মাছ খেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে এক পরিবারের ১১ সদস্য

কোন মন্তব্য নেই
রাতের বিষধর মাছ খেয়ে ব্রাজিলের এক পরিবারের ১১ জন পঙ্গু এখন। তারা এখন হাসপাতালে জীবনের সঙ্গে লড়ছে। এ খবর দিয়েছে ডেইলি এক্সপ্রেস। ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর সুজা পরিবার সম্প্রতি রাতে নিজেদের অজান্তে খেয়েছিলেন বিষধর সামুদ্রিক মাছ পাফার। তাদের এক পারিবারিক বন্ধু সমুদ্র থেকে মাছ শিকার করে দিয়েছিলেন। সেখানে রয়ে গিয়েছিল বিষধর পাফার। সে মাছ খেয়েই গোটা পরিবারের ১১ জন হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। পাফার মাছের আছে বিষাক্ত সিনানিনের চেয়েও ১২০০ গুণ বেশি বিষাক্ত বিষ। এর সামান্য অংশ খেলেই মানুষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুবরণ করে। ওই পরিবারের সদস্যরা এ মাছ খাওয়ার কয়েক সেকেন্ড পরেই বমি শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে তাদের মুখমণ্ডল, বাহু ও পা অবশ হয়ে পড়ে। তারা সবাই ছিলেন পূর্ণ সচেতন। কিন্তু তাদের দেহের পেশিসমূহ সমপূর্ণ অকেজো হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে চার শিশু সহ বেশির ভাগের শরীর সমপূর্ণ অবশ হয়ে পড়ে। তবে তাদের মধ্যে দু’এক সদস্য তখনও মাছটি খান নি। এরাই অসুস্থ সবাইকে একটি গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ পরিবারের এক সদস্য ক্রিস্টিয়ানো সুজা বলেন, আমার স্বামী জোস অগাস্টা মাছটি খেয়েছিল। সবার মধ্যে প্রথমে সে-ই বলে যে, সে তার জিহ্বাতে কিছু অনুভব করছে না। এরপর তার মুখমণ্ডল, বাহু ও পা অবশ হয়ে যায়। সে কিছুতেই আর দাঁড়াতে পারছিল না। এরপর তার ভাইয়েরও একই অবস্থা হয়। সে এমনকি দরজার বাইরেও যেতে পারছিল না। এরপর আমরা তাদের বের করে একটি গাড়ির সাহায্যে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তিনি ব্রাজিলের আরজে টিভি’কে বলেন, মাছগুলো খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছিল। তাই আমরা গোটা পরিবার নিয়ে খেতে বসে যাই। পরিবারের বৃদ্ধা মারিয়া দো কারমো বলেন, তাদের কোন ধারণাই ছিল না যে, এটি পাফার মাছ হতে পারে। তিনি বলেন, এখন সবাই খুব সঙ্কটজনক অবস্থায় আছে। 
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :