তত্বধায়ক সরকার যদি অসাংবিধানিক সরকার হয়ে থাকে তাহলে অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রধান মন্ত্রী আপনার বিচার হওয়া উচিৎ?

কোন মন্তব্য নেই
রাজনীতিবিদ দের কাছে আমার প্রশ্নঃ  রাজনীতি সহিংসতায় যারা প্রাণ হারালো তাদের দ্বায় কে নিবে?

আমাদের সোনার বাংলাদেশ এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে যে আপনি এখানে আপনি যদি নিজের স্বাভাবিক
মৃত্যু কামনা করেন তা হলে আপনি স্বপ্ন ঘোরে আছেন।
আপনি ঘর থেকে বের হয়ে আবার ঘরে ফিরে যেতে পারবেন কি না ৯৯% অনিশ্চিত। আর যদি
ফিরে যেতে পারেন তা হলে সে টা আপনার জন্য বর্তমান পরিস্থিতে আপনার জন্য সুভাগ্য।
আর না ফিরে যেতে পারলে ঐ ৯৯% আপনার জন্য দুর্ভাগ্য।

এর জন্য দ্বায় কে? নিশ্চয় বর্তমান অবৈধ ও অযোগ্য সরকার। এই সরকারের কোনো যোগ্যতায় নেই
বর্তমানে ক্ষমতায় থাকার। এই সরকারের কারণেই বাংলাদেশের মানুষের কপাল পুড়তেছে।
বর্তমান পরিস্থিতি এই অবস্থা চলতে থাকলে সাধারন এবং নিম্নবিক্ত যারা আছেন তারা পথের ফকির
হয়ে যাবে।
দিন মজুরের ঘরে ভাত নেই, বাইরে কাজ নেই, ঘর থেকে বের হলে নিজের প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে
কিনা কোনো নিশ্চয়তা নেই।
ক্ষুদ ও মাঝারী ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় ধ্বস, যারা দিনের আয় দিয়ে দিনে এনে খায় তাদের অবস্থা
কত শোচনীয় খোঁজ নিয়ে দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন। তারা তাদের ব্যবসা দিয়ে আয় করবে
কি বরং ব্যবসার মুল ধনই চলে যাচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের  অযোগ্য হাসিনা সরকারের কোনো এজেন্ডা ছিলনা ক্ষমতায় এসে তত্বধায়ক
সরকার পদ্ধতি বাতিল করা।
তাদের এজেন্ডা ছিল ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়া, ১০ টাকার কেজি চাল দেওয়া।কিন্তু তারা তা দিতে
পারেনি, পারেনি দিতে মানুষের মৌলিক অধিকার।যে তত্বধায়ক সরকার আজ তারা বাতিল করেছে
সেই তত্বধায়ক সরকারের জন্য তারা ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো বিরোধীদল
এতো হরতাল পালন করেনি। এমন কি ২০০৬ সালে নিজের পছন্দ তত্বধায়ক সরকার কে ক্ষমতায়
বসাতে দিনের পর দিন অবরোধ করেছে- লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরে তাদের উপর নিত্য করেছে।
হাস্যকর বিষয় হলো আজ তারাই মানবতার কথা বলে। মানবতা হলো হাসিনার হাতের মুয়া যা
হাসিনা চাইলেই কিনতে পারে, আবার সময়ে তা বিসর্জন দিতে পারে হিন্দুদের প্রতিমার মতো।
পূজা করার জন্য নিজের হাতে মূর্তি বানিয়ে পূজা দিলাম, পূজা দেওয়া শেষ হলে নিজের হাতে তা ছুড়ে ফেলে দিলাম।

এখন আসি বর্তমান পেক্ষাপটেঃ
তত্বধায়ক সরকার পূর্ণ বহালের দাবীতে ১৪ দল ব্যতীত বাকী সব দলই আন্দোলন করতেছে অনেক দিন
যাবত। এর মাঝে হাসিনার সরকারের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত এক মাসের আগেই।
তারপর নিজের দল দিয়েই সরকার ঘঠন করে নাম দিয়েছে সর্বদলীয় সরকার।বড় মজার বিষয় হল
যে সরকারের আওয়ামীলীগ ব্যতীত অন্য কোনো দল নেই সেটা সর্বদলীয় সরকার হলো কি করে?
তার পর হাসিনা সরকার কথায় কথায় গণতন্ত্রনের কথা বলে। অথচ গণতন্ত্রনের নামে চলতেছে
হাসিনা তন্ত্র।
হাসিনা সরকারের কেউ আন্দোলন করলে তারা পায় পুলিশের প্রটাকশন।হাসিনা সরকার ব্যতীত অন্য
কেউ আন্দোলন করলে পায় পুলিশের গুলি।
গত কয়েক দিন আগে আমরা দেখেছি হাসিনার পুলিশ বাহিনী আমাদের পোষাক শ্রমিক ভাই বোনদের
উপর কিভাবে বর্বর হামলা চালিয়ে ছিল।তাদের নিম্নতম বেতন ৫৩০০ টাকা বাস্তবায়ন করতে রাস্তায়
নেমে আসে। কিন্তু আমাদের পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে।

যৌন নির্যাতনের পদ্ধতিতে এক মহিলা গার্মেন্টস শ্রমিক কে পেটাচ্ছে পুলিশ-ছবি [ফেইসবুক] 
 
আমরা দেখেছি ৫ই মে হেফাজত ইসলামের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কি ভাবে গুলি চালিয়ে ছিল।
এ যেন যুদ্ধরত অবস্থায় বাংলাদেশ।
অথচ এরাই শাহবাগীদের কে মাসের পর মাস প্রটাকশন দিয়েছে।

নির্বাচনের তফসীল ঘোষণার পর  ১৮ দল দেশ ব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা করে।
এর মাঝে গত দুই দিনে রাজনীতিক সহিংসতায় মারা গেছে ১৭ জন।
এর আগেও সপ্তাহ ব্যাপী হরতালে মারা গেছে ১৮ জন বা তার চেয়ে বেশি।
এই পরিস্থিতি আরো কত দিন, মাস, বছর থাকে তার কোনো নিশ্চিয়তা নেই।
এই রকম অবস্থা চলতে থাকলে তো ঘরে ঘরে চাকরীর বদলে লাশ চলে যাবে।

এটা কেমন গণতন্ত্র যার দ্বারা সরকার যা ইচ্ছে তায় করবে, আর এর প্রতিবাদ করলে গুলি খেতে
হবে? এই সব অপকর্ম বিশ্ববাসীকে দেখাবার জন্য কি এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল?
৭১ না হয় পাকিস্তান ভিন দেশ হওয়াতে আমাদের কে মেরে ছিল, আমাদের মা বোনদের ধর্ষণ
করেছিল, কিন্তু এখন তো দেখতেছি নিজের জাত ভাই আমাদের কে মারতেছে, নিজের জাত ভাই
আমার মা- বোনদের কে ধর্ষণ করতেছে। এ দু;খ, লজ্জা রাখবো কোথায়?           

আবার গত বুধবারে হাসিনা নির্লজ্জের বলেছে বিএনপি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে আসতে
ভয় পাচ্ছে।
কিন্তু সত্য কথা হচ্ছে এই যে আওয়ামীলীগ নির্বাচনে জনগণ জুতাপেটা খাবে বলে তত্বধায়ক সরকার
বাতিল করে নিজের অধিনে পাতানো নির্বাচন করতে চায়।
বিএনপি কি করে তাদের অধিনে নির্বাচনে যেখানে শেখ হাসিনা নিজেই প্রধান মন্ত্রী-আবার তার দলের সভানেত্রী।
আবার তার সাথে ভারতের ঘোষণা যেকোনো মূল্যে হাসিনাকে ক্ষমতায় ফেরানো।
এর জন্য ভারত ব্যয় করবে শত কোটি রূপি। এই অবস্থা নির্বাচন কমিশন কি করে দাবী করে
তত্বধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপক্ষ হবে?
সয়ং নির্বাচন কমিশনই তো সরকার পক্ষ। এই অবস্থায় বিএনপি কোন যুক্তিতে তাদের সাথে হাত
মিলাবে? কি করে তাদের অধিনে নির্বাচনে যাবে? নির্বাচন কি মগের মূলক নাকি?  

বাংলাদেশের মানুষ এখন এটা পরিস্কার হয়ে গেছে যে শেখ হাসিনা দেশ প্রেমিক নয়, দেশ দ্রোহী ও
বাকশালের মা।
এবং তার সাথে সময়ের সেরা কমেডি অভিনেত্রী।

সব শেষে বলতে চায় অমানীয় প্রধান মন্ত্রী আপনার কথা যদি সত্য হয়ে থাকে, তা হলে তত্বধায়ক
সরকারের অধিনে নির্বাচন দিয়ে দিন। দেখেন বাংলার জনগণ আপনার গলায় ফুলের মালা পরায় নাকি
জুতার মালা পরায়।

অবশ্য বাংলার জনগন এতো বোকা নয় যে দ্বিতীয় বার একই ভুল করবে, সেটা আপনি ভালো
করেই অনুভূব করতেছেন।

আপনি তো নিজের ক্ষমতায় নয় ভারতের ক্ষমতার অধিনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে রেখেছেন।
তবে অমাননীয় প্রধান মন্ত্রী যাবার আগে আপনার কাছে একটি প্রশ্ন রেখে যেতে চায় যদিও আমরা
উত্তর পাবোনা।
প্রশ্ন হলো আপনার হটকারী সিদ্ধান্তের কারণে দেশের এতো গুলি মানুষ মারা গেল তাদের দ্বায়ভার
কি আপনি গ্রহন করবেন?
   
তত্বধায়ক সরকার যদি অসাংবিধানিক  সরকার হয়ে থাকে তাহলে অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার
জন্য প্রধান মন্ত্রী আপনার বিচার হওয়া উচিৎ?
এখন আপনি কি আপনার বিচার করার জন্য ট্রাইব্যুানাল গঠন করবেন?
এই প্রশ্নটিও আপনার কাছে রইলো?

বিষয় সমূহঃ >আল কোরআন/আরবী থেকে-বাংলা-ইংরেজী সহ<+>ইসলাম< +>আদর্শ নারী Adarsha Nari <+>নারী পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধান<+>নারীস্বাস্থ্য সমস্যা ও পরামর্শ<+>মাসিক মনোজগত<+>যৌন শিক্ষা/যৌন মিলন/জন্মনিয়ন্ত্রন<+>ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন।<+>কামসূত্র (সংক্ষিপ্ত)<+>দাম্পত্য জীবন/বিবাহ<+>কারবালার করুণ ইতিহাস<+>ডাঃজাকির নায়েকের লেকচার।<+>কম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট<+>সর্বাধিক পঠিত<+>সোনা মনিদের মজার মজার গল্পের ভাণ্ডার(আন লিমিটেড)<+>হাসির দুনিয়া -কৌতুক এবং জোকস(আন লিমিটেড)<+>এই পোস্ট গুলি কি আপনি পড়েছেন?<+>আমাদের রাজনিতি/মিডিয়া <



আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :