নামাজ কক্ষ থেকে ধরে ৩ ছাত্রীকে হলছাড়া করলো ঢাবি প্রশাসন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলে ফজরের নামাজ আদায়কালে তিন ছাত্রীকে আটক করে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। প্রশাসন ও ছাত্রলীগের দাবি, তারা ছাত্রী সংস্থা ও হিযবুত তাহরীরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে দুই দফা দীর্ঘ ৬ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পরও কে কোন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তা বলতে পারেন নি কর্তৃপক্ষ। গতকাল ভোরে এই ঘটনা ঘটে
। আটককৃতরা ইতিহাস বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী ফাহমিদা আকতার (কক্ষ-১০৯), বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের উম্মে কুলসুম পলি (কক্ষ-৪০০৬) এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী মায়মুনা আকতার। এছাড়া, ইসরাত জাহান ইলা ৪র্থ বর্ষ, (কক্ষ নং-১০৯) নামে আরও এক ছাত্রীকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে প্রশাসন। সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে হলের মসজিদে ১৫/২০টা ইসলামী বই ও কিছু হিযবুত তাহরীরের লিফলেট পাওয়া যায়। এ নিয়ে হলে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। গোপনে কর্তৃপক্ষ হলে সন্দেহভাজন ছাত্রীদের কক্ষও তল্লাশি করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, মসজিদে গোপন নজরদারি শুরু করে ছাত্রলীগ ও হল কর্মচারীরা। এরপর গতকাল ভোরে আটককৃত তিন ছাত্রী মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে যান। এ সময় তাদের আটক করে ছাত্রলীগ ও হল কর্মচারীরা একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের প্রায় তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রীদের ছাত্রী সংস্থা ও হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে- এমন বক্তব্য আদায় করতে চায়। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে হল প্রশাসনকে খবর দেয় তারা। পরে হল প্রভোস্ট ড. সাজেদা বানু ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ তাদের প্রভোস্টের কক্ষে ডেকে এনে পুনরায় প্রায় তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের হল থেকে বের করে দিয়ে স্থানীয় অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট ড. সাজেদা বানু বলেন, ছাত্রী সংস্থা ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের কর্মী সন্দেহে তিন ছাত্রীকে আটক করা হয়েছে। তবে কে কোন দলের সে বিষয়টি এখনও জানা যায়নি। তাদের কাছে কোন প্রমাণ পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের কাছে ১৫-২০টি ইসলামী বই পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, আটক ছাত্রীদের হলে সিট বাতিল করা হয়েছে এবং স্থানীয় অভিভাবকের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ বলেন, হিযবুত তাহরীর ও ছাত্রী সংস্থার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ছাত্রীদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া তাদের সঙ্গে আর কারও যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। এর আগে সুফিয়া কামাল হল থেকে একই অভিযোগে ২০ ছাত্রীকে বের করে দেয় হল শাখা ছাত্রলীগ ও হল কর্তৃপক্ষ।
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।
এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?
। আটককৃতরা ইতিহাস বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী ফাহমিদা আকতার (কক্ষ-১০৯), বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের উম্মে কুলসুম পলি (কক্ষ-৪০০৬) এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী মায়মুনা আকতার। এছাড়া, ইসরাত জাহান ইলা ৪র্থ বর্ষ, (কক্ষ নং-১০৯) নামে আরও এক ছাত্রীকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে প্রশাসন। সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে হলের মসজিদে ১৫/২০টা ইসলামী বই ও কিছু হিযবুত তাহরীরের লিফলেট পাওয়া যায়। এ নিয়ে হলে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। গোপনে কর্তৃপক্ষ হলে সন্দেহভাজন ছাত্রীদের কক্ষও তল্লাশি করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, মসজিদে গোপন নজরদারি শুরু করে ছাত্রলীগ ও হল কর্মচারীরা। এরপর গতকাল ভোরে আটককৃত তিন ছাত্রী মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে যান। এ সময় তাদের আটক করে ছাত্রলীগ ও হল কর্মচারীরা একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের প্রায় তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রীদের ছাত্রী সংস্থা ও হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে- এমন বক্তব্য আদায় করতে চায়। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে হল প্রশাসনকে খবর দেয় তারা। পরে হল প্রভোস্ট ড. সাজেদা বানু ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ তাদের প্রভোস্টের কক্ষে ডেকে এনে পুনরায় প্রায় তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের হল থেকে বের করে দিয়ে স্থানীয় অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট ড. সাজেদা বানু বলেন, ছাত্রী সংস্থা ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের কর্মী সন্দেহে তিন ছাত্রীকে আটক করা হয়েছে। তবে কে কোন দলের সে বিষয়টি এখনও জানা যায়নি। তাদের কাছে কোন প্রমাণ পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের কাছে ১৫-২০টি ইসলামী বই পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, আটক ছাত্রীদের হলে সিট বাতিল করা হয়েছে এবং স্থানীয় অভিভাবকের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ বলেন, হিযবুত তাহরীর ও ছাত্রী সংস্থার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ছাত্রীদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া তাদের সঙ্গে আর কারও যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। এর আগে সুফিয়া কামাল হল থেকে একই অভিযোগে ২০ ছাত্রীকে বের করে দেয় হল শাখা ছাত্রলীগ ও হল কর্তৃপক্ষ।
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।
এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন