন চিন্তা করে দেখুন নারী কে ভোগের বস্তু কারা বানিয়েছে এবং বানাতেও
চাচ্ছে?
একটি নারী যদি চার টি বিয়ে করে এবং চার টি স্বামীর যৌন চাহিদা পূরণ করে তা হলে
সে নারী কি ভোগের বস্তু নয়?
আশা করি আপনারা এই প্রশ্ননের উত্তর দিয়ে যাবেন।
এই প্রশ্ননের উত্তরে আমার আরো কিছু বলার আছে।
আমরা সকলেই জানি পৃথিবীতে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি।
কত বেশি আমি সঠিক করে বলতে পারবোনা।
আচ্ছা মনে করুণ প্রতি ১০০ তে ৪৫ জন পুরুষ আর বাকি ৫৫ জন নারী।
৪৫ জন পুরুষ যদি ৪৫জন নারী কে বিয়ে করে তা হলে আরো ১০ জন নারী বিয়ে
করার বাকী আছে।
বাকি ১০ জন নারী তার সারা জীবন কি করে কাটাবে?
তারা কি জনতার ভোগের বস্তু মানে পতিতা জীবন গ্রহন করবে?
তার ও অধিকার আছে সামাজিক যৌন অধিকার পাবার।
তাদের এই অধিকার কে দিবে?
চুতিয়া নারী বাদীরা এর জবাব দিবেন?
নাকি তাদের কে পতিতা ভিক্তি জীবন দিবেন?
প্রশ্ন দুইয়ের উত্তরঃ ইসলাম সম্পদে পুরুষ কে তিন ভাগের দুই দিয়েছে আর নারী দিয়েছে
এক ভাগ।
আমি চুতিয়া শীল নারীবাদীদের কাছ থেকে জানতে চাই অন্যান্য ধর্ম গুলি নারী কে
পিতার সম্পদের কত ভাগ দিয়েছে?
আমরা জানতে চাই?
অন্য ধর্ম নারী কে কিছুই দেয় নাই তুবু সেটা নিয়ে আপনাদের মাথা ব্যাথা নাই।
আপনাদের যত মাথা ব্যাথা আছে ইসলাম নিয়ে ।
নারী তিন ভাগের এক ভাগ পেয়েছে সেটাই অনেক বেশি পেয়েছে।
ইসলামে পরিবারের সমস্ত বুঝা পুরুষের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে।
একটি পরিবারে সমস্ত ভর পোষণের দায়িত্ব থাকে এক জন পুরুষের উপর।
নারীর উপর নয়?
তা হলে এই পুরুষের ধন সম্পদের দরকার আছে কি না?
নারী এতো সম্পদ দিয়ে কি করবে?
আমি আপনাদের কে সহজ উদাহরণ দিয়ে বুঝায়।
মনে করুণ আপনার বাবা মায়ের সংসারে আপনারা দুই ভাই বোন আছেন।
এখন আপনারা দুই ভাই বোন মিলে আপনার নানার বাড়ীতে যাবেন।
আপনারা দুই জন নানার বাড়ীতে যাওয়ার জন্য আপনার বাবা আপনার বোন কে দিল ১০০
টাকা। আর বলে দিলেন এটা তোর।আর আপনাকে দিলেন ৫০০ টাকা।
বলে দিলেন এই টাকা দিয়ে তোদের দুই জনের আসা যাওয়ার খরচ।
এখন আপনার নানার বাড়ীতে যেতে লাগে জন প্রতি ১০০ টাকা বা তার বেশি।
তা হলে আপনারা দুই জন নানার বাড়ী থেকে ঘুরে এসে দেখলেন আপনি ১০ টাকার
মালিক ও হন নাই।
কিন্তু আপনার বোন ১০০ টাকার মালিক ঠিকি হয়ছে।
তা হলে এখানে বেশি পাইছে কে?
নিশ্চয় আপনার বোন।
ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যে মেয়েটি কে বিয়ে করবেন সে মেয়েটি তার বাবার সম্পদ থেকে
তিন ভাগের এক ভাগ পেল।
আপনি আপনার বাবার সম্পদ থেকে তিন ভাগের দুই ভাগ পেলেন।
আপনি আপনার বাবার থেকে পাওনা সম্পদের মূল্য ২ লক্ষ টাকা।
আপনি যে মেয়ে কে বিয়ে করলেন তার বাবার থেকে পাওনা সম্পদের মূল্য ১ লক্ষ টাকা।
এখন আপনি ঐ মেয়ে কে বিয়ে করলেন।
বিয়ে তে আবার ৫০ হাজার টাকা মহরানা দিয়ে দিলেন।
তা হলে আপনার থাকল দেড় লক্ষ টাকা।
মেয়ে তার বাবার কাছ থেকে পাইল ১ লক্ষ টাকা, আপনার কাছ থেকে পাইল ৫০
হাজার টাকা।তা হলে এখন মেয়েটির হল দেড় লক্ষ টাকা।
তা হলে মেয়ে কম পেল কোথায়?
তার পর এই দেড় লক্ষ টাকা থেকে আপনাকে সংসারে যাবতীয় খরচ করতে হবে।
আপনার স্ত্রী এবং সন্তানের ভর পোষণ চালাতে হবে।
আপনার সন্তাদের লেখা পড়ার খরচ চালাতে হবে।
এখন আপনার সন্তান বড় হল।
আপনি আপনার বাবার থেকে পাওনা দুই ভাগ সম্পদ সন্তানদের কে ভাগ করে দিলেন।
এই দুই ভাগ সম্পদ থেকে আপনার স্ত্রী ও কিছু পাবে।
যেমন আপনার কাছে যদি ১০০ টাকা থাকে তার থেকে ১০ টাকা,
১০ টাকা থাকলে ২ টাকা আপনার স্ত্রী পাবে।
আপনি ইসলামের নিতি অনুযায়ী দিতে থাকলে পরিশেষ আপনি কত টাকার মালিক হলেন?
তা হলে ইসলাম নারী কে কম দিয়েছে না কি বেশি দিয়েছে?
এখন যদি চুতিয়া নারী বাদীরা সমান অধিকার দাবী করে তা হলে নারী দের কে
অধিকার দিচ্ছে নাকি সমান অধিকারের নামে নারী হক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে?
এর জবাব আমাদেরকে কে দিবে?
প্রশ্ন তিন এর উত্তরঃ আপনাদের কাছ থেকে আমি জানতে চাই নারী পুরুষ কি সমান?
নাকি ব্যবধান আছে?
পুরুষদের গঠন আর নারীদের গঠন কি এক?
নাকি ভিন্ন?
যদি ভিন্ন হয়ে থেকে তা হলে তাকে সব কিছুতে সমান দিবেন কি ভাবে?
পুরুষেরা রাস্তায় শুধু প্যান্ট পরে হাঁটতে দেখা যায়,এখন নারীরা কি শুধু সেলোয়ার পরে
হাঁটতে পারবে?
পুরুষ যথায় তথায় যেতে পারে কারন তার ইজ্জত হারানোর ভয় নেই।
নারী যথায় তথায় গেলে ইজ্জত হারাবে না এমন কোনো গ্যারান্টি আছে?
আজ কাল পত্র পত্রিকা খুললে দেখা যায় প্রতি দিন ২ থেকে ৩ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটতেছে।
এক জন নারী যদি কোনো কারনে তার ইজ্জত হারিয়ে ফেলে আপনি কি তার হারানোর
ইজ্জত ফিরিয়ে দিতে পারবেন?
আর আপনাকে বলেছে ইসলামে নারী কে যথায় তথায় যাওয়ার অনুমতি নাই?
অবশ্যয় আছে। তবে তাকে কোথাও যেতে হলে সাথে কাউ কে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে।
যেমন স্বামী , বাবা অথবা আপন ভাই।
নারী যথায় তথায় যাওয়া মানে কি পার্কে গিয়ে ছেলেদের সাথে নষ্টামী করা?
নাকি নিজের বয় ফ্রেন্ড কে নিজের সতীত্ব বিলিয়ে দেওয়া?
যদি তাই হয় এখানে কি নারী ভোগের বস্তু নয়?
চাকরির,কাজের কথা বলতেছে?
ঘরে স্বামী থাকতে স্ত্রী চাকরি ,কাজ করবে কেনো?
ঘরে যুবক ছেলে থাকতে তার মা চাকরি ,কাজ করবে কেনো?
ঘরে যুবক ভাই থাকতে তার যুবতি বোন চাকরি ,কাজ করবে কেনো?
একটি নারী সকাল ৮ টা বা ৯ থেকে বিকাল ৫ বা এর চেয়ে বেশি সময় ঘরের বাহিরে
কাজ করে টাকা রুজি করে,এই টাকা দিয়ে বাজার করে, তার পর রান্না করে তার
স্বামী কে তার যুবক ছেলে কে তার যুবক ভাইকে খাওয়াবে।
আর পুরুষ বসে বসে খাবে আর নাকে সুরেশ খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে ঘুমাবে।
বাহ কত চমৎকার চুতিয়া নারী বাদীদের নারী অধিকারের দাবী।
ঘরে বাহিরে সব জায়গাতে সব কিছু যদি নারী করে তা হলে পুরুষ নামক বলদ গুলির
এই সমাজে থাকার দরকার কি???
নাকি রাতের কাজ ছাড়ার জন্য দরকার?
একটি নারী ঘরের যাবতীয় কাজ কর্ম করলো,
আবার কাজের তাগিদে ঘরের বাহিরে গিয়ে কাজ করে বাসায় ফিরে বাসার যাবতীয়
কাজ সেরে রাতে স্বামীর বিছানায় গেল।
আর আদরের স্বামী তার রাতের কাজ সেরে নিল।
এটায় যদি নারীর অধিকার হয় তা হলে এখানে কি নারী ভোগের বস্তু নয়???
নাকি নারী ভোগের বস্তু হয় তখন যখন তার স্বামী বাহিরে কাজ করে ,
এরপর এই টাকা দিয়ে বাজার করে তার স্ত্রীর হাতে দিল।
স্ত্রী রান্না করে তার স্বামী সন্তান কে খাওয়ালো ???
আর এখানেই নারী আপনাদের কাছে ভোগের বস্তু হয়ে গেল???
আসলে আপনারা নিজেই তের বেটার ভোগের বস্তু হয়ে আছেন।
তের বেটারা আপনাদের কে ভোগ না করলে আপনাদের পেট ভরে না।
তাই আপনাদের পথে আমাদের মা বোনদের কেও আপনার আনতে চান?
এর ব্যতিত আর কিছু নয়।
এই হল গিয়া আসল কথা।
আর ইসলামে কোথাও বলা আছে যে নারী ঘরের বাহিরে কাজ করতে পারবে না?
বরং নারী যে কোনো কাজ করতে পারবে।
এবং সেটা করতে হবে পর্দা আইন মেনে।
পর্দা আইন লঙ্গন করে নয়?
কাজ করার ক্ষেত্রে পর্দা কথা বললেই নারী স্বাধীনতা হরন হয়ে যায় এই গাজা খুরি
কথা থেকে আমদানি করছেন?
ইসলামের আইন অনুযায়ী নারী করতে পারবে চিকিৎসার কাজ,
করতে পারবে দর্জির কাজ,
করতে পারবে শিক্ষিকার কাজ।
অন্য ক্ষেত্রে ও কাজ করতে পারবে।
তবে পর্দা মেনে করতে হবে।
যেমন নারী ডাক্তারেরা নারী অসুস্ত রোগীদের চিকিৎসা করতে পারবে।
নারী দর্জিরা শুধু নারীদের পোশাক তৈরী করতে পারবে।
নারী শিক্ষিকারা নারী ছাত্রীদের কে পাঠ দান করতে পারবে।
পুরুষ ছাত্রদের কে নয়?
নারী শিক্ষিকারা যদি শুধু ছাত্রীদের কে পাঠ দান করতো?
পুরুষ শিক্ষকরা যদি শুধু ছাত্রদের কে পাঠ দান করতো?
তা হলে আজকের পরিমলেরা আমাদের বোন দের ইজ্জত লুট করতে পারতো না।
শিক্ষক হয়ে নারীর দেহ ভক্ষক করতে পারতোনা?
আমাদের সমাজে শত শত পরিমল লুকিয়ে আছে।
তারা প্রতি দিন আমাদের বোনদের কে ধর্ষণ করে যাচ্ছে আমাদের চোখের আড়ালে
শিক্ষা পাঠ দানের নামে।
এখন শিক্ষকরা যদি হয় ভক্ষক তা হলে কে হবে জাতির রক্ষক আমরা জানতে চাই???
আর নারীরা ঘরের ভিতরে থাকায় সব চেয়ে নিরাপদ।
প্রশ্ন চার এর জবাবঃআপনাকে কে বলেছে মুসলিম নারীরা ঘরের ভিতর সীমাবদ্ধ থাকে?
তারা কি মাদ্রাসা গিয়ে দ্বীনি শিক্ষা গ্রহন করতেছেনা?
তারা কি হিজাব পড়ে স্কুল কলেজে ভার্সিটিতে পড়তেছেনা?
পড়ে থাকলে এই ধরনের প্রশ্ন করেন কেনো?
না কি তারা মাদ্রাসায় পড়ে বলে সেটা শিক্ষার আওতায় পড়েনা?
তারা হিজাব পড়ে স্কুল কলেজে ভার্সিটিতে পড়ে বলে সেটা শিক্ষার আওতায় পড়েনা?
আপনারা আমাদের কে কি বুঝাতে চাচ্ছেন?
বুক খুলিয়ে পাছা দুলিয়ে স্কুলে গেলে কি সেটা শিক্ষার আওতায় পড়ে?
আপনারা না নারীর সম্মানের কথা বলেন?
নারীরা বুকের কাপড় যখন গলাতে গামছার মতো ঝুলিয়ে রাস্তায় দিয়ে যায় ,
রাস্তায় বখাটে ছেলেরা আপত্তিকর কথা বলে সেটা কি নারীর সন্মান?
আপনারা নারীর অধিকারের কথা বলেন?
বুকের উড়না গলাতে ঝুলিয়ে স্কুল কলেজে যাওয়ার যদি নারীর অধিকার হয়?
তা হলে হিজাব পড়ে আমাদের বোনেরা স্কুল কলেজে যাওয়ার নারীর অধিকার হবেনা কেনো?
আমাদের বোনেরা হিজাব পড়ে গেলে তাদের হিজাব খুলে নেওয়া হয় কেনো?
গত কয়েক দিন আগে দেখলাম কোন বদমাশ মন্ত্রী নাকি এম পির বদমাশ স্ত্রী আমাদের
বোনদের ড্রেস কোডের দোহায় দিয়ে লম্বা হাতা জোর করে কেটে দিয়েছে।
তখন আপনাদের নারী স্বাধীনতা,অধিকার কোথায় ছিলো?
এটা নিয়েতো আপনারা কোনো কথা বলেন নাই?
তখন কি মানবধিকার লঙ্গন হয় না ?
আমাদের বোনেরা যদি তখন উত্তেজিত হয়ে বদমাশ বেটিরে গায়ের কাপড় খুলে
রাস্তায় ঘুরাতো তখন আপনাদের মনে চুলকানী জেগে উঠতো।
আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন আপনারা কি মানবধিকার কাকে বলেন জানেন?
রাতে গাজা সেবন কম করে মানবধীকার কাকে বলে আগে জানেন।
তার পরে মানবধিকার নিয়ে চিল্লাচিল্লি করিয়েন।
প্রশ্ন পাঁচ এর উত্তরঃ নারী পুরুষ অবাধ মেলামেশার মানে কি?
আপনারা কি চাচ্ছেন পুশু ভিক্তিক সমাজ মানব সমাজে চালু করতে?
অবিবাহিত নারী পুরুষ চাইলেই যদি একে অপরের সাথে শারীরিক ভাবে মিশতে পারে
তা হলে এখানে কি নারী ভোগের ভস্তু নয়?
পুশুদের সামাজিক দ্বায় বদ্ধতা নেই।
যার কারনে তারা যার তার সাথে রতিক্রিয়া করতে পারে।
আপনারা কি সে সমাজ ব্যবস্তা চালু করতে চাচ্ছেন?
তা হলে যারা এতো টাকা খরচ করে বিয়ে করলো তাদের তাদের কি লাভ হলো?
যেমন পরিক্ষা হলে দুই ছাত্র পরিক্ষা দিতে গেছে।
এই দুই জন ছাত্র মধ্যে একজন লেখা পড়ায় খুব ভালো আরেক জন দুর্বল।
এখন দুই জনের মাঝে একজন খুব ভাল পরিক্ষা দিল আরেক জন খারাপ পরিক্ষা দিলো।
এখন এই পরিক্ষার দ্বারা দুই ছাত্র যদি ১০০ থেকে ১০০ নম্বর পেয়ে যায়
তা হলে যে ভাল ছাত্র দিনে রাত্রে ২৪ ঘন্টা শ্রম খাটিয়ে পড়লো ভালো রেজাল্টের আশায় সে
কি দোষ করলো?
এখন আপনারা বলতেছে নারী পুরুষ অবাধ মেলামেশার কথা?
১৮ হজার মাকলুকাতের মধ্যে মানুষ জাতি হল সর্ব শ্রেষ্ঠ জাতি।
মানুষদের মাঝে সামাজিক দ্বায় বদ্ধতা আছে বলেই মানুষ জাতি হল সর্ব শ্রেষ্ঠ জাতি।
পুশুদের মাঝে সামাজিক দ্বায় বদ্ধ নাই।
পুশুরা অবাধ যৌনতার বিশ্বাসী,যার কারনে তাদের মাঝে কোনো বিবাহিক সম্পর্ক
নেই। যার কারনে তারা যখন ইচ্ছে যে কোনো জায়গাতে রতিক্রিয়া করতে পারে।
এখন আপনারা যদি নারী পুরুষ অবাধ মেলামেশার নামে যথায় তথায় সেক্স ক্রিয়াতে মেতে
উঠেন তা হলে পুশু ও আপনাদের মাঝে পার্থক্য কোথায়?
পার্থক্য হলো পুশুরা চাইলেই মানব সভ্যতায় ফিরে আসতে পারবেনা অথচ আপনারা
শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে পুশু সমাজে ফিরে যেতে চান।
নারী পুরুষ অবাধ মেলামেশার নামে অসামাজিক ভাবে যাকে ইচ্ছে তাকেই ভোগ করতে
পারবে সেটা আপনাদের কাছে ভোগের বস্তু নয়,
আপনাদের কাছে তারাই ভোগের বস্তু যারা বিয়ে করে সামাজিক ভাবে রতিক্রিয়া করে।
আর আপনারা নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলেন?
এই দেশের প্রধান মন্ত্রী একজন নারী।
এই দেশের বিরোধী দলের নেত্রীও একজন নারী।
এই দেশের সংসদ উপনেতাও একজন নারী।
এমন কি বর্তমানে স্পিকার ও একজন নারী।
এর পর যদি বলেন এই দেশে নারীর ক্ষমতা নেই তা হলে আমি আপনাদের কাছে জানতে চাই
উপরে ক্ষমতা গুলি নিয়ে যারা বসে আছে তারা কি হিজড়া?????
আপনারা নারী পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলতেছে?
এই দেশে নারী প্রধান মন্ত্রী আছে , পুরুষ প্রধান মন্ত্রী নেই কেনো?
সমান অধিকার দিতে হলে তো নারী প্রধান মন্ত্রী পাশে পুরুষ প্রধান মন্ত্রী থাকার
প্রয়োজন,কিন্তু নেই কেনো?
আমরা জানতে চাই???????
আর ইসলামে নারীর অধিকারের কথা বলেন????
ইসলাম নারী কে দিয়েছে সর্ব শ্রেষ্ঠ অধিকার যা আর কেউ দিতে পারে নাই আর পারবে ও
না।
ইসলাম নারী কে দিয়ে রাণীর মর্যাদা।
আজ থেকে ১৪০০ শ বছর আগে নারী কে ভোগের বস্তু হিসাবে ব্যাবহার করা হতো।
শিশু নারীদের জীবন্ত মাটির নিচে পুতে ফেলা হতো।
সে সময়ের সমাজে নারীর ১ আনারও মূল্য ছিলোনা।
সে নারীদের কে মানবতার হাত বাড়িয়ে রানীর সিংহাসনে বসিয়ে দিয়েছেন
বিশ্ব নবী মুহান্মদ (সাঃ)।
নারী ঘরের বাহিরে কাজ করবে আর পুরুষ ঘরে বসে আঙ্গুল চুষবে সেটা নারীর অধিকার
নয়, পুরুষ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টাকা ইনকাম করবে আর নারী ঘরে বসে
পায়ের উপর পা তুলে খাবে সেটা হলো নারীর অধিকার।
নারীর অধিকারের নামে পুরুষের মাথার বুঝা নারীর মাথার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে
যদি বোকা নারীরা বুঝতো।
বলতে গেলে অনেক কিছু বলা যাবে।
কিন্তু এই সব বলে লাভ কি?
আমার এই লেখা সমাজের কয় জনের হাতে পৌছবে?
কত জনে আর পড়বে?
তাই এখানেই সমাপ্ত করে নিলাম।
আপনারা সবাই ভালো থাকুন মহান আল্লাহর দরবারে এ কামনা করে বিদায় নিচ্ছি...
আল্লাহ্ হাফেজ।
বিঃদ্রঃ লেখাতে কোনো প্রকার ভুল ক্রটি থাকলে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
আর আপনার যত টুকু পারেন বেশি বেশি করে শেয়ার করুণ।
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?
ইসলামে নারীর মর্যাদা
একজন নারী ইসলামী শিক্ষা ও অনুপম আদর্শের ছায়া তলে ও ইসলোমের দিক নির্দেশনার আলোকে একটি সম্মানজনক অবস্থায় জীবন যাপন করতে পারে।ইসলামী বিধানে একজন নারী,সে যেদিন থেকে দুনিয়াতে আগমন করেছে,সেদিনথেকে ই ইসলামী বিধানে তার জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে তার সম্মান ও মর্যাদাকে অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে।তাকে কন্যা হিসেবে,মা হিসেবে,স্ত্রী হিসেবে,বোন হিসেবে,খালা,ফুফ ু ইত্যাদি হিসেব,তার জীবনের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ধরনেরসম্মান ও অধিকার আলাদা আলাদা করে দেয়া হয়েছে।একজননারীর জীবনে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়।ইসলামে নারীর অবস্থা বেধে একজন নারীকে বিভিন্ন ধরনের সম্মান ও অধিকার দেয়া হয়েছে।নিম্নে তার সংক্ষিপ্ত একটি আলোচনা তুলে ধরা হল।
১,কন্যা-সন্তান হিসেবে নারীর মর্যাদা:
কন্যা হিসেবে নারীর মর্যদা অধিক। ইসলাম কন্যা সন্তানদের প্রতি দয়া করা,তাদের নৈতিক শিক্ষা দেয়া,আদর যত্নসহকারে লালন-পালন করা এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে নেককার নারী হিসেবেগড়েতোলার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করে।পক্ষান্তরে জাহিলিয়্যাতের যুগে যে সব কাফেরমুশরিকরা কন্যা সন্তানের জন্মকে অপছন্দ করত,তাদের বিরুদ্ধেইসলাম কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে।আল্লাহ তা'আলাবলেন,আর যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়;তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায়।আর সে থাকে দুঃখ ভারাক্রান্ত।তাক ে যে সংবাদ দেয়া হয়েছে,সে দুঃখে সে কওমের থেকে আত্মগোপন করে।অপমান সত্ত্বেও কি একে রেখে দেবে,না মাটিতে পূতে ফেলবে?জেনেরেখ,ত ারা যা ফয়সালা করে,তাকতই না মন্দ[সূরা আন-নাহল,আয়াত: ৫৮,৫৯]
বুখারী ও মুসলিমে মুগিরা ইবনে শু'বা (রা.) হতে বর্ণিত,রাসূলুল্ লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা তোমাদের উপর মাতা-পিতার নাফরমানি করাকে হারাম করেছেন,ভিক্ষা করা ও কন্যাসন্তানদের পুতে হত্যা করাকে হারাম করেছেন।
হাফেজ ইবনে হাযার আসকালানী রহ. বলেন,জাহিলি যুগের লোকেরা কন্যাসন্তানদের দুটি পদ্ধতিতে হত্যা করত :
এক.তারা তাদের স্ত্রীদের যখন সন্তান প্রসবের সময় হত,তখনতারা তাদের নির্দেশ দিয়ে বলত, তারা যেন একটি গুহার নিকট চলে যায়। তারপর যখন কোন পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করত, তখন তাকে জীবিত রাখত। আর যখন কোন কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করত, তখন তাকে গর্তে নিক্ষেপ করে হত্যা করে ফেলত।
দুই.
যখন তাদের কন্যা সন্তানদের বয়স ছয় বছর হত, তখন তারা তাদের সন্তানের মাকে বলত, তাকে তুমি সাজিয়ে দাও! আমি তাকে নিয়ে আমার আত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়াতে যাব।
মাতাকেসাজিয়ে দিলে, তার পিতা তাকেনিয়ে গভীর বন- জঙ্গলে চলে যেত এবং কুপের নিকট এসে তাকে বলত, তুমি একটু নিচের দিকে তাকিয়ে দেখ, সে যখন নিচের দিকে তাকিয়ে দেখত, তখন তাকে পিছন থেকেধাক্কা দিয়ে কুপের মধ্যে ফেলে দিত।তারপর মাটি চাপা দিয়ে অথবা পাথর মেরে হত্যা করে ফেলত। এ ভাবেই তাদের মধ্যে কন্যা সন্তানদের হত্যা করার ধারাবাহিকতা যুগ যুগ ধরে চলছিল।ইসলামের আগমনের পর ইসলাম নারীদেরকে আল্লাহর পক্ষ হতে বড় একটি নেয়ামত হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং কন্যা সন্তানদের হত্যাকরার প্রবণতা বন্ধ করে দেন এবং ঘোষণা দেন যে , কন্যা সন্তান হত্যা করা জঘন্য অপরাধ। কারণ, কন্যা সন্তান জন্ম কোন মানুষের কর্মের ফলনয়, বরং তাও আল্লাহর দান। আল্লাহ যাকে চান কন্যা সন্তান দেন আবার যাকে চান পুত্র সন্তান দেন। এ বিষয়ে আল্লাহ তা'আলা বলেন, আসমান সমূহ ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহরই। তিনি যা চান সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে পুত্র ও কন্যা উভয়ইদান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করেন। তিনি তো সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান। [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ৪৯-৫০]
মুসনাদে আহমদে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোন ব্যক্তির যদি একজন কন্যা সন্তানথাকে এবং সে তাকে হত্যা করেনি, কোন প্রকার অবহেলা করেনি এবং পুত্র সন্তানকে কন্যা সন্তানের উপর কোন প্রকার প্রাধান্য দেয়নি। আল্লাহ তাকে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। [মুসনাদে আহমদ: ২২৩/১]
ইবনে মাজা উকবা ইবনে আমের হতে বর্ণনা করেন,তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি,তিনি বলেন,
যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তানথাকবে এবং সে তাদের লালন- পালনে ধৈর্য্য ধারণ করে ও তাদের ভালো কাপড় পরায়, তখন তারা তার জন্য জাহান্নামের আগুনের প্রতিবন্ধকহবে। [ইবনে মাজা; ৩৬৬৮]
ইমাম মুসলিম তার সহীহতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দুই জন কন্যা সন্তান লালন- পালন করে, কিয়ামতের আমি এবং সে দুটি আঙ্গুলের মত এক সাথেমিলেই উপস্থিত হব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আঙ্গুল দুটি মিলিয়ে দেখান। [সহিহ মুসলিম; ২৬৩১]
ইমাম বুখারী আদাবুল মুফরাদ গ্রন্থে জাবের রা. হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে লোকের তিন জন বাচ্চা থাকবে এবং সেতাদের যথাযত বরণ- পোষণ, লালন-পালন ও আদর-যত্ন সহকারে
ঘড়ে তুলবে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতকে ওয়াজিব করে দেবে। এ কথা শোনে এ লোক দাড়িয়ে বলল, যদি দুইজন কন্যা সন্তান থাকে, তা হলে কি বিধান হে আল্লাহররাসূল? তখন রাসূল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলল, দুইজন হলেও একই বিধান। (অর্থাৎসেও এ ফজিলতের অধিকারী হবে)[বুখারি আদাবুল মুফরিদ; ১৭৮]
আয়েশা (রা). হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন গ্রাম্য লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে এসে বললেন তোমরা কি তোমাদের বাচ্চাদের চুমু দাও? আমরা আমাদের বাচ্চাদের কখনোই চুমু দেই না। এ কথা শোনে রাসূলুল্লাহ সঃ বলেন আল্লাহ পাক যদি তোমার অন্তর থেকে দয়া কে তুলে নিয়ে যানআমি কি সক্ষম হবো তা বাধা দিয়ে ধরে রাখতে?
(বুখারী ও মুসলিম)
post by nazmon nahar.
শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি
(
Atom
)